কি যে হচ্ছে দেশে বুঝতেছি না. ২ দিন আগে পুরা ৫ তলা বিল্ডিং ধসে পরলো, কালকে ৫ টা বাসায় আগুন লাগলো. সব দূর্যোগ যেনো একসাথে হাজির হচ্ছে. আমাদের কোনো স্বস্তি নাই. আমার কোনো অত্তীয়সজন বন্ধুবান্ধের কোনো ক্ষতি হয় নাই কিন্তু যাদের ক্ষতি হয়েছে তাদের কথা চিন্তা করেই খারাপ লাগছে. আমার মনে হয় আগুনে পুরে মৃত্যু না হয়ে বেচে যাওয়া – এটা জীবনের সবচে ভযাবহ অভিজ্ঞতাকেও হার মানাবে. আমি যাদের চরম অপছন্দ করি তারাও যেনো কখনো এমন ভাবে মৃত্যু বরণ না করে তার জন্য দোয়া করি.
আজকে টিভিতে খবর দেখার পর একটা কথা খুব মনের মধ্যে ঘুরছে. সরকার বলেছে যারা ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দিবে. কত দিবে তা অবস্য এখনো বলে নাই কিন্তু অনুমান করতে অসুবিধা হয় না যে বেগুন বাড়িতে যা দেওয়া হয়েছে এখানেও তাই দেওয়া হবে. মনে পরে গত বছর ফেব্রুয়ারী মাসের কথা, বিডিআর বিদ্রোহের কথা. ৭০ জন আর্মি অফিসারের প্রত্যেকের আত্তিও স্বজনরা মনে হয় কোটি টাকার উপর পেয়েছেন. বিডিয়ারের ঘটনার কয়দিন পর AB bank এর রিক্রুটমেন্টে আমার ভাইভা ছিলো . অনেক প্রশ্নের মধ্যে একটা প্রশ্ন আমাকে করা হল “আচ্ছা এই যে আর্মিদের এত টাকা দেওয়া হচ্ছে, তুমি কতটুকু সাপোর্ট কর?” আমি বললাম “এটা political decision, কিন্তু যত টাকাই দেওয়া হোক না কেন তাদের জীবন তো আর ফেরত পাওয়া যাবে না”। প্রশ্নকর্তা আমাকে আরো চেপে ধরল “নানা, এই যে আমাদের দেশ এত গরিব, এখানে মানুষ ঠিক মতো খেতে পারে না কিন্তু কোটি কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে আর্মিদের ফেমিলিদের, তোমার কি মনে হয় ? তুমি কি মনে করো এটার খুব দরকার ছিলো?”
সত্যি আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জীবনের দাম খুবই কম, এই দেশে শুধু মাত্র যাদের বুদ্ধি হাটুতে আছে তারাই মৃত্যুর পর জাতীয় বীর হয়, হিরো হয় আর হাতি মরলেও কোটি টাকার মত তারাই মরার পর কোটি টাকা পায়.