বুকিত বিন্তাং জাফরান রেস্টুরেন্টে এই মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় মোট ৫টা স্টল বসেছিল। সবই ছিল বাংলাদেশের জনপ্রিয় খাবার। যেমন: ভাপা পিঠা, পাটিসাপ্টা, চিতই, নারিকেল পিঠা, তেলের পিঠা এছাড়াও ছিল চটপটি, ঝালমুড়ি, বোরহানি, দই, মিষ্টি, বেলের শরবত, খেজুরের রসের পায়েশ, পিরনি ইত্যাদি।
আমাদের সামুর ব্লগার জাহিদ এবং শুভ ভাই ঝালমুড়ি, চটপটি ও বোরহানি বিক্রি করেছেন। লাভ কেমন জিজ্ঞেস করতেই জাহিদ ভাই বললেন, পুঁজিও আসেনাই ভাই। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সব বেচাকেনার পর কিছুটা লাভের ভাগিদার হয়েছিলেন বেচারিরা। এর মাঝেই ইয়াকুব ভাই, নাবিল ও আরিফ ভাইও এসেছিলেন। নিচে ভিডিওর লিংক দেওয়া হইল। লুলেরা নিজ দায়িত্বে দেখবেন।
ক্রেতারা চলে যাওয়ার পর আমরা বসেছিলাম আড্ডায়। কথা হয়েছিল দেশ নিয়ে, দেশের মানুষকে নিয়ে এবং সামুকে নিয়ে। যখনি দেশের কথা উঠলো মনটা কেন জানি খারাপ হয়ে গেল সবার। কারন দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা সবাই চিন্তিত। যদিও বিদেশ বিভূঁইয়ে থাকি। আলোচনা হলো মালেশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস নিয়ে। কি বলব খুব নোংরা অবস্থা এখানকার শুধুমাত্র বাংলাদেশ দূতাবাসের। পতাকার উপরে ময়লা জমেছে, স্মৃতিশৌধে ময়লা জমেছে, অফিসের নেই কোন যত্ন। যে শ্রমিকদের পাঠানো রেমিটেন্সের উপর দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার প্রশংসনীয়। সেই শ্রমিকদের অবমাননা, অবজ্ঞা আর অবহেলা সত্যিই কষ্টের। জানিনা এ ব্যাপারে সরকার কতটুকু কি করবেন।
বিজয় দিবসে কোন আয়োজন থাকেনা। জাতীয় দিবসগুলোতে তেমন কোন কার্যক্রমই রাখ হয়না। দুতাবাসের কর্মকর্তারা মনে হয় এখানে দেশ ভ্রমণে এসেছেন। খুবই পূর্তিতে আছেন ওনারা। প্রবাসী কর্মীদের দ্বারা ওনাদের পেট চলে এ কথাটা ওনারা মনে হয় জানেনই না। কর্মীদের সমস্যা নিয়ে গেলে শোনার কেউই থাকেননা।
যাক অনেক বকবকানি হলো, এবারে আসি আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে। আমরা সামুর ব্লগাররা ঘুরতে যেতে চাই দূরে কোথাও সমুদ্র সৈকতে। ঠিক হয়ে গেল পোর্ট ডিক্সন। কেম্পিং করা হবে। রাতে সৈকতে করা হবে বিবিকিউ। যারা যারা যেতে আগ্রহী কমেন্টে জানাতে পারেন। আমরা যাচ্ছি ১০ই ফেব্রুয়ারি ফিরবো ১১ তারিখ বিকেল বেলা। আমাদের ইভেন্ট দেখতে পারেন ফেসবুকে এখানে ।
সামুতে ছবি দিতে গেলে ছবির রেজুলেশান কমানো লাগে তাই দিলামনা।
ছবি দেখতে ফেসবুকে যাইতে পারেন। এখানে ক্লিকান।
ভিডিওর লিংক এখানে
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৯