somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

পদাতিক চৌধুরি
আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

দিন যেখানে যায় হারিয়ে (রমজান স্পেশাল)

১৬ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





-বাবা এসো এখানে। দেখো মা কত ইফতারের আয়োজন করেছে। এসো আমার মানিক। এস একবার ।
-না আমি খাব না। আমাকে এগরোল এনে দিচ্ছ না। আমি ইফতার খাবো না।
-তোমার তো এখন পেটের অসুখ চলছে বাবা। গায়ে হালকা জ্বর আছে। এই অবস্থায় এসব খেতে নেই।
-না আমি এগরোল খাবো। বলো তুমি এনে দেবে।তবেই আমি ইফতার খেতে যাব।
- অবুঝ হইও না। তুমি ক্রমশ বড় হচ্ছো। একটু বোঝার চেষ্টা করো। সুস্থ হও, তখন না হয় রোল নিয়ে আসব।
-তাহলে আমাকে একটি গল্প বলতে হবে। তবেই আমি ইফতার খাবো।
-বেশ তাই হবে। তোমাকে আমি একটি গল্প বলবো। তুমি তাহলে আরেকটু অপেক্ষা কর। আমি ততক্ষণে মাগরীবের নামাজটা পড়ে নিই।
-আচ্ছা।

আমার অভিমানী ছেলে রোগা পেটে এগরোলের গোঁ ছেড়ে এবার গল্প শোনার আগ্রহ প্রকাশ করাতে আমি খুব খুশি হলাম। ওকে ফেলে ইফতার খেতে আমার মন যে সায় দিচ্ছিল না। সামান্য কিছু ফলমূল ও লেবুর শরবত খেয়ে মাগরিবের নামাযে দাঁড়িয়ে গেলাম। ছোট মানুষ, অত ফরজ, সুন্নত বোঝেনা। সংখ্যা দিয়ে বিচার করে। মাগরিবের তিনটি নামাজ, প্রথম দুটো অর্থাৎ ফরজ, সুন্নত শেষ হতেই নিজের বিছানা ছেড়ে আমার পাশে চলে এলো। কেবল একটি কথা বলতে লাগলো,
-পাপার আর একটি নামাজ বাকি আছে।
হ্যাঁ! আমি তখন নফল নামাজ পড়ছিলাম। ওর হিসেবে তিন নম্বর নামাজটি শেষ হতেই ঝাপিয়ে পড়লো আমার কোলে। এখনই শুরু করতে হবে গল্প বলা। কিন্তু আমার ঝাঁপিতে তো তেমন গল্প নেই। তখনই ঠিক করলাম একটি হাবিজাবি গল্প বলতে,
-আচ্ছা বাবা তুমি এখন কোন ক্লাসে পড়ো?
-তুমি জানো না নাকি?
-ধরো তাই যে আমি জানিনা।
-আমি ক্লাস ফোরে পড়ি।
-বেশ! তুমি এখন ক্লাস ফোরে পড়ো। আর আমি যে সময়ের গল্প বলছি তখন আমি ক্লাস সিক্সে পরতাম। অর্থাৎ তোমার চেয়ে বয়সে দু বছরের বড় হব। এখন যদি তোমার নয় বছর বয়স হয় তখন আমার এগারো বছর বয়স হওয়াটাই স্বাভাবিক।

তোমাকে তো আগেও বলেছি আমরা খুব গরীব ছিলাম। তোমার দাদুভাইয়ের আয় উপার্জন অত্যন্ত কম ছিল। সামান্য একজন স্কুল শিক্ষক । সরকার যা বেতন দিতেন সেই টাকায় সংসার চলত না। দাদুভাই সকাল-সন্ধ্যা দুবেলাতেই মাটির দাওয়ায় ভর্তি টিউশনি পড়াতেন।কিন্তু গ্রামের বাবা-মায়েদের সন্তানের টিউশনির পেছনে টাকা খরচ করার মত মানসিকতা ছিল না। ফলে মাসের-পর-মাস পড়ালেও টাকা মিলতো যৎসামান্য। বেশির ভাগ ছাত্র ছিল অত্যন্ত গরীব। পড়ানোর আগেই অভিভাবকরা নিজেদের অপারগতার কথা জানিয়ে যেতেন।যারা সামান্য দিতেন তারাও ধান-পাট বিক্রির যুক্তি দেখিয়ে মাসের পর মাস দেরি করতেন।ফলে মাস্টারমশাইয়ের সারাদিন নাওয়া খাওয়ার সময় না থাকলেও ওনার সংসারে অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী।
একবার এক অভিভাবক বেতন দেওয়া পিছাতে পিছাতে ছয় সাত মাস টেনে নিয়ে গেছিলেন। সেদিন বাড়িতে একটা দানাপানি পর্যন্ত ছিল না। মৌসুমী বৃষ্টির আগমন ঘটেছে। সেই অভিভাবকের তখন ধানের বীজতলা তৈরি কাজ চলছিল। দাদুভাই ঝুড়ি কোদাল নিয়ে ওনার জমিতে শ্রম দেবেন বলে নামতেই, উনি রে রে করে ছুটে এলেন।কাজে তো নিলেন না, উল্টে ক্ষেতে অত লোকের সামনে নাটক করার জন্য দাদুভাইকে খুব মুখ করলেন।

এরকম টানাটানির সংসারে রমজান মাসে ইফতারের প্রস্তুতি কালীন সময়ে মসজিদের মাইকের শব্দ আমাদেরকে আরো অস্থির করে তুলতো। চারিদিকে কোলাহল ছোলা মুড়ি পেঁয়াজের গন্ধ বাতাসে ম ম করত । আর আমরা তখন বিরস বদনে বাড়ির সামনে ঘোরাঘুরি করতাম। আসপাশের সব বাড়িগুলো রমজান মাসের আনন্দে মুখরিত হলেও আমাদের বাড়ি ছিল সে আনন্দ থেকে শত যোজন দূরে। তোমার দাদুভাই ও দাদিমাকে দেখতাম গুটিকয়েক চাল মুখে দিয়ে ইফতার ভাঙতে। তারপরে দু গ্লাস জল খেয়ে যেতেন নামাজ পড়তে। এই যেমন আজ আমি আর তোমার মা নামাজ পড়া শেষ করলাম।

পাশেই পাড়াতে ছিল আমাদের নানির বাড়ি। ওনাদের চার-পাঁচটা গরু ছিল। আর্থিকভাবে নানিরা ছিলেন যথেষ্ট সচ্ছল। তখনকার দিনে এরকম গ্রামের কিছু কিছু বাড়ি থেকে চার-পাঁচটি করে গরু একত্র করে রাখাল বালক মাঠে চড়াতে নিয়ে যেত। ধান সেই কবে উঠে গেছে। চারিদিকে কেবল ধু ধু মাঠ। তারই মধ্যে রাখাল বালক কোন এক তালগাছ তলায় মুক্ত আকাশের নিচে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে যেত। কখনো বা আপন মনে ঘুড়ি ওড়াতো। আর গরুরা দলবেঁধে ঘাস খেয়ে পেট ভরাতো। অন্যান্য পশুদের মতো গরুদেরও একটি ইউনিট বোধ আছে। ওরা সাধারণত দলছুট হতো না। তবে মাঝেমধ্যে এর ব্যতিক্রমও ঘটতো। আর তখনই রাখাল বালক পাচন নিয়ে দলছুট গরুটাকে বাগে আনত। -পাপা পাচন কি?
-আমি জানতাম তুমি এই প্রশ্নটি করবে। যে লাঠি দিয়ে রাখাল বালক গরুদেরকে সামলে রাখতো সেই লাঠিটিকে পাচন বলা হয়।তবে দলছুট হওয়ার ক্ষেত্রে রাখাল বালকের যদি ওই সময় ঘুম না ভাঙ্গতো তাহলে গরুটি চলে যেতে দূরে অন্য কোথাও। পাওয়া না গেলে মালিকের দুশ্চিন্তা বাড়তো। বাড়িওয়ালার সঙ্গে রাখাল বালকও খুঁজে বেড়াতো পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে। এক্ষেত্রে রাখাল বালকের দায়িত্বহীনতার পরিচয় পেয়ে অনেকেই তার কাছ থেকে গরু ছাড়িয়ে নিত। পেশাটি ছিল আমার কাছে ঠিক স্বপ্নের মতো। চোখের সামনে দেখতাম প্রত্যেকদিন সকালে ছোট-বড় মিলিয়ে ত্রিশ- চল্লিশটি গরু নিয়ে দুই তিনটি ঘুড়ি ও পান্তা ভাতের বাটি গামছা দিয়ে বেঁধে মাঠে যেতে। বই নিয়ে বসলেও অবাক হয়ে দেখতাম অমন দুর্লভ রাখাল বালকের দিকে। কতইনা সুখী মনে হতে ওদেরকে। কোন পড়াশোনা নাই। সারাদিন শুধু খেলা আর খেলা। সঙ্গে ছিল ইচ্ছে মত ঘুরে বেড়ানো। উপরি ছিল গরুর দেখাশোনার জন্য কিছু পয়সা উপার্জনের সুযোগ।দু একদিন একটু একটু করে সাহস সঞ্চয় করে তোমার দাদুভাইকে মুখ ফুটে সে কথা বলার চেষ্টাও করেছি। যদিও কোন দিনই স্বপ্নের কথা প্রকাশ করতে পারেনি।
-হিহিহিহি.. পাপা তুমি গরুর রাখাল হতে চেয়েছিলে?
-হ্যাঁ! বাবা বুঝতেই তো পারছো তখন ছোট ছিলাম। মনে নানান কল্পনায় ভেসে বেড়াতাম। আর ছবিগুলি ঠিক ভেসে উঠতো পড়ার সময়ই। মুখ ফুটে তো নিজের স্বপ্নের কথা কোনদিন বলতে পারিনি। উল্টে সারাক্ষণ পড় পড় শুনতে শুনতে মনে মনে প্রচন্ড হতাশ হয়ে পড়তাম।

আসি আবার মূল বিষয়ে। সারা বছরের মত রোজার সময়েও সন্ধ্যা বেলায় যাকে বলে গোধূলিলগ্নে রাখাল বালক গরু গুলোকে আমাদের বাড়ির সামনে ছেড়ে দিত। তোমার দাদিমায়ের নির্দেশ অনুযায়ী আমাদের ছোট দুই ভাইয়ের কাজ ছিল গরু গুলোকে নানীর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া। সারাবছর কাজটি করতে বিরক্ত লাগলেও রোজার সময় খুব আকর্ষণীয় ছিল। গরু রেখে চলে আসার সময় নানি আমাদের হাতে এক মুঠো কাঁচাছোলা বা ছোলাভাজা দিতেন। ওটি ছিল আমার কাছে অমৃতের সমান।সারা রাস্তা একটি-দুটি ছোলা মুখে দিতে দিতে বেশিরভাগটা বাড়িতে নিয়ে আসতাম।উদ্দেশ্য ছিল আমার প্রধান প্রতিপক্ষ আমার ঠিক উপরে ভাইকে লোভ দেখিয়ে খাওয়া। ওকে দেখাতে পারলে এক অসম্ভব তৃপ্তি পেতাম। ও অন্য দিকে তাকিয়ে থাকতো। তবে সব সময় যে নিজেকে ধরে রাখতে পারতো তা নয়। মাঝে মাঝে পাঁচ-সাতটি চেয়েও বসতো। আর তখন যেন যুদ্ধ জয়ের স্বাদ পেতাম। ওর সঙ্গে সমঝোতা করতাম কিন্তু শর্ত ছিল পরের দিন ওকেও আমাকে পাঁচ-সাতটি ছোলা ভাজা ফেরত দিতে হবে। যদিও ও কোনদিনই ফেরত দিত না। ও গরু দিয়ে ফেরার পথে রাস্তাতেই সব ছোলাভাজা শেষ করে ফেলত। বাড়ি এসে মুখ কাচুমাচু করে বলতো নানি ওকে খুব কম ছোলা ভাজা দিয়েছে যে কারণে ও বাড়ি পর্যন্ত আনতে পারেনি। ওর মুখের করুন চাহনিতে আমি সব ভুলে যেতাম এবং সত্য বলে মেনে নিতাম। আর নানী আমাকে যে একটু বেশি ভালোবাসেন তা আবিষ্কার করাতে মনে মনে আরও পুলকিত হতাম।

তোমাকে আগেই বলেছি ঘটনাটি সময়ে আমি ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ি। যথারীতি গরু নিয়ে গেছি নানীর বাড়িতে। গিয়ে দেখলাম বাড়িতে সাত- আট জন অপরিচিত লোকজন। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছিলাম ওনারা আমার একমাত্র খালার সম্বন্ধ স্থির করতে এসেছেন। কাজেই কপালে শিকে ছেঁড়ার আশায় প্রসন্ন হলাম। লোকজন চলে যেতেই নানী আমাকে ডেকে মিষ্টি খাওয়াবেন-সেই আশায়। মনের আনন্দে খেতে খেতে চোখেমুখে নানীর প্রতি কৃতজ্ঞতায় ভরিয়ে দিতাম। সেদিনও পরিতোষ প্রাপ্তির আশায় বারান্দাতে দাঁড়িয়ে লোকজনের দিকে চাওয়া চাওয়ি করছিলাম। ইফতারের পর্বও ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়ে গেছে। অতিথিদের মধ্যে দুজনকে আমার পাশ কাটিয়ে একটু দূরে গিয়ে সিগারেট ধরাতে দেখলাম। এমন সময় দুটো গরুকে কোথা থেকে তাড়িয়ে আনতে আনতে নানি হম্বিতম্বি করতে লাগলেন। নানির হম্বিতম্বি দেখে বড় মামা রে রে করে ছুটে এলেন আমার দিকে। এই মারেন তো সেই মারেন। গরুর গলায় দড়ি পড়াতে পড়াতে বলতে থাকেন,
- গরুগুলোকে আনলেই কাজ শেষ হয়ে যায় না। সব বসে বসে খেয়ে খেয়ে তেল হয়ে গেছে।
আচমকা মামার বকাবকিতে আমি হকচকিয়ে গেলাম। কাঁদতে কাঁদতে বললাম,
-মামা আমরা তো কোনদিনই গরুর গলায় দড়ি দিই না। ওগুলো তো নানি করেন।
-চোপ! মুখের উপরে কথা! বেয়াদব কোথাকার।
ভয়ে আমি গুটিয়ে গেলাম। দূরে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাওয়া এক ভদ্রলোক এক পা দু পা করে আমাদের মধ্যে চলে এলেন। মামাকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
-বাচ্চাটি বাড়ি রাখাল বোধহয়?
-রাখাল ঠিক নয়। পাশেই বাড়ি। খাওয়া-দাওয়া পায় না। বাড়িতে টুকটাক কাজকর্ম করে। আর একটু খাওয়া-দাওয়া দিই।
-ও আচ্ছা!

না! সেদিন আর কোনো ছোলা, মিষ্টি আমার কপালে জোটেনি। বাড়িতে পৌঁছাতেই আমার করুন মুখের প্রতিচ্ছবি বুঝতে মায়ের আর বাকি থাকল না। জিজ্ঞাসা করলেন,
-হ্যাঁরে! আজ আর তোর নানি ছোলা ভাজা দেয়নি?
-না,বলে আমি ঘটনাটি বর্ণনা করি। মায়ের প্রতিক্রিয়া,
- তা তোমারি তো দোষ। দেখছো যখন বাড়ির সকলে খুবই ব্যস্ত তখন জিজ্ঞেস করে নানীর কাজটি একটু এগিয়ে দিলেই পারতে।
আমি অধোবদনে দন্ডায়মান থাকলাম। মা এবার আমার গায়ে পিঠে হাত বোলাতে বোলাতে বললেন,
-অভাবের সংসারে হাজার অসুবিধার মধ্যেও তোমাদের মনে কোন কষ্ট দিই না। অথচ তোমার বড় মামু এরকম একটা কথা বলতে পারলেন। যাক বাবা তোমার আব্বার কানে যেন তুলনা,বলে শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে ছুটে চলে গেলেন।

-পাপা আর আমি গল্প শুনতে চাই না, বলে হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে আমার শ্রীমান ইফতারের সামনে বসল। ও ডুকরে কাঁদছে দেখে এবার আমিও পড়লাম মহাবিপদে। অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে অবশেষে শান্ত করলাম। একটা দুটো করে বরাদ্দ ইফতার গুলো অনেকটাই খেয়ে নিল।
শ্রীমানকে আর গল্প বলতে সাহস পেলাম না। কিন্তু ঘটনা যে এখনো শেষ হয়নি। আমার বড় বুবুর গায়ের রংটা ছিল শ্যামলা। সামনে পড়লেও এমন রঙের কোন মেয়ে পাত্রপক্ষের সুনজরে পড়ার কথা নয়। কাজেই খালার সম্বন্ধে এলে মেজোবুবুকে ও বাড়িতে প্রবেশ কঠোরভাবে নিষেধ হলেও ফাইফরমাশ খাটতে যেতে হতো বড়বুবুকে। সেদিন সন্ধ্যেবেলা হ্যারিকেনের আলোয় পড়তে পড়তে বারে বারে খুট খুট শব্দে বাইরে তাকাচ্ছিলাম।আশা ছিল নানি হয়তো বুবুকে দিয়ে টিফিন বাটিতে করে আমার জন্য কিছু পাঠিয়ে দেবেন। বেশ কিছুক্ষণ বাদে বুবু বাড়ি ফিরলো। বুবুর মুখটিও খুব করুন ছিল। কিন্তু হাতে টিফিন বাটি দেখে উৎফুল্ল হলাম। টিফিন বাটিটি দেখে প্রশ্ন করতেই,
-হ্যাঁরে! নানি তোর জন্য অনেকগুলো মিষ্টি দিয়েছিল। কিন্তু আমি সেগুলো সব পথকুকুরকে দিয়েছি।
-কেন? সব গুলো কুকুরকে দিয়ে দিলি?
কথা বলতে বলতে মাও চলে এলেন। বুবু জানেনা সন্ধ্যাবেলা আমি কতটা বকাবকি খেয়ে ও বাড়ি ছেড়েছি। বুবুর কথানুযায়ী আত্মীয়দের ফেরত দেওয়া প্রত্যেকটা প্লেটের মিষ্টিগুলি একত্রিত করে টিফিন বক্সে ভরে নানী আমার উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছিল। যদিও পাশে টাটকা মিষ্টি যথারীতি ছিল। আর সেদিনই আবিষ্কৃত হল যে এঁটো মিষ্টিগুলি কুকুরকে না দিয়ে নানী আমাকে খেতে দিত। বুবু সামনে নানীকে অমান্য করতে পারিনি।তাই হাত বাড়িয়ে টিফিন বাক্সটি নিতে বাধ্য হয়। আমি অবশ্য এরমধ্যে নানির কোন অপরাধ খুঁজে পাইনি। সেদিন সন্ধ্যেবেলা ইফতার ও উচ্ছিষ্ট মিষ্টিগুলো থেকে বঞ্চিত হয়ে আমি যে খুব ব্যথা পেয়েছিলাম।


সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৬
৬২টি মন্তব্য ৬৪টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×