সমুদ্রস্নান করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটার ক্ষেত্রে অপর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেমন দায়ী, ব্যক্তিগত অসতর্কতাও তেমনই দায়ী। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে সরকারকে অবশ্যই এগিয়ে আসা উচিৎ। নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেমনই হোক ব্যক্তিগত সতর্কতা থাকলে দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমানো যায়। ব্যক্তিগত সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগুলো হতে পারে এমন:
১) সাগরে নামার আগে অবশ্যই স্থানীয়দের কাছে জোয়ার-ভাটার সময় জিজ্ঞাসা করে নিতে হবে। ঢেউয়ের উন্মত্ততা দেখেও জোয়ার-ভাটা বুঝা যেতে পারে।
২) সাগরে সাধারণত ভাটার সময় সময় নামা যায় না। জোয়ারের সময় হলেও যদি সাগরের কোন পাশে মানুষজনকে গোসল করতে না দেখা যায় তাহলে সেই পাশ দিয়ে কখনই নামা যাবে না। মানুষজন না থাকলে ধরেই নিতে হবে এ পাশটাতে ঘাপলা আছে। জনমানুষের ভিড় এড়িয়ে একা একা পানিতে নামা বা বালুচরে হাঁটার লোভ সামলাতে হবে।
৩) সাগরতীরে যেখানটাতে ত্রিকোণের মত সৃষ্টি হয়েছে ওই পাশটা অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।
৪) বিচে ফুটবল খেলতে গিয়ে বল দূরে চলে গেলে অর্থাৎ মানুষের আনাগোনা নেই এমন জায়গায় চলে গেলে সেই বলটির মায়া ত্যাগ করতে হবে অর্থাৎ, ফিরিয়ে আনতে যাওয়া যাবে না।
৫) আর সাঁতার না জানলে তো নামাই উচিৎ না।
সমুদ্রে গেলে এই ব্যাপারগুলো অবশ্যই মাথায় রাখবেন। ভালভাবে ফিরে আসার নিশ্চয়তা অনেকাংশেই পাবেন।