বাস্তবতার কণ্টকিত শৃঙ্খলে জড়ানো দাসত্বের রেখা,
হে রাণী! তোমার সিংহাসন কি নিছকই ছলনার ঢাল?
নিজ অস্তিত্বকে বিলিয়ে দিলা ক্ষমতার অন্ধগলিতে,
তবুও কালের অমোঘ শাসন থামে না কোনো প্রতারণায়।
ভাগ বাটোয়ারার বিষাক্ত হাতে গড়া এ রাষ্ট্রের প্রলেপ,
অন্যায়ের কঙ্কাল ছড়িয়ে ছিন্নভিন্ন ন্যায়ের দেহ।
সাইকোপ্যাথিক নীরবতায় অস্বীকার করলে চিকিৎসা,
আন্দোলনের রক্তস্রোতে ভেসে গেলো ইতিহাসের পৃষ্ঠা।
যারা অগ্নিপথে হেঁটেছে, যারা রক্ত দিয়ে লিখেছে লড়াই,
তাদেরই রক্তপিপাসী আখ্যা দিয়ে ছুঁড়লে অভিশাপ!
ক্ষমতার মদিরায় বুঁদ হয়ে ত্যাগ করলে বিবেক,
দম্ভ আর দুঃসহ নেশায় বেঁধে রাখলে এ ধ্বংসের কাব্য।
শেষপ্রান্তে, যখন ভেঙে পড়লো প্রাসাদের প্রাচীর,
লড়লো তোমারই রক্তের দাদা, অস্ত্রহীন এক প্রতিরোধ।
তবুও এড়ানো গেলো না পতনের অন্তিম ঘণ্টা।
ক্ষমা? সে তো কল্পনাতীত—
এখনো কি শাসনের ভ্রান্ত অহংকার বয়ে বেড়াও?
শেষ ভরসাটুকুও লুপ্ত,
দাদার আশ্রয়ও হারালে তুমি—
এবার তোমার সিংহাসনই হয়ে উঠুক কারাগার।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৪:২৬