somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ রংচটা হলুদ খাম

২২ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


নিউমার্কেট আমার কোনদিনই ভালে লাগে নি বিশেষ করে ছুটির দিন গুলোতে এখানে এলে মনে হয় দমবন্ধ হয়ে আসছে ।
এতো মানুষ !
কিন্তু ফাজিল রিসি আর আদনান আমাকে বেছে বেছে এই ছুটির দিন গুলোতেই এখানে নিয়ে আসবে !
আরে বাবা তোদের মার্কেটে ঘোরার শখ হয়েছে তোরা যা ! আমাকে কেন টানিস ?
আমার এই কথা শুনে রিসি চোখ কপালে তুলে বলে
-আরে কি বলিস দোস্ত তুই হইলি আমাদের প্রানের দোস্ত তোরে ছাড়া আমরা কোথাও যাই বল !
কথা খানিকটা সত্য !
মোটামুটি বাধরুম আর ঘুমানো ছাড়া সব জায়গাতেই আমরা তিনজন একসাথেই ঘোরাঘুরি করি !
আদনান বলল
-তার উপর আমাদের দুপুরের খাবার বিল টা তুই ছাড়া আর কে দিবে বল !
এটাও সত্য !!

আমি বিরক্ত মুখে ওদের পিছন পিছন হাটতে থাকি ! এদিক ওদিক চোখ যাচ্ছে নানান রকমের মানুষ দেখতে পাচ্ছি । সবাই নিজের কাজে ব্যস্ত ! আমার দিকে কেউ দেখছে কিন্তু আমি তাদেরকে দেখছি ! হাটতে হাটতেই একটা দোকানের দিকে চোখ আটকে গেল !
আপনা আপনি আমার বুকের স্পন্দন বেড়ে গেল বহু গুনে ! পা থেমে গেল দোকানটির সামনে ! কতক্ষন পরে চোখের পলক পড়লো বুঝতেই পারলাম না !
একবার মনে হল নিজের চোখে যা দেখছি তা মনে হয় ভুল !

চার বছর !
হ্যা মোটামুটি চার বছর তো হবেই !
নিশি কে দেখলাম চার বছর পরে !
নিশি তো ?
আবারও মনের ভিতর কেমন একটা সন্দেহ দেখা দিল ! সেই চোখ সেই মুখ কিন্তু নিশি কিনা বুঝতে পারছি না ! টি-শার্টের দোকানে নিশি কয়েকটা শপিং ব্যাগ হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে চুপচাপ !
ওর পরেন কালো ল্যাগিংসে সাথে কালো কামিজ ! কালো ওড়না ! ফর্সা চেহারার সাথে কালো টা একেববারে যেন ফুটে আছে !
নিশি তখনও প্রায় সময়ই কালো রংয়ের পোষাক পরতো ! ওটা ওর পছন্দের একটা রং আমি জানি !

আমি কেবল তাকিয়েই রইলাম ! একবার মনে হচ্ছে আরও একটু কাছে গিয়ে জানতে চাই ও নিশি কি না কিন্তু ঠিক ভরশা হচ্ছে না ! কিন্তু মন বলছে মেয়েটা অবশ্যই নিশি ! আমি কিছু না বলে চুপ করে দাড়িয়ে রইলাম । বুকের ভেতরকার লাফালাফি চলছেই !

মেয়েদের মনে হয় একটা সহজজাত ক্ষমতা থাকে যে কেউ তাদের দিকে কিছুক্ষন তাকালেই তারা সেই বুঝতে পারে ! নিশিও এক সময় বুঝতে পারলো যে ওর দিকে কেউ তাকিয়ে আছে !
চোখ ঘুরাতেই আমার দিকে ওর চোখ পরলো ! এবং আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম সেখানে এক রাশ বিশ্ময় ! নিশিও আমাকে অবাক বিশ্ময় নিয়ে দেখছে ! যেন ও নিজের আমাকে দেখে ঠিক বিশ্বাস করতে পারছে না !
এবার মনে হয় নিশ্চিত হওয়া যায় ! এই টাই নিশি !
অবশ্যই নিশি !

