একাত্তরে -
আমার দাদুর ছিল ছয় ছেলে দুই মেয়ে!
দাদু তার কোন সন্তানকে যুদ্ধে যেতে দ্যায় নি...
আমার বাবা দেশের হয়ে যুদ্ধ করেনি ......
পারেনি মায়ের আঁচল ছেড়ে অস্ত্র হাতে নিতে।
আমার নানুর ছিল চার ছেলে তিন মেয়ে!
নানু তার সন্তানদের নিয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলো...
কাপুরুষতা আমার রক্তে ছিল বলে.........
চল্লিশ বছর পরও,
স্বাধীনতার আড়ালে আজ আমি বন্দী,
আমার বাবাকে খুন করে,
আমার মা বোনকে ধর্ষণ করে,
অপরাধী হাসে......বিজয় চিহ্ন দেখায়......
তিনশো খুন করে সে বেঁচে যায়...
আমি প্রতিবাদ করতে পারিনা।
তার অপকর্মের যন্ত্রণা সইতে না পেরে আমার বোন ফাঁসি নেয়......
তার ফাঁসি হয়না......
লোকের চোখ রাঙ্গানোকে ভয় পেয়ে, কঠোর আদেশের দেয়ালে আটকা পড়ে,
আজ আমি কেবলই একজন ভার্চুয়াল বাঙ্গালী......
শাহবাগ এ সবার সাথে প্রতিবাদ জানানো হলোনা।
কসাই মোল্লার ফাঁসি চেয়ে আলো জ্বালানো হলোনা।
নিজের ঘরে বাতি নিভিয়ে দিলাম,আলো জ্বালালাম...
জানিয়ে দিলাম আমিও আছি প্রতিবাদীর দলে...
তবু মনে শান্তি নেই...
কারণ আমি জানি,এই প্রতিবাদের কোন মানে হয়না...
আমার সীমাবদ্ধতা অনেক,
এখনও আমি পরাধীন,
তাই ফ্রন্ট-এ থেকে যুদ্ধ করার ইচ্ছা অন্তরে লালন করি ঠিকই,
করে দেখাতে পারিনা...
দপ করে জ্বলে ওঠা এই দেশপ্রেম, এই প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর
নিভে যায় ঝড়ো হাওয়ার তোপে......
কাপুরুষতা আমার রক্তে ছিল বলে.........

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


