somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মিরপুর ব্লগ ডে আড্ডা এবং আমার সম্ভাব্য প্রেমের গল্প !

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ভাগ্য ভাল যে কান্ডারীভাই ফোন করেছিল তা না হলে আজকে তো এখানে আসাই হত না ! আর না আসলে বেশ মিস করতাম মনে হয় ! আমরা বেশ কয়েকজন ব্লগার এই মিরপুরে এসে হাজির হয়েছি ! বেশ কয়েকজন আপুও দেখি হাজির !
আমার চোখ একটা বিশেষ আপুর দিকে নিবদ্ধ !
আপু ?
এই বেকুব পুলা ?
কোন মেয়েকে আপু ডাকলে তার চেহারায় একটা বোন বোন ভাব চলে আসে ! যা কি না যে কোন লুল ব্যক্তির জন্য ক্ষতির কারন হিসাবে বিবেচিত হতে পারে ! সুতরাং সব মেয়ে কে আপু না ডাকাই ভাল !
আমি অপরিচিত মেয়েটিকে অনুসরন করা শুরু করলাম !

আরমান এসে বলল
-কি ব্যাপার ? তুমি এমন চুপ করে আছো কেন ?
-কিছু না ! এমনি বসে আছি !
-সাবই আড্ডা মারছে আর তুমি কি কর ?
-আমি পর্যবেক্ষন করতেছি !
আরমান আমার চোখের দৃষ্টি লক্ষ্য করে মেয়েটার দিকে তাকালো ! তাকানোর মত মেয়েই !
আমাদের সামু ব্লগে এমন সুন্দরী ব্লগার আছে আমি তো জানতামই না !
আরমানকে জিজ্ঞেস করলাম
-চিনো নাকি ?
-হুম !
-কি নিকে লিখে ?
-ওতো "বিষন্ন মন" !
-কেন কেন ? এটো সুন্দর মেয়ে বিষন্ন মন কেন হবে ?
-আরে ওর নিক "বিষন্ন মন" ! কবিতা লিখে !
-হুম !
আরো কয়েকজন মেয়ে ব্লগার এসেছে কিন্তু আমার চোখ বিষন্ন মনের দিকেই ! তার প্রধান কারন হচ্ছে মেয়েটার পরনের পোষাক ! মেয়েটা পরে এসেছে একটা সাদা রংয়ের ল্যাগিংস সাথে আকাশী রংয়ের কামিজ ! আর তার উপরে ধবধবে সাদা চাদর !
সাদা জিনিসের উপর আমার এমনিতেই একটু আকর্ষন বেশি আর সাদা ল্যাগিংস হলে তো কথাই নাই !
ভাবতেছি মেয়েটার সাথে কথা বলব কিভাবে ?
সবাই সবার সাথে কথা বলতেছে ! মেয়েরা এক জায়গায় বসে আড্ডা মারতেছে ! আমরা পরিবেশ ভাইকে ঘিরে বসলাম ! অভি পরিবেশ ভাইয়ের ইন্টারভিউ নিতে শুরু করলো ! এদিকে আরমান আর শোভন লাইভ আপডেট দিতে ব্যস্ত ! মাগুর ভাই আমাদের সাথে আড্ডায় ব্যস্ত !
ও দিকে জনি ভাই আর জাদীদ ভাই মেয়েদের আড্ডা মারছে ! কান্ডারী ভাই ব্যস্ত আমাদেরকে আপ্যায়ন করা নিয়ে !
আমার একটু ইচ্ছা হল মেয়েটার গিয়ে কথা বলি ! সবাই আড্ডা মরলেও মেয়েটা চুপ করে বসে আসে !

আমি চুপচাপ মেয়েটাকে দেখতে লাগলাম ! সাথে সাথে অনেকের সাথে কথা বলতে লাগলাম ! আড্ডার মাঝে কেক কাটা হল ! তারপর আমাদের খাওয়া দাওয়া হল । তার উপর কান্ডারীভাই সবাইকে শর্মা খাওয়ালেন ! কেক কাটার পরেও শরৎদা আড্ডা মাতিয়ে রাখলেন !
এতো কিছুর মাঝেও মেয়েটা দেখলাম চুপ করেই আছে ।
বুঝলাম নিক ভালই বেছে নিয়েছে !
বিষন্ন মন !

