সুরন্জিত সেন গুপ্ত। জাতে ব্রাহ্মন। পৈতা পরলেও, না পরলেও। তাই তো তার এত অহমিকা। বামুনের ছেলের আবার পাপ কিসের? অবতারের খাস পেয়াদা! না! নিজেই অবতার। পাপ পূন্যতো যতসব নম:শূদ্র বা যবনদের কারবার। তাই তো দাদার এত অহমিকা। গরিমা। লোকেরা তার বিশেষন দিয়েছে 'অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান।' কথা সত্যি। আরো সত্যি হল উনার এক পেয়ারের অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান এখন জেলে। আরেকজন রাস্ট্রের পুলিশ বিভাগের অধ:স্তন কর্মীর হাতে রাস্তায় পিটুনি খেয়ে আমেরিকা থেকে সদ্য ঘা শুকিয়ে এলেন! বাবু সুরন্জিতের চেহারা খুবই বদখত। তবে উনার বাক্যালাপ, তর্জনীর নাচন, মুখমন্ডলের পেশীসমূহের বিকৃত সঞ্চালন তাকে আরো কদাকার করে তুলে। অন্তত: টিভিতে আমাদের তাই মনে হয়। বাবু জগতের কাউকে ছেড়ে কথা বলেননা। উনার ভগবান সংসদ। সংসদ, সংসদীয় কমিটি, কার্যপ্রণালীবিধি এসবের হাকীকত উনি ছাড়া আর কেউ বুঝেননা। উনি আর কিছু মানেননা। আইন, বিচার, পুলিশ, ট্রাফিক ল, সামাজিক সৌজন্যতা, ভিনমতের জন্য শ্রদ্ধা- কিছুই না। তাই তো ধৃত চোরকে ছেড়ে দেবার জন্য থানায় চাপ দেন। তা না চাপ দিয়ে ছাড়িয়ে নেন। উনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কাঙ্গাল। তবে সাংবাদিকরা লেখা পড়া জানেনা বলে আফসোস করেন।
আওয়ামীতঞ্চকতাবাদের শেষ সময়ে একটি হালুয়ার ডেকচি পেলেন। আর সময় কম বলে তাড়াতাড়ি খেতে গিয়ে লেজে-গুবরে করে ফেলেন। মুখে চোখে একাকার।
উনার লেংটি খুলে পড়ে গেল!
চু! চু!!