somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ জীবন জার্নি

১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-তুমি কি জানো মেয়েরা বুঝতে পারে কারা তাদের দিকে তাকাচ্ছে আর কি দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে ?

আমি নাইরার দিকে তাকিয়ে রইলাম কিছুটা সময় । আমার আসলে খানিকটা অস্বস্তি লাগা শুরু হয়েছে । মেয়েটা যে এই কথাটা বলবে সেটা আমি আসলে বুঝতে পারি নি । আমি যে ওর দিকে তখন বারবার তাকাচ্ছিলাম সেটা ও পরিস্কার বুঝতে পেরেছে । এবং হয়তো সেটা পছন্দ করে নি । আমি এখন এর কি জবাব দিবো বুঝতে পারলাম না । নাইরা হয়তো এখনই আমাকে কঠিন কিছু কথা শোনাবে । আমি মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে বসলাম ।
নাইরা বলল
-জানো এটা ?
-হুম ।
-তাহলে নিশ্চয়ই বুঝে গেছ যে আমি বুঝতে পেরেছি ।
আমি নাইরার দিক থেকে চোখ সরিয়ে সমুদ্রের দিকে তাকালাম । তারপর বললাম
-হ্যা ।
-চট জলদি বুঝতে পারা ভাল । তা কবে এসেছো ?
-আজই ।
-কদিন থাকবে ?
-ঠিক নেই । দুদিন আবার চারদিন ?
-হিম ছড়ি যাবা না ? এখানে আসলে সবাই হিমছড়ি অন্তত যায় ।

আমি নাইরার ব্যাপারটা কিছু বুঝতে পারছি না । মেয়েটা আসলে চাচ্ছে কি ?

প্রথম থেকেই নাইরাদের গ্রুপটার দিকে চোখ ছিল আমার । বিশেষ করে নাইরার দিকে । ওর দিকে চোখ চলে যাচ্ছিলো বারেবার । কিছুতেই চোখ সরাতে পারছিলাম না । নেভিব্লু জিন্সের সাথে একটা কালো টপস পরেছিল নাইরা । চুল গুলো খোলা । ক্ষিপ্ত হরিণীর মত চলাচল । চোখে না পড়ে উপায় নেই ।

ওদের গ্রুপে আরেকটা মেয়ে ছিল । এই মেয়েটার পোষাক পরিচ্ছেদ আরও বেশি ভয়ংকর । বিচের অন্য সবার চোখ এই মেয়েটার উপরে থাকলেও আমার চোখ বারবার নাইরার দিক
থেকে একটুও নড়ছিলো না । আমি জানি না নাইরার চেহারার ভেতরে কি ছিল কিংবা ওর চাল চলনের ভেতরে আমি কি এমন লক্ষ্য করেছি যে কিছুতেই চোখ সরাতে পারছিলাম না ।

দুপুর থেকে বিকেল কেটে গেল এভাবেই । একটা সময় ওরা চলে গেল । আমিও ফিরে এলাম । রাতে খাওয়ার পরে আবারও বিচে গিয়ে হাজির হলাম । সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে ছিলাম ঠিকই তবুও আমার মন টা পড়েছিল বিকেলের সেই হরিণীর দিকে ।

বিচ চেয়ারে শরীরটা এলিয়ে দিয়ে মেয়েটার কথাই ভাবতে লাগলাম । এভাবে আসলে মেয়েটা মাথার ভেতরে ঢুকে যাবে আমি ভাবতে পারি নি ।

-কি মিস্টার আমার কথা ভাবছেন ?

