গ্রামীনফোন বলেছেন - "আলো আসবেই .."
আসো আজকে আলো নিয়া কিছু আলোকপাত করি ...
ফটোগ্রাফির কর্মযজ্ঞে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হইলো এই আলো, আর এই জন্য এইটার নাম আলোকচিত্র । আলোর সাহয্য ব্যতীত কোন কোন ছবি ভালভাবে ফুটিয়া উঠে না । আর এই আলো নিয়া খেলা করাটা হইতেছে আলোকচিত্রশিল্পীদের পছন্দের বিষয়।
বলা হইয়া থাকে একখানি ভাল ছবির জন্য প্রয়োজন হয়
- একটা ক্যামেরা
- সঠিক পরিমাণের আলোর প্রবাহ,
- ছবির ফ্রেম বা ও রচনা কৌশলের ধারণা
- একজন আলোকচিত্রশিল্পী।
সঠিক মাত্রার আলো একটা সুন্দর, স্বচ্ছ, ঝকঝকে এবং দৃষ্টিনন্দন ছবি নিশ্চিত করিবে পরিমিত মাত্রার আলোয় তোলা ছবিতে ফটোগ্রাফের অন্যান্য কিছু বিষয় যেমন গ্রেস্কেল বা কালার টোন, ঔজ্জ্বল্য, রেজ্যুলেশন সবকিছু নান্দনিকতার সহি ফুটিয়া ওঠে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়াদি যেমন -পরিবেশগত ভাব, আবহাওয়ার গতি-প্রকৃতি এবং সর্বোপরি ত্রি-মাত্রিক ধারণা অর্থাৎ স্থান, দূরত্ব, বিন্যাস ও কাঠামো, বুনট, আবয়ব, নকশা, সহ সবকিছু সঠিক ও সুচারুভাবে ছবি ফুটিয়া ওঠে। সুতরায় আলো ব্যাপারে সাবধান থাকিবে সব সময়।
ফটোগ্রাফিতে সঠিক আলো দুইটা উপাদানের উপর নির্ভরশীল হইয়া থাকে এইটা হইলো এই আলোর মান আর অন্যটা হইলো আলোর পরিমান।
আলোর পরিমাণ- এইটা নিরুপণ করা হইয়া থাকে আলোর প্রজ্জ্বলন মাত্রা বা ইনটেনসিটি অফ ইল্যুমিনেশন দিয়া আর সেইটা পরিমাপের একক হইলো “লাক্স”।
আলোর মান - এইটা পরিমাপ করা হয় আলোর অন্তর্নিহিত রঙের তাপমাত্রা (টেম্পারেচার অফ লাইট) দ্বারা এবং যার পরিমাপের একক হলো “ডিগ্রী কেলভিন”।
ফটোগ্রাফিতে আলোর পরিমাণের প্রয়োগ নির্ভর করিয়া থাকে - ক্যামেরার লেন্স, সেন্সর ইল্যুশন সৃষ্টির দক্ষতা, ভাব, স্টাইল ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপর। যথাযথ সমন্বয়ের মাধ্যমে একটা চমৎকার, সৃজনশীল এবং গুনগত মানসম্পন্ন ছবি সৃষ্টি হইবে। আর যদি প্রয়োজনের তুলনায় আলোর পরিমাণ কম হয়- ছবি ঘোলাটে, অস্পষ্ট, অস্বচ্ছ, অনুজ্জ্বল, অপরিস্কার হইব যাহা মোটেই কম্য নহে। অটো ফোকাস ক্যামেরার ক্ষেত্রে এ্যাপারচার খোলা থাকবে এবং ফোকাস করিতে সমস্যা হইবে । ছবি হইবে ঝাপসা এবং “ডেপথ্ অফ ফিল্ড” ভাল পাওয়া যাইবে না, মনে হবে ছবিটা সাদামাটা ও অনাকর্ষণীয় । আবার আলোর পরিমান অতিরিক্ত হইলে ছবি জ্বলিয়া যাইবে আর জ্বলে যাওয়া ছবি কখনোই দৃষ্টিনন্দন হইতে পারে না।
কিছু বিষয় জানা থাকা দরকার -
উৎস হইতে প্রতি সেকেন্ডে প্রবাহিত আলোর পরিমাণকে বলা হয় লুমিনাস ফ্লাক্স এবং ইহাকে লুমেন এককে গননা করা হইয়া থাকে। আবার একক ক্ষেত্রে পতিত লুমিনাস ফ্লাক্স-এর পরিমাণকে বলা হইয়া থাকে ইনটেনসিটি অফ ইল্যুমিনেশন এবং ইহা লাক্স এককে গননা করা হইয়া থাকে।
সুতরাং বলা যায়
ইনটেনসিটি = ফ্লাক্স /এরিয়া
ইনটেনসিটির একক সমূহ:
লাক্সমঃ ১ লাক্স = ১ লুমেন/স্কয়ার মিