somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চতুর্দশ পর্ব - ফটুক তোলা শিখতে চাইলে আমার শিষ্যত্বগ্রহন করো.....

১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
কবিগুরু বলেছেন - "আলো আমর আলো ওগো আলোয় ভূবন ভরা ..."
গ্রামীনফোন বলেছেন - "আলো আসবেই .."


আসো আজকে আলো নিয়া কিছু আলোকপাত করি ...

ফটোগ্রাফির কর্মযজ্ঞে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হইলো এই আলো, আর এই জন্য এইটার নাম আলোকচিত্র । আলোর সাহয্য ব্যতীত কোন কোন ছবি ভালভাবে ফুটিয়া উঠে না । আর এই আলো নিয়া খেলা করাটা হইতেছে আলোকচিত্রশিল্পীদের পছন্দের বিষয়।


বলা হইয়া থাকে একখানি ভাল ছবির জন্য প্রয়োজন হয়
- একটা ক্যামেরা
- সঠিক পরিমাণের আলোর প্রবাহ,
- ছবির ফ্রেম বা ও রচনা কৌশলের ধারণা
- একজন আলোকচিত্রশিল্পী।



সঠিক মাত্রার আলো একটা সুন্দর, স্বচ্ছ, ঝকঝকে এবং দৃষ্টিনন্দন ছবি নিশ্চিত করিবে পরিমিত মাত্রার আলোয় তোলা ছবিতে ফটোগ্রাফের অন্যান্য কিছু বিষয় যেমন গ্রেস্কেল বা কালার টোন, ঔজ্জ্বল্য, রেজ্যুলেশন সবকিছু নান্দনিকতার সহি ফুটিয়া ওঠে।


প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়াদি যেমন -পরিবেশগত ভাব, আবহাওয়ার গতি-প্রকৃতি এবং সর্বোপরি ত্রি-মাত্রিক ধারণা অর্থাৎ স্থান, দূরত্ব, বিন্যাস ও কাঠামো, বুনট, আবয়ব, নকশা, সহ সবকিছু সঠিক ও সুচারুভাবে ছবি ফুটিয়া ওঠে। সুতরায় আলো ব্যাপারে সাবধান থাকিবে সব সময়।



ফটোগ্রাফিতে সঠিক আলো দুইটা উপাদানের উপর নির্ভরশীল হইয়া থাকে এইটা হইলো এই আলোর মান আর অন্যটা হইলো আলোর পরিমান।

আলোর পরিমাণ- এইটা নিরুপণ করা হইয়া থাকে আলোর প্রজ্জ্বলন মাত্রা বা ইনটেনসিটি অফ ইল্যুমিনেশন দিয়া আর সেইটা পরিমাপের একক হইলো “লাক্স”।
আলোর মান - এইটা পরিমাপ করা হয় আলোর অন্তর্নিহিত রঙের তাপমাত্রা (টেম্পারেচার অফ লাইট) দ্বারা এবং যার পরিমাপের একক হলো “ডিগ্রী কেলভিন”।



ফটোগ্রাফিতে আলোর পরিমাণের প্রয়োগ নির্ভর করিয়া থাকে - ক্যামেরার লেন্স, সেন্সর ইল্যুশন সৃষ্টির দক্ষতা, ভাব, স্টাইল ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপর। যথাযথ সমন্বয়ের মাধ্যমে একটা চমৎকার, সৃজনশীল এবং গুনগত মানসম্পন্ন ছবি সৃষ্টি হইবে। আর যদি প্রয়োজনের তুলনায় আলোর পরিমাণ কম হয়- ছবি ঘোলাটে, অস্পষ্ট, অস্বচ্ছ, অনুজ্জ্বল, অপরিস্কার হইব যাহা মোটেই কম্য নহে। অটো ফোকাস ক্যামেরার ক্ষেত্রে এ্যাপারচার খোলা থাকবে এবং ফোকাস করিতে সমস্যা হইবে । ছবি হইবে ঝাপসা এবং “ডেপথ্ অফ ফিল্ড” ভাল পাওয়া যাইবে না, মনে হবে ছবিটা সাদামাটা ও অনাকর্ষণীয় । আবার আলোর পরিমান অতিরিক্ত হইলে ছবি জ্বলিয়া যাইবে আর জ্বলে যাওয়া ছবি কখনোই দৃষ্টিনন্দন হইতে পারে না।


কিছু বিষয় জানা থাকা দরকার -

উৎস হইতে প্রতি সেকেন্ডে প্রবাহিত আলোর পরিমাণকে বলা হয় লুমিনাস ফ্লাক্স এবং ইহাকে লুমেন এককে গননা করা হইয়া থাকে। আবার একক ক্ষেত্রে পতিত লুমিনাস ফ্লাক্স-এর পরিমাণকে বলা হইয়া থাকে ইনটেনসিটি অফ ইল্যুমিনেশন এবং ইহা লাক্স এককে গননা করা হইয়া থাকে।
সুতরাং বলা যায়
ইনটেনসিটি = ফ্লাক্স /এরিয়া
ইনটেনসিটির একক সমূহ:
লাক্সমঃ ১ লাক্স = ১ লুমেন/স্কয়ার মিটার
ফুট-ক্যান্ডেলঃ ১ ফুট ক্যান্ডেল = ১ লুমেন/ স্কয়ার ফুট
ফুট-ক্যান্ডেল = ১০.৭৬ লাক্স (১ কয়ার মিটার = ১০.৭৬ স্কয়ার ফুট)
অর্থাৎ ১ ফুট-ক্যান্ডেল = ১০ লাক্স

ফটোগ্রাফিতে এই পতিত আলোর পরিমাণ বা ইনটেনসিটি দুটো বিষয় দ্বারা নিয়ন্ত্রন করা হইয়া থাকে। আলোর উৎস এবং সাবজেক্টের মধ্যেকার দূরত্ব সমন্বয়ের মাধ্যমে এবং প্রক্ষেপিত আলোর কৌণিক দূরত্ব সমন্বয়ের মাধ্যমে। চলো বিভিন্ন অবস্থায় আলোর ইনটেনসিটি এর যে তারতম্য ঘটে তাহার একখান তালিকা দেখি।

প্রক্ষেপিত আলোর উৎস ----------- ইল্যুমিনেশন (লাক্স)
ডাইরেক্ট সানলাইট ----------------- ১০০,০০০
ফুল ডে-লাইট --------------------- ১০,০০০
ওভারকাস্ট ডে ---------------------- ১,০০০
ভেরী ডার্ক ডে ---------------------- ১০০
ট্যুইলাইট - ----------------------- ১০
ফুল মুন -------------------------- ০.১
কোয়ার্টার মুন-------------- ------- ০.০১
স্টারলাইট ------------------------ ০.০০১
ওভারকাস্ট স্টারলাইট ---------------- ০.০০০১



অন্যান্য পর্ব

সেন্টার অব ইন্টারেষ্ট Center of Interest

সিমিট্রি Symmetry

রঙ Color

স্পেস Space

Texture বা বুনট

প‌্যাটার্ণ বা নকশা Pettern

আবয়ব বা Form

আকৃতি বা shape

গোল্ডেন রেশিও Golden Ratio

রেখাকৃতি বিষয় বা Line

রুল অব থার্ড Rule of Third

Balance

Angle of view

Get Closer

Fill the frame

ক্যামেরা কেমনে ধরা হয়
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৯
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×