-তুমি কি জানো মেয়েরা বুঝতে পারে কারা তাদের দিকে তাকাচ্ছে আর কি দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে ?
আমি নাইরার দিকে তাকিয়ে রইলাম কিছুটা সময় । আমার আসলে খানিকটা অস্বস্তি লাগা শুরু হয়েছে । মেয়েটা যে এই কথাটা বলবে সেটা আমি আসলে বুঝতে পারি নি । আমি যে ওর দিকে তখন বারবার তাকাচ্ছিলাম সেটা ও পরিস্কার বুঝতে পেরেছে । এবং হয়তো সেটা পছন্দ করে নি । আমি এখন এর কি জবাব দিবো বুঝতে পারলাম না । নাইরা হয়তো এখনই আমাকে কঠিন কিছু কথা শোনাবে । আমি মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে বসলাম ।
নাইরা বলল
-জানো এটা ?
-হুম ।
-তাহলে নিশ্চয়ই বুঝে গেছ যে আমি বুঝতে পেরেছি ।
আমি নাইরার দিক থেকে চোখ সরিয়ে সমুদ্রের দিকে তাকালাম । তারপর বললাম
-হ্যা ।
-চট জলদি বুঝতে পারা ভাল । তা কবে এসেছো ?
-আজই ।
-কদিন থাকবে ?
-ঠিক নেই । দুদিন আবার চারদিন ?
-হিম ছড়ি যাবা না ? এখানে আসলে সবাই হিমছড়ি অন্তত যায় ।
আমি নাইরার ব্যাপারটা কিছু বুঝতে পারছি না । মেয়েটা আসলে চাচ্ছে কি ?
প্রথম থেকেই নাইরাদের গ্রুপটার দিকে চোখ ছিল আমার । বিশেষ করে নাইরার দিকে । ওর দিকে চোখ চলে যাচ্ছিলো বারেবার । কিছুতেই চোখ সরাতে পারছিলাম না । নেভিব্লু জিন্সের সাথে একটা কালো টপস পরেছিল নাইরা । চুল গুলো খোলা । ক্ষিপ্ত হরিণীর মত চলাচল । চোখে না পড়ে উপায় নেই ।
ওদের গ্রুপে আরেকটা মেয়ে ছিল । এই মেয়েটার পোষাক পরিচ্ছেদ আরও বেশি ভয়ংকর । বিচের অন্য সবার চোখ এই মেয়েটার উপরে থাকলেও আমার চোখ বারবার নাইরার দিক
থেকে একটুও নড়ছিলো না । আমি জানি না নাইরার চেহারার ভেতরে কি ছিল কিংবা ওর চাল চলনের ভেতরে আমি কি এমন লক্ষ্য করেছি যে কিছুতেই চোখ সরাতে পারছিলাম না ।
দুপুর থেকে বিকেল কেটে গেল এভাবেই । একটা সময় ওরা চলে গেল । আমিও ফিরে এলাম । রাতে খাওয়ার পরে আবারও বিচে গিয়ে হাজির হলাম । সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে ছিলাম ঠিকই তবুও আমার মন টা পড়েছিল বিকেলের সেই হরিণীর দিকে ।
বিচ চেয়ারে শরীরটা এলিয়ে দিয়ে মেয়েটার কথাই ভাবতে লাগলাম । এভাবে আসলে মেয়েটা মাথার ভেতরে ঢুকে যাবে আমি ভাবতে পারি নি ।
-কি মিস্টার আমার কথা ভাবছেন ?
আমি তাকিয়ে দেখি সামনে সেই হরিনী দাঁড়িয়ে আছে । বিচে এমনিতে বেশ আলো রয়েছে । চাঁদের আলোর সাথে সাথে কৃত্রিম আলোও রয়েছে । সেই আলোতেই আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছি ।
মেয়েটা খুব স্বাভাবিক ভাবেই বলল
-পকেটে মানি ব্যাগ আনতে ভুলে গেছি। তোমার চেয়ারে একটু বসি ।
আমি তাড়াহুড়া করে মেয়েটির বসার জন্য জায়গা করে দিলাম । বললাম
-চাইলে আরেকটা চেয়ার নিতে পারো ।
মেয়েটি বলল
-নাহ । দরকার নেই ।
আমিও চাচ্ছিলাম মেয়েটা যেন মানা করে দেয় । পাশাপাশি একই চেয়ারে বসতে পারাটা মোটেই মন্দ নয় । মেয়েটি বলল
-আসলে রাতের খাবার খেতে বের হয়েছিলাম । ওরা সবাই হোটেলে ফিরে গেছে । আমার কেন জানি মনে হল আরেকটু হেটে যাই ।
-আচ্ছা ।
আমার আচ্ছা বলা দেখে মেয়ে হাসলো । আমি বললাম
-হাসছো যে ?
-এমনি । তা তোমার নাম এখনও জানা হয় নি । আমি নাইরা হাসান । তুমি ?
-আমি অপু ।
নাইরা নিজ থেকেই হাত বাড়ালো । আমি হাত ধরলাম । তারপরেই নাইরা কথাটা বলল যে ও বুঝতে পেরেছে আমি ওকে লক্ষ্য করছিলাম । আমি সত্যি সত্যিই খানিকটা অস্বস্তিতে পরে গেলাম । কি বলব কিছুই বুঝতে পারছিলাম না । এরকম ঘটনা আমার কাছে নতুন । এর আগে কোন মেয়ে আমাকে এমন ভাবে এই ধরনের কথা বলে নি । আমিও অবশ্য কোন মেয়ের দিকে এতো গভীর ভাবে লক্ষ্য করে থাকি নি ।
নাইরা বলল
-তা কাল যাবে না হিমছড়ি ?
-হ্যা ।
-আমি তোমার সাথে আসি ?
আমি সত্যিই এবার চমকে গেলাম । নাইরার কাছ থেকে এমন প্রস্তাব আশা করি নি । আমাকে অবাক হতে দেখে নাইরা যেন খুব মজা পেল । মুখে হাসি নিয়েই বলল
- আমাকে কি খুব চিপ মনে হচ্ছে ?
-আরে ! কি বল ? মোটেই না । আমি আসলে একটু অবাক হচ্ছি আর সেই সাথে খুশিও হয়েছি খুব । কিন্তু তোমার ব্যাপারে একটুও খারাপ ধারনা জন্মাই নি । বিন্দু মাত্র না ।
আমার কথা শুনে নাইরা যে খুশি হয়েছে সেটা ওর মুখ দেখেই বুঝতে পারছিলাম ।
একই সাথে ফিরলাম বিচ থেকে । ওকে হোটেল পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে টের পেলাম যে ও আমার হোটেই উঠেছে । মনটা আরও একটু ভাল হয়ে গেল । নিজের রুমে ফিরে এলাম । কেন জানি মনের ভেতরে অন্য রকম একটা আনন্দ কাজ করছিল । এই আনন্দের কোন ব্যাখ্যা নেই আমার কাছে । কালকে অন্তত চার পাঁচ ঘন্টা নাইরার সাথে কাটবে এটা ভাবতেই ভাল লাগছি । মেরিন ড্রাইভ দিয়ে ওকে নিয়ে ভ্রমনটা আনন্দদায়ক হবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।
কিন্তু সব কিছুই কি আর ইচ্ছে মত হয় ! ইচ্ছে ছিল আমি আর নাইরা একা একা যাবো ইনানী বিচে কিন্তু সকালবেলা নাইরা গোমড়া মুখে আমার কাছে এসে বলল যে একা একা যাওয়া হবে না । ওদের গ্রুপ যাচ্ছে ইনানীতে । তাদের সাথে যেতে হবে । তবে আশার কথা হচ্ছে আমাকে সাথে নিতে তাদের কোন আপত্তি নেই । একটু যে মন খারাপ হল না সেটা বলব না তবে নাইরার সাথে যে যেতে পারছি এটাই অনেক । নাইরা নিজেই আমাকে সভার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল । সবার মধ্যে গতদিনের সেই মেয়েটিও ছিল । এবং অবাক করা ব্যাপার এই যে মেয়েটি আর কেউ নয়, নাইরার আপন বড় বোন । নাম নিনা । নাইরা থেকে মাত্র দেড় বছরের বড় নিনা । পিঠাপিঠির বোন হওয়ায় ছোট বেলা থেকেই ওদের সব কাজ এক সাথেই । পড়াশুনা থেকে শুরু করে ঘুরাঘুরি সব ওরা এক সাথেই করে । এমন কি ওদের সব বন্ধুবান্ধব ও একই ।
তবে আমার কেন জানি মনে হল নাইরা ওর বোনের সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে খুব একটা খুশি হল না । কেন হল না সেটা অবশ্য আমি বলতে পারব না তবে ওর মুখ দেখে আমার সেটাই মনে হল৷
ইনানী পর্যন্ত জার্নিটা বেশ ভাল কাটলো । ভেবেছিলাম হয়তো সবাই এক সাথে যাওয়ার কারনে মজাটা নষ্ট হবে তবে সেটা হল না । নাইরা আমার পাশে পাশেই ছিল । আমার সাথেই কথা বলছিল । নানান বিষয়ে নানান কথা । মনে হচ্ছিলো যেন অনেকদিন পরে সে প্রাণ খুলে কারো সাথে কথা বলতে পারছে । তবে এই সবের ভেতরে আমি একটা ব্যাপার আমি ঠিক লক্ষ্য করছিলাম । নিনা আমার দিকে লক্ষ্য রাখছিলো । প্রথমে আমার কাছে ব্যাপারটা খুব বেশি গুরুত্ব না পেলেও একটা সময় আমি ঠিকই লক্ষ্য করছিলাম যে নিনার চোখ কেবল আমারই উপর । এবং সেটা আমি বুঝতে পারলাম সেই দিন রাতের বেলা ।
ঐদিন ডিনারও করলাম আমরা এক সাথে । রাতে রুমে ফিরে ভাবছি কাল কোথায় কোথায় যাবো । কালই আমার শেষ দিন এখানে । ফিরে যেতে হবে । একটু মন খারাপ লাগছে একটু । বিশেষ করে নাইরাকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করছে না কেন জানি । অবশ্য এটাও জানি দুএকদিন পরেই ও ফিরে যাবে ঢাকাতে । তারপর নিশ্চয়ই তখন আবার দেখা হবে সেখানে । তবুও এই চমৎকার সময়টা সেখানে পাওয়া যাবে না ।
আমি ঘুমাতে যাবো এমন সময় আমার দরজাতে টোকা পড়লো । আমি খানিকটা অবাক হলাম । কারন ঘড়ির দিকে দিকে তাকিয়ে দেখি প্রায়ই একটা বেজে গেছে । প্রথমে মনে হল হোটেলের লোকজন এসেছে । রুম সার্ভিস তো সকালে আসে । আর কোন সমস্যা হলে তো ইন্টারকম আছে । সেখানে ফোন করতে পারে তারা । তাহলে কে এল ? তারপর মনে হল নাইরা এসেছে হয়তো । কিন্তু ও আসার আগে তো ফোন করবে আমাকে । এভাবে হঠাৎ করে আসবে কেন ?
দরজা খুলে আমি খানিকটা অবাক হয়ে গেলাম । কারন আমার দরজার সামনে নিনা দাড়িয়ে । সব থেকে অবাক করা বিষয় হচ্ছে নিনার চোখে মুখের ভাব আমি অন্য কিছু দেখতে পাচ্ছি । তবুও নিজেকে খানিকটা সামলে নিয়ে বলল
-আপনি ?
-আপনি !
