somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অসুখ

০৩ রা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[link|http://অসুখ ১ম পর্ব
2য় পর্ব
৯ই মে ২০১৪
সকাল ৮ টা । হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
এতো তারাহুরা কেনো ? কোথায় যচ্ছিস রাইফা? তোর বাবা কে তো বলে যা...........
নাহ্ মা.......... বাবা যেতে দেবে না ,বাবা কে তুমি সামলিও। আমি আসছি একটা কাজ আছে, অপরিপূর্ণ একটা কাজ.............

ওফ্ এতো জ্যাম ঢাকায়.........কবে যে জ্যাম মুক্ত ঢাকা পাবো....ধ্যাত!
৯ই মে, শুক্রবার,সকাল ১১ টা

টিং টিং টিং......
আরেহ্ রাইফা !!!??? তুমি? বেচেঁ আ............... মানে কেমন আছ?
হুম..... ভালো, তুমি কেমন আছ তাসমিয়া? তুমি এখানে? বেড়াতে আসছো? রানা কোথায়?
ইয়ে মানে আমি........ হু... রানা ভেতরে আছে। তুমি বসো আমি ডেকে দিচ্ছি।
ঠিকআছে
রাইফা....................!!! তুই ???!! তুই বেচে আছিস? কিন্তু আমরা যে শুনেছিলাম তুই আর নেই!!
মানে? কি বলছিস? তোকে তো জানিয়েছিলাম যে আমার অপারেশন সাকসেসফুল........তোকে তো ফেন করা হয়েছিল। বাবা করেছিরেন নিজে। তোর বাবা ধরেছিলেন তোর ফোন টা ,তুই তখন নাকি বাহিরে গিয়েছিলি ফোনটা রেখে!!!!
আমার বাবা ই তো বললেন যে, তুই নাকি আর নেই!!!
কি বলছিস আঙ্কেল এমন করবেন কেনো!??????
দাড়া বাবাকে জিজ্ঞেস করছি এখুনি।...তাসমিয়া আমার ফোনটা দাওতো......................
এই নাও। রাইফা চা খাবে? চা দেবো?
নাহ্ তাসমিয়া আমাকে এক গ্লাস পানি দাও পারলে।
দিচ্ছি।
হ্যালো......... বাবা !
হ্যালো............ রানা বল । কেমন আছিস? তাসমিয়া কেমন আছে?
আচ্ছা বাবা রাইফার বাবা তোমাকে ফোন করে সেদিন কি বলেছিল?
এতোদিন পর আবার এই প্রশ্ন? তোকে তো বলেছিই।
আবার বলো কি বলেছিল?
বলেছিল যে, ওনার মেয়ে আর বেচেঁ নেই।
বাবা সত্যিই আঙ্কেল এইটাই বলেছিল?
কেন তুই কি আমাকে মিথ্যাবাদী বলছিস (রাগান্বিত স্বরে)
বাবা তুমি যদি সত্যি কথাই বলে থাকো তাহলে কি আমার সামনে এখন রাইফার ভুত দাড়ায় আছে? বলো বাবা.......
(ফোনের ঐ পাশে নিরবতা)..........
বলো বাবা চুপ করে আছো কেনো? কেনো বাবা কেনো? কেনো এতোবড় ক্ষতি করলে তুমি আমার? কি দোষ করেছিলাম আমি যে আমাকে এতোবড় শাস্তি দিলে? বলো..................
দোষ তোর না...............তুই আমার একমাত্র ছেলে। কি করে তোকে ঐ অসুস্থ মেয়ের হাতে তুলে দিতাম আমি? আমার বংশ আমি নষ্ট করতে পারতাম না আমি।
ছিঃ ........তুমি তো আমার সাথে যা করেছো তা কোন শত্রূ ও করে নাহ্ ।তোমাকে বাবা বলতে আমার ...............(ফোন কেটে দিয়ে)
রাইফা.....................আই এম সরি............সরি রাইফা..........আমাকে তুই মাফ করে দে...........আমি তোর যোগ্য নই........(কান্না করতে করতে)

হুম.........রানা.......তুই তাসমিয়াকে বিয়ে করেছিস?........(জানালার দিকে যেতে যেতে.....চোখের পানি আড়াল করতে) ।ভাল হয়েছে কতদিনই বা আমার জন্য অপেক্ষা করতি আর।
রাইফা এভাবে বলিস না....... বাবার কাছ থেকে তোর মৃত্যুর খবর পেয়ে অনেক ভেঙ্গে পড়েছিলাম আমি। ৬টা মাস ধরে আমি পাগলপ্রায় হয়ে গিয়েছিলাম। তাসমিয়া তখন আমার পাশে এসে দাড়িয়েছিল। তুই তো এর মঝেও একবারো ফোন করে কিছু জানালিনা..........।কেনো রাইফা??
কি হবে এখন এসব বলে? থাক্ বাদ দে..........
নাহ্ বল তুই............বলতেই হবে ,পরবর্তীতে কেনো যোগাযোগ করলিনা?
অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছিল ঠিকই.....তবে, আমি দীর্ঘ ৭ মাস কোমাতে ছিলাম। তোকে যে জানানো হয়েছে সেটা তো বাবা জানতেনই তাই আর তোকে নতুন করে কিছু জানায়নি। তছাড়া বাবা আমাকে নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকতো............. যাক্ যা আমার ভাগ্যে ছিল না তা তো আর পাবো না.....................
রাইফা আমাকে মাফ করে দিও.......আমি তোমাদের মাঝে চলে এসেছি এর জন্য। কিভাবে কি হয়ে গেল!
নাহ্ তাসমিয়া তোমার তো কোন দোষ নেই। সব আমার ভাগ্যের দোষ। যাইহোক......দোয়া করি তোমরা ভালো থাকো। আমি আসি এখন........
আসি রানা..............তাসমিয়াকে কখনো কষ্ট দিওনা আমার কারওণ, তাহলে নিজেকে আমি মাফ করতে পারবো না। বাই।
রাইফা...........আমাকে মাফ করে দিও। জানি এর যোগ্য নই আমি তবুও..............

১৫ ই মে, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
আসি মা.......(মা কে জরিয়ে ধরে)...
আসি বাবা .............(বাবা কে জরিয়ে ধরে)
তোকে আর বাধা দেবো না মা, আমেরিকায় তোর চাচ্চুর বাসায় থেকে তোর পড়াশুনা টা শেষ কর। নিজের খেয়াল রাখিস। আর ঔষধগুলো ঠিকমতো খাস।
আচ্ছা মা.........চিন্তা করো না। বাবার খেয়াল রেখো্।
বাই বাবা...........টেইক কেয়ার।
ভালো থাকিস মা ,পারলে সব ভুলে নতুন করে জীবন শুরু করিস। তোকে আল্লাহ্ নতুন জীবন দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন। জীবনটা কে হেলাফেলায় নস্ট করিস না। সময় সবকিছু শীতল করে দেয় মা............
হুম বাবা......তোমরা চিন্তা করো না তো........তোমাদের মেয়ে আবার আগের মতো হয়ে যাবে.............দেখো। সবাই পারলে আমিও পারবো..........(দীর্ঘশ্বাস)


সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নেতানিয়াহুও গনহত্যার দায়ে ঘৃণিত নায়ক হিসাবেই ইতিহাসে স্থান করে নিবে

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৩৮

গত উইকেন্ডে খোদ ইজরাইলে হাজার হাজার ইজরাইলি জনতা নেতানিয়াহুর সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।
দেখুন, https://www.youtube.com/shorts/HlFc6IxFeRA
ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে নেতানিয়াহুর এই হত্যাযজ্ঞ ইজরায়েলকে কতটা নিরাপদ করবে জনসাধারণ আজ সন্দিহান। বরং এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাম গাছ (জামুন কা পেড়)

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান

গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×