(১)
এই ছবিটা ধানমন্ডি ৯ নাম্বার থেকে তোলা । ছবিটি তুলি যখন তখন আমি অফিসের কাজে এখানে আসি । ভ্যাট অফিসে । আমাদের অফিসের ভ্যাট জমা করার জন্য । তো যথারীতি বাস থেকে নেমে ফুট অভার ব্রিজ পার হই । এর যখন উঠি তখন এই লেখাটা চোখে পরে । নামার পর আবার এটা চোখে পরে । সাথে সাথে ছবি তুলে নেই ।
মাথা মধ্যে চিন্তা খেলা করে । এ ওভার ব্রিজ তো কেউ ব্যবহার ই করে না । সবাই নিচ দিয়ে আসা যাওয়া করে । দেখেছেন কিনা জানি না । এটা ইবনে সিনার ওইখানে । এখানে নতুন একটা স্কুল এবং কলেজ হয়েছে । আশা করি তারা এই ব্রিজ ব্যবহার করবে । স্থপতি আসিফ ইকবাল একবার বলেছেন " ফুট ওভার ব্রিজ নাকি চরম ও মানবিক " । সামনে থাকলে প্রশ্ন করতাম রাস্তা দৌড়ে পার হওয়া কতটা মানবিক?
সবাই ফুট ওভার ব্রিজ ব্যবহার করুন ।
(২)
এই ছবিটা আজকের তোলা । অফিস থেকে বের হয়ে এক বন্ধুর সাথে দেখা করলাম । অনেক দিন পর দেখা আড্ডা দিলাম । ফিরে আসার পথে সাইন্স ল্যাবের ফুট ওভার ব্রিজে উঠতেই এই দৃশ্যটা চোখে পরল । পরন্ত বিকেল নয় আবার অন্ধকার নয় । কুয়াসায় ঢাকা নয় আবার পুরোপুরি পরিস্কার নয় । কেন জানি মন টা করে উঠল । অনেক পেছনে চলে গিয়েছিলাম ।
অতীত নাকি মানুষ ভুলতে পারে না । ঝাপসা হয়ে যায় ঠিক ই । কিন্তু আমার ঝাপসা হয় না । ক্রিষ্টাল ক্লিয়ার যেন দুই দিন আগেই ঘটেছে । হেড এন্ড সোলডার দিয়ে ধুইলেও যাবে না । তবে অতীত ভাল না । মন খারাপ করে দেয় । তার চেয়ে রাস্তার সাইডে দাড়িয়ে বাসের আসা যাওয়া দেখা অনেক ভালো ।
অতীত মনে না করাই ভালো ।
(৩)
এই মিষ্টিটা আমার অনেক প্রিয় । পথে ঘাটে পেলেই খাই । একা একা হাটি আর খাই । ভাল ই লাগে । আমার কোন বন্ধু নেই । না না এমন নয় যে নেই । আড্ডা দেবার মত কেউ নেই । তাই একা একা হাটি । তাছাড়া হাটতে আমার ভাল লাগে । রাস্তা অনেক মানুষ দেখা যায় । তাদের নিয়ে গবেষনা করতে ভাল লাগে । মনে হয় সাইকোলজিস্ট ।
কোন কাজে নিউমার্কেট গিয়েছিলাম । তখন এক চাচা মত দেখলাম এটা বিক্রি করছে । দেরি না করে কিনে ফেললাম । যদিও বেশি মিষ্টি । অনেকের কাছে ভাল লাগে না । কারন মিষ্টিতে নাকি মুখ ভরে যায় ।
ডায়াবেটিস নেই যাদের তারা মিষ্টি খান ।
(৪)
দই আমার ভীষন প্রিয় । আমি সচরাচর দই এভাবে পেলে খাই । তবে খাওয়ার আগে চেক করে নেই । কারন পেটের দিক তো খেয়াল রাখতে হয় । আজ কাল তো সব কিছুতেই ভেজাল । তবুও খাই । নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি না ।
এটা আমার বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরন নগর এ বসে তোলা ছবি । সেখানে দুপুরে খেয়ে এক কাপ দই না খেলে যেন খাওয়া পূর্নতা পায় না । তাই দুপুরের পর দই খাওয়াটা প্রায় অভ্যাস হয়ে গেছে ।
মিষ্টি কম খাওয়া উচিত ।
(৫)
এটা সাইন্সল্যাবের প্রতিদিনের দৃশ্য । এই রাস্তাটা নিউমার্কেট ঢাকা কলেজের দিকে গিয়েছে । তবে আমি আন্দোলনের সময় ছাড়া এটাকে কোন নিয়মের মধ্যে দেখিনি । প্রতিদিন ই এভাবেই চলছে । হয়ত এভাবেই চলবে ।
সব কিছুতেই আমাদের তাড়া । কে কার আগে যাবে । অথচ একটু নিয়ম মেনে গেলে কিন্তু সব কিছু সুন্দর ও স্বাভাবিক ভাবেই হবে । কিন্তু আমাদের অভ্যাস । নিয়ম আবার কি ।
চেষ্টা করুন নিয়ম মেনে চলার ।
(৬)
ঝালমুড়ি । মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড এর আল্লাহ করিম মসজিদের সামনে বিক্রি করে । লোকটা নামাজের সময় দোকান বন্ধ রাখে । আমিই তখন তার শেষ কাস্টোমার ছিলাম । আমাকে বানিয়ে দিয়েই নামাজে দৌড় দিলেন ।
আসলে আমিও একটা সময় এভাবেই নামাজে দৌড়াতাম । আজ কাল কি যেন হয়েছে । নামাজের দিকে যেতেই চাই না । জানি না এটার জন্য কত শাস্তি আছে । তবে চেষ্টা করে যাই নামাজ পরার । পাচ ওয়াক্ত হয় না ।
প্রার্থনায় অবহেলা নয় ।
(৭)
আমার বাবা যদি আমার জন্য সবচেয়ে ভাল কিছু করে থাকেন তবে তার মধ্যে বইয়ের প্রতি আমাকে আগ্রহী করে তুলেছেন । আমাকে সব সময় উতসাহ দেন বই পড়ার । আমিও চেষ্টা করে যাই । রাস্তা ঘাটে বাসে ট্রাকে লঞ্চ ট্রেনে সব জায়গাতেই বসে আমি পড়তে পারি । আমার বই হলে আর কিছু দরকার হয় না ।
গত কয়েক দিনে আমি প্রায় পাচটি বই শেষ করেছি । তাও মনে হচ্ছে কম পড়ি । অফিসের কাজে এবং কিছু ব্যক্তিগত কারনে বই বেশি পড়া হয় না । না হলে চেষ্টা করতাম সপ্তাহে সাতটা বই পড়তে ।
তবে সবাইকে নিয়ে খেতে হয় । এতে এক ধরনের আনন্দ আছে ।
যত পারুন বই পড়ুন ।
( এটা আমার লেখার অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল । নিজের ভেতর থাকা উপলব্ধি গুলো লিখে ফেলা । চেষ্টা করব জীবনের উপলব্ধি বর্ননা করার )
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩২