আমাদের দেশে হেফাযতে ইসলামের মত কিছু নব্য ইসলামপ্রেমী ইসলামের "ই"-টাও না বুঝে লাফালাফি করে। ভাস্কর্য নির্মাণকে ওরা ইসলামবিরোধি কার্যকলাপ বলে প্রচার করে ভাস্কর্য ভাঙার হুমকি দেয়। অথচ পবিত্র কুরানেই ভাস্কর্য নির্মাণের ব্যাপারে সুস্পষ্ট অনুমতি দেওয়া আছে। পবিত্র কুরানের সূরা সাবা'য় বলা হয়েছে সোলায়মান (আ)-এর নির্দেশে তাঁর অনুগত জ্বীনেরা ভাস্কর্য নির্মাণ করত।
আসুন আমরা দেখি সূরা সাবা'র আয়াত ১২ এবং ১৩-তে কী বলা হয়েছে।
আয়াত ১২:
وَلِسُلَيْمَانَ الرِّيحَ غُدُوُّهَا شَهْرٌ وَرَوَاحُهَا شَهْرٌ وَأَسَلْنَا لَهُ عَيْنَ الْقِطْرِ وَمِنَ الْجِنِّ مَن يَعْمَلُ بَيْنَ يَدَيْهِ بِإِذْنِ رَبِّهِ وَمَن يَزِغْ مِنْهُمْ عَنْ أَمْرِنَا نُذِقْهُ مِنْ عَذَابِ السَّعِيرِ
অর্থঃ আর আমি সোলায়মানের অধীন করেছিলাম বায়ুকে, যা সকালে এক মাসের পথ এবং বিকালে এক মাসের পথ অতিক্রম করত। আমি তার জন্যে গলিত তামার এক ঝরণা প্রবাহিত করেছিলাম। কতক জিন তার সামনে কাজ করত তার পালনকর্তার আদেশে। তাদের যে কেউ আমার আদেশ অমান্য করবে, আমি জ্বলন্ত অগ্নির-শাস্তি আস্বাদন করাব।
আয়াত ১৩:
يَعْمَلُونَ لَهُ مَا يَشَاء مِن مَّحَارِيبَ وَتَمَاثِيلَ وَجِفَانٍ كَالْجَوَابِ وَقُدُورٍ رَّاسِيَاتٍ اعْمَلُوا آلَ دَاوُودَ شُكْرًا وَقَلِيلٌ مِّنْ عِبَادِيَ الشَّكُورُ
অর্থঃ তারা সোলায়মানের ইচ্ছানুযায়ী দুর্গ, ভাস্কর্য, হাউযসদৃশ বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির উপর স্থাপিত বিশাল ডেগ নির্মাণ করত। হে দাউদ পরিবার! কৃতজ্ঞতা সহকারে তোমরা কাজ করে যাও। আমার বান্দাদের মধ্যে অল্পসংখ্যকই কৃতজ্ঞ।
সূরা সাবা'র অর্থ দেখতে পারেন এখানে- Click This Link
পবিত্র কুরানের বিরুদ্ধে যাওয়াতে আমরা কি বলতে পারি না, হেফাযতে ইসলাম পবিত্র কুরানের অবমাননা করেছে?
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৩