ডিসেম্বর মানেই স্মৃতির এক মোহময় ক্যানভাস।
কুয়াশার চাদরে ঢাকা শীতের সকালগুলো,
মায়ের হাতের তৈরি পিঠার গন্ধে ভরা ভোর।
চাল আর খেজুরের গুড়ে মাখানো পিঠার স্বাদ,
যা এখনো মনে করলেই হৃদয়টা ভিজে যায়।
সকালের নরম রোদে খেজুরের রসের মিষ্টি ছোঁয়া,
আর শীতল হাওয়ায় ভেসে আসা পাখির কিচিরমিচির।
নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে বিকেলে মাঠে ছুটে যাওয়া,
বন্ধুদের সঙ্গে হাসি-আনন্দে মেতে থাকা দিন।
সন্ধ্যায় শুরু হতো আড্ডার এক মহাযজ্ঞ,
চিতই আর ভাপা পিঠার ধোঁয়া উঠত গ্রামে।
হাসি-ঠাট্টা, গল্প আর মায়াবী সন্ধ্যার আলো,
যেন জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে সোনা বানিয়ে দিত।
রাত হলে সবাই মিলে ব্যাডমিন্টন খেলতে যেতাম,
র্যাকেটের ঝিলিক আর আলোর উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা।
তারপর বাড়ি ফিরে হাঁসের মাংস আর ভাত,
মায়ের হাতে বানানো মাসকলাই ডালের স্বাদ,
যা আজো মনকে এক গভীর সুখে ভরিয়ে দেয়।
শীতের সকালের মায়ের হাতে মুখে তুলে দেওয়া খাবার,
সেই স্পর্শ, সেই মমতা এখনো যেন জীবন্ত।
গ্রামের পরিবেশ, শীতের সৌন্দর্য,
আর ভালোবাসার মায়াজালে বাঁধা দিনগুলো,
আজ স্মৃতির পাতায় যেন অমর হয়ে আছে।
পাখিদের কিচিরমিচিরে ভোরের ডাক ভেসে আসত,
তারপর সোনালী রোদের নরম কিরণ,
যা শরীরকে নয়, মনকে উষ্ণ করে তুলত।
সেই দিনগুলো হারিয়ে গেছে সময়ের স্রোতে,
তবু কেন জানি আজও গভীর ভাবে মনে পড়ে।
ডিসেম্বর মানে শুধু শীত নয়,
এটা ছিল জীবনের সরল সুখের প্রতিচ্ছবি।
যে দিনগুলো আমাদের শিখিয়েছিল,
আনন্দের মানে আসলে কী!
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:২৩