চুপচাপ লিফট বেয়ে নিচে নেমে আসলাম। গেটের কাছে দাঁড়িয়ে ১৫-২০ মিনিট, আর সহ্য হচ্ছিল না। একদিকে তোমার কথা মনেকরে আবার ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন “বৃষ্টিতে ভেজা যাবে না”। আবোল-তাবোল চিন্তা করতে করতে সার্টের হাতাটা গোটালাম।দাড়োয়ান বলল,“সত্যিই বের হবেন?” আমি বললাম, “একটু ভিজি, বছরের প্রথম কালবৈশাখী, মিস করা ঠিক হবে না”।সাথে তিনদিন কথা না বলার চাপতো একটু ঠান্ডা হবে!বাইরে বেরিয়ে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে গেলাম, মোবাইলটা বেজে উঠল। তোমার কথা মনে পরতেই ফোন! একটু খুশিতেই আশাহত, শিমুলের ফোন, “রক্ত রেডি তো?” হেসে উত্তর দিলাম, “সব রেডি, কাল, কখন?” ব্যস মনটা আবার আগের মত তবে প্রাইভেট কারগুলো যখন তার চাকা দিয়ে সব ভিজিয়ে দিতে লাগলো তখন মজা শুরু হলো। বৃস্টিরজল চুল বেয়ে গালে নামতে লাগলো সাথে এক শীতল অনুভুতি, আচ্ছা ভেজা চুলে আমায় কেমন দেখায়? পাশে তুমি থাকলে বলতে পারতে। তোমাকে সত্যি অনেক মিস করছি। বারেবার মনে হচ্ছিল এইতো এইবার ফোন বাজবেই। ভেজা জিন্স প্যান্টের ভারে হাটতে পারছিলাম না।নিওন আলোর দীর্ঘ লাম্পপোষ্ট আর হাস্নাহেনার গন্ধ! ধানমন্ডি ৫ নম্বরের পথ ঘেসে হাটু পানিতে পথশিশুদের জলখেলা, মনে হচ্ছিল নেমে যাই ওদের সাথে। কি জানি নেই ভাবতে ভাবতেই চশমার কাচ ঘোলা হয়ে এলো।শরীরে একটা শীতল কাপুনি বেড়ে উঠল, একটু ক্লান্ত মনেহল তবুও উপায় নেই। ছুটলাম অদিতিদের বাসায়, এই অবস্থাতেই পড়াতে হবে।কলিংবেল দিয়ে শেষবার মোবাইলটা দেখলাম, মুচকি হেসে পকেটে ভরলাম। ওর ফোনটা হয়তো কখনই আর আমার জন্য বেজে উঠবে না...
২২শে অগাস্ট,২০০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