আমি তাকিয়ে দেখি সামনে সেই হরিনী দাঁড়িয়ে আছে । বিচে এমনিতে বেশ আলো রয়েছে । চাঁদের আলোর সাথে সাথে কৃত্রিম আলোও রয়েছে । সেই আলোতেই আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছি ।
মেয়েটা খুব স্বাভাবিক ভাবেই বলল
-পকেটে মানি ব্যাগ আনতে ভুলে গেছি। তোমার চেয়ারে একটু বসি ।
আমি তাড়াহুড়া করে মেয়েটির বসার জন্য জায়গা করে দিলাম । বললাম
-চাইলে আরেকটা চেয়ার নিতে পারো ।
মেয়েটি বলল
-নাহ । দরকার নেই ।
আমিও চাচ্ছিলাম মেয়েটা যেন মানা করে দেয় । পাশাপাশি একই চেয়ারে বসতে পারাটা মোটেই মন্দ নয় । মেয়েটি বলল
-আসলে রাতের খাবার খেতে বের হয়েছিলাম । ওরা সবাই হোটেলে ফিরে গেছে । আমার কেন জানি মনে হল আরেকটু হেটে যাই ।
-আচ্ছা ।

আমার আচ্ছা বলা দেখে মেয়ে হাসলো । আমি বললাম
-হাসছো যে ?
-এমনি । তা তোমার নাম এখনও জানা হয় নি । আমি নাইরা হাসান । তুমি ?
-আমি অপু ।

নাইরা নিজ থেকেই হাত বাড়ালো । আমি হাত ধরলাম । তারপরেই নাইরা কথাটা বলল যে ও বুঝতে পেরেছে আমি ওকে লক্ষ্য করছিলাম । আমি সত্যি সত্যিই খানিকটা অস্বস্তিতে পরে গেলাম । কি বলব কিছুই বুঝতে পারছিলাম না । এরকম ঘটনা আমার কাছে নতুন । এর আগে কোন মেয়ে আমাকে এমন ভাবে এই ধরনের কথা বলে নি । আমিও অবশ্য কোন মেয়ের দিকে এতো গভীর ভাবে লক্ষ্য করে থাকি নি ।

নাইরা বলল
-তা কাল যাবে না হিমছড়ি ?
-হ্যা ।
-আমি তোমার সাথে আসি ?

আমি সত্যিই এবার চমকে গেলাম । নাইরার কাছ থেকে এমন প্রস্তাব আশা করি নি । আমাকে অবাক হতে দেখে নাইরা যেন খুব মজা পেল । মুখে হাসি নিয়েই বলল
- আমাকে কি খুব চিপ মনে হচ্ছে ?
-আরে ! কি বল ? মোটেই না । আমি আসলে একটু অবাক হচ্ছি আর সেই সাথে খুশিও হয়েছি খুব । কিন্তু তোমার ব্যাপারে একটুও খারাপ ধারনা জন্মাই নি । বিন্দু মাত্র না ।

আমার কথা শুনে নাইরা যে খুশি হয়েছে সেটা ওর মুখ দেখেই বুঝতে পারছিলাম ।

একই সাথে ফিরলাম বিচ থেকে । ওকে হোটেল পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে টের পেলাম যে ও আমার হোটেই উঠেছে । মনটা আরও একটু ভাল হয়ে গেল । নিজের রুমে ফিরে এলাম । কেন জানি মনের ভেতরে অন্য রকম একটা আনন্দ কাজ করছিল । এই আনন্দের কোন ব্যাখ্যা নেই আমার কাছে । কালকে অন্তত চার পাঁচ ঘন্টা নাইরার সাথে কাটবে এটা ভাবতেই ভাল লাগছি । মেরিন ড্রাইভ দিয়ে ওকে নিয়ে ভ্রমনটা আনন্দদায়ক হবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।

