somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মিতু, তার বয়ফ্রেন্ড এবং লিটনের ফ্ল্যাটে যাইবার গল্প

০৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কথাটা শুনেই মিতু মনটা খারাপ হয়ে গেল !
শেষ পর্যন্ত সুমনও ?
এতো দিন সবার কাছ থেকে যা শুনে এসেছে সুমনও তাই করলো ?
সুমন ওকে ওর ফ্ল্যাটে নিতে চাইলো !!

ওর বান্ধবীরা ওকে অনেক আগেই বলেছিল যে আজকাল কার ছেলে মেয়ে গুলো কখনই ঠিক সুবিধার হয় না । এদের প্রধান লক্ষ্য থাকে লিটনের ফ্ল্যাটের দিকে ।
কিন্তু মিতুর এইটা মানতে কষ্ট হত ! অন্ততঃ সুমনের ক্ষেত্রে মনে হত এমন টা না ।
সুমন ওকে আসলেই ভালবাসে ! ও ওকে কখনও লিটনের ফ্ল্যাটে নেবার কথা বলবে না ! এটা ওর বিশ্বাস ছিল !
এমন নোংরা ব্যাপার ওদের ভিতর আসবে না !

মিতু রাগে দুঃখে মরে যেতে ইচ্ছা করছে ।
গত কালকের কথা ! বিকেলে মিতু সুমনকে নিয়ে বসুন্ধারায় গিয়েছিল ! এখান কার কাশবনটা মিতুর খুব পচন্দ । প্রায়ই সুমন কে নিয়ে আসে । সুমনের হাত ধরে হাটতে খুব ভাল লাগে ।
শুধু হাত ধরেই ! অন্য কিছু না । সুমনও অন্য কিছু না কেবল মিতু হাত ধরে হাটে ।
কত কথা বলে ওরা ! ওদের কথা ! ওদের সামনের দিনের কথা ! সবই ঠিক ছিল কালকে হঠাৎ সুমন বলল
-কালকে তোমাকে আমাদের বাসায় নিয়ে যাবো । তোমাকে সারপ্রাইজ দিবো । তুমি জীবনেও ভুলবা না ।
-মানে কি ?
-মানে কিছু না । আমার বহুদিনের একটা ইচ্ছা কালকে পুরন হবে ।
সুমনের রহস্যময় কথা ওর কাছে ঠিক মত বোধগম্য হল না । আসলে সুমনকি বলতে চাইছে ?
রুমে এসে ওর রুমমেইট কাছে বলতেই, ওর রুমমেইট সুমি হায় হায় করে উঠল !
মিতু কিছু বুঝতে না পেরে বলল
-কি হয়েছে ? এমন কেন করছিস ?
সুমি বলল
-তুই এখনও বুঝতে পারছিস না ?
-কি বুঝতে পারবো ?
-আরে এই সে তার আসল রূপ দেখাতে শুরু করেছে । কালকে তোকে ওদের বাসায় নিয়ে যাবে । তারপর ....
-তারপর ?
সুমি বিরক্ত হয়ে বলল
-মিতু তুই বোকাই রয়ে গেলি রে ! লিটনের ফ্ল্যাটের গল্প শুনিস নাই । এখানে পার্থক্য হল সুমনের ফ্ল্যাট ! আর কিছু না ।
মিতুর কথাটা মানতে কষ্ট হল । বলল
-নাহ । সুমন এমন করতে পারে না । ও এমন ছেলে না ।
-সব ছেলেই এক । তোকে কি বলেছে ও ? অনেক দিনের একটা ইচ্ছা পুরন হবে তাই না ?
-হুম ।
-মানে বুঝে নে । আমরা সবাই জানি সুমন তোর পিছনে কত দিন ঘুরিছে । কথা সত্যি । সুমন আসলেই মিতুর পিছনে অনেক দিন ঘুরেছে ।
-কি করবো ?
-তুই জানিস ! আমি কিভাবে বলবো ?
-একটা কিছু বল ? কি করতে পারি বা কি করবো ? ওকে মানা করে দিবো ?
-দিতে পারিস !

