একদিন স্বপ্নের দিন !
-তোমাকে দেখছি !
-আমাকে এতো দেখার কি আছে ?
-কিছু নেই ?
-না । আগে যেমন ছিলাম এখনও তেমনই আছি ।
-জানো আজকে কত দিন পরে সেই কাঙ্খিত রিংটোনটা বেজে উঠেছে ? আমার বুজের ভিতরটা ধড়াৎ করে লাফিয়ে উঠেছিল ।
-তাই ?
টিয়া হাসলো ! অনেক দিন পরে সেই হাসি দেখলাম । অনেক দিন পরে আমার মন যেন একটু জুরালো ।
আমি টিয়ার হাত ধরতে ধরতে বললাম
-এতো দিন ফোন কর নি কেন ?
টিয়া কোন উত্তর দিলো না । একটু যেন অভিমান করলো । তার পর বলল
-তুমি জানো কেন আমি ফোন করি নি !
আমি জানি ?
সত্যি কি জানি ? কিছুটা বিভ্রান্ত হলাম !
আমার কিছু যেন মনে পড়তে গিয়েও পড়লো না । আমি খুব বেশি মনে করার চেষ্টাও করলাম না । টিয়ার হাতটা ধরেই রাখলাম । আর কিছু মনে করার দরকার নাই ।
এমন সময় দেখলাম টিয়া আমার হাত থেকে নিজের হাতটা ছাড়িয়ে নিল । প্রথমে কিছু বুঝতে না পারলেও একটু পরে বুঝতে পারলাম ।
আমরা বসে ছিল ঢালু জমি টার ঠিক পাশেই । বাঁ পাশের কয়েক হাত গেলেই পায়ে হাটা রাস্তা । সেদিক দিয়ে একজন দাড়ি টুপি পারা মানুষ এগিয়ে আসছে । তাকে আসতে দেখেই টিয়া হাত ছাড়িয়ে নিয়েছে ।
-চল ! এখানে বসতে হবে না ।
-কোথায় যাবে ?
-চল । হাটি । এখানে অনেক মানুষ । রাস্তার পাশে এভাবে বসার কোন মানে না ।
আমরা উঠে পড়লাম । হাটতে থাকি পাশাপাশি । টিয়ার হাতটা অবশ্য আবার ধরা যায় এখন । ধরবো কি না বুঝতে পারছি না । আবার যদি কেউ চলে আসে । এতো ভয় ওর !
-তোমার ফোন কোথায় ?
-কেন আমার কাছে ?
-এই না ! ঐ টা ।
ঐটা বলতে টিয়া কোন ফোন টার কথা বলছে আমি বুঝতে পারলাম । বললাম
-এক ছোট ভাইয়ের ফোন নষ্ট হয়ে গেছে । বাড়ি যাওয়ার আগে তাই আমার ফোনটা নিয়ে গেছে ।
-সিম সহ !
আমি একু হাসার চেষ্টা করলাম ।
-তুমি ফোন দিয়েছিলে ওখানে ?
-জি ! আমি ওখানেই প্রথমে ফোন দিয়েছিলাম । আমার তো ওখানেই ফোন দেওয়ার কথা। তাই না ?
টিয়া কপট রাগ দেখালো ।
কেবল টিয়ার জন্য সেই সিমটা কিনেছিলাম । অন্য কারো ফোন আসে না সেখানে । নাম্বারটা কেবল ঐ জানে । আজ কত দিন সেই নাম্বারটাতে রিংটোনবেজে উঠে না । আমি ভেবেছিলাম হয়তো আর কোন দিন বাজবেও না । তাই দুয়েল সিম ফোনটা দেওয়ার সময় সিম টা খুলে নেই নি । ওখানেই রয়ে গেছে ।
আমরা হাটতে থাকি । মনের ভিতর একটা আনন্দ । অসম্ভব আনন্দ । আজ কত দিন পরে টিয়ার সাথে হেটে বেড়াচ্ছি । আর একবার ওর হাতটা একটু ধরি । হাতটা ধরি । যে দেখে দেখুক !
টিয়া হাত আর ধরতে পেরেছিলাম কি না মনে নেই । এর পরেই আমার ঘুম ভেঙ্গে যায় । অনেক দিন পরে আজ কে টিয়া আমার স্বপ্নে ধরা দিল । কত দিন পরে সেই পরিচিত মুখটা দেখলাম । পরিচিত হাসিটা দেখলাম । কত দিন পরে আজকে টিয়ার হাত ধরলাম ।
হোক স্বপ্নে তবুও তো !!

কবে হবে ভোর?
আর কত অন্ধকার গাঢ় হলে ভোর হবে?
আর কত শলাকা পুড়ালে বুকের দহন মিটবে?
আর কত নিকোটিন পূর্ণ হলে এই হৃদয়ে তোমার মৃত্যু হবে?
বিকলাঙ্গ ফুসফুস, তোমার আশায় কেবল দম বাড়ে
আর কত নিরাশ... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমি আমার আমিতে আমিময়
করোনাকালীন সময়ে যখন মুখে মাস্ক পড়া লাগত তখন থেকেই এই অদ্ভুত অভ্যাস দেখা দিল।মাস্ক পড়ে রাস্তা দিয়ে হেটে যাই পরিচিত মানুষরা,রিলেটিভরা এমনিকি আমার কাছের একবান্ধবী ও দেখি আমাকে চিনে না।বান্ধবী... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাঙন গগনে ঘোর ঘনঘটা || একটা অদ্ভুত ও বিচিত্র সুরের রবীন্দ্রসঙ্গীত || বেশ কিছুদিন পর আবার ফিরে এলাম গানে
শাঙনগগনে ঘোর ঘনঘটা, নিশীথযামিনী রে।
কুঞ্জপথে, সখি, কৈসে যাওব অবলা কামিনী রে।
উন্মদ পবনে যমুনা তর্জিত, ঘন ঘন গর্জিত মেহ।
দমকত... ...বাকিটুকু পড়ুন
কেউ কথা রাখেনি। না, রাখার ক্ষমতা নেই ?
ন হন্যতে বইটি মৈত্রীয় দেবীর যা উনি লিখেছিলেন ফরাসি লেখক মির্চা এলিয়াদের লা নুই বেংগলীর জবাব স্বরুপ।মৈত্রীয় দেবীর দাবি তিনি মির্চার প্রেমে পড়েন নি তিনি প্রেমে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আসলেই কি সরকার এবার পারবে?
সরকারী দলের কোন প্রার্থী হারতে চাইবে না। অত:পর যারা হারবে তাদের সবাই যদি বলে নির্বাচন সুষ্ঠ হয় নাই। যারা নির্বাচনে আসে নাই তারা তো বলবেই নির্বাচন সুষ্ঠ হয়... ...বাকিটুকু পড়ুন