কিন্তু সব কিছুই কি আর ইচ্ছে মত হয় ! ইচ্ছে ছিল আমি আর নাইরা একা একা যাবো ইনানী বিচে কিন্তু সকালবেলা নাইরা গোমড়া মুখে আমার কাছে এসে বলল যে একা একা যাওয়া হবে না । ওদের গ্রুপ যাচ্ছে ইনানীতে । তাদের সাথে যেতে হবে । তবে আশার কথা হচ্ছে আমাকে সাথে নিতে তাদের কোন আপত্তি নেই । একটু যে মন খারাপ হল না সেটা বলব না তবে নাইরার সাথে যে যেতে পারছি এটাই অনেক । নাইরা নিজেই আমাকে সভার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল । সবার মধ্যে গতদিনের সেই মেয়েটিও ছিল । এবং অবাক করা ব্যাপার এই যে মেয়েটি আর কেউ নয়, নাইরার আপন বড় বোন । নাম নিনা । নাইরা থেকে মাত্র দেড় বছরের বড় নিনা । পিঠাপিঠির বোন হওয়ায় ছোট বেলা থেকেই ওদের সব কাজ এক সাথেই । পড়াশুনা থেকে শুরু করে ঘুরাঘুরি সব ওরা এক সাথেই করে । এমন কি ওদের সব বন্ধুবান্ধব ও একই ।

তবে আমার কেন জানি মনে হল নাইরা ওর বোনের সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে খুব একটা খুশি হল না । কেন হল না সেটা অবশ্য আমি বলতে পারব না তবে ওর মুখ দেখে আমার সেটাই মনে হল৷

ইনানী পর্যন্ত জার্নিটা বেশ ভাল কাটলো । ভেবেছিলাম হয়তো সবাই এক সাথে যাওয়ার কারনে মজাটা নষ্ট হবে তবে সেটা হল না । নাইরা আমার পাশে পাশেই ছিল । আমার সাথেই কথা বলছিল । নানান বিষয়ে নানান কথা । মনে হচ্ছিলো যেন অনেকদিন পরে সে প্রাণ খুলে কারো সাথে কথা বলতে পারছে । তবে এই সবের ভেতরে আমি একটা ব্যাপার আমি ঠিক লক্ষ্য করছিলাম । নিনা আমার দিকে লক্ষ্য রাখছিলো । প্রথমে আমার কাছে ব্যাপারটা খুব বেশি গুরুত্ব না পেলেও একটা সময় আমি ঠিকই লক্ষ্য করছিলাম যে নিনার চোখ কেবল আমারই উপর । এবং সেটা আমি বুঝতে পারলাম সেই দিন রাতের বেলা ।

ঐদিন ডিনারও করলাম আমরা এক সাথে । রাতে রুমে ফিরে ভাবছি কাল কোথায় কোথায় যাবো । কালই আমার শেষ দিন এখানে । ফিরে যেতে হবে । একটু মন খারাপ লাগছে একটু । বিশেষ করে নাইরাকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করছে না কেন জানি । অবশ্য এটাও জানি দুএকদিন পরেই ও ফিরে যাবে ঢাকাতে । তারপর নিশ্চয়ই তখন আবার দেখা হবে সেখানে । তবুও এই চমৎকার সময়টা সেখানে পাওয়া যাবে না ।
আমি ঘুমাতে যাবো এমন সময় আমার দরজাতে টোকা পড়লো । আমি খানিকটা অবাক হলাম । কারন ঘড়ির দিকে দিকে তাকিয়ে দেখি প্রায়ই একটা বেজে গেছে । প্রথমে মনে হল হোটেলের লোকজন এসেছে । রুম সার্ভিস তো সকালে আসে । আর কোন সমস্যা হলে তো ইন্টারকম আছে । সেখানে ফোন করতে পারে তারা । তাহলে কে এল ? তারপর মনে হল নাইরা এসেছে হয়তো । কিন্তু ও আসার আগে তো ফোন করবে আমাকে । এভাবে হঠাৎ করে আসবে কেন ?

