...নিম পাতার ফাক দিয়ে ভোরের আলোটা প্রতিদিন মুখের উপর পড়ে। ভোরের হাল্কা ঠান্ডা বাতাসে শরীরটা কেপে উঠে ঘুম ভাঙ্গে আমার। শরীরের ডানদিকটার অসহ্য ব্যথা নিয়ে উঠে বসি আমি। গত দেড় মাসের রুটিন হয়ে দাড়িয়েছে এটা। জানি আরও কয়েক মাস এভাবেই হয়ত পরে থাকতে হবে। গত কদিনে জরের ডিগ্রিটা কমে ১০২ এ গিয়ে ঠেকেছে। পুরো শরীরটা মনে হচ্ছে আলুর মতো সেদ্ধ হয়ে গেছে আর একটা সোদা গন্ধ বের হচ্ছে। একটা দিক সুখকর যে ডাক্তারের সূচ আমার পিঠকে এফোড় ওফোড় করলেও কোনো অনুভূতি হচ্ছে না, মনেহয় এই সেদ্ধ হওয়ার কারনেই। সাড়ে পাচঁটায় রূটিন মাফিক একবাটি দুধ আর পাউরূটি আর কতগুলো ওষূধ একসাথে গেলা। আমার ঘরটা রাস্তার সাথে হওয়ায় বাইরের অনেক অচেনা মুখগুলো চেনা হয়ে উঠছে দিনে দিনে। বিশেষ করে ছোট ছোট বাচ্চাগুলো মুখ ভার করে স্কুলে যাওয়ার চিএ,আমিও তো এরকমি ছিলাম! মা এর আঁচল ধরে স্কুলে যেতাম, মায়ের আঁচলেই লুকিয়ে থাকতাম। সকাল ৮টায় একজন বের হতো তবে শুধুই ভাললাগা অন্যকিছু নয়। আসলে প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন মুখ আর ভোরের সজীবতা, সবকিছু অনন্য লাগতো আমার কাছে। আমার জন্য এখন পেপার রাখা হয় বাসায়, কোনো কাজ নেই, বসে বসে শুধু আকাশ আর মায়ের বিচলিত মুখ দেখা। সারাদিন পর বাবার দেখা, তার খুটিনাটি আদর আর বুকের মাঝে আকরে থাকা। এভাবে কোনদিনই আমি এত অসুস্থ থাকিনি। বিধাতা মনেহয় রাগ করেই এত বড় রোগ চাপিয়ে দিয়েছে আমার অপর। দোষতো অবশ্যই ছিল, কোনদিন কোনকিছুই কেয়ার করিনি, মনে যা এসেছিলো তাই করছি। আসলে মনটাকে কখনই বেধে রাখতে পারিনি আর কখনও পারব কিনা সন্ধেও আছে। তবে কোন কাজে খারাপ কিছু মনে হলে সাথে সাথে খোদার কাছে ক্ষমা চেয়েছি এবং কথা রাখার চেস্টা করে যাছি। মনেহয় অনেক কথাই রাখা হয় নি বা রাখতে পারিনি তাই এই অবস্থা! এই মূহূর্তে আমার সবকিছু নিয়েই ভাবা বেড়ে গেছে, কি আর করব ভাবা ছাড়া! এমনিতেই একটু বেশিই ভাবি আমি, অতীত বর্তমান বা ভবিষ্যত সব নিয়েই। তবে এই ভাবাতে কাজ হয় না কারন প্রতি মূর্হুতেই ভাবাটা পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। আমি আমার জ্ঞান, বুদ্ধি, কাজ, ক্ষমতা সবকিছু টের পেলেও কিন্তু কোনটাই আমি ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারিনি, মনেহয় প্রতি মূহুর্তে পরিবর্তনশীল এই মনের কারনেই। তবে একটি ধারনা দাড় করিয়েছি, যে মানুষের প্রতিটি কথার পেছনে একটি হ্যা ও একটি না ধারনা জন্ম দেয়। যারা বুদ্ধিমান আর সংযত তারা হ্যা কে খুব সহজেই ধরতে পারে আর আমি হ্যা না য়ের মাঝেই থাকি ফলে কোন কিছু, কিছুই হয় না। থেকে যাই ঘোরের মাঝে, বদ্ধ ঘরে...
আলোচিত ব্লগ
বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...
বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।
১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন
৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।