সিংহের বয়স হয়েছে । তার মৃত্যুর আগে সে তার বাচ্চাদের কিছু শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে । একটা শিক্ষা হচ্ছে কিভাবে গাধা চিনতে হয় ! সে গাধা চেনার ৫ টি উপায় বলে দিল । উপায় গুলো হলঃ
১. জঙ্গলের প্রতিটি প্রাণীর নির্দিষ্ট বিচরণক্ষেত্র থাকে । কিন্তু গাধার কোন বিচরণক্ষেত্র থাকে না । সে সবার এলাকায় ঢুকবে তারপর সেই এলাকাকে নিজের এলাকা বলে ঘোষণা দিবে । এই রকম গাধা কিন্তু আমাদের চারিপাশে খুব ভাল করেই দেখা যায় । নিজের কোন বিচরণ ক্ষেত্র নেই অন্যের বিচরন ক্ষেত্রে ঢুকে পড়ে সেটা কে নিজের বলে দাবী করে বসে ।
২. গাধা বেশি সময় নিজের প্রস্রাব ধরে রাখতে পারে না । সেখানেই যাবে সেখানে প্রস্রাব করা শুরু করবে । এখন কেউ যদি সেখানে সেখানে এই প্রস্রাব করাটার বিরুদ্ধে বলে তাহলে আর যাবে কোথায় ! সে তখন তার প্রস্রাবের গুণাগুণ বর্ণনা করা শুরু করবে । এবং কেউ কেউ সেই গুণের কথা শুনে সেই প্রস্রাব পানও করে ফেলে ।
৩. গাধা পৃথিবীর সকল প্রাণীকেই গাধা মনে করে । সে সব সময় নিজেকে দিয়েস অন্য সবাইকে বিচার করে । নিজে যেমন ঘাস খেয়ে বড় হয়ে হয়েছে সে বাঘকেও বলবে তোমার ঘাস খাওয়া উচিৎ ।
৪. প্রাণী জগতে একমাত্র গাধাই হচ্ছে যুক্তিবাদী । দুনিয়ার সব কিছুর পেছেনই তার যুক্তি রয়েছে । এটাকে ডাংকি লজিক বলে । এই সাধারণ লজিক আর ডাংকি লজিকের ভেতরে পার্থক্য হচ্ছে ডাংকি লজিকে মগজের বদলে লেজ ব্যবহৃত হয় ।
৫. গাধা বড় আবেগ প্রবণ প্রাণী । আবেগের কারণে সব কিছু সে নিজের মত চিন্তা করে বসে । তুমি যেমন করে আর যত স্পষ্ট করেই বল না কেন গাধা সব সময় নিজের ভাষাতেই সেটা বুঝবে এবং নিজের মত করে অর্থ বের করবে।
ঈদে গ্রামে এলে আমি শুয়ে বসে ঘুরে বেড়িয়েই কাটাই । এইবার এসেই জ্বরে পড়েছি । ঘুরে বেড়ানো হচ্ছে না । শুয়ে থাকা আর উপায় নে. শুয়ে শুয়ে বই পড়ছি। পড়া বইয়ের ভেতরে একটা বই হচ্ছে আধুনিক গরু রচনা সমগ্র । লেখক মহিউদ্দিন মোহাম্মাদ । এই বইটিতে নানান রকম শব্দাবলীর ব্যাখ্যা রয়েছে । তার ভেতরে একটা চ্যাপ্টারে রয়েছে গাধা/ ডাংকি চেনার ৫টি উপায় । ভাবলাম ব্লগের পাঠকদের সাথে লেখাটা শেয়ার করি ।
বইটা বেশ মজার । তবে অনেকের এই বই পড়ে মজা লাগবে না । কারণ অনেকে নিজেদের সাথে এই বইয়ের বর্ণনাকৃত পদাবলির মিল খুজে পাবেন । তবে বইটা পড়তে পারেন ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৪৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



