ধরা আমাকে দিতেই হয়েছিল।আসলে আমার আসার খবর পেয়ে রফিক ভাই আগে থেকেই ওখানে অপেক্ষা করছিল। শুধু তাই নয়,মাঝের দিনগুলোতেও নাকি ও বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর করেছে। আমাকে খুঁজে পেতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। যথারীতি সব জায়গায় ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়েনি।আর তারই ফলস্বরূপ খবর পেয়ে আজ এখানে আসে। যাইহোক ঘরে ঢুকতেই ওর সঙ্গে চোখাচোখি হতেই কিছুটা ছুটে এসে আমাকে দুই বাহুর মধ্যে আঁকড়ে ধরে।ওর এমন অস্বাভাবিক আচরণে আমি অপ্রস্তুত হয়ে পড়ি। মুহূর্তেই কি করনীয় তা ভেবে ধন্দে পড়ে যাই। নাহা বিরোধীতা না করে ওর বাহুর মধ্যে ধরা দেই।ও কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলতে থাকে,
-কত খোঁজ খবর নিয়ে আজ অবশেষে তোমার সন্ধান পেলাম রমিসা। এ জীবনে তোমাকে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম তবুও আমি খোঁজা বন্ধ করিনি। কাঁদো কাঁদো হয়ে আরও জানায়,
-এরা কেউ তোমার আমার ভাষা বোঝেনা।আর এটাই এই মুহূর্তে আমাদের বাঁচার শেষ আশ্রয়। তুমি অবাক হবে জানি তবুও এটাই সত্য যে তোমাকে ওদের কাছে আমার স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে রেখেছি। তোমাকে একাকি রেখে আমি মসজিদে ইমামতি করি বলে এতোক্ষণে গল্প শুনিয়েছি।সে কারণে তোমাকে দেখা হতেই এমন স্বামী-স্ত্রীর মত আচরণ করলাম। মনে রাখবে, তোমার এই জীবন থেকে বাঁচানোর এটাই আমার শেষ কৌশল। সাথে সাথে তোমাকে আরও সাবধান করে দেই, আমাদের আচরণে যেন ওরা সামান্যতম সন্দেহ না করে যে আমরা প্রকৃতই স্বামী-স্ত্রী নই।
রফিক ভাইয়ের প্রস্তাবটা মাথায় গেঁথে গেল। মূহুর্তে মনের মধ্যে ভেসে উঠলো এদেশ থেকে ছাড়া পাওয়ার স্বপ্ন। তাই ওর কথাকে বাধ্য মেয়ের মত মাথা নেড়ে সম্মতি দেই।কথা বলার সময় ঘোমটার মধ্য থেকে লক্ষ্য করি সকলে উৎসুক হয়ে তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। এতদিন হেনস্তার পর অবশেষে রফিক ভাইয়ের সঙ্গে আমার মিলন হওয়াতে হোক অথবা অহেতুক হেনস্থা করার জন্যে আত্মগ্লানির কারণেই হোক উপস্থিত অফিসারদের চোখে মুখে একটা দুঃখ দুঃখ স্বস্তির ভাব লক্ষ্য করি। বেশ ভালো লাগছিলো ওদের এমন সলজ্জ চাহনিকে দেখতে। রফিক ভাই ঘাড় ঘুরিয়ে প্রত্যেকের সঙ্গেই কিছু না কিছু বলছিল। ওর কথার সবটা আমি না বুঝলেও বলার উদ্দেশ্য যে আমি তা বুঝতে বিন্দুমাত্র অসুবিধা হয়নি। এরিমধ্যে একবার মুখের কাপড়টা সামান্য সরিয়ে রফিক ভাইয়ের সঙ্গে ফিসফিসিয়ে কিছু একটা বলার চেষ্টা করতেই দেখি সামনে বসা দুজন অফিসার একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। আমি লজ্জায় চোখ সরিয়ে চুপ হয়ে যাই এবং পরবর্তী ঘটনার জন্য অপেক্ষা করতে থাকি।
সেদিন পুলিশের লোকেরা যতোই হাসিহাসি মুখে থাকুক না কেন বা রফিক ভাই স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে যতোই আমাকে স্বপ্ন দেখাক না কেন মনে মনে ভেবেছিলাম ওরা আমাদের কথায় না ভুলে উল্টে বড় ধরনের কোনো শাস্তি হয়তো আমাদের জন্য মজুত রেখেছেন। আমার দিক থেকে তো তার যথেষ্ট কারণ ছিল।দেশ ছেড়ে একাকী এমন বিদেশে পড়ে থাকাটা সন্দেহের বটে। বিশেষ করে যেখানে প্রতিনিয়ত মুজাহিদদের সঙ্গে লড়াই চলছে সেখানে আমরা যে মুজাহিদদের পক্ষের নই- তার বিপক্ষে জুতসই কারণ ছিল না। তবে একটা কথা ভেবে মনকে সান্ত্বনা দেই, আমি তো এখানে একাকী আসেনি।আর আমার আনার মূলে যে দুজন তাদের অন্যতম একজন রফিক ভাই। শাস্তি যদি পেতেই হয় তাহলে আমার সঙ্গে অন্তত একজনেরও সমশাস্তি হবে-একথা ভেবে মনে মনে বেশ খুশি হই।
কিন্তু নাহা! রফিক ভাইয়ের কথাই সত্য হয়েছিল। ওরা আমাদের ছেড়ে দিয়েছিল।বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে অবশেষে আমাদের মুক্তি দেয়। সাথে সাথে আমিও হাঁফ ছেড়ে বাঁচি। প্রায় দীর্ঘ আড়াই মাসের বন্দিদশা থেকে আমি মুক্তি পাই। তবে আমার এই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। অতীতের অভিজ্ঞতায় আবার সন্দেহ হয়, অচেনা অজানা দেশে রফিক ভাই আমার জন্য আবার কোনো ফাঁদ পেতে বসে নেই তো? মুক্তি বললেও আমার ক্ষেত্রে কীভাবে মুক্তি সম্ভব বা আদৌও তা সম্ভব কিনা তা রীতিমতো দুর্ভাবনায় আচ্ছন্ন করে ফেলে। মনের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়,এ আল্লাহ! আবার কোনো বিপদে পড়তে হবে না তো। যদিও রফিক ভাইকে কোনোরকম ধরা না দিয়ে স্বাভাবিক হবার চেষ্টা করে জিজ্ঞেস করি,
-এখন আমরা কোথায় যাব?
উত্তরে রফিক ভাই জানায়,
-দুটি রাস্তা খোলা আছে।এক- যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া। যদিও সেটা খুব সহজের নয়,পদে পদে বিপদ।আর দ্বিতীয় পথ,জালালাবাদে আমি যে মসজিদে নামাজ পড়াই সেখানে আমার স্ত্রীর পরিচয়ে থাকা। তারপর সুযোগ বুঝে এদেশ থেকে চম্পট দেওয়া। তবে সেখানেও বিপদ কম নয় বরং অনেকটাই বেশি। হঠাৎ করে বিবির কথা শুনলে অনেকেরই আগ্রহ বাড়তে পারে। কারণ ওরা ধরে নেবে আমি কোনো আফগান নারীকে বিয়ে করেছি। কোথায় বিয়ে করেছি, কাকে বিয়ে করেছি সেসব নিয়ে নিরন্তর প্রশ্নে আমাকে জেরবার করে তুলবে। সেক্ষেত্রে পরিচয় গোপন রাখতে না পারলে ধরা পড়া নিশ্চিত।
রফিক ভাইয়ের মুখে বারবার বিপদ বা বিপদের কথা শুনে শুনে আমার কান ঝালাপালা হয়ে ওঠে। আমি ঝাঁজিয়ে বলে ওঠি,
-আরে! বারবার বিপদ বিপদ বলে মাথা খাচ্ছ কেন?কেন আমি এখানে কি খুব আরামে আছি? এখানে বেশি বিপদ বলতে গুলি করে মেরে ফেলা তাই তো? যদি কপালে তেমন কিছু থেকে থাকে তবুও তাকে আমি ভয় পাইনা। যে অবস্থা থেকে রেহাই পেয়েছি আপাতত তার চেয়ে বেশি বিপদ সামনে আছে বলে আমার মনে হয় না, এক নাগাড়ে কথাগুলো শেষ করতেই রফিক ভাই বলে ওঠে,
-রমিসা আমি তোমাকে মিছে মিছে ভয় দেখাচ্ছিনা। প্রথম বিপদের কথা বলেছিলাম, এদেশ থেকে তোমাকে পালাতে সাহায্য করলে যদি কোনোভাবেই মুজাহিদরা ধরে ফেলে তাহলে আমাদের উপর কঠিন শাস্তি নেমে আসবে। ওদের শাস্তির ধরন তো আমি জানি, দুজনকেই ওরা গুলি করে মারবে। তবুও আমার মতে এটা করাই ভালো হবে। যত দ্রুত সম্ভব এ দেশ ছেড়ে চলে যাওয়াই মঙ্গল। মনে ভরসা রাখতে হবে। ধরা পড়ার কথা মাথায় আনলে চলবে না।
কপালে যা আছে তাই হবে ভেবে আমরা প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পরিকল্পনা মতো বেরিয়ে পড়ি। এক্ষেত্রে প্রথম পরিকল্পনাটিকেই বেছে নেই। উদ্দেশ্য ছিল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া।তাই কোনরকম বাছবিচার না করে সামনে যা পাই তাতেই চেপে বসি। যদিও এই সিদ্ধান্ত সেদিন আমাদের অনুকূলে যায়নি।পথে বারংবার গাড়ি বদল করতে হওয়ায় অনেক সময় চলে যায়। বহু সময় এভাবে আমাদের পথেই নষ্ট হয়। সঙ্গে ছিল আরেক সমস্যা। আমাদের গতিবিধির ওপর কেউ নজর রাখছে কিনা বা আমাদেরকে কেউ অনুসরণ করছে কিনা সেই দুর্ভাবনা রফিক ভাইকে পেয়ে বসে। যে কারণে গাড়িতে উঠে আমরা একে অপরকে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় না দিয়ে যে যার মত নীরবে বসে কাটিয়েছি। গাড়িতে পৃথকভাবে বসলেও ও স্বস্তিতে ছিল না।বারেবারে আশপাশে তাকাতে থাকে। বুঝতেই পারি দুর্ভাবনা ওকে কুরে কুরে খাচ্ছে।এরই মধ্যে প্রয়োজনমতো আমার কাজ ছিল ওকে নীরবে অনুসরণ করা। উল্লেখ্য আমার দিক থেকে রফিক ভাইয়ের এই ভয়কে খুবই অহেতুক মনে হচ্ছিল।যে দেশে গোলাবারুদ সহ হাঁটাচলা করতে হয়; যেখানে সামান্য মুখের কথাতেই একজনের জীবন হারা-বাঁচা নির্ভর করে;প্রতিটি মুহূর্তে সন্দেহ সংশয়ের মধ্যেই প্রতিটি মানুষের বসবাস সেখানে মানুষ ছোটখাটো আশঙ্কায় এমন সিঁটিয়ে থাকে কেমনে তা ভেবে আমি কিছুটা আমি বিরক্ত হয়ে পড়ি।
এসবের মধ্যে একসময় সন্ধ্যা নেমে আসে। গাড়ি বদলের সময় ও বারেবারে বলছিল দিনের আলোর মধ্যে আফগান সীমান্ত পার হতে না পারলে সমস্যা হবে। যদিও সবকিছু তো আর নিয়ম মেনে হয়না। আগেও বলেছি বারংবার গাড়ি বদলের কারণে পথে অনেক সময় চলে যায়।যে কারণে আমরা প্রত্যাশামতো সন্ধ্যার আগে আফগান সীমান্ত অতিক্রম করতে পারিনি। খুব অসহায় লাগছিল ওকে। চোখে-মুখে ফুঁটে ওঠে হতাশার ছাপ। পথে মধ্যে একটা মসজিদ দেখে আমাকে দাঁড় করিয়ে ও নামাজ আদায় করতে যায়। অনেকক্ষণ ধরে নামাজ পড়ে একসময় যখন বের হয়, দেখি সঙ্গে একজন লোককে নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। কাছে এসে ওদের ভাষায় কি একটা বললো।দেখলাম লোকটা খুশি হয়ে মাথা নাড়ছেন। এবার আমাদের দুজনকে ওনার সঙ্গে যেতে ইশারা করলেন।সে রাতে ঐ ভদ্রলোক নিজের বাড়িতে আমাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। লোকটার কি অমায়িক ব্যবহার মনা, কখনও ভোলার নয়।
বুবুর কথা শুনে মনে একটা প্রশ্নের উদয় হয়। জিজ্ঞেস করি,
-আচ্ছা বুবু রফিক ভাই কি বলে ওনার কাছে আশ্রয়প্রার্থী হয়েছিলেন মনে পড়ে?আর তাছাড়া দুম করে একজন অচেনা অজানা লোককে তো আর যাইহোক কেউ ঘরে তুলবে না....
-মনে পড়ে মানে মনা খুবই মনে পড়ে। আফগানিস্তানে এসময় ভালো ডাক্তারের অভাব ছিল।
-বুবু একটুখানি থামাতে বাধ্য হচ্ছি। এখনও সেদেশে ডাক্তার বা চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতি তো হয়নি বরং যেটুকু ছিল সেটুকু আর অবশিষ্ট আছে বলে মনে হয় না।
বুবু একরাশ বিরক্তি নিয়ে,
- আরে ধুর! ওসব ভেবে আমার কোনো কাজ নেই মনা। হ্যাঁ যে কথা বলছিলাম, মুজাহিদরা তো বটেই অনেক সাধারণ লোককেও নাকি চিকিৎসার জন্য প্রায়ই পাকিস্তানে যেতে হতো। সেদিন রফিক ভাই আফগান পরোপকারী ব্যক্তিকে বলেছিল,
- আমার স্ত্রী ভয়ানক অসুস্থ।ওর চিকিৎসার জন্য আমরা ইসলামাবাদে যাবো। কিন্তু ভাই গাড়িঘোড়া ঠিকমতো না পাওয়ায় পথিমধ্যে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। এমতাবস্তায় যদি রাতটুকু থাকতে দেন তাহলে বড় উপকার হয়।
ভদ্রলোক ছিলেন খুবই দিলদার মানুষ। আমার অসুস্থতার কথা শুনে এককথায় রাজি হয়ে যান। শুধু থাকতে দেওয়া নয়,সঙ্গে সে রাতে উনি আমাদের খাওয়ারও ব্যবস্থা করেন। মেহমানদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় সে বিষয়ে বারেবারে খোঁজখবর নেন। তবে রফিক ভাইয়ের মুখে স্ত্রীর অসুস্থতার কথা শুনে ঘাবড়ে যাই। হঠাৎ কি এমন অসুস্থতার কথা বলবো, তা ভেবে চিন্তায় পাড়ি। যদিও উনি এ সম্পর্কে আর বিশেষ কিছু জিজ্ঞেস না করায় সে যাত্রায় রক্ষা পাই। যাইহোক পরেরদিন সকালেই আমরা ওনার কাছ থেকে বিদায় নিয়েছিলাম। বিদায় বেলায় রফিক ভাইয়ের মুখে শুনি, আমার জন্য নাকি ভদ্রলোক আলাদাভাবে দোয়া করেছিলেন। সেদিন ফেরার পথে বারেবারে ভদ্রলোকের নিষ্পাপ মুখটি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। লোকটার চোখেমুখে একটা শান্তভাব আমাকে খুব মুগ্ধ করেছিল। যাইহোক সকালে নতুন উদ্দ্যমে যাত্রা শুরু করে একসময় আমরা আফগান সীমান্ত অতিক্রম করি।
-আচ্ছা বুবু এই যে তুই আফগানিস্তান ছেড়ে পাকিস্তানে ঢুকলি এতে দুই দেশের বর্ডারে কোনো চেকিং হয়নি?
- হ্যাঁ হয়েছিল তবে সেসময় বর্ডারে তেমন কোনো কড়াকড়ি ছিল না। যখন ভারত থেকে পাকিস্তানের উপর দিয়ে আফগানিস্তানে গিয়েছিলাম সেসময় আমার স্বামী মুজাহিদ সব ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। আবার ফেরার সময় রফিক ভাই-ই সবকিছু সামলেছিল। ফলে বর্ডারের কড়াকড়ির মধ্যে আমাকে কখনো পড়তে হয়নি।
- বুবু আরও একটা প্রশ্ন, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বর্ডার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে দুই দেশের রাস্তাঘাট বা মানুষের জীবনযাত্রার মধ্যে আলাদাভাবে কোনো পার্থক্য কি চোখে পড়েছিল?
- না মনা দুই দেশের বর্ডার এলাকার মধ্যে চোখে পড়ার মতো তেমন কোনো পার্থক্য নেই। লোকজনের সাজপোশাক একই রকম। রাস্তাঘাট উভয় দেশেরই ধুলোময় শুষ্করুক্ষ। তবে পাকিস্তানের যত ভিতরে ঢুকেছি পরিবর্তন চোখে পড়ার মতো।যাইহোক পাকিস্তানে ঢুকে ট্রেনে করে আমরা ইসলামাবাদে পৌঁছে যাই। ওখানে অনেকক্ষণ ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল। অবশেষে একসময় আমরা দিল্লির ট্রেনে চেপে বসি। চলবে....
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:২৩