প্রথমে কিছু জানা কথা বলে নেই!
১।একদিন সকালে হঠাৎ করে ফোন করে ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিল এক বন্ধু! কল রিসিভ করে জানতে পারলাম প্রভার পর্ণ বাহির হয়েছে! ভাবলাম হয়তো এডিট করা কিছু! কিন্তু ভিডিওটা দেখে বুঝতে পারলাম নাহ! এইটা সত্যি সত্যি প্রভা! মিডিয়া এর সাথে সামান্য পরিচয় থাকার কারনে ভাল মত জানি সেক্স মিডিয়াতে খুব কমন ব্যাপার! কিন্তু প্রভার ব্যাপার আলাদা! রাজিব তার বয়-ফ্রেন্ড! এক্ষেত্রে প্রভা কে ''বেশ্যা'' টাইপ গালিও দেওয়া যাবেনা বা এও বলা যাবেনা যে মিডিয়া তে জায়গা শক্ত করার জন্য এমন কাজ করছে সে!
কেও কেও ভিডিও তে প্রভার শরীর দেখে প্যান্ট এর তলে হাত ঢুকিয়েছে আবার কেও কেও ''এইটা একটা ফিগার হল'' টাইপ কথা বলেছে! কিন্তু আমি খেয়াল করেছি প্রভার মুখে নিখাদ ভালবাসা সরল বিশ্বাস! যে বিশ্বাস এর দাম দেওয়া হয়নি! নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে প্রভার জীবনকে!!! এখন পয়েন্ট এ আসা যাক! রাজিব এর কিন্তু কিছু হলনা যদিও তাকেও দেখা গিয়েছে ভিডিও তে! প্রভার জীবন নষ্ট হয়ে গেল কারন সে নারী! কিছু পাষণ্ড পুরুষ তার দুর্বল জিনিষটা নিয়ে তাকে ধ্বংস করে দিলো! আবার প্রভার বিয়ে হল! তখন প্রভা একটু স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাচ্ছে বলে নিন্দায় মেতে উঠেছে কিছু পাষণ্ডের দল! তার স্বামী কালো, তার স্বামী কুৎসিত ইত্যাদি বলে চিল্লাতে শুরু করে দিলো! হায় মানুষ হায়!!!!
সারাংশঃ প্রভা নারী
২। এই ঘটনা জানলাম ফেসবুক এ! ঢাকার প্রসিদ্ধ বিউটিপার্লার এ লুকানো ক্যামেরা পাওয়া গিয়েছে! একটা ভিডিও দেখলাম! যে মহিলা ক্যামেরা দেখতে পেয়েছে তার স্বামীর রাগারাগি! ঘটনাটা ভালভাবে বুঝার ট্রাই করলেই বুঝা যাবে যে কাজটা উক্ত শাখার কয়েকজন কর্মচারী করেছে! এখানে কানিজ এর কোনও হাত নেই সেইটা আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি! তাকে বর্তমান কর্মক্ষেত্রে নারী জাগরনের অন্যতম পথিকৃৎ বলা যেতে পারে! তিনি যে কিভাবে এত বড় প্রতিষ্ঠান গড়েছেন সেটা বলার কথা না! তার এই উন্নতি অনেক ছাগুর সহ্য হচ্ছিলনা মেলাদিন সুযোগ পেয়ে তারা শুরু করে দিলো কানিজের নামে রটনা! এমনকি পরিমলের সাথে কানিজের বিয়ে এমন ঘটনা পোস্টও দেখা গেল! অনেকে বলতে পারে কাজিন কেন অস্বীকার করল! দৌড়াদৌড়ী করল! তারা কি এইটাও বুঝেনা যে এত বড় বিজনেস বাঁচানোর জন্য মালিকের এই কাজ গুলো একটু বেশি স্বাভাবিক! তবুও ছাগু থেমে নেই!
সারাংশঃ কানিজ নারী
৩। রুমানা ম্যামের এই ঘটনা যার হৃদয় কাঁপিয়ে দেয়নি সে মানুষ না! পশু! হুম বাংলাদেশে পশুর অভাব নেই! ঘটনা ঘটার দিন থেকেই কিছু ছাগু (ছাগল মাত্রই পশু) রুমানা ম্যাম কে নিয়ে উল্টা পাল্টা কথা বলা শুরু করেছিলো! আমি অবাক হয়ে দেখেছি! কিন্তু যখন পাষণ্ড সাইকোটা আত্মহত্যা করল তখন কিছু ছাগু একদম কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল! একটা ছবি নিয়ে আর একটা ফেক ই-মেইল নিয়ে শুরু করে দিলো রুমানা কে নিচে নামানো! আর সাইকো টাকে দেবদূত বানানোর কাজ! কিন্তু সেই পিকচার অ্যালবাম টা দেখার পর বুঝা গেল কত স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল সেটা! আর যদি পরকীয়া এর আঁচ পেয়েই থাকে তাহলে সেই সাইকো ম্যাম কে লিগ্যাল ভাবে ছেড়ে দিতে পারত! এই অমানুষিক অত্যাচার কেন?? আর ছাগুদের এত ঘৃণা কেন???
সারাংশঃ রুমানা নারী
বেশি ব্যাখ্যা করতে আমি পারিনা! করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা! ছাগুরা সাবধান! আমার আজকাল গালি দেওয়ার দোষ দেখা দিয়েছে
***** ২য় পয়েন্ট টা অনেকে অন্য ভাবে নিতে পারেন!!!আমি সেখানে কানিজ এর কর্মকাণ্ড কে একটি ডুবে যাওয়া প্রতিষ্ঠান বাঁচানোর ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ব্যাবসায়ি চরিত্রের সাথে তুলনা করে লিখেছি। আমি সেখানে শুধু এইটা বলতে চেয়েছি ক্যামেরা লাগানোর ব্যাপারে তার হাত ছিলনা!
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৯