রাত নয়টার দিকে যখন বাড়ির দিকে রওনা দিবো তখনই প্রথম মেয়েটার আওয়াজ শুনলান ! বলতে হয় মেয়েটা আমার নাম ধরে ডাক দিল !
আমি খানিকটা অবাক হলাম অবশ্য ! যে মেয়েটা এতোক্ষন আমার দিকে একটুও তাকায় নাই আমার সাথে একটু কথাও বলে নাই সে হঠাৎ আমার নাম ধরে ডাক দিল !!

-অপু তুমি বাসায় যাবা এখন ?
খাইছে রে ! একেবারে তুমি ! আপনি না ! একটা অপরিচিত মেয়ের মুখ থেকে তুমি শোনাটা একটু যেন কেমন !! যাক মেয়ে যখন তুমি বলে ডেকেই ফেলেছে আর কি করা ! এক ধাপ এমনিতেই এগিয়ে গেলাম !

আমি মেয়েটিকে বললাম
-হুম ! বাসায় যাবো !
-আমার বাসা তোমার ঐ দিকেই ! রাত হয়েছে ! আমি আসবো তোমার সাথে ? যদি তোমার আপত্তি না থাকে !

এই মাইয়া কয় কি ?
একটা মেয়ে আমার সাথে যাবে তাতে আবার আমার আপত্তি !!
মাথা খারাপ !
আমি যথা সম্ভব মুখ গম্ভীর রেখে বললাম
-আরে কি বল ? এখানে আপত্তি করার কি আছে ! তোমার বাসা কোথায় ?
-রিং রোডে !
-আচ্ছা চল যাওয়া যাক !

সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমি আর "বিষন্ন মন" হাটতে লাগলাম ! খুব বেশি রাত হয় নি কিন্তু এর ভিতরই পথ ঘাট কেমন শান্ত হয়ে গেছে । আসলে এটা শহরের এক পাশে তো তাই মনে হয় ! তার উপর আজকে ছিল অবরোধের দিন !
হালকা ঠান্ডা বাতাস হচ্ছে ! আমি মেয়েটির পাশাপাশি হাটতেছি !
কি বলবো ঠিক বুঝতে পারছি না ! কি বলা উচিৎ ?
মেয়েটির নামটা এখন আমি জানি না !
আমি কিছু বলতে যাবো এর আগেই মেয়েটি বলে উঠলো
-খুব সন্দর বাতাস দিচ্ছে তাই না ?
-হুম ! চমৎকার বাতাস !
-তোমার গল্পের নায়িকারা এই রকম বাতাসে তার মনের মানুষের হাত ধরে হাটতে পছন্দ করে । তাই না ?
আমি একটু চমকালাম !
এই রকম পরিবেশের আসলেই আমার গল্পের নায়িকারা তাদের মনের মানুষের হাত ধরে হাত ধরে হাটতে পছন্দ করে ! আমার কয়েকটি গল্পে এমন কিছু আমি লিখেছি !
তার মানে কি মেয়েটি আমার গল্প পড়ে ! হয়তো পড়তে পারে ! না পড়লে অবশ্য আমাকে চেনার কথাও না ! আমি তেমন বিখ্যাত কেউ না ! কেবল যে অল্প কিছু মানুষ আমার গল্প টল্প পড়ে তারাই আমাকে চিনে ! তবে তাদের সংখ্যা খুব বেশি না !
কিন্তু এই মেয়েকে আমি আমার ব্লগে দেখেছি বলে তো মনে পড়ে না !
মেয়েটি আবার বলল
-তুমি কি জানো যে শুধু তোমার গল্পের নায়িকারা না, বাস্তবেও মেয়েরা এমন বাতাসে তার মনের মানুষের হাত ধরে হাটতে পছন্দ করে ?
-তাই নাকি ?
কালশীর মোড়ের কাছে চলে এসেছিলাম মেয়েটি বলল
-রিক্সা নেই ! আজকে রিক্সায় চড়তে খুব ইচ্ছে করছে !
-আচ্ছা !

কালশী থেকে মেয়েটির সাথে রিং রোড পর্যন্ত যেতে পারবো এটা একটা চমৎকার কথা ! বাহ বাহ !


-তোমার নামটা তো জানা হল না ?
-জানতে চাও ?
-অবশ্যই ! কেন চাইবো না ?
মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষন ! তারপর বলল
-আসলে আমি চাই না তুমি আমাকে চিনো ! তোমার কাছে অপরিচিত থাকতে চাই !
-কেন ?
-আমার ইচ্ছা ! নাম বললে তুমি আমাকে মনে রাখবে না ! ভুলে যাবে !
-কেন ! এমন কথা কেন বলছো ?
মেয়েটা হাসলো !
ঠিক তখনই আমার মনে হল মেয়েটার হাসিতে একটা ভীষন রকম বিষন্নতা লুকিয়ে আছে !
এই জন্যইকি মেয়ের বিষন্ন মন নিক নিয়ে লিখে !
আমি আর কিছু বলতে পারলাম না ! মেয়েটি আমার গা ঘেসে বসেছ ! বাতাসে ওর চুল উড়ছে ! মাঝে মাঝে কিছু চুল আমার মুখের কাছে চলে আসছে ! মেয়েটির সে দিকে লক্ষ্য নেই !
আমি খানিকটা অবাক হয়ে মেয়েটিকে লক্ষ্য করতে লাগলাম !
অপরিচিত একটা মেয়ে যে মনে হয় আমাকে চিনে কিন্তু আমি তাকে চিনি না ! কোন দিন হয় তো ওর ব্লগেও যাই নি ! আর এখন মেয়েটির সাথে এই রাতের বেলা রিক্সা করে যাচ্ছি !


-সারাটা আড্ডায় তুমি আমাকে দেখছিলে । তাই না ?
আমি একবার ভাবলাম অস্বীকার করি ! কিন্তু পরে মনে হল কি দরকার ! বললাম
-হুম ! দেখছিলাম !
-কেন ?
এখন এই প্রশ্নের উত্তর আমি কিভাবে দেই ! মেয়েকে তো বলতে পারি না যে তুমি সাদা ল্যাগিংস পরে এসেছ তাই তোমাকে দেখছিলাম ! কিন্তু মেয়েটি আমাকে অবাক করে দিলে বলল
-আমি ল্যাগিংস পরে এসেছি এই জন্য ?
আমি চুপ করে রইলাম !
মেয়েটি আবার বলল
-দেখো আমি কিন্তু ইচ্ছে করেই ল্যাগিং পরে এসেছি আজ !
কিছুক্ষন চুপ ! তারপর আবার বলল
-তোমার দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য !
-মানে ?
মেয়েটি এবার আমার দিকে সরাসরি তাকালো ! কিছু বলল না, সরিয়ে নিল একটু পরেই !
আমার বেশ খানিকটা অবাক লাগছে ! মেয়েটা জানে আমার পছন্দের কথা ! তারমানে সে আমার গল্প ভালই পড়ে ! না পড়লে এই কথা জানার কথা না !

মেয়েটি বলল
-আমি প্রথম যেদিন তোমার গল্প পড়েছিলাম খুব মেজাজ গরম হয়েছিল ! এমন করে কারো জীবনে ঘটে নাকি ? তারপর আস্তে আস্তে এমন একটা সময় আবিস্কার করলাম প্রতিদিন তোমার গল্প না পড়লে আমার কেন জানি ভাল লাগে না ! কেন জানো ?
-কেন ?
-কারন তুমিও মোটামুটি আমার মতই ।
-তোমার মত !
-হুম ! আমার মত ! কেবল পার্থক্য হল তুমি তোমার বিষন্নতাটা লুকিয়ে রাখতে পারো ! আমি পারি না !

আমি কিছুক্ষনের জন্য একেবারে চুপ হয়ে গেলাম ! এই কি বলছে !
এই মেয়ে কিভাবে বুঝে গেল !
আশ্চার্য !

-অবাক করা বিষয় তাই না ? সবচেয়ে পজেটিভ গল্পের লেখকের জীবনে রয়েছ সব চেয়ে বড় ট্যাজেডি ! নিজেকে লুকিয়ে রাখার একটা ভাল উপায় তুমি বের করেছো ! সব সময় একটা কল্পার জগৎ তৈরি করে রাখা নিজের আসে পাশে । নিজেকে বুঝ দেওয়া -দেখোআমি কত্ত ভাল আছি ! তাই না ?

রিক্সা চলতে থাকলো ! রাস্তা ঘাট ফাকা ! রিক্সা চলছে খুব দ্রুত !

-তবে একটা কথা বলবো !
-হুম !
-আমার বেঁচে থাকার পেছনে কিন্তু তোমার বড় একটা হাত আছে !
আমি আবারও অবাক হই ! মেয়েটা কিছুক্ষন চুপ করে থেকে কিছু কথা বলছে আর আমি অবাক হচ্ছি !
আমি বললাম
-কিভাবে ?
-একটা সময় আমি এমন একটা অবস্থায় পৌছে গেছিলাম সেখানে থেকে ফিরে আসার আর কোন উপায় ছিল না ! কিন্তু সেটা রিকভার করতে পেরেছি ! তোমার গল্প গুলো দিয়ে তুমি যেমন তোমার চারিপাশে একটা আবরন তৈরি করে রেখেছো তেমনি আমিও একটা অবরন তৈরি করতে পেরেছি ! যেখানে আমার একজন মানুস আছে ! সে আমার সাথে ঝগড়া করে ! আমাকে হাসায় কাঁদায় ! আমাকে আদর করে ! ঠিক যেমন টা তুমি কর ! কর না ?
আমি এবারও মেয়েটার কথার কোন জবাব দিলাম না ! রিক্সা ততক্ষন রিং রোডের কাছে পৌছে গেছে !
মেয়েটি রিক্সাওয়ালা কে বাঁ দিকের একটা গলিতে যেতে বলল !


রিক্সা থামলো একদম গলির শেষ মাথায় ! রিক্সা থেকে নেমে দাড়ালাম গেটটার সামনে ! পুরানো একটা বাড়ি মনে হচ্ছে !
মেয়েটি মনে হয় এখন গেট দিয়ে ভিতর চলে যাবে ! আমার অবশ্য নামা ঠিক হয় নি ! কিন্তু কেন নামতে মন চাইলো ঠিক বলতে পারবো না ! মনে হল মেয়েটি যেন আরো কিছু বলতে চায় আমাকে !
মেয়েটি গেটের দিক থেকে আমার দিকে ঘুরে দাড়ালো ! তারপর বলল
-তোমার হাত টা একটু ধরবো ?
আমি কিছু বললাম না ! দেকি মেয়েটা নিজেই আমার হাতটা নিজের হাতের ভিতর নিল !
তারপর বলল
-ভাল থেকো !
-তুমিও !
আমার কি আরো কিছু বলার দরকার ? জানি না ! আমি মেয়েটাকে এখনও ঠিক মত বুঝতে পারছি না ! মেয়েটা কিভাবে আমার সম্পর্কে কত সহজে কত কিছু বলে দিল !
মেয়েটি আবার সেই বিষন্ন ভরা হাসি দিয়ে ভিতরে চলে গেল !

আমি কিছুক্ষন দাড়িয়ে রইলাম গেটটার কাছে । কেন দাড়িয়ে থাকলাম জানি না ! মেয়েটার সাথে কি আরো কয়েকটা কথা বলার দরকার ছিল !
মেয়েটার নামটাই তো জানা হল না !

-ভাইজান যাইবেন না ?
রিক্সাওয়ালা তাড়া দিল !
-হুম ! যাবো ! চল !

আমি শেষ বারের মত আরেকবার গেটটার দিকে তাকিয়ে রিক্সায় উঠে পড়লাম ! বিষন্ণ মন নিয়ে ! এখন অবশ্য বিষন্নতা লুকানোর কোন দরকার নেই ! আসেপাশে কেউ নেই !



বিঃদ্রঃ ইহা একটি কাল্পনিক গল্প ! ঐ দিন এমন কিছু হয় নি ! আর বিষন্ন মন নামে যদি কোন ব্লগার থেকে থাকে তাহলে তার সাথে এই গল্পের কোন প্রকার সম্পর্ক নাই !
অতি উৎসাহী ব্লগার রা আবার সার্চ দিয়ে সেই নিক খুজতে যাইবেন না !
২৬টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×