দরজা খুলে আমি খানিকটা অবাক হয়ে গেলাম । কারন আমার দরজার সামনে নিনা দাড়িয়ে । সব থেকে অবাক করা বিষয় হচ্ছে নিনার চোখে মুখের ভাব আমি অন্য কিছু দেখতে পাচ্ছি । তবুও নিজেকে খানিকটা সামলে নিয়ে বলল
-আপনি ?
-আপনি !
আমি ওকে আপনি বলে ডাকছি দেখে ও যেন খুব অবাক হল । অবশ্য আজকে সারা দিন যখন ওদের সাথে আমি ছিলাম তখন আমি নিনার সাথে কথা বলি বলতে গেলে । নিনাও বলে নি । আজকে এই রাতে এখানে চলে আসাটা আমার কাছে কেমন যেন লাগছে ।

আমি আবারও খানিকটা অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম । আমি বললাম
-এতো রাতে ?
নিনা একটু হাসলো । তারপর বলল
-না মানে মনে হল তুমি হয়তো একা থাকবে, একা একা বোর ফিল করবা, তাই সঙ্গ দিতে এলাম ।
-আমি আসলে এখন ঘুমাবো !
-বাহ গুড বয় দেখতেছি । সকাল সকাল ঘুমিয়ে পড় । তাহলে আমি কি করবো এখন ?
-আপনিও যান রুমে । ঘুমুন গিয়ে ।
-কিন্তু আমার যে অন্য কিছু ইচ্ছে করছে ?

আমি নিনার চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলাম ও আসলে কি চাইছে । কিছুটা অবাক না হয়ে আমি আসলেই পারলাম না । এই জন্য নাইরা আমার সাথে ওকে পরিচয় করিয়ে দিতে চা্য় নি । কারনটা আমি পরিস্কার বুঝতে পারলাম । বুঝতে পারার সাথে সাথেই আমি মুখটা কঠিন হয়ে এল । নিনার প্রতি একটা তীব্র ঘৃণা অনুভব করলাম । মেয়েটা স্পষ্ট জানে আমি তার ছোট বোনের বন্ধ । সে এটাও স্পষ্ট বুঝতে পেরেছে যে কেবলই বন্ধুই নই আরও হয়তো বেশি কিছু । তারপরই সে এখানে এসেছে অন্য কিছুই জন্য । আমি কঠিন কন্ঠে বললাম
-আপনার এখন যাওয়া উচিৎ । আমার ঘুম আসছে ।

নিনা কে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আমি ওর মুখের উপরেই দরজা বন্ধ করে দিলাম ।



পরদিন সকালে আবার যখন নাইরাদের সাথে আবার দেখা হল নিনা এমন একটা ভাব করলো যেন রাতে কিছুই হয় নি । কিন্তু আমি কেন জানি মোটেই স্বাভাবিক হতে পারছিলাম না । আজকেই কক্সবাজে আমার শেষ দিন ছিল । ওরা সম্ভবত আরও এক দিন থাকার প্লান করেছে । ঐদিনও নাইরার সাথে দিনটা আমার ভাল কাটলো । মেয়েটা যেন গত কালকের থেকেও আমার সাথে আরও বেশি কমফোর্ট ফিল করছে । কিছু সময় থাকার পরেই আমার গত রাতের কথা ভুলে গেলাম ।

রাতে ফিরে যাওয়ার জন্য আমি যখন বাস কাউণ্টারে পৌছালাম তখন অবাক হয়ে দেখলাম নাইরা সেখানে আমার অপেক্ষা করছে । প্রথমে ওকে দেখে মনে হল ও হয়তো আমাকে বিদায় দেওয়ার জন্য এসেছে কিন্তু ওর সাথে ব্যাগটা দেখে আমি খানিকটা অবাক হলাম । তারপর বললাম
-তোমার না আরও একদিন থাকার কথা ?
-মন টিকছে না ।
-আমার সাথেই যাবা ?
নাইরা একটু হাসলো । তারপর বলল
-তোমার পাশের সিটে বসেই ।

আমার পাশের সিটেই ও কিভাবে সিট যোগার করে ফেলল আমি বুঝতে পারলাম না । তবে আমার মনটা সত্যিই ভাল হয়ে গেল । জার্নির পুরোটা সময় ভাল কাটবে । বাস ছাড়ার ১০ মিনিট আগে দেখি নিনা এসে হাজির । নাইরা কি যেন বলল তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-অপু তোমার সাথে কয়েকটা কথা বলা যাবে ?

