রাজদেওড়ার জঙ্গলে (পর্ব-২)
ছুটি পড়লেই ভ্রমণের নেশা বাঙালি মাত্রই কমবেশি সবারই আছে। ভালো বা মন্দ যাইহোক, আমিও সেই অভ্যাস থেকে ত্রুটিমুক্ত নই। কতটা উপভোগ করি জানিনা তবে মনোরাজ্যকে কর্মের একঘেয়েমি থেকে সাময়িক স্বস্তি দিতে মাঝে মাঝে পরিবার নিয়ে বেরিয়ে পরি অজানা অচেনার জগতে। মাঝের কয়েক বছর সমুদ্রপাড়ে আস্তানা গাড়লেও এবারের গন্তব্যস্থল ছিল পশ্চিম দেশের পাহাড়-জঙ্গল।
সদ্য সমাপ্ত গ্রীষ্মবকাশে এমনই বায়ু সেবনের উদ্দেশ্যে আমরা রওয়ানা দিই বর্তমান ঝাড়খন্ড রাজ্যের রাজধানী রাঁচি -হাজিরবাগের উদ্দেশ্যে। যদিও আমাদের ভ্রমণটি ছিল মূলতঃ হাজারীবাগ শহরকেন্দ্রিক। স্থির ছিল হাজারীবাগ শহরের অন্যতম দর্শনীয় স্থানগুলোর সৌন্দর্য উপভোগ করে ফেরার পথে রাঁচি দর্শন করার। উল্লেখ্য পাঠকদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখি, বাংলাদেশে পাবনা শহরের যে জন্য সুনাম আছে ভারতের রাঁচি ঠিক তেমনই একটি শহর। বিয়াল্লিশের দোরগোড়ায় গিয়ে পিটুইটারি গ্ল্যান্ডের বিভিন্ন নাট বল্টু গুলোকে যথেষ্ট লুজ অনুভব করায় লেখকের রাঁচি দর্শনের দুর্নিবার আকর্ষণ ছিল।যদিও পরিবার লেখক মহোদয়কে কতটা সহযোগিতা করবেন সে বিষয়টি স্পষ্ট হবে আগামী পর্বগুলিতে। সিরিজের উপরি পাওনা শহর থেকে তেরো কিলোমিটার দূরে নানান অভিজ্ঞতায় ভরা রাজদেওরার জঙ্গলে সপরিবারে নিশিযাপন। যাইহোক বিচিত্র ভ্রমণ অভিজ্ঞতার সঙ্গে রাঁচি সার্ভিস সেন্টার থেকে কতটা নিজেকে টিউনিন করতে পেরেছিলেন তা জানতে হলে পাঠকবর্গকে এই সিরিজের চোখ রাখতে অনুরোধ করা হচ্ছে। কোনভাবেই মিস করলে কতৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
গত ০৭. ১০.১৯ তারিখে আমরা নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা আগে শিয়ালদা স্টেশনে মিলিত হই। আমার আরো দুই সহকর্মীসহ এবারের ভ্রমণে সদস্য সংখ্যা ছিল মোট নয় জন। ট্রেন ছিল শিয়ালদহ আজমীর শরীফ এক্সপ্রেসের; নির্ধারিত সময় ছিল রাত১০:৫০মিনিট। উল্লেখ্য সময়ের আধা ঘন্টা আগেই ট্রেনটি ৯/A প্লাটফর্মে ঢুকে যায়। স্টেশনে ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আমরাও নিজেদের লটবহরগুলো চেকিং এর জন্য অপেক্ষমান নিরাপত্তারক্ষীদের সামনে তুলে ধরি। প্লাটফর্মে ঢোকার ছাড়পত্র পেয়ে আমরা নির্দিষ্ট কম্পার্টমেন্টে উঠে পড়ি ও নিজ নিজ আসন চিহ্নিত করি। প্রাথমিক ব্যস্ততার অবসান ঘটিয়ে আমরা যে যার লটবহরগুলো আসনের নিচে সংরক্ষণ করি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেন যাত্রা শুরু করে। আমরা তিনটি পরিবার আরও আধঘন্টা নিজেদের মধ্যে পরবর্তী দিনের কর্মসূচি নিয়ে আলাপ-আলোচনা সেরে যে যার আসনে শুয়ে পড়ি। দেখতে দেখতে ট্রেনের গতি ততক্ষণে হু হু করে বৃদ্ধি পেতে থাকে। বাইরে থেকে সমানতালে পাল্লা দিতে থাকে বাতাসের সুতীব্র আনাগোনা। প্রবল বেগে ধাবমান বাতাসের সঙ্গে ট্রেনের নিজস্ব প্রবল গতি মিশিয়ে উদ্ভূত পরিবেশ নিজের মনকে করে তোলে দোলায়িত। নিরবে প্রত্যক্ষণ করতে থাকি এক ভালোলাগা অনুভূতির। ক্লান্তি কখন যে চেপে বসেছিল তার খেয়াল ছিলনা।স্বপ্ন দেখতে থাকি কি যেন কাঁধে হাত দিয়ে ডাকছে। কিন্তু সেটা যে বাস্তব কিছুক্ষণের মধ্যে সম্বিৎ ফেরে। চোখ মেলে চেয়ে দেখি কালো কোট পরিহিত টিকিট পরীক্ষক টিকিট দেখতে চাইছেন। আমি ধড়ফড় করে উঠে বসলাম।ঘুমের মধ্যে কোথায় টিকিটটা রেখেছি ঠিক মনে করতে পারছিলাম না। তন্দ্রালু চোখে কয়েকটি জায়গায় হাতড়িয়ে না পেয়ে ঘাবড়ে গেলাম। ভালো করে আবার চোখ ঘষে নিলাম। হ্যাঁ মনে পড়ল, আমারই মাথার নিচে রাখা ছোট কালো ব্যাগের মধ্যে যে টিকিটগুগলো গুছিয়ে রাখা আছে। টিকিটের প্রতিলিপিটা দেখালেও উনি আর আসলটা দেখতে চাইলেন না। আমার পরপরই অন্যান্য যাত্রীরাও ওনাকে টিকিট দেখাতে লাগলেন। আশেপাশে উঁকি মেরে দেখলাম আমাদের দলের সবাই ততক্ষণে নিজ নিজ সিটে বসে আছেন।কিছুক্ষণের মধ্যে টিকিট পরীক্ষক টিকিট পরীক্ষার কাজ সমাধা করে ট্রেনের লাইট অফ করে গাত্রোত্থান করলেন। আমারও আবার শুয়ে পরলাম যে যার আসনে।
দ্বিতীয়বার শুয়ে পড়লেও নিদ্রাদেবী আর সহজে ধরা দিলেন না। আমার অবস্থান ছিল আপার বাথ। কাজেই সেখান থেকে আবছা অন্ধকারে নিচে লটবহর গুলোর অবস্থান ঠিকঠাক আছে কিনা দেখে নিলাম। যতদূর দৃষ্টি যায় চোখ তুলে দেখলাম আমার মত নিদ্রাহীন আর কেউ আছে কিনা মনে হলো না। এরমধ্যে কখন যে নিদ্রার জগতে গেছিলাম তার খেয়াল ছিলনা। পাশের বাথ থেকে স্ত্রীর ডাকে ঘুম ভাঙলো, পুত্রকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়াতে নিয়ে যেতে হবে। অগত্যা উপর থেকে নিচে নামলাম পুত্রকে জলবিয়োগ করাতে। কর্তব্য পালন করে আবার নিজ অবস্থানে শুয়ে পড়ি। চোখে ততক্ষণে গভীর নিদ্রা চলে এলেও এবার ঘুমোতে সাহস পেলাম না। ঘড়িতে ততক্ষন দেখলাম তিনটা পনেরো মিনিট হয়েছে। যেহেতু ট্রেনটি ছিল আজমির শরিফ এক্সপ্রেস, মাঝে ঝাড়খণ্ডের কোডার্মা জংশনে আমাদের নামতে হবে যার সিডিউল টাইম ছিল সাড়ে চারটা। কাজেই প্রাণপণ চেষ্টা করলাম আর না ঘুমানোর। পাশের বাথে আমার শ্রীমানের ঘন ঘন নাক ডাকানিতে তার স্বপ্নের জগতের গহীনে প্রবেশের