ঐদিন রাতেই মিতু সুমনকে ফোন দিয়ে বলল যে ও আসতে পারবে না । কিন্তু সুমন কিছুতেই শুনতে চাইলো না । বলল আসতেই হবে । কোন কথা হবে না । আসতেই হবে ।

মিতু নিজের মাঝেই কেমন একটা দ্বিধায় পরে গেল ।
কি করবে ?
কি করা উচিৎ ওর ?
যাবে ?
যদি সত্যি এমন কিছু করে ?
কিন্তু সুমনের উপর এখনও তার বিশ্বাস হারাতে ইচ্ছা হচ্ছে না । এমন কিছুতেই হতে পারে না । শেষ রাজি হয়ে গেল আবার । অন্তত এই টুকু বিশ্বাস আছে যে সুমন জোর করে এমন কিছু করবে না যাতে ওর সম্মতি নাই ।

সকাল বেলা থেকে তাই মিতুর মনটা বিষন্ন হয়ে আছে । কিছু ভাল লাগছে না । সুমনের সাথে যেতে ইচ্ছা করছে না । আবার সুমনকে মানাও করতে পারছে না ।
সিএনজি থেকে যখন মিতু নামলো তখন আর একবার মনের ভিতর কু ডেকে উঠলো ।
-কি হল ?
সুমনের হাস্যজ্জল মুখ দেখে একটু শান্তি এল মনে ।
মনে হল নাহ । এই হাসির পেছনের মানুষটি কখনও কোন অন্যায় করতে পারে না ওর সাথে ।
পারবে না ।
সুমনদের বাড়ি বারিধারার একটা অভিজাত এলাকায় ! মিতু যতদুর জানে সুমনের বাবা মা দুজনেই ব্যাংকে চাকরী করে । ওর একটা ছোট বোন আছে । এই এসএসসি পরীক্ষা দেবে ।
এখন বেলা এগারোটার কিছু বেশি বাজে । ওর বাবা মা দুজনেই নিশ্চই এখন অফিসে । বোনটাও স্কুলে মনে হয় !
পুরা বাসায় ওরা একা ।
মিতু মনে মনে আবার বলল প্লিজ সুমন এমন কিছু কর না যাতে আমার চোখে তুমি চোখে নিচে নেমে যাও !
প্লিজ !

একটা দরজার সামনে এসে সুমন থামলো । বলল
-এটা আমাদের বাসা ।
-তাই ?
একটু হাসি আনার চেষ্টা করলো । না জানি কি সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে ওর জন্য ।
সুমন কলিংবেল চাপ দিল । সুমনের কলিংবেল বাজানো দেখে মিতুর একটু অবাক লাগলো ! মিতু ভেবেছিল বাসায় কেউ থাকবে না । সুমন চাবি দিয়ে দরজা খুলবে ।
দুবার বাজানোর পরেই দরজা খুলে গেল । এক মাঝ বয়সী মহিলা । মিতুর মনে হল ইনি বাড়ির কাজের মহিলা ।
বাড়ির কাজের মহিলাটা মিতু কে দেখতেই একটা অবাক করার মত কাজ করলো ।
জোরে একটা চিৎকার দিয়ে উঠলো ।
-আম্মা ! আম্মা !! ভাইজান বউ নিয়া আসছে । জলদি আহেন !
বুয়ার মুখে বউ কথাটা শুনে মিতু বেশ চমকে গেল ! কিছুক্ষন কিছুই বুহতে পারলো না কি হচ্ছে ?
আম্মা বলে কাকে ডাকছে ?
বাড়িতে কি তাহলে আরো কেউ আছে ?
সুমনের দিকে তাকিয়ে দেখে সুমন মিটমিট হাসছে । অর্থ পুর্ন চোখে সুমনের দিকে তাকিয়ে দেখে সুমন হাসছে ।
কি নিস্পাপ হাসি !!
ডান দিকের ঘর থেকে এক মহিলা বের হয়ে এল । কেউ বলে দিল না কিন্তু মিতুর বুঝতে একটুও কষ্ট হল না ইনিই সুমনের মা !
সুমনের মা হাসি মুখে এগিয়ে এল ।
মিতু আসলে কিছু বুঝতে পারছিল না যে কি করবে !
সুমনের মা সুমনের দিকে তাকিয়ে বলল
-যাক এতো দিনে একটা কাজ করেছিস ?
তারপর মিতুর দিকে তাকিয়ে বলল
-আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছিল না যে আমার ছেলের এত সুন্দর একটা গার্লফ্রেন্ড আছে । তুমি তো মা তোমার ছবির থেকেও বেশি সুন্দর !
মিতু খুব লজ্জা পেল !
এখন ওর কি করা উচিৎ ?
কোন কিছু না বুঝে মিতু সুমনের মাকে সালাম করতে গেল কিন্তু মাঝ পথেই তিনি মিতু ধরে বুকে জড়িয়ে ধরলেন !
এক অজানা ভাল লাগা মিতুর সারা মন জুড়ে প্রবাহিত হল ।

সুমন বলল
-মা ! আব্বা কই ?
-তোর আব্বা একটু বাইরে গেছে !
-কেন ?
-আরে সব কিছু রেডি করতে গিয়ে দেখি রোরহানী কেনা হয় নাই । সেইটাই আনতে গেছে !
সুমন কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনই সুমনে ছোট বোন নিনা ঘরে ঢুকলো ! মিতুকে দেখে তো হইচই বাধিয়ে দিল !
একদম সরাসরি সবার সামনে ভাবি বলে ডাকা শুরু ।
মিতু এমনিতেই লজ্জ পাচ্ছিল । আর বেশি করে লজ্জা পেতে লাগলো । নিনা নিজের ওদের সবার ফ্ল্যাট ঘুরে দেখালো ! নিজের ঘরে নিয়ে গেল । এমন একটা ভাব যেন মিতু সুমনের না নিনারই বন্ধু !

মিতুর আসেই খুব ভাল লাগছিল । খুব বেশি । আজ নাকি সব কিছু ওর জন্য করা হয়েছে ।
কদিন থেকেই মিতুর আসার কথা ওরা আলোচনা করছিল । বাড়ির কেউ আসলে ঠিক বিশ্বাসই করে নাই যে সুমনের একটা গার্লফ্রেন্ড থাকতে পারে । আজকে ওদের বাবা মা দুজনেই অফিস থেকে ছুটি নিয়েছে ওর আসার জন্য । নিনা স্কুলে যায় নি । বাড়ি রান্না স্পেশাল রান্না হচ্ছে এসবই মিতু আসার জন্য !
বাড়ির সবাই খুশি !
মিতুও খুশি ! কিন্তু মনের ভিতর একটা অপরাধ বোধকাজ করছে ।
ইস কি ভুলই না বুঝেছে সে সুমন কে !
এখনই ওর কাছে ক্ষমা চাওয়া দরকার ।
-নিনা !
-বল ভাবি !
-আমি একটু তোমার ভাইয়ার ঘরে যাই ! ওর সাথে কয়টা কথা বলতাম ।
-ও আচ্ছা ! এখন থেকেই এতো কিছু !! একটুও সহ্য হচ্ছে না ??
-না !! সেটা না !
মিতু হাসলো !

মিতু সুমনে ঘরে গিয়ে দেখে ও যেন কি একটা খুজতেছিল !
-সুমন !
সুমন ঘুরে দাড়ালো !
-বল !
মিতু দরজাটা একটু ঠেলে দিয়ে সুমন কে জড়িয়ে ধরলো !
জীবনের এই প্রথম বারের মত । মনের ভিতর কোন সংকোচ নাই ! কিছু্ক্ষনের ভিতরেই একটু ফোঁপানীর শব্দ শুনতে পেল সুমন !
-আরে কি হল ? কাঁদছো কেন ?
-আমি খুব খারাপ ! খুব ! তুমি আমাকে মাফ করে দাও !
-আরে আশ্চার্য ! কি হয়েছে ? বলবা তো ?
মিতুকে শান্ত করতে সুমনের আরো কিছু সময় লাগলো !
আরো কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনই নিনা ঘরে ঢুকে পড়লো !
দুজন কে একসাথে দেখে বলল
-আচ্ছা !! এই ব্যাপার ! ভাইয়া ! তলে তলে এতো দুর ..
-এই যা ভাগ !!
-যাবো না ? আম্মাকে বলে দিবো !
সুমন বলল
-যা বল গিয়ে !
মিতু সুমন কে থামিয়ে দিয়ে বলল
-কি বলছো ? বলবে কেন ? নিনা তুমি বলবা বল ?
-বলব না ! তবে একটা শর্ত আছে !
মিতু হেসে বলল
-কি শর্ত বল !
-এখানে বলবো না । তুমি এস আমার সাথে ! এসো তো !

কালকে রাতেও মিতু কি না ভেবেছিল আজকের দিনটাকে নিয়ে ! কিন্তু দিনটা এমন সুন্দর হবে তা মিতু ভাবতেও পারে নাই !! সুমন ওকে আসলেই ভাল একটা সারপ্রাইজ দিয়েছে ।
কোন দিন এই মধুর স্মৃতি ভোলা যাবে না !


*****

আপু মনি রা ! এইটা গল্প ! বাস্তবে এমনটা হয় না !
সব আপুদের কেই বলতেছি জীবনটা অপু তানভীরের গল্প না আর সব প্রেমিকরা অপু তানভীরের গল্পের নায়কদের মত সোজা না !
সুতরাং সাবধান !
প্রেম করবেন ! অবশ্যই প্রেম করবেন । ভালবাসবেন ! সমস্যা নাই ! প্রেম চমৎকার একটা ব্যাপার ! কিন্তু কিছু নোংরা কাজ এই প্রেমটাকে কুলষিত করে ফেলে । আপনার মত আপুরা আপনাদের মত ভাইয়াদের দ্বারাই এটা হয় !
প্রেম একটা মনের ব্যাপার ! যেন সেটা মন পর্যন্তই থাকে । লিটনের ফ্ল্যাট পর্যন্ত যেন না যায় !




Click This Link
৩৩টি মন্তব্য ৩১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিশাল বড় সৃষ্টি তোমার

লিখেছেন প্রামানিক, ১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:৩৪


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

বিশাল বড় সৃস্টি তোমার
মানুষ ক্ষুদ্রতম
চন্দ্র সূর্য দেখার পরে
করছে নমঃ নমঃ।

নানা রকম সৃস্টি দেখে
হচ্ছে চমৎকার
দুইটা চক্ষু উর্দ্ধে তুললে
দৃস্টি যায়না আর।

কোথায় সৃস্টির শেষ সীমানা
কোথায় বা তার শুরু
দূর সীমানায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিছু কিছু মানুষ বলার শুরু করেছে, "আমরা আগেই ভালো ছিলাম"।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:০২



একাধিক কারণে মানুষ ইহা বলার শুরু করেছেন: (১) সাধারণ মানুষ কোমলমতিদের ক্রমেই চিনতে পারছেন, ইহা ভীতি ও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করছে; কোমলমতিরা সরকারের গুরুত্বপুর্ণ অনেক পদে আছে ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি - একাল সেকাল

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮



টানা বৃষ্টির মধ্যে মরিচের দাম বেড়ে হয়েছে ৪০০ টাকা কেজি । অন্যদিকে ফার্মের মুরগির এক পিছ ডিমের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫ টাকা।শুধু মরিচ নয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কমলা যদি পরাজিত হয়, "দ্রব্যমুল্য"ই হবে ১ নম্বর কারণ

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭



দ্রব্যমুল্য হচ্ছে অর্থনৈতিক সুচকগুলোর ১ টি বড় প্যারামিটার; ইহা দেশের অর্থনীতি ও চলমান ফাইন্যান্সের সাথে সামন্জস্য রেখে চলে; টাস্কফোর্স, মাস্কফোর্স ইহার মুল সমাধান নয়; ইহার মুল সমাধন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকস্বাধীনতা মানেই- যা খুশী তাই লেখা বলা নয়....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:৩১



বকস্বাধীনতা মানেই- যা খুশী তাই বলা/ লেখা নয়। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং জনসংহতি নষ্ট করা রাষ্ট্র দ্রোহিতার শামিল। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দোসর সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশের গণবিপ্লব পরবর্তী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×