আমার ধরনা কে আরও পাকা করে দিয়ে নিশি নিজেই আমার দিকে এগিয়ে এল ! কথা বলল ও নিজেই প্রথমে !
-অপু ? মাই গড ! সত্যিই তুমি অপু তো ?




স্কুলে থাকতে নিশিকে কুমড়া বলে ক্ষ্যাপাতাম ! অনেক মোটা ছিল তো তাই ! নিশি অবশ্য প্রথম প্রথম অনেক রাগ করতো ! কিন্তু পরে আর রাগতো না ! তবে মোটা হলেও নিশির চেহারাটা বেশ চমৎকার মায়া মায়া ছিল !
আমার মনে আছে একদিন স্কুলে খুব রাগিয়েছি ! দুষ্টামীটা এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে নিশি একেবারে কেঁদে দিল ! বাথরুমে গিয়ে সেই কান্নায় পানি দিয়ে এল ! স্যার চলে আসাতে সবার চোখ সেদিকে না গেলেও আমার চোখ এড়ালো না ! নিজের কাছেই খুব খারাপ লাগলো ! আমার কারনে একটা মেয়ে কাঁদবে এটা ভাবতেই কেমন যেন নিজকে খানিকটা অপরাধী মনে হল !
বিকেল বেলা ওদের বাসায় হাজির হলাম ! আমাকে দেখে সেদিন নিশি বেশ অবাক হয়েছিল !
ওকে যখন সরি বললাম তখন আবারও ওর চোখে পানি দেখতে পেলাম ! আনন্দের পানি ! পকেটে করে আনা চকলেটের প্যাকেট টা পেয়ে বাচ্চা মেয়েদের মত খুশি হয়ে গেল ! সেই থেকে আমাদের বন্ধুত্ব শুরু !


তবে সেই বন্ধুত্ব কেমন করে যেন অন্য দিকে চলে গেল ! বুঝতেই পারি নি মেয়েটা কখন মনের ভিতর একটা স্থান করে নিয়েছিল ! কিন্তু বলি বলি করেও বলতে পারি নি ! এসএসসি পরীক্ষার পরে একদিন মনের কথা গুলো ছোট্ট করে লিখে ওকে দিলাম !
লিখেছিলাম রাজী না হলে যেন ও উত্তর না দেয় ! আমি অপেক্ষা করবো ! তবুও যেন ও মানা না করে ! কোন দিন এটার কথা ওর কাছে জানতেও চাইবো না !
ভেবেছিলাম উত্তর আসবে ! কিন্তু আসেন নি ! কোন খবরও না ! এক সপ্তাহ পরে খোজ পেলাম ওরা নাকি চলে যাচ্ছে ! ওর বাবার সরকারী চাকরী ছিল !

যাওয়ার দিন দেখা করতে গেলাম ! দুরেই দাড়িয়ে ছিলাম ! কাছে যাই নি ! নিশিও আমাকে দুর থেকে দেখলে ও কাছে আসে নি । ট্রাক টা যখন ছেড়ে দিল আমি তাকিয়েই ছিলাম ওটার দিকে ! বারবার মনে হচ্ছিল নিশি একবার হলেও জানালা দিয়ে মুখ বের করে আমার দিকে তাকাবে !
কিন্তু নিশি সেদিন তাকাই নাই ! আমি কেবল অপেক্ষা করে গেছি ! হয় তো আজও অপেক্ষা করছি !




নিশির এখন আর সেই কুমড়া নেই ! এই চার বছর পরে ওকে তো ঠিক মত ই চেনাই যাচ্ছে না ! এতো স্লিম কিভাবে হল ও !
আমি খানিকটা অবাক হয়ে বললাম
-তুমি সত্যিই নিশি তো ?
-কেন ? বিশ্বাস হচ্ছে না ?
-সত্যিই কথা আসলেই হচ্ছে না ! তুমি তো .....।
-এই খবরদার ! এই শব্দ মুখে আনবা না !
-আচ্ছা আচ্ছা ! আনবো না !
আমার আর কিছু বলার ছিল কিন্তু পিছন থেকে কালো চশমা পরা একটা সুদর্শন ছেলে এসে হাজির ! নিশিকে উদ্দেশ্য করে বলল
-চল কাজ শেষ !
-শেষ ? আচ্ছা মিহির, এ আমার স্কুল জীবনের বন্ধু ! অপু !