পরিচয়ে বেশ উৎফুল্ল হলাম। জানি সারা দিন বেচারার উপর অনেক ধকল গেছে। আজ ট্রেন থেকে নামার পর সারাদিন কিভাবে কাটবে তার আগাম অনুমান করে কিছুটা ঘুমানোয় নিশ্চিন্ত বোধ করলাম। এমন সময় স্রেফ খেয়াল বসতো ব্রাউজারে ক্লিক করতেই প্রিয় সামু ব্লগের দেখা পেলাম। আলোচিত ব্লগে পাঁচটি পোষ্টের মধ্যে নিমেষে চোখে পড়লো প্রিয় ছোট ভাই রাকু হাসানের 'মুক্তির নাভিশ্বাস' পোস্টটি। পাশের বন্ধুবর ততক্ষণে গুগল সার্চ করে জানাল যে আমরা কোডার্মা স্টেশন থেকে মাত্র দশকিমি দূরে। সুতরাং চটপট প্রস্তুতি নিলাম সদলবলে ট্রেন থেকে নামার।
কোডার্মা স্টেশনে যথা সময়ে নামলেও পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অতটা ভোরে স্টেশন না ছাড়ার সিদ্ধান্তে প্রায় সকলেই সীলমোহর দেয়। ইত্যবসরে আমরা যে যার ব্যাগপত্র থেকে পেস্ট ব্রাশ বার করে হাত মুখ ধোয়ার কাজটি সম্পন্ন করে কিছুটা প্রাতঃভ্রমণও সেরে নিই। উল্লেখ্য সেদিন ভোরের স্নিগ্ধ পরিবেশে জনহীন সুবিস্তৃত প্লাটফর্মে পদব্রজের যে সুখানুভূতি তা কথায় অনির্বচনীয়। অস্বীকার করতে পারবনা যে তা মনরাজ্যে বহুদিন অনুরণিত হবে। স্টেশনে একটি টি-স্টল থাকলেও আমাদের দলপতি শ্রদ্ধেয় সহকর্মী শ্রীযুক্ত রঘুনাথ দে মহাশয়ের পরামর্শে সম্ভাব্য প্রকৃতির ডাককে উপেক্ষা করার জন্য আমরা চা-যোগের লোভনীয় সিদ্ধান্ত থেকে দলমত নির্বিশেষে পিছিয়ে আসি।এভাবে আরো প্রায় দেড় ঘণ্টা কাটিয়ে অবশেষে আমরা সদলবলে স্টেশনের দুনম্বর পার্কিং জোনে চলে আসি, যেখানে হোটেলের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য নির্দিষ্ট স্করপিও গাড়ি পার্কিং করা ছিল। উল্লেখ্য ট্রেনটির সিডিউল টাইম ভোরবেলা হাওয়ায় ও নির্দিষ্ট সময়ে আসায় চালক তখন থেকেই নাকি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল। ওর সঙ্গে পরিচয় পর্ব সেরে লটবহরগুলোকে গাড়ির মাথায় তুলে আমরা ভিতরে বসে পড়লাম। এবার আমাদের গন্তব্যস্থল হোটেলটি একশো কিমির অধিক হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য নিকটবর্তী স্টেশন থেকে হোটেলের দূরত্ব একশো কিমি বা তার অধিক দূরত্বে ভ্রমণ করার অভিজ্ঞতার সঙ্গে ইতিপূর্বে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। কাজেই সামান্যতম বিচলিত না হয়ে চালককে পথে দু-একবার বাচ্চাদের জন্য জল-বিয়োগের আগাম অনুমতি নিয়ে রাখলাম।
পথিমধ্যে স্নিগ্ধ প্রভাতে গাড়ির একটার পর একটা ভোজপুরি গান নতুন স্থানটিকে আমাদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছিল। গাড়ি গতিবেগও কখনো কখনো আশি-নব্বই কিমি প্রতি ঘন্টায় ছুঁই ছুঁই হবে। এমন সময় সুবিস্তৃত টলটলে জলরাশির উপরে চোখ আটকে গেল। আমাদের আনন্দের আতিশয্যে চালক সুবিধামতো স্থানে গাড়ীটা দাঁড় করালো। চারিদিকে সবুজে মোড়া সুবিস্তৃত জলাধারটি দেখে কচিকাঁচারাও পর্যন্ত চিৎকার করে উঠলো। কয়েকজন চলে গেল পার্শ্ববর্তী ঝোপের মধ্যে প্রকৃতির ছোট ডাকে সাড়া দিতে। চালককে জলাধারটির নাম জিজ্ঞেস করতেই হিন্দিতে কি যে বলল বুঝতে পারলাম না। গুগল সার্চ করে দেখলাম সুন্দর জলাধারটি বরাকর নদীর উপর অবস্থিত'তিলাইয়া ড্যাম'। আমরা ততক্ষনে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে ফেলেছি; এখনো অনেক পথ যেতে হবে। চালক সে কথা মনে করিয়ে দিতেই আবার উঠে পড়লাম গাড়িতে। আরো প্রায় চল্লিশ মিনিট পরে আমরা আমাদের নির্দিষ্ট হোটেল 'মনোকামনা'তে পৌঁছে যাই।
হোটেলের আচরণটি বড় বিচিত্র লেগেছিল।আমরা আগে থেকে ইনফর্ম ছিলাম যে এই হোটেলের চেক ইন বা চেক আউটের কোন ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। কাজেই সকালে পৌঁছেও রুম পেতে অসুবিধা হবে না বলে কিছুটা নিশ্চিত ছিলাম।কিন্তু বাস্তবে সেখানে পৌঁছে হোটেলের পক্ষ থেকে আমাদের দিকে কোনো সৌজন্য প্রদর্শন না করাতে বেশ কিছুক্ষণ বাইরে অপেক্ষা করে অবশেষে নিজেরাই উদ্যোগী হলাম রিসিপশনে যোগাযোগ করতে। আমাদের লটবহর ততক্ষণে বাইরে ডাই করে রাখা।বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকির পর অবশেষে তোয়ালে পরিহিত এক কর্মী বেরিয়ে এলো। চোখ ঘষতে ঘষতে নেমে এসে আমাদের লটবহরগুলি উপরে তুলে নিয়ে দোতলার করিডোরে দাঁড় করাল। আমরাও তাকে অনুসরণ করে লটবহরকে ঘিরে দাঁড়িয়ে রইলাম।তিনটি পরিবারের জন্য তিনটি রুম বরাদ্দ হলো বটে কিন্তু দুটো রুম আমাদের পছন্দ না হওয়ায় বিকল্প রুম দিতে তাকে অনুরোধ করলাম। আমাদের অপেক্ষা করতে বলে সে চলে গেল।উল্লেখ্য গোটা হোটেলে আমরা ছাড়া অন্য কোন গেস্ট আছে বলে মনে হলো না।দেখতে দেখতে আমাদের অপেক্ষার প্রহর আধ ঘন্টার বেশি হয়ে গেলেও তার না আসাতে আমরা বিরক্ত হয়ে পড়লাম।আগ্রহ বশত দু'পা এগিয়ে গিয়ে ডান দিকের একটি ঘরে উঁকি মারতেই দেখি তোয়ালে পরিহিত কর্মীটি আরও তিনজনের সঙ্গে চলে গেছে স্বপ্নের জগতে। ওকে তন্দ্রা দশায় আবিষ্কার করতে পেরে হতাশার অবাকই হলাম বেশি।আমরা যার জন্য অপেক্ষা করছি, আর সে কিনা নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে! এমন বিরক্তের মধ্যেও এই বিশেষ মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে আমাদের দলের সকল সভ্য ছুটে গেল তাকে দেখতে।দরজার সামনে সকলের সমবেত কোলাহলে তিনজনেরই উঠে বসলো। বাকি দুজন ওকে হিন্দিতে কিছু একটা বলতেই রাগে গজরাতে গজরাতে চলে এলো আমাদের রুম দিতে। আমরা অবশ্য ওর রাগকে আমল না দিয়ে পছন্দমতো তিনটি ঘর পেয়ে নিজেদের মধ্যে লটারি করে রুমে ঢুকে পড়ি।
