ছাব্বিশের যত কুয়াশা কুয়াশা সকাল,
দিয়েছে হাতছানি কর্মস্থল।
একদিনেতে ছেদ টানি,
একদিন যে আসবে বিকাল
আমরা সকলেই তা জানি।
তবুও মেনে নিতে চায় না মন
জমে হৃদয়ের আনাচে কানাচে
ছেলেমানুষি আর প্রৌঢ়ত্বের সাহিত্যময় অভিমান
জেনেছিলাম তোমাকে এখানে আমার প্রথম দিকে
তুমি অবিস্মরণীয় বিচক্ষণ বিদ্বজন আর বিদ্বান।
তারপর ততদিন দাদা তুমি ধরেছো ছোটদের হাত
মাথার পরে হয়তো এক ট্রেনের ছাউনি
রচেছো মখমলি জোকার কোম্পানি
জমা হয়েছে কত অন্তরঙ্গ মুহূর্ত
আমরা বয়সের সীমারেখা ছাড়িয়ে হয়েছি স্ফূর্ত।
বিস্মৃতিতে কবে হয়েছে একাকার তোমার সমুজ্জ্বল ভাস্বর সকল ডেফিনেশন।
ব্যক্তিত্বের আড়াল থেকে দেখেছি তোমার সাথে তিরুপতি শৈলীর বাহার
লেগেছে হৃদয়ে গন্ধ, তোমার বর্ননে দক্ষিণী আহার
যখনি দেখেছি এক টুকরো মেঘ মনের কোণে
ভুরু কুঞ্চিয়ে মুহূর্ত পরে হাসির ঝিলিক ফুটিয়েছ স্নেহের জাল টেনে।
তেমনি বাকসিদ্ধ তুমি অথ কথা কড়চায়
মনের ক্যানভাস রাঙিয়েছে আমরা মায় নিন্দুক সব্বাই।
এঁকেছ দুচোখে স্বপ্ন বিভুর ধুলোময় পথেই
নগ্ন পায়ে খালি পেটে ছেঁড়া বোতামের বালককে
তুমি নিয়েই যাবে ডটকমের জগতে।
বিদ্যা জ্ঞানে বুদ্ধিতে দেবেই দেবে পৌঁছে নতুন পৃথিবীতে,
একটা মানুষ গড়া তোমার চাই চাই....
সৃষ্টি যারা করে তারা স্বপ্নের হাত ধরে
উত্তরসূরীকে শেখায় নিতে অঙ্গীকার এক নতুন ভোরের।
তোমার স্বপ্নের হাত ধরে একদিন যেন রচিত হয় তারই সোপান এই বিদ্যায়তনে।
দিও তুমি মোদের আলোকবর্তিকা দান
আশীষ আসীঞ্চন আজীবন।
যদি দুলে ওঠে কখনও মৃণালের বন
যদি কেঁপে ওঠে কখনও অস্তাচলের রবি
তুমি ডেকে নিও দাদা আমরা রইলাম চিরদিন তোমারি সাথে।
এমনি করে দিয়েছো তুমি নিজের ২৬
বিদায় দিনে বিদায় বেলা
শুধুই গোলাপ নয়
জেনো আমার অন্তরের কুর্নিশ।
পাদটীকা:- ২০০৬ সালে কর্মজীবনের প্রথম দিকে খুব কাছ থেকে দেখা একজন সিনিয়র সহকর্মী শ্রীযুক্ত মৃণাল কান্তি ঘোষ মহাশয়ের বিদায় অনুষ্ঠানে ওনার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য।২৬ বছরের কর্মময় জীবনের বিদায় অনুষ্ঠানে কোন পার্থিব বস্তু নয় কেবল ২৬টি গোলাপ সেদিন উনি আমাদের কাছ থেকে গ্রহণ করেছিলেন যদিও প্রবল অনিচ্ছাতে। শ্রদ্ধেয় দাদার স্মৃতিচারণায় লেখা মানপত্রটি আজ ব্লগে শেয়ার করলাম,অনেকদিন ব্লগে অনিয়মিত হওয়াই পোস্ট দেওয়ার প্রবল বাসনাতে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