আমি ওকে আপনি বলে ডাকছি দেখে ও যেন খুব অবাক হল । অবশ্য আজকে সারা দিন যখন ওদের সাথে আমি ছিলাম তখন আমি নিনার সাথে কথা বলি বলতে গেলে । নিনাও বলে নি । আজকে এই রাতে এখানে চলে আসাটা আমার কাছে কেমন যেন লাগছে ।
আমি আবারও খানিকটা অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম । আমি বললাম
-এতো রাতে ?
নিনা একটু হাসলো । তারপর বলল
-না মানে মনে হল তুমি হয়তো একা থাকবে, একা একা বোর ফিল করবা, তাই সঙ্গ দিতে এলাম ।
-আমি আসলে এখন ঘুমাবো !
-বাহ গুড বয় দেখতেছি । সকাল সকাল ঘুমিয়ে পড় । তাহলে আমি কি করবো এখন ?
-আপনিও যান রুমে । ঘুমুন গিয়ে ।
-কিন্তু আমার যে অন্য কিছু ইচ্ছে করছে ?
আমি নিনার চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলাম ও আসলে কি চাইছে । কিছুটা অবাক না হয়ে আমি আসলেই পারলাম না । এই জন্য নাইরা আমার সাথে ওকে পরিচয় করিয়ে দিতে চা্য় নি । কারনটা আমি পরিস্কার বুঝতে পারলাম । বুঝতে পারার সাথে সাথেই আমি মুখটা কঠিন হয়ে এল । নিনার প্রতি একটা তীব্র ঘৃণা অনুভব করলাম । মেয়েটা স্পষ্ট জানে আমি তার ছোট বোনের বন্ধ । সে এটাও স্পষ্ট বুঝতে পেরেছে যে কেবলই বন্ধুই নই আরও হয়তো বেশি কিছু । তারপরই সে এখানে এসেছে অন্য কিছুই জন্য । আমি কঠিন কন্ঠে বললাম
-আপনার এখন যাওয়া উচিৎ । আমার ঘুম আসছে ।
নিনা কে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আমি ওর মুখের উপরেই দরজা বন্ধ করে দিলাম ।
পরদিন সকালে আবার যখন নাইরাদের সাথে আবার দেখা হল নিনা এমন একটা ভাব করলো যেন রাতে কিছুই হয় নি । কিন্তু আমি কেন জানি মোটেই স্বাভাবিক হতে পারছিলাম না । আজকেই কক্সবাজে আমার শেষ দিন ছিল । ওরা সম্ভবত আরও এক দিন থাকার প্লান করেছে । ঐদিনও নাইরার সাথে দিনটা আমার ভাল কাটলো । মেয়েটা যেন গত কালকের থেকেও আমার সাথে আরও বেশি কমফোর্ট ফিল করছে । কিছু সময় থাকার পরেই আমার গত রাতের কথা ভুলে গেলাম ।
রাতে ফিরে যাওয়ার জন্য আমি যখন বাস কাউণ্টারে পৌছালাম তখন অবাক হয়ে দেখলাম নাইরা সেখানে আমার অপেক্ষা করছে । প্রথমে ওকে দেখে মনে হল ও হয়তো আমাকে বিদায় দেওয়ার জন্য এসেছে কিন্তু ওর সাথে ব্যাগটা দেখে আমি খানিকটা অবাক হলাম । তারপর বললাম
-তোমার না আরও একদিন থাকার কথা ?
-মন টিকছে না ।
-আমার সাথেই যাবা ?
নাইরা একটু হাসলো । তারপর বলল
-তোমার পাশের সিটে বসেই ।
আমার পাশের সিটেই ও কিভাবে সিট যোগার করে ফেলল আমি বুঝতে পারলাম না । তবে আমার মনটা সত্যিই ভাল হয়ে গেল । জার্নির পুরোটা সময় ভাল কাটবে । বাস ছাড়ার ১০ মিনিট আগে দেখি নিনা এসে হাজির । নাইরা কি যেন বলল তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-অপু তোমার সাথে কয়েকটা কথা বলা যাবে ?
একবার মনে হল মুখের ওপর না বলে দেই কিন্তু নাইরার জন্য বলতে পারলাম না । আমি নিশ্চিত যে নাইরা গত রাতের কথা জানে না । তাকে কিছু জানতে দিতে ইচ্ছে করলো না । আমি নিনাকে নিয়ে কাউন্টারের বাইরে চলে এলাম ।
ব্যস্ত রাস্তার দিকে তাকিয়ে রইলাম কিছুটা সময় । নিনা নিশ্চয়ই ঠিক করে নিচ্ছে ও আমাকে কি বলতে চায় । নিনা বলল
-তুমি আমার উপর রেগে আছো তাই না ?
আমি ওর দিকে তাকালাম না । অন্য দিকে তাকিয়ে রইলাম । নিনা বলেই চলল
-রাতে যা হয়েছে সেটার জন্য আমি সরি । ওটা আমি ইচ্ছে করেই করেছি । নাইরা বোকা একটা মেয়ে । যাকে তাকে বিশ্বাস করে ফেলে । ছোট বেলা থেকেই এমন । আমি ওর বড় বোন হয়ে তো ওকে ছেড়ে দিতে পারি নি ।
আমি নিনার দিকে তাকিয়ে বলল
-তো এই জন্য সেই আহবান ছিল !
-বলতে পারো
-যদি আমি রাজি হয়ে যেতাম । তখন ?
-তখনকার টা তখন দেখতে । হয়তো রাত ভাল কাটতো তবে নাইরার সাথে আর যোগাযোগ করতে পারতে না । এমন ব্যবস্থা করতাম আমি ।
আমি খানিকটা অবাক চোখে নিনার দিকে তাকিয়ে রইলাম । নিনার চোখ বলছে ও আসলে তাই করতো !
নাইরা কি জানে এসব ?
নিনা বলল
-ওর তো এসব জানার দরকার নেই ।
-আগেও এমন কাজ করেছো ?
-হ্যা করেছি ।
আমি কি বলব বুঝতে পারলাম না । এই জন্যই হয়তো নাইরা ঐদিন ওদের আশাটাকে ঠিক পছন্দ করে নি । প্রতিবারই হয়তো নাইরা দেখেছে ও যাকে পছন্দ করছে সে কদিন পরেই নিনার সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে । নিনা বলল
-এতো কিছু ভেবো না । কেমন ! ওকে সাবধানে পৌছে দিও । আমাদের আবার দেখা হবে !
নিনা আর দাড়ালো না । আমি নাইরার পাশে গিয়ে বসলাম । তারপর হঠাৎ করেই ওর হাত ধরলাম । নাইরা যেন খানিকটা অবাক হয়ে গেল । আমি এই প্রথম ওর হাত ধরলাম । নাইরা বলল
-কি হল !
আমি কিছু না বলে হাসলাম কেবল । তারপর ওর হাতটা নিজের মুখের কাছে নিয়ে একটু নাকে ছোঁয়ালাম । বললাম
-তুমি একদম আমার প্রেমিকার মত সুগন্ধ ছড়াচ্ছো !
নাইরা হাতটা টান দিয়ে সরিয়ে নিল । তারপর বলল
-আচ্ছা । তা এর আগে কয়টা প্রেমিকা ছিল শুনি ?
-তুমি হ্যা বললে একটা হবে !
-ইস ঢং !
আরও কিছু বলার ইচ্ছে ছিল কিন্তু দেখলাম বাস চলে এসেছে । আমি ওর ব্যাগটা হাতে নিয়ে বাসের দিকে হাটা দিলাম । একটু পরেই আমাদের বাস জার্নি শুরু হবে । সেই সাথে দুজনের জীবনের জার্নিটাও শুরু হতে চলেছে সম্ভবত ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২১