বহুল আলোচনা, বিক্ষোভ, তর্ক বিতর্কের পরে রুমানা ম্যাডাম এখন সুস্থ! আজকে বহুদিন পর তার খবর পেলাম!! অন্নেক ভালো লাগলো তিনি এখনো ভেঙ্গে পরেননি, লড়াকু হয়ে আছেন হতাশার কাছে!! তার কাছে শেখার অনেক কিছু আছে আমাদের!
কানাডার ভ্যাংকুভার সান পত্রিকার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রুমানা মঞ্জুর বলেছেন, আমার চোখ নষ্ট হয়েছে, কিন্তু স্বপ্ন মরেনি। আমি এই জীবনযুদ্ধে জয়ী হতে চাই। সবার আগে আমি থিসিস সম্পন্ন করতে চাই। কারণ শিক্ষাজীবনের ইতি ঘটালে আমার ওপর হামলাকারীর বিজয় হবে। আমি চাই না সে বিজয়ী হোক। আমি পরাজিত হতে পারি না। আমার কাছে আমার মেয়ের অনেক চাওয়া। রুমানা বলেন, একটি শিশু যখন দৌড়ানোর আগে হাঁটা শেখে, তিনি তেমনই একটি শিশু। কানাডার ভ্যাংকুভার সান পত্রিকায় এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। স্বামী হাসান সাঈদ গত জুনে তার ৫ বছরের মেয়ের সামনে রুমানার ওপর নির্মম নির্যাতন চালায়। এতে তার চোখ আর নাক মারাত্নকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। তার স্বামী হাসান সাইদ এখন জেলে।
রুমানা মঞ্জুর এখন কানাডার ইউনিভার্সিটি অব বৃটিশ কলাম্বিয়া (ইউবিসি)-র ছাত্রী। অন্ধদের জন্য প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতি ব্রেইল রপ্ত করছেন তিনি । রুমানা মঞ্জুর বলেন, আমার একাডেমিক ক্যারিয়ার নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন স্বামী। ভ্যানকুভারে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ, ছাত্রছাত্রী, প্রশাসকরা তার চিকিৎসা ও খরচের জন্য ৮৫ হাজার ডলারের তহবিল সংগ্রহ করেছেন। এজন্যে সকলের কাছে রুমানা কৃতজ্ঞ। রুমানা মঞ্জুর সিএনআইবি ইন্সট্রাক্টরদের কাছে শিখছেন কি করে রান্না করতে হয়, কি করে নিজেই সাজাতে পারেন বাড়ি, বাড়ির আশপাশ এবং শিক্ষা চালিয়ে যেতে পারেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অব বৃটিশ কলাম্বিয়াতে প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন, যাতে তার কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে পারেন। এজন্য তিনি ও তার মেয়ে দু’জনেই পরামর্শ নিচ্ছেন। মেয়ের প্রসঙ্গ টেনে রুমানা মঞ্জুর বলেন, সে আমার কাছে জানতে চায়, আমি কোনদিন দেখতে পাবো কিনা, আমি কি আগের মতো দেখতে হব কিনা, আমি কি তাকে স্কুল থেকে বাসায় আনতে যাবো কিনা। তার প্রশ্নের জবাবে আমি বলি, অবশ্যই। কিন্তু আসল সত্য হলো, তিনি মেয়েকে প্রতিশ্রুতি দিলেও সেই কথা রাখতে পারছেন না। তিনি বলেন, আমার মেয়ে খেলতে গিয়ে আমাকে মিস করে, পেইন্টিং করতে গিয়ে আমাকে মিস করে-আমি সবই বুঝি। তাই তার সঙ্গে ভিন্ন কোন উপায়ে খেলতে চেষ্টা করি। রুমানা মঞ্জুরের একই সাক্ষাৎকারটি কানাডার আরেকটি জনপ্রিয় দৈনিক গ্লোব এন্ড মেইল পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়। ব্রিটিশ কলাম্বিময়া ইউনিভার্সিটির ছাত্র-শিক্ষকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে কানাডার সিটিজেনশীপ ও ইমিগ্রেশন মন্ত্রী জেসন কেনি রুমানা ও তার পরিবারের টেম্পুরারি রেসিডেন্ট পারমিট মঞ্জুর করেছেন।
বাংলা টাইমস