somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ ভ্যানিশিং হিচহাইকার

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাতের বেলা লং ড্রাইভে যাওয়া তৃষার অন্যতম পছন্দের একটা কাজ । যদিও আমি রাতে ঘুমাতে বেশি পছন্দ করি কিন্তু সংসারে সুখ শান্তি বজায় রাখতে হলে বউয়ের কথা শুনতে হয় ! বউকে খুশি রাখতে হয় । তাই মাসে অন্তত একটা কি দুইটা দিন রাতে তৃষাকে নিয়ে বের হতে হয়। অবশ্য সময় যে খারাপ যে সেটা আমি মোটেও বলবো না । আজকেও সময় খারাপ যাচ্ছিলো না । আজকে আমরা এসেছিলাম মুন্সিগঞ্জের রাস্তায় । এদিক দিয়া মাঝে মধ্যে আমি আমার গ্রামের বাড়ি যাই । মাওয়া রাস্তা দিয়ে ডান দিকে গেলেই রাতের বেলা গাড়ি ঘোড়া চলে না বললেই চলে । একেবারে ফাঁকা পাওয়া যায় ।

এই লংড্রাইভে যাওয়ার আরও একটা চমৎকার ব্যাপার হচ্ছে এই রাস্তায় তৃষার গলায় গান শুনতে পাওয়া যায় । এটা আমার জন্য খুবই আকর্ষনীয় একটা ব্যাপার । তাই সব কিছু বাদ দিয়ে আমি গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যাই ওর সাথে । রাস্তাটা আরও একটু বেশি নির্জন হতেই তৃষা গান ধরলো । বাংলা গানের ভেতরে ও রবীন্দ্রসংগীত ছাড়া আর কিছু শোনে না । রবীন্দ্র সংগীতই ধরলো ও । আমি আপন মনে সেটা শুনতে থাকলাম । চারিদিকে রাতের নিস্তব্ধতা । গাড়ি চলছে আপন মনে গতিতে সেই সাথে তৃষার গান ।

হঠাৎ করেই তৃষা গান থামিয়ে দিল । আমার দিকে তাকিয়ে বলল, এই ওটা কে ?
আমি কোন কিছু না বুঝেই ব্রেক করলাম । গাড়িটা আমি খুব বেশি জোড়ে চালাচ্ছিলাম না । তাই গাড়ি থামতে খুব বেশি ঝামেলা হল না ।
আমি এতোই মনযোগ দিয়ে গান শুনছিলাম যে ডান বায়ে খুব ভাল করে তাকাই নি । আর সামনে থেকে কোন গাড়ি আসলে তো হেড লাইট দেখবো তাই খুব একটা ভাল করে লক্ষ্যও করি নি । কিন্তু লক্ষ্য করলাম তৃষার কথা শুনে । তাকিয়ে দেখি আমাদের গাড়ি থেকে আরও হাত বিশেক দুরে একটা মেয়ে দাড়িয়ে রয়েছে । হাতে ছোট একটা ব্যাগ । পরনে মলিন পোশাক । হেড লাইটের আলোতে মেয়েটাকে পরিস্কার দেখতে পাচ্ছি। মেয়েটা আস্তে আস্তে হাটতে হাটতে আমাদের গাড়ির দিকে এগিয়ে এল । এসে থামলো তৃষার জানালার পাশে ।
গড়িতে সময় দেখলাম প্রায়ই দুইটা বাজে । এতো রাতে এই মেয়ে এখানে কি করছে !

আমার মনের ভেতরে কু ডেকে উঠলো ! যদিও এই রাস্তা নিরাপদ । এখানে ডাকাতি হয় না ।
তাহলে কি অন্য কিছু ?
নাহ ! তৃষার সামনে এই কথা বলা যাবে না মোটেও । শুনলে সে আমাকে চিবিয়ে খাবে । বলবে যে আমি সারা দিন গল্প লিখি বলেই মাথার ভেতরে এই সব আজগুবী চিন্তা ভাবনা কাজ করে ।

তৃষা মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বলল, আমাকে কি সামনে একটু নামিয়ে দিবেন?
মেয়েটার শব্দের উচ্চারণ একেবারে পরিস্কার । স্পষ্টই বুঝতে পারছি যে মেয়েটা ভাল ঘরের । কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এতো রাতের বেলা মেয়েটা এই নির্জন রাস্তায় কি করছে ?
তৃষা বলল, তুমি এতো রাতের বেলা এখানে কি করছো ?
মেয়েটা একটু নিচের দিকে তাকিয়ে বলল, আমি বাসা থেকে রাগ করে বের হয়ে গিয়েছিলাম । কিন্তু এখানে এসে ভয় লাগছে । বাসায় যে ফেরৎ যাবে সেই সাহস পাচ্ছি না । যখন রাগ ছিল অন্য কিছু চিন্তা করি নি । কিন্তু এখন রাগ পড়ে গেছে ।

তৃষা একটু দীর্ঘ্যশ্বাস ফেলে বলল, এমন কেউ কাজ কেউ করে ! বোকা মেয়ে ! সামনেই তোমার বাড়ি ?
-জি ! শিকদার বাড়ি নামে একটা বাড়ি আছে ।

আমার সাথে সাথেই বাড়িটার কথা মনে পড়লো । যতবার গ্রামের বাড়ি গিয়েছি এই বাড়িটা আমার চোখে পড়েছে । তৃষা বলল, ঠিক আছে উঠে পড় ।

যদিও আমার মনের ভেতরে কেমন যেন একটা অস্বস্থি লাগছিলো । তবে তৃষা যখন বলেছে তখন আমার আর কিছু বলার থাকতে পারে না । মেয়েটা গাড়িতে উঠলে আবারও গাড়ি চালিয়ে দিলাম ।

তৃষাকে দেখলাম এবার মেয়েটার সাথে কথা বলতে । তবে একটা ব্যাপার ঠিকই লক্ষ্য করলাম যে মেয়েটা কেমন যেন গুম মেরে রয়েছে । কোন কথা বলছে না । তৃষা বার কয়েক চেষ্টা করলো কিন্তু মেয়েটা হু হা ছাড়া আর কোন কথাই বললো না । তৃষা এক সময় হাল ছেড়ে দিলো । তারপর আবারও সামনের দিকে তাকালো । ওর মুখ দেখে মনে হল খানিকটা বিরক্ত হয়েছে মেয়েটার উপরে । আমার মনের ভেতরে সেই অস্বস্তিটা রয়েই গেল । কিছুতেই যাচ্ছে না যেন । মনে হচ্ছে কিছু একটা যেন ঠিক হচ্ছে না ।



শিকদার বাড়িটা আসতে খুব বেশি সময় লাগলো না । মিনিট দশের ভেতরেই বাড়িটার সামনে এসে হাজির হলাম ।
গাড়িটা থামালাম বাড়িটার সামনে । তৃষা ঘুড়ে মেয়েটার দিকে তাকাবেই তখনই একটা ধাক্কার মত খেল । আমি ওর চেহারা দেখে পেছনে ফিরে তাকালম । দেখলাম যে গাড়ির পেছনের সিটে কেউ নেই । দুজন দুজনার দিকে তাকালাম । একে অন্যকে শান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করছি যেন । বুঝানোর চেষ্টা করছি যে মেয়েটা হয়তো মেনে গেছে । কিন্তু দুজনেই জানি গাড়িটা মাত্রই থেমেছে এবং গাড়ির দরজা খোলার আওয়াজ হয় নি । আমরা কি করবো ঠিক বুঝতে পারলাম না । কিছু সময় গেটের সামনেই বসে রইলাম গাড়ির ভেতরে । তারপর তৃষা বলল, বাড়ির ভেতরে যাবে ?
-গিয়ে ? কি বলবো ওদের ?
-না মানে মেয়েটা তো ভেতরে চলেও যেতে পারে !

আমি কিছু বলতে গিয়েও বললাম না । তৃষাকে খানিকটা লজ্জিত মনে হচ্ছে । সম্ভবত মেয়েটাকে গাড়ির ভেতরে নেওয়ার কারণে নিজেকে অপরাধী ভাবছে । আমি বললাম, চল চলে যাই । এই সব ঝামেলা আর দরকার নেই ।
তৃষা বলল, চল ।

আমি গাড়িটা ঘোরাতেই যাবো দেখলাম গেটটা খুজে এক দারোয়ান গোছের লোক বের হয়ে এল । আমাদের গাড়ির দিকেই এগিয়ে এল । এইবার একেবারে কিছু না বলে চলে যাওয়াটা কেমন দেখায় ! আমি জানালার কাঁচ নামিয়ে লোকটাকে বলল, চাচা এই বাড়িতে কে থাকে ?

লোকটা আমার প্রশ্নের জবাব দেওয়ার আগে কিছু সময় আমাদের চেহারার দিকে তাকিয়ে রইলো । তারপর বলল, আপনেরা কি ভয় পাইছেন ? কাউরে দেখছেন !

আমি আর তৃষা আবারও একে অন্যের দিকে তাকালাম । তারপর দুজনেই গাড়ি থেকে নেমে এলাম । চাচা মিয়া আমাদের দিকে তাকিয়ে বলল, আপনেরা আফামনিরে দেখছেন । তাই না ?

তৃষা বলল, দশ এগারো বছরের একটা মেয়ে !
-জে ! সেই ই । আপনেগো এই বাড়িতে নিয়া আইছে । প্রায়ই কাউরে না কাউরে নিয়া আহে ! তয় কারো ক্ষতি করে না ।
তৃষা বলল, মানে আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না ।
-আসলে এই বাড়িত এক কালে তারা থাকতো । সাহেব, তার বউ আর তাগো তাগো মাইয়া । আমি তখনও দারোয়ান আছিলাম । একদিন আফা মনি রাগ কইরা বাড়িত তন চইলা গেল রাইতের বেলা । ফেরৎ আসে নাই । রাস্তায় এক্সসিডিং কইরা মারা গেছিলো । তারপর থেকেই মাঝে রাইতে কোন গাড়ির দেখা পাইলে সেই গাড়ির লুকজনরে কয় এইখানে নিয়া আসতে । অনেক গাড়ি আইসা থামতো ।

আমি আর তৃষা একে অন্যের দিকে তাকিয়ে রইলাম । তৃষার চোখে একটু ভয় দেখতে পেলাম । ভয় তো পাওয়াই স্বাভাবিক । এতো সময় আমাদের পেছনের সিটে একটা মরা মেয়ে বসে ছিল । আমাদের দুজনের চোখের ভুল হতে পারে না । হ্যালুসিনেশন তো হতেই পারে না । আমরা যখন আবারও গাড়িতে উঠতে যাবো দারোয়ান লোকটা বলল, ভাইজান, ভয় পাইয়েন না । আফা মনি কাউরে ক্ষতি করে না !

কথাটা কেন বলল সেটা বুঝতে পারলাম একটু পরেই । গাড়ি নিয়ে আবার ঢাকার দিকে রওয়ানা দিতেও মেয়েটিকে আবারও দেখতে পেলাম । রাস্তার ধারে নিরবে দাড়িয়ে আছে আমাদের দিকে তাকিয়ে । আমার বুকের ভেতরে কেমন দুরু দুরু করে উঠলো । তৃষা কেমন শক্ত হয়ে তাকিয়ে রয়েছে । মেয়েটাকে ক্রস করে একটু সামনে আসার মাইল খানেক পরে আবারও দেখতে পেলাম একই ভাবে দাড়িয়ে আছে এবং আমাদের দিকে একই ভাবে তাকিয়ে আছে ।
মাওয়া আসা পর্যন্ত মেয়েটাকে আমরা প্রায় প্রতি এক মাইল পরপরই মেয়েটাকে দেখতে পেলাম । প্রতিবার দেখি আর আমাদের বুকের ভেতরে কেমন যেন কেঁপে উঠে । দুইজনেই একই সাথে দেখেছি তার চোখের ভুল হওয়ার প্রশ্নই আসে না ! এর মাঝে একটা গাড়িও দেখি নি । তবে মাওয়া আসার পর অনেক গাড়ির দেখা পেলাম । বুকের ভেতর থেকে যেন একটা বড় পাথর নেমে গেল ।

মাওয়ার ঘাটে নেমে বেশ কিছু সময় আমি তৃষা একে অন্যের হাত ধরে দাড়িয়ে রইলাম । একে অন্যকে খানিকটা সাহস দেওয়ার চেষ্টা করতে লাগলাম । এই রকম ভয় যেন আর পাই নি আমরা কেউ !



-----

ভ্যানিসিং হিচহাইকারের লেজেন্ডটা কম করেও হলেও একশ বছরের পুরানো । এটা আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার একটা আরবান লেজেন্ড ! শুনশান রাস্তায় একটা মেয়েকে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায় । ড্রাইভারের কাছে সে লিফট চায় । এবং এমন একটা ঠিকানা বলে যে যা ড্রাইভার মানা করতে পারে না । অনেকটা সামনেই যাবে সে যে রাস্তায় গাড়িটি যাচ্ছে । সঠিক ঠিকানায় আসার পর দেখা যায় মেয়েটা আর নেই । গায়েব হয়ে গেছে । এই অদ্ভুত ছোট মেয়েটির কথা প্রথম পত্রিকাতে উঠে আসে এক দম্পত্তির মাধ্যমে । তারা হানিমুনে যাচ্ছিলো । এমনই এক নির্জন রাস্তায় মেয়েটিকে দেখতে পায় । মেয়েটিকে তার লিফট দেয় । গাড়িতে ওঠার পর মেয়েটার সাথে স্ত্রীটি কথা বলার চেস্টা করলেও ছোট মেয়েটি কোন কথাই বলে নি । নির্দিষ্ট ঠিকানাতে আসার পর মেয়েটির দিকে ঘুরতেই দেখা গেল মেয়েটি আর নেই । সেই বাড়িতে কড়া নেড়ে জানা গেল এমন কোন মেয়ে সেখানে থাকে না । পরে আবার যখন ঐ দম্পত্তি রাস্তায় বের হয় তখন কিছু সময় পরপরই মেয়েটাকে দেখতে পায় রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকতে ।
এটাই মূলত ভ্যানিশিং হিচহাইকারের গল্প । এই আরবান লেজেন্ড থেকেই এই গল্পের উৎপত্তি !
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১:০৯
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×