মিহির সাহেব আমার দিকে কেমন একটা তাচ্ছিল্যের চোখে তাকিয়ে বলল
-হ্যালো !
আমিও বললাম
-হ্যালো !
মিহির সাহেব বলল
-এখানে আর সময় দেওয়ার উপায় নেই ! চল ! দেরি হয়ে যাচ্ছে ! শো শুরু হয়ে যাবে !

আমার মনে ক্ষীন একটা সম্ভাবনা দেখা দিল যে নিশি বলবে যে মিহির আজকে না হয় না যাই ! অনেক দিন পরে অপুর সাথে দেখা ! ওর সাথে কিছুক্ষন থাকি !
কিন্তু আমার সেই আশায় নিরাশায় পরিনিত হতে সময় লাগলো না !
নিশি বলল
-আচ্ছা চল !
তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-আজকে তাহলে আসি । হাতে সময় নেই ! অন্য কোন দিন তোমার সাথে কথা হবে ! তোমার মোবাইল নাম্বারটা দেও তো !
আমি মোবাইল নাম্বার দিলাম ! নিশি নিজের মোবাইলে নাম্বার তুলে আমাকে একটা কল দিল ! সেভ করে নিতে বলল ! তারপর হাটা দিল মিহিরের সাথে ! আমি আবারও তাকিয়ে রইলাম ! ওদের দুজনের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলাম ! এমন ভাবে ওরা হাটছিল মনে হচ্ছি যেন ওরা বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড !

হতেই পারে ! আমি আবারও বোকার মত এটা আশা করে বসে রইলাম নিশি আজকে অন্তত একবার ফিরে চাইবে !
কিন্তু আজকে নিরাশ হতে হল ! ভীড়ের ভিতর ওরা হারিয়ে গেল !

-এই দাড়িয়ে আসিস ক্যান ?
পেছন থেকে রিসির আওয়াজ শুনতে পেলাম !
-এমনি !
-চল !
-হুম চল !
মোবাইল থেকে নিশির নাম্বারটা মুছে ফেললাম ! মনে মনে বললাম ওর সাথে আমার দেখাই হয় নি !


-কি ব্যাপার জনাব ? কথা এমন শোনাচ্ছে কেন ?
ভেবেছিলাম নিশি হয়তো আমাকে আর ফোন করবে না ! ও তো অনেক ব্যস্ত ! কিন্তু রাতের বেলাতেই নিশির ফোন এসে হাজির ! আমি নাম্বার মুছে দিয়েছিলাম তবুও হ্যালো ডাক টা চিন্তে অসুবিধা হল না !

-না কিছু না !
-ভাল আছো তুমি ?
-হুম ! থাকবো না কেন ?
-গার্লফ্রেন্ড হয় নি ?
-হুম ! কেন হবে না ! আর কিছুক্ষন থাকলে তোমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতাম !
কিছুক্ষন কোন কথা হয় না ! নিশি চুপ করে থাকে আমিও ! একটু পরে আমি বলি
-মিহির কি তোমার বয়ফ্রেন্ড ?
-কেন ?
-না এমনি জানতে চাইলাম !
নিশি বলল
-নাহ ! আমি অন্য কাউকে ভালবাসি !
-কাকে ?
আবারও কিছু্ক্ষন নিরবতা ! তারপর নিশি বলল
-সে আমার উত্তরের অপেক্ষাতে আছে !
কথাটা শুনে এবার আমি চুপ করে গেলাম ! কি বলবো ঠিক বুঝতে পারছিলাম না !
নিশি বলল
-কিন্তু মনে হচ্ছে সে আর অপেক্ষা করে নেই !
-নাহ ! সে অপেক্ষা করে আছে ! সারা জীবন অপেক্ষা করে থাকবে !




