১ম পর্ব
২য় পর্ব
৩য় পর্ব
৪র্থ পর্বঃ
১০) এই ঘটনাটা এক প্রাইমারী স্কুলের টিচারের। ওনার নাম মনোয়ারা ছিল। মা, ছোট বোন, আর দুই ভাই এর সংসার ছিল তার।
স্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে জয়েন করার পর ওনার বিয়ে হয় বাবা মার পছন্দের ছেলের সাথে। স্কুল থেকে আধা মাইল দূরত্বে নিজেদের একটা দোতলা বাসার ওপরের তলায় থাকতেন তিনি ও তার স্বামী। তার স্বামী ও একজন শিক্ষক ছিলেন। কয়েক মাস পর মনোয়ারা ম্যাডাম প্রেগন্যান্ট হলেন। সময় কাছাকাছি হওয়ায় তার স্বামী তাকে একটি হাসপাতলে ভর্তি করায়। কিন্তু...... না ম্যাডাম বেচেঁছিলেন না তার বাচ্চা। হাসপাতালেই মারা যান তিনি।
মৃত্যুর এক মাসের মাথায় তারাহুরা করে ম্যাডামের ছোট বোন কে বিয়ে করে ম্যাডামের স্বামী। অনেকের অসম্মতিকেও গ্রাহ্য করেনি তারা।
এই ঘটনার ২ মাস পর তার স্বামী পাগলের মতো আচরণ করতে থাকে, সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকতো, রাতের বেলা হঠাৎ করে চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে যেতো। ডাক্তারের চিকিৎসা গ্রহনের পরও কোন উন্নতি হয়নি তার। দিন দিন তার পাগলামী আরও বেড়ে যেতে থাকে। ঘর থেকে বের হতো না সে, একা থাকতে পারতোনা,কাওকে না কাওকে তার সাথে থাকতেই হতো। একদিন তো সে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে দিয়েছিল প্রায়, কাজের মেয়েটা তাকে টেনে ধরেছির ঐ সময়। পরে ছাদে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছিল। কাজের মেয়েটা ছাদে কি যেনো দেখেছে এবং খুব ভয় পেয়ে কাজ ছেড়ে চলে গিয়েছিল পরের দিন।
৩ মাস পূর্ণের আগের দিন রাতে নিজের ঘরে ফাস লাগিয়ে ম্যাডামের এক্স স্বামী আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার আগে সে একটি চিঠি লিখে রাখে তার শাশুরীর কাছে। চিঠিতে লিখা ছিল,
শাশুরী আম্মা,
আমি জানি যে, এই চিঠি পড়ার পর আমাকে আপনারা সবাই ঘৃণা করবেন অন্তর থেকে। পারলে আমাকে মাফ করে দিবেন। মনোয়ারার মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না, আমরা কয়েকজন মিলে তাকে মৃত্যু বরণ করতে বাধ্য করি। আমি, আমার বর্তমান বউ, আর রাহেলা (গাইনী ডাক্তার) জড়িত ছিলাম। আমি আপনার ছোট মেয়ের সাথে গভীর একটা সম্পর্কে জরিয়ে গিয়েছিলাম। তাই আপনার বড় মেয়েকে অকালে মরতে হয়েছে , সাথে আমার সন্তাকেও। আমি আর বিন্তি ঘর বাধতে চেয়েছিলাম,কিন্তু মনোয়ারা এটা মেনে নিতো না। তাই পাষানের মতো মনোয়ারা কে খুন করি আমরা প্লান করে।আমি আর সহ্য করতে পারছিনা, মাথাটা ফেটে যায় আমার। মনোয়ারা আমাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করল।
ইতি
হতভাগ্য রমিজ
এরপর শুনেছিলাম ম্যাডামের ছেট বোন আর ঐ ডাক্তারনীকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।
১১) ওফ্ এতো রাতে যে কেনো হিসু পায় !............. বাথরুমটাও কতো দূরে........... ফালতু হোস্টেল!............ কথাগুলো বলতে বলতে রেহেনা বাথরুমের দিকে যাচ্ছে। শারমিন কে বললো আসতে ফাজিলটা আসলো না।
কিছুক্ষন পর রেহেনা রুমে ফিরে তার বেডে শুয়ে পরে। শারমিন বলল, কিরে ভয় টয় পাসনি তো? হিহিহিহি............ আমি যাই আমারো হিসু পেয়েছে। রেহানা কোনো কথা বললো না। শারমিন বাথরুমের লাইট অন করেই বিকট চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। ওর চিৎকারে বাকি হলমেইটরা এসে দেখে শারমিন বাথরুমের দরজার সামনে পরে আছে। বোথরুমের ভেতরে রেহেনা অদ্ভুদ ভঙ্গি তে পরে আছে, চোখ দুটো প্রায় বের হয়ে আছে। শারমিনের জ্ঞান ফিরলে ওই সবাইকে বলে সে রেহেনা কে তার রুমে রেখে এসেছিল, বথরুমে ও কিভাবে গেলো! আর পরে রুমেও রেহেনার খোজ পাওয়া যায়নি। কেউ অবশ্য শারমিনের কথা বিশ্বাস করেনি। কিন্তু শারমিন গভীর রাতে টের পায় কে যেনো ওর দিকে তাকিয়ে আছে! ভয়ংকর আক্রোশের সাথে। (শারমিন সাথে গেলে হয়তো রেহেনা আজও বেচেঁ থাকতো।)
চলবে...........................