somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কইলে মানুষ চ্যাতে যায় কেন?

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


তখন সবে মাত্র কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হইছে । অনলাইনে সবার মনে আনন্দে। তখন মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা খুব শেয়ার হচ্ছে । এমন সময়ে ফেসবুকে একটা লেখা শেয়ার হল খুব । আমি নিজেও শেয়ার দিলাম । লেখাটার বিষয় বস্তু হচ্ছে একজন রাজাকারের ছেলে তার বাবাকে ত্যাগ করেছে । লেখা পড়ে সবাই ছেলেকে খুব বাহবা দিচ্ছে । আমিও দিলাম । কিন্তু অনালইনে কাউকে সহজে বিশ্বাস করতে নেই । মানুষজন কমন্টে জানতে চাইলো গল্পের সত্যতা । সে কোথায় থাকে এইসব । কিন্তু সেই পাবলিক সহজে জবাব দেয় না । উত্তর দেয় ঘুরায়ে প্যাঁচায়ে । একদিন পরে বের হয়ে আসলো লেখাটা আসলে বানানো । সত্য না । অনলাইনের ইতিহাসে আমি মানুষকে সহজে কখনই বিশ্বাস করি না । একজন একটা কথা বলল তার মানেই সেটা সত্য সেটা ধরে নেওয়ার কোন কারণ নেই ।

কাউকে বাস্তবে দেখলাম না, জানলাম না । কি করে কোথায় থাকে কিছুই জানলাম না । সে এসে বলল যে আমি মুক্তিযোদ্ধা আর অমনি বিশ্বাস করে নিতে হবে যে সে মুক্তিযোদ্ধা? এই বিশ্বাস স্থাপন কি কোন ধর্মের পর্যায়ে পড়ে? না বিশ্বাস করলে আমি হয়ে গেলাম মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি? এই নিয়মটা বানাইলো কেডা? আসমান থেকে আইছে?

অনলাইনে কাউকে অবিশ্বাস করার অনেক কারণ আছে। যে মানুষ নিজের পরিচয় লুকিয়ে অনলাইলে চলাচল করে তাকে বিশ্বাস করার কোন কারণ দেখি না । অনলাইনে অনেকে নানান কারণে নিজের পরিচয় লুকিয়ে থাকে । নিজের নিজের কারণ থাকতে পারে । কিন্তু একজন যখন নিজের বস পরিচয় লুকিয়ে মানুষকে কেবল নিজে মুক্তিযোদ্ধা এই পরিচয় জানাতে সদা সচেষ্ট হয় সেই মানুষকে বিশ্বাস করার তো প্রশ্নই আসে না । আসে কি?

এটার থেকেও সব থেকে বড় কথা যে কেউ বিশ্বাস করলো কিংবা না করলো তাতে তো কারো কিছু যাওয়া আসার কথাও না । তাই না ? একটা মানুষ যখন সত্যিই মুক্তিযুদ্ধ করেছে দেশের জন্য নিজের জীবন বিপন্ন করেছে তখন কেউ যদি সেটা বিশ্বাস না করে তাতে কি তার কিছু যায় আসার কথা? মোটেও না । কিন্তু যখন কেউ এতে খুব বেশি প্রতিক্রিয়া দেখায় তখন তো মনে সন্দেহ জাগবেই । না না, মোটেই আমি কোন প্রমাণ চাচ্ছি না । বলছি না কেউ প্রমাণ করুক । কারো প্রমাণের দরকার নেই তো । কথা হচ্ছে কেন কেউ এতো হাউখাউ করবে? সত্যের কোন সাপোর্ট দরকার হয় না । সাপোর্ট দরকার হয় মিথ্যার । মিথ্যাকে সাপোর্ট করা লাগে । কেউ যখ সত্যিই মুক্তিযুদ্ধ করেছে তার অন্য কারো কোন কথায় কান দেওয়ার কোন দরকার নেই । কাউকে নালিশ করারও দরকার নেই ।

যখন শুনি সামনের মানুষটা মুক্তিযোদ্ধা তখন আপনা আপনিই শ্রদ্ধা জাগে মনে । কিন্তু কোন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা যখন আসল মুক্তিযোদ্ধার মত সম্মান পায় তখন আমার মেজাজ বড় খারাপ হয় । আশে পাশে কত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে তার কোন হিসাব নেই । ভীরের মধ্যে আপনি যদি কোন চোরকে গালি দেন দেখবেন কেবল মাত্র যে চোর তার গায়েই গালিটা লাগবে । ঘুষখোরকে গালি দিলে দেখবেন কেবল ঘুষখোরই নাখুশি হবে । তেমনি ভাবে আপনি যখন কেবলল ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে কিছু বলবেন কেবল মাত্র যে যে ভুয়া তারই গায়ে লাগবে । অন্য কারো গায়ে লাগবে না । কারণ আসল যোদ্ধরা ভুয়া নন। তারা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন । তারা জানেন তারা কি ! তাদের কারো কাছে প্রমাণের কিছু নেই । কারা কি বলল সেটাতেও তাদের কিছু যায় আসে না ।
নিচে দেখুন কয়েকটি খবর । সংবাদ পত্র থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া ।



এরা হচ্ছে বাস্তবের মানুষ । তাই তাদের ভেতরে কত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা দেখেন । এখন আমি যদি অনলাইনাই কোন অজ্ঞাত ব্যক্তির মুক্তিযোদ্ধা হওয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করি তাহলে আমি হয়ে গেলাম মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষ শক্তি? আপনাদের কি হাটুতে বুদ্ধি?
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫১
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×