somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সমাজতন্ত্র, পুঁজিবাদ বনাম ইসলামের অর্থব্যবস্থাঃ

২৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সমাজতন্ত্রের নীতি হলো জনসাধারনের সম্পদ রাষ্ট্রের হাতে তুলে নেওয়া। পুঁজিবাদেরও নীতি সেইম, দেশের ও জাতির সম্পদ সংখ্যালঘিষ্ঠ মানুষের হাতে ব্যাংকিং প্রভৃতি সিস্টেমের মাধ্যমে পুঞ্জিভূত করা। যার ফলভোগ করে অতি অল্পসংখ্যক লোক এবং তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে বঞ্চিত করে বিরাট ধনী হয়ে যায়। হাতে গোণা কতকগুলি কোটিপতির সৃষ্টি হয়, বাকি জনসাধারণ জীবনের প্রাথমিক মৌলিক প্রয়োজনগুলি থেকেও বঞ্চিত হয়। এই ব্যবস্থা যতটুকু পরিধিতে প্রয়োগ করা হবে ততটুকু পরিধিতেই অই ফল হবে। একটি ভৌগোলিক রাষ্ট্রে এ ব্যবস্থা প্রয়োগ করলে যেমন অই রাষ্ট্রের জনসাধারনের ভীষণ দারিদ্রের বিনিময়ে মুষ্টিমেয় কোটিপতি সৃষ্টি হবে ঠিক তেমনি সমাজতান্ত্রিক বা পুঁজিবাদী ব্যবস্থা পৃথিবীময় প্রয়োগ করলে কয়েকটি ভৌগোলিক রাষ্ট্র বিপুল ধনী হয়ে যাবে আর অধিকাংশ রাষ্ট্র চরম দারিদ্রের মধ্যে পতিত হবে। আজ পৃথিবীব্যাপী পুঁজিবাদের জয়জয়কার, এবং আমেরিকা তথা পশ্চিমারা হলো এর বাহক। ব্যাংক, আইএফ প্রভৃতির মাধ্যমে তারা অর্থনীতিকে নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে তারা জন্মগতভাবে ধনী আর বাকি বিশ্ব জন্মগতভাবে গরীব। একটি ভৌগোলিক রাষ্ট্রের সম্পদ যেমন সীমিত- তেমনি পৃথিবীর সম্পদও সীমিত। সীমিত যেকোনো জিনিসকেই কোথাও একত্রিত করা, পুঞ্জিভূত করা মানেই অন্যস্থানে অভাব সৃষ্টি করা। একটা রাষ্ট্রের ভেতরেই হোক, আর সমস্ত পৃথিবীতেই হোক, সেইটার সম্পদ যা মানবজাতির মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার কথা, সেটাকে যদি কোথাও জড়ো করা হয় তবে অন্যত্র স্থানে অভাব সৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক।

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর ভ.ই. লেনিনের ভাস্কর্যটি নামিয়ে তার উপর আক্রোশ মেটাচ্ছে সাম্যবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বলী রাশিয়ার ক্ষুব্ধ জনতা।

অন্যদিকে ইসলামের অর্থনীতির ভিত্তি হলো স্রষ্টাকে ভয় করতঃ সম্পদকে মানুষের মাঝে দ্রুত চালিত করা, কোথাও সঞ্চিত হতে না দেওয়া। পুঁজিবাদ যেখানে বলে সম্পদ খরচ না করে সঞ্চয় করো, সবার সঞ্চয় একত্র করো, পুঞ্জিভূত করো (ব্যাংকে), সেখানে আল্লাহ্‌ বলেনঃ

"হে ঈমানদারগণ! পন্ডিত ও সংসারবিরাগীদের অনেকে লোকদের মালামাল অন্যায়ভাবে ভোগ করে চলছে এবং আল্লাহর পথ থেকে লোকদের নিবৃত রাখছে। যারা স্বর্ণ-রৌপ্য সঞ্চয় করে রাখে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না, তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সংবাদ দাও ।”- (সূরা আত তাওবাঃ ৩৪)

O you who have believed, indeed many of the scholars and the monks devour the wealth of people unjustly and avert [them] from the way of Allah . And those who hoard gold and silver and spend it not in the way of Allah - give them tidings of a painful punishment.

অর্থাৎ ইসলামের অর্থনীতি পুঁজিবাদী অর্থনীতির ঠিক বিপরীত। একটায় বলে সঞ্চয় করো, অন্যটা বলে ব্যয় করো। সমাজতন্ত্রী সাম্যবাদী অর্থনীতি ব্যাক্তিগত মালিকানা নিষিদ্ধ করে জাতির সম্পদ রাষ্ট্রের হাতে পুঞ্জিভূত করে। ইসলাম সম্পদে ব্যাক্তিগত মালিকানা প্রতিষ্ঠিত তো করেই, রাষ্ট্রের হাতে সম্পদ পুঞ্জিভূত করতেও নিষেধ করে। কারণ একটা জাতির বা বা সমগ্র পৃথিবীতে সম্পদ যথাযথভাবে বন্টনের জন্য প্রয়োজন হচ্ছে ব্যয় করা, সঞ্চয় নয়। একজনের হাত থেকে আরেকজনের হাতে সম্পদ যত দ্রুত হস্তান্তর হতের থাকবে তত বেশী সংখ্যক লোক অই সম্পদ থেকে লাভবান হতে থাকবে। যেমন ধরেন একটা ২ টাকার নোট, এই নোটটা যার হাতেই পড়লো সে যথাশীঘ্রই সম্ভব সেটা খরচ করে ফেলল। খরচ করার পদ্ধতিটা হতে পারে দান করা, কিছু কেনা, ধার দেওয়া অথবা কোনো ব্যবসাতে বিনিয়োগ করা ইত্যাদি। অই নোটটা যদি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দশজন লোকের হাত বদলায় তবে একদিনে তা দশজন লোককে লাভবান করবে। আর যদি এক'শ জনের হাত বদলায় তবে এক'শ জনকে লাভবান করবে। অর্থাৎ এই ২ টাকা পরিমাণ সম্পদটা যত দ্রুত গতিতে সমাজের মধ্যে চালিত হবে তত বেশী সংখ্যক লোককে লাভবান করবে; তত বেশী সংখ্যক লোক অর্থনৈতিক উন্নয়ন করবে এবং পরিণতিতে সমস্ত সমাজকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করবে, সম্পদশালী করবে। কিন্তু অই একই ২ টাকার নোট যদি সমস্ত দিনে কোনো হস্তান্তর না হয়ে কোনো লোকের পকেটে বা কোনো ব্যাংকের ভল্টে পড়ে থাকে তাহলে নোটটির আর কোনো মূল্য থাকে না। তার আসল মূল্য তখন হয়ে যায় এক টুকরা বাজে ছেঁড়া কাগজের সমান। কারণ সারাদিনে সেটা সমাজের মানুষের কোনো উপকার করতে পারে না। ওটা নিস্ফল, উৎপাদনহীন।

অনেকে বলতে পারেন, ব্যাংকে জমা রাখা পুঁজি তো বিনিয়োগ করা হয় এবং তা উৎপাদনে কাজে লাগে। ঠিক কথা, কিন্তু ব্যাংকে জমা করা পুঁজি বিনিয়োগের গতি স্বাধীন মুক্ত হস্তান্তরের চেয়ে কম, কোনো তুলনাই হয় না। ব্যাংকের সম্পদ বিনিময় করতে বহু তদন্ত, আঈন কানুন লাল ফিতার দৌরাত্ম এবং তারপরেও অই বিনিয়োগের সুফল ভোগ করে সমাজের একটি বিশেষ শ্রেণীর মানুষ। শুধু ঐ শ্রেণীটি- যারা ইতোমধ্যেই সম্পদশালী, জনসাধারনের অনেক ঊর্ধ্বে। আবার, ব্যাংক তো আর হাজী মহসিন না যে পুঁজি ধার চাইলেই দিয়ে দেয়। যে লোক দেখাতে পারবে যে, তার আগে থেকেই যথেষ্ঠ সম্পদ আছে, কিন্তু তার আরো চাই, ব্যাংক শুধু তাকেই পুঁজি ধার দেয়। যার কিছু নেই, যে ব্যাংকের নিকট যথেষ্ঠ পরিমাণ সম্পদ বন্ধক দিতে পারবে না তাকে ব্যাংক পুঁজি ধার দেবে না। অর্থাৎ তাদের নীতি হলো তৈলাক্ত মাথায় তেল দেওয়া, ধনীকে আরো ধনী করা, গরীবকে আরো গরীব করা।



ইসলাম এ ধরনের নীতিকে বর্জন করে। এর অর্থব্যবস্থা সমস্ত সম্পদকে যত দ্রুত সম্ভব গতিশীল করে দেয় এবং অর্থনীতিকে মুক্ত করে দেয়। আল্লাহ্‌ তায়ালা একদিকে যেমন অর্থনৈতিক প্রচেষ্টা অর্থাৎ ব্যবসা বাণিজ্য, শিল্পকে উৎসাহিত করেছেন, তেমনি ক্রমাগত বহুবার বলেছেন খরচ করো, ব্যয় করো।

"তারা তোমাকে জিজ্ঞেস করছে যে, তারা কি ব্যয় করবে? তাদেরকে বলে দাও, যা তোমাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত (তাই ব্যয় করো)"–(সূরা আল বাকারাঃ ২১৯)

And they ask you what they should spend. Say, "The excess [beyond needs]."

উদ্দেশ্য, সেই গতিশীল সম্পদের নীতি। পরিণাম, সমাজের সর্বস্তরে সম্পদের সুষ্ঠু বিচরণ ও দারিদ্রের ইতি। প্রশ্ন উঠতে পারে, এই নীতি অর্থাৎ সম্পদকে দ্রুত গতিশীল করে দিলে সম্পদের এমন সুষ্ঠু বন্টন হয়ে মানুষের দারিদ্র লুপ্ত হবে, তার প্রমাণ কি?

এর প্রমাণ দেখতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে ১৩০০ বছর আগে। এই অর্থনীতি যখন প্রয়োগ করা হয়েছিলো তখন কি ফল হয়েছিলো তা ঘেঁটে দেখতে হবে। শেষ নবী মুহম্মদ (স) এর মাধ্যমে যে শেষ জীবন বিধান স্রষ্টা প্রেরণ করেছিলেন তা মানবজাতির একাংশ গ্রহণ ও সমষ্টিগত জীবনে কার্যকরী করার ফলে জীবনের সবচেয়ে দু'টি অংশ নিরাপত্তা ও অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পূর্ণ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো, মানুষ রাতে শোওয়ার সময় ঘরের দরজা বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতো না, রাস্তায় ধনসম্পদ ফেলে রাখলেও পরে যেয়ে তা যথাস্থানে পাওয়া যেতো, স্বর্ণের দোকান খোলা রেখে মানুষ নামাযে যেতো। চুরি, ডাকাতি, হত্যা, রাহাজানী প্রায় নির্মূল হয়ে গিয়েছিলো, আদালতে মাসের পর মাস কোনো অপরাধ সংক্রান্ত মামলা মোকদ্দমা জমা হতো না। আর অর্থনৈতিক দিক থেকে মানুষ সবচ্ছল হয়ে গিয়েছিলো, এই সবচ্ছলতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিলো যে, মানুষ যাকাত ও সদকা দেওয়ার জন্য পয়সা নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতো কিন্তু সেই টাকা গ্রহণ করার মত লোক পাওয়া যেতো না। শহরে নগরে লোক না পেয়ে মানুষ মরুভুমির অভ্যন্তরে যাকাত গ্রহীতা খুঁজে বেড়াতো। তাও না পেয়ে শেষ পর্যন্ত সরাইখানা গুলোতে দান করে আসতো। এটা ইতিহাস। মানবরচিত কোনো জীবন ব্যবস্থাই এর একটি ভগ্নাংশও মানবজাতিকে কখনো উপহার দিতে পারে নি, পারবেও না।



স্রষ্টা প্রদত্ত এই গতিশীল ও সহযোগিতামূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বর্তমান মানবসমাজ তাদের নিজেদের বানানো অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে গ্রহণ করে শির্‌কে পতিত হয়েছে। ফলাফল হয়েছে এই যে, তাদের দেহ থেকে আত্মা পৃথক হয়ে সবাই আত্মাহীন জানোয়ারে পরিণত হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে উচ্চশ্রেণী ও নিম্নশ্রেণীর। পুঁজিবাদী স্থিতিশীল অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সম্পদশালীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে স্বর্গীয় আরাম আয়েসে বাস করছে, অন্যদিকে সম্পদহীনরা করছে ভিক্ষাবৃত্তি। সম্পদ বাড়ানোর প্রতিযোগীতায় সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্য হতে সহযোগীতার সম্পর্ক উধাও হয়ে ঠকানোর সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। চিকিৎসক, শিক্ষক, আঈনজীবী প্রভৃতি মহৎ পেশার লোকজন সেবাকে ধান্দায় পরিণত করেছেন। কখনো কোনো মানুষ মায়ের গর্ভ থেকে চোর, ডাকাত, অন্যায়কারী, দুর্নীতিবাজ ইত্যাদি হয়ে জন্মায় না। কিন্তু অন্যায় অর্থনৈতিক সমাজ ব্যবস্থার প্রভাবে তারা ধীরে ধীরে অপরাধী চরিত্রের হয়ে যায়। শত চেষ্টা করেও মানুষ তখন সৎ কাজ করতে পারে না। প্রতিষ্ঠিত এই অন্যায় অবিচারমূলক সিস্টেমকে যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাটি চ্যালেইঞ্জ করতে পারে তা হলো স্রষ্টাপ্রদত্ত ইসলামের (শান্তি) শাশ্বত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থাকে প্রত্যাখ্যান করা মানে শোষণ ও নৈরাজ্যকে ডেকে আনা, যা আমরা বর্তমান ধর্মনিরপেক্ষ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার চশমা দিয়ে প্রত্যক্ষ করছি।

পুঁজিবাদী অর্থনীতির ব্যর্থতার ফল যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালস্ট্রীট বিক্ষোভ যার মূল স্লোগান ছিলো, "পৃথিবীর তাবৎ সম্পদ ১% মানুষের নিকট কুক্ষিগত, বঞ্চিত বাকি ৯৯%"
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:২২
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×