যেহেতু হোটেলটি ফুডিং এন্ড লজিং সুবিধা যুক্ত। কাজেই আধঘণ্টার মধ্যে ফ্রেশ হয়ে নিচে ডাইনিং রুমে চলে আসি। উপস্থিত দুজন কর্মীকে দেখে সকালের ব্রেকফাস্ট সম্পর্কে খোঁজখবর নেই। কিন্তু মেনু চার্ট হাতে নিয়ে চোখ কপালে ওঠার উপক্রম। এক কাপ চা চল্লিশ টাকা। কফি ষাট টাকা। এগরোল একশো টাকা।আমরা উপস্থিত তিনজন একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করে বুঝতে পারি এখানে আর সময় দেওয়া অযৌক্তিক। আসছি বলে বেরিয়ে এসে দ্রুত হোটেলের উল্টোদিকে 'অতিথি' নামে অপেক্ষাকৃত ছোট একটি রেস্টুরেন্টে হাজির হই। চলমান রেষ্টুরেন্টটিতে বেশ জনসমাগম দেখে শুরুতেই মনে আশা সঞ্চার হয়েছিল। সুবিধামতো একটি টেবিলে বসে মেনু চার্ট হাতে নিয়ে বেশ খুশি হলাম। এখানে খাবারের দাম যৌক্তিক। চা দশ টাকা, কফি কুড়ি টাকা। আর সময় নষ্ট না করে, নানারকম অজানা খাবারের মাঝে পরিচিত পরোটা ও মিক্স পনির অর্ডার করি।তৃপ্তি সহকারে মধ্যপ্রদেশ শান্ত করে আমরা স্থানীয় দুটি অটো রিজাভ করে সাইটসিন উদ্দেশ্যে রওনা দেই। প্রথমেই আমরা সেদিন পৌঁছায় হোটেল থেকে চার কিমি দূরত্বে কানারি হিলসে।ক্যানারি হিলসের এক্কেবারে পদদেশে অটো থেকে নেমে সাপের মত আঁকাবাঁকা সিঁড়ি বেয়ে আমরা ক্রমশ উপরে উঠতে থাকি।
এবারে কিছু ছবি দেখে নেওয়া যাক-
১-পরপর দুটি ছবি:-কোডার্মা- হাজারীবাগ রোডে অবস্থিত বরাকর জলাধার
২-
৩-আমাদের হোটেলের পাশে দেখা ভদ্রমহিলাকে একটু ব্যতিক্রমী মনে হয়েছিল। আগ্রহ ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন আমাদের দিকে। আমি মনের মুখের চাহনি দেখে কুড়ি টাকা দেই। সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছিলেন...
৪-যদিও ইতিপূর্বে ছবি ব্লগে পরিচয় করেছি হাজারীবাগ শহর -
৫- ছবিতে আমি ওনাদের সঙ্গে নেই; হাজারীবাগে অবস্থানকালে-
৬- ক্যানারি হিলসের উপরে ওঠার সিঁড়ি-
৭-ক্যানারি হিলসের অন্য একটি দিক-
৮- শহরের আঁকাবাঁকা রাস্তা -
৯-ক্যানারি হিলস থেকে একটু দূরে হাজিরবাগ ঝিলের একটি দৃশ্য-
১০-এক পাহাড়ি সুন্দরী-
চলবে.....
শততম পোষ্টে সকল পাঠককের উদ্দেশ্যে আমার পক্ষ থেকে রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০২০ সকাল ৮:৪৩