কোন দিন ভাবি নি আবার কোন দিন নিশির সাথে এক সাথে কোথাও বসে গল্প করতে পারবো ! আমি নিজের ভেতর কেমন একটা আনন্দ অনুভব করতে পারি !
আমরা দুজনেই চুপ করে বসে রয়েছি ! দুজনেই ভাবছি কি কথা দিয়ে শুরু করবো ! আমিই প্রথমে ঠিক করলাম কি বলবো ! কিন্তু যখন মুখ খুলতে যাবো তখনই নিশির ফোন বেজে উঠলো !

আমি ওর কথা গুলো শুনতে পাচ্ছি । ফোনে সম্ভবত মিহির সাহেব !
-হ্যা !
-(নিরবতা)
-আরে তোমাকে কেন সব কথা বলতে হবে ? আমি কারও সাথে দেখা করতে গেলে তোমার কাছে কেন বলতে হবে ?
-(নিরবতা)
-দেখো মিহির ! আমি একটু ব্যস্ত আছি ! পরে কথা বলি !

ফোন রেখে নিশি বলল
-সরি !
-না ঠিক আছে ! মিহির ?
-হুম !
-ছেলেটা মনে হয় তোমাকে অনেক পছন্দ করে !
-হুম ! আমি জানি !
আমি কথা হারিয়ে ফেললাম । কি বলতে গিয়ে কি বললাম !

নিশি নিজের ব্যাগ থেকে একটা কাগজ বের করে দিল ! কাগজটা খানিকটা মলিন আর হলদে হয়ে গেছে ! অনেক দিন আগের কাগজ দেখলেই বোঝা যায় ! আমি হাতে নিতে নিতে বলল
-সাবধান ! চিনতে পারছো ?
কাগজ খুলে খানিকটা অবাক হয়ে গেলাম ! এটা তো আমার দেওয়া সেই চিঠিটা যার কোন উত্তর আসেনি !
মুখ দিয়ে কেবল একটা কথা বের হল
-তুমি এখনও রেখে দিয়েছো ?
-এটা ফেলার জিনিস ?
-মাইগড !
-আরও কিছু আছে ?
-কি !

নিশি এবার আরেকটা কাগজ বের করে দিল ! হলুদ রংয়ের একটা খাম ! তবে রংটা কেবল ঘোলাটে হয়ে গেছে ! বোঝা যাচ্ছে এটাও অনেক দিন আগেই লেখা !
খামটার মুখ বন্ধ !
আমি বললাম
-এটা কি ?
-তোমার চিঠির জবাব !
-কি ? তখন কেন দেও নি !

এই প্রশ্নটার উত্তরটা দিতে নিশি একটু সময় নিল ! তারপর বলল

-চিঠি আমি সেদিনই লিখেছিলাম ! কিন্তু দেই নি !
-কেন ?
-নিজেকে সেদিন রাতের বেলা যখন আয়নায় দেখছিলাম তখন মনে হল ....।
নিশি কথা শেষ করলো না !
-মানে কি এসবের ?
-হয়তো কোন মানে নেই ! তুমি বুঝবে না !
-নিশি .....!
-যাক ! আজকে দিচ্ছি ! মন টা কিন্তু আমার সেই রকমই আছে ! তোমাকে অনেক দিন অপেক্ষা করিয়েছি তাই না ?
আমি খামটা হাতে নিয়ে বসে রইলাম !
নিশি বলল
-বাসায় গিয়ে খুলবে কেমন ? আমি তোমার ফোনের অপেক্ষায় থাকবো ! অবশ্য তুমি চাইলে চার বছর পরেও আমাকে ফোন করতে পারো ! আমি অপেক্ষা করবো !


নিশিকে যখন রিক্সায় তুলে দিলাম তখন প্রায় সন্ধ্যা ! আজকে কেন জানি মনে হল নিশি বারবার তাকাবে ! আমি দাড়িয়ে রইলাম ওর পিছনে ফিরে তাকানোর অপেক্ষায় !
ঠিক ত্রিশ সেকেন্ডের মাথায় নিশি ফিরে তাকালো ! তারপর আবার !
আরেকটি বার !

আমি বুক পকেটে বহুদিনের পুরানো রংচটা হলুদ খাম নিয়ে নিশির বারবার ফিরে চাওয়া দেখতে লাগলাম !
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×