একটি ছোট্ট রূপকথার গল্প
দুই জমিদারের ভিতর ছিল ব্যাপক দ্বন্দ্ব ! কেউ কাউকে দেখতে পারতো না ! দুজনেই চাইতো দুজনার ক্ষতি করতে ! তাদের পাইক পেয়াডাও থাকতো এই বাহানায় কখন ক্ষতি করা যায় !
উল্লেখ করার মত গ্রামে আর লোক ছিল ! তবে সে কোন জমিদার ছিল না । তবে তার প্রভাব কম ছিল না । সে অনেক সুন্দর গল্প বানাতে পারতো ! মিথ্যা গল্প ! মানুষের নামে মিথ্যা রটনা রটাতো সে ! এমন ভাবে বলতো কথা গুলো যে সবাই বিশ্বাস করতো ! তার নাম ছিল মতিচুর ! জমিদার লীগেরশ্বর মতিচুরকে বিশেষ প্রশ্রয় দিয়ে রেখেছিল ! তার অবশ্য কারনও ছিল ! সুযোগ পেলেই মতিচুর জমিদার জাতিশ্বরের নামে আকুথা কুকথা ছড়াতো ! তার সব যে মিথ্যা তা কিন্তু না । কিছু মিথ্যা আবার কিছু সত্য কথা ! যার ফলে মানুষ সহজেই মতিচুরের কথা বিশ্বাস করে নিত । সবাই জমিদার জাতিশ্বরকে ছিঃছিঃ করতো !
তবে গ্রামের কেউ কেউ আবার মতিচুরের এই সত্য মিথ্যার খেল ঠিকই জানতো ! তারা জমিদার লীগেরশ্বরের কাছে এসে বিচার দিতো ! বলত
-জমিদার সাহেব মতিচুর তো মিথ্যা কথা বলতেছে । আপনি কিছু একটা করেন ! ওকে গ্রাম ছাড়া করুন !
জমিদার লীগেরশ্বর উত্তেজিত গলায় বলতো
-আবে শালা ঘেচু ! দুচারটে মিথ্যে কথাই তো বলেছে ! আর তো কিছু করে নি ! এতো চিৎকার চেঁচামিচি কি আছে !
এই ভাবেই দিন চলতে লাগলো ! জামিদার জাতিশ্বরের পাইক পেয়াডারা মতিচুরকে একটুও দেখতে পারতো না ! কথায় কথায় তাকে গাল দিল ! এদিকে জমিদার লীগেরশ্বরের পাইক পেয়াডারা যখন গ্রামের ভিতর ঘুরে বেড়াতো জাতিশ্বরের কাউকে দেখলেই টিটকারি মারতো ! মতিচুর ছড়ানো সত্য মিথ্যা মিলিয়ে তাদের সাথে তর্ক করত ! তাদেরকে গালি দিতো !
জাতিশ্বরের লোকেরাও কম যায় না ! তারা মতিচুর কে লীগেরশ্বরের দালাল বলে গালাগাল করতো !
এভাবেই দিন চলে যাচ্ছিল ! গ্রামের মানুষ মতিচুরের কথা শুনতে লাগলো ! পেছন দিয়ে ক্ষমতাধর জমিদারও কিছু বলতো না মতিচুরকে ! মতিচুর এবার যে কারো বিরুদ্ধেই কথা বলতে শুরু করলো !
এবার একদিন কি হল মতিচুর জমিদার লীগেরশ্বরের নামে কথা ছড়ালো ! আর যায় কোথায় ! লীগেরশ্বরের পাইক পেয়াডারা উঠে পড়ে লেগে গেল মতিচুরের বিরুদ্ধে !
সবার কাছে বলে বেড়াতে লাগলো মতিচুর একটা ভন্ড ! শয়তান ! কেউ যেন তার কথা না শোনে !
গ্রামে মিটিং ডাকা হল ! জমিদার লীগেরশ্বর সেই মিটিংয়ের প্রধান ! সে মতিচুর কে গ্রাম ছাড়া করার কথা বলল ! তারপর এতো দিন ধরে মতিচুর যেই সব অপকর্ম জানা সত্ত্বেরও জমিদার চুপ ছিল সেই অপকর্ম গুলো মানুষের সামনে তার একটা ফিরিস্তি দিতে শুরু করলো ! বলল
বেটা খুব খ্রাপ ! খুব খ্রাপ ! বেটাকে বর্জন কর ! বেটা কেবল মিথ্যা কথা বলে বেড়ায় ! বেটা কে গ্রাম ছাড়া কর !
গ্রামের সেই লোক গুলো যারা আগেই জানতো মতিচুর আগে থেকেই
এমন তারা উঠে দাড়িয়ে বলল
-হুজুর ! মতিচুর তো কেবল মিথ্যাই বলেছে ! আর তো কিছু করে নি ! ওকে গ্রাম ছাড়া করবেন কেন !
মোরালঃ চোর কে প্রথম চুরির সময়ই ধরা উচিৎ ! অন্যের ঘরে চুরি করে এইটা জানা সত্ত্বেও চোর কে প্রশ্রয় দিলে সেই চোরই একদিন আপনার ঘরের সিধ কাটবে !
বিঃদ্রঃ ইহা কেবলই একটা রূপকথার গল্প ! বর্তমান কালের কোন ঘটনার সাথে কোন প্রকার মিলে গেলে লেখককে কিছুতেই এবং কোন ভাবেই দায়ী করা যাবে না !
![](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/generic-ads-580x400.jpg)
শোকের উচ্চারণ।
নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন
যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?
৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?
মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন
আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন
প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন
কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।
এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন
আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন