(১)

ছুড মাইয়া সোনালী তার পেরাইভেট টিচারের সাথে তিমি মাছ নিয়া কথা কইতাসিল! টিচার সোনালীরে শিখাইতেছে , "একটা তিমির পক্ষে মানুষ খাওন আসলেই অসম্ভব, ওগ গলার ফাক অনেক ছুড, মানুষ গিলতে পারব না!"

সোনালী মাথা নাইড়া কইলা, "জিনিরে তিমি মাছ গিইলা খাইয়া ফেলাইসে!"

খুব বিরক্ত হইয়া টিচারে আবারও কইল একটা তিমির পক্ষে মানুষ খাওন অসম্ভব, ওগ মানুষ গিলার মত কন্ঠনালী নাইগা!

ছুড সোনালী কইল," আমি যখন বেহেশ্‌তে যামু তখন জিনিরে গিয়া জিগাইয়া আমু!"

টিচার জিগাইল," জিনি যদি নরকে যায় তাইলে কি হইব!"

ছুড সোনালী," তাইলে তুমি গিয়া জিগাইও!" :


(২)

সাজু, শান্ত, পান্না একলগে কনভেনশনে গিয়া একটা বিশাল স্যুটে থাকনের জায়গা পাইল, ৭৫ তালা উচু বহুতল ভবনের উপরে। সারাদিন মিটিং কইরা বেহাল অবস্থা, লিফটের কাছে আইসা শুনে যান্ত্রিক গোলযোগের কারনে কোন লিফ্‌ট-ই চলব না! তাগ হাইটা ৭৫ তালার উপরে উঠন লাগব! সাজু শান্ত ও পান্নারে কইল ," চল একটা কাম করি। এই বিরক্তিকর কামটারে মজাদার কইরা তুলি! আমি জুক্‌স কমু ২৫ তালা উঠনের সময় পর্যন্ত, শান্ত বাকী ২৫ তালা পর্যন্ত গান গাইতে থাকব আর পান্নায় ৫১ তালা থেইকা শুরু করব ট্রাজেডী মার্কা গল্প কওন! তাইলে খুব সুন্দরভাবে টাইমডা পার হইয়া যাইব!

ভালা বুদ্ধি সবাই রাজী! ২৬ তালায় উঠনের পর সাজু জুক্‌স বলা বন্ধ করছে এবং শান্ত ওর সূরেলা গলা দিয়া সায়ানের গান গাওয়া শুরু করছে! ৫১ তালায় উইঠা যখন শান্ত গান বন্ধ করছে তখন পান্নায় কইল," আমি আমার নিজের দু:খের ট্রাজেডী গল্পটাই প্রথমে কমু!
" আমি আমগ স্যুটের চাবী গাড়ীতে ফেইলা আইসি!


(৩)

ডাক্তার, আমি যখনই কেক খাই তখনই বুক জ্বইলা পুড়তে থাকে!
"তুমি প্রথমেই মোমবাতি নিভাইয়া নাও তো?"
....।