একবার মনে হল মুখের ওপর না বলে দেই কিন্তু নাইরার জন্য বলতে পারলাম না । আমি নিশ্চিত যে নাইরা গত রাতের কথা জানে না । তাকে কিছু জানতে দিতে ইচ্ছে করলো না । আমি নিনাকে নিয়ে কাউন্টারের বাইরে চলে এলাম ।

ব্যস্ত রাস্তার দিকে তাকিয়ে রইলাম কিছুটা সময় । নিনা নিশ্চয়ই ঠিক করে নিচ্ছে ও আমাকে কি বলতে চায় । নিনা বলল
-তুমি আমার উপর রেগে আছো তাই না ?
আমি ওর দিকে তাকালাম না । অন্য দিকে তাকিয়ে রইলাম । নিনা বলেই চলল
-রাতে যা হয়েছে সেটার জন্য আমি সরি । ওটা আমি ইচ্ছে করেই করেছি । নাইরা বোকা একটা মেয়ে । যাকে তাকে বিশ্বাস করে ফেলে । ছোট বেলা থেকেই এমন । আমি ওর বড় বোন হয়ে তো ওকে ছেড়ে দিতে পারি নি ।

আমি নিনার দিকে তাকিয়ে বলল
-তো এই জন্য সেই আহবান ছিল !
-বলতে পারো
-যদি আমি রাজি হয়ে যেতাম । তখন ?
-তখনকার টা তখন দেখতে । হয়তো রাত ভাল কাটতো তবে নাইরার সাথে আর যোগাযোগ করতে পারতে না । এমন ব্যবস্থা করতাম আমি ।

আমি খানিকটা অবাক চোখে নিনার দিকে তাকিয়ে রইলাম । নিনার চোখ বলছে ও আসলে তাই করতো !
নাইরা কি জানে এসব ?
নিনা বলল
-ওর তো এসব জানার দরকার নেই ।
-আগেও এমন কাজ করেছো ?
-হ্যা করেছি ।
আমি কি বলব বুঝতে পারলাম না । এই জন্যই হয়তো নাইরা ঐদিন ওদের আশাটাকে ঠিক পছন্দ করে নি । প্রতিবারই হয়তো নাইরা দেখেছে ও যাকে পছন্দ করছে সে কদিন পরেই নিনার সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে । নিনা বলল

-এতো কিছু ভেবো না । কেমন ! ওকে সাবধানে পৌছে দিও । আমাদের আবার দেখা হবে !


নিনা আর দাড়ালো না । আমি নাইরার পাশে গিয়ে বসলাম । তারপর হঠাৎ করেই ওর হাত ধরলাম । নাইরা যেন খানিকটা অবাক হয়ে গেল । আমি এই প্রথম ওর হাত ধরলাম । নাইরা বলল
-কি হল !
আমি কিছু না বলে হাসলাম কেবল । তারপর ওর হাতটা নিজের মুখের কাছে নিয়ে একটু নাকে ছোঁয়ালাম । বললাম
-তুমি একদম আমার প্রেমিকার মত সুগন্ধ ছড়াচ্ছো !
নাইরা হাতটা টান দিয়ে সরিয়ে নিল । তারপর বলল
-আচ্ছা । তা এর আগে কয়টা প্রেমিকা ছিল শুনি ?
-তুমি হ্যা বললে একটা হবে !
-ইস ঢং !

আরও কিছু বলার ইচ্ছে ছিল কিন্তু দেখলাম বাস চলে এসেছে । আমি ওর ব্যাগটা হাতে নিয়ে বাসের দিকে হাটা দিলাম । একটু পরেই আমাদের বাস জার্নি শুরু হবে । সেই সাথে দুজনের জীবনের জার্নিটাও শুরু হতে চলেছে সম্ভবত ।


সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২১
৯টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×