অনেকেই বলে থাকেন যে কওমী বা হেফাযতের সাথে জামাতের মওদুদীবাদ নীতির বিরোধ আছে। তাহলে হেফাযত কেন জামাতকে বাঁচানোর জন্য আন্দোলন করব? প্রশ্নটা যৌক্তিক। তবে এই যৌক্তিক প্রশ্নের বিপরীতে রয়েছে আরো বেশি যৌক্তিক উত্তর।
উত্তরটা হচ্ছে-
ওদের আদর্শগত বিরোধ থাকলেও টাকার জন্য জামাতের উপর ঠিকই নির্ভর করতে হয়। সে জন্যই হেফাযতিরা জামাতিদের নিষিদ্ধ করতেও বলতে পারছে না, বরং টাকার জন্য তাদের হয়ে কাজ করতে হয়। আপনি হয়তো বলবেন, শফি কি তাহলে জামাতিদের কাছ থেকে টাকা খায়?
শফি হয়তো টাকা খায় না। কিন্তু এই কওমি মাদ্রাসাগুলো চলেই হচ্ছে বিভিন্ন জনের অনুদানের টাকায়। আর তাদের অনুদানের সবচেয়ে বড় উৎস হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য। এই মধ্যপ্রাচ্যের সাথে আবার জামাতিদের সুসম্পর্ক রয়েছে। তাই কওমীদের অনুদানের টাকা আসে জামাত ও তাদের ব্যাংকের মাধ্যমে। সুতরাং, জামাত নিষিদ্ধের দাবি তুললে ওদের অনুদানের বিশাল উৎস হারাতে হবে। বরং, এই অনুদানের জন্যই জামাতের চাপে পড়েই তারা জামাতিদের বাঁচানোর জন্য একটা ইস্যু তুলে আন্দোলন করতে হচ্ছে।
আপনি হয়তো বলবেন তাহলে তো সরকারও টাকা দিয়ে হেফাযতকে ম্যানেজ করতে পারে। তাহলে কেন করছে না?
উত্তরটা হচ্ছে-
মধ্যপ্রাচ্যের অনুদানের তুলনায় সরকারি অনুদান খুবই অল্প। তাছাড়া সরকার হয়তোবা কিছু অনুদান দিয়ে ওদেরকে সাময়িক ম্যানেজ করতে পারে (ইতোমধ্যে ১০১ কোটি টাকা সরকারি অনুদান দেওয়ার কথা শুনা যাচ্ছে)। কিন্তু ওরা চিন্তা করছে স্থায়ী অনুদানের কথা। সরকারের সাময়িক অনুদান নিয়ে জামাতের বিরুদ্ধে গেলে ওদেরকে মধ্যপ্রাচ্যের স্থায়ী অনুদান হারাতে হবে।
সুতরাং, এরপর যদি কেউ হেফাযত আর জামাতের নীতির বিরোধের কথা বলে হেফাযতের আন্দোলনকে জামাতকে বাঁচানোর আন্দোলন হিসেবে অস্বীকার করেন তাদের জন্য কাঁঠালপাতা ছাড়া আর কিছু খুঁজে পাচ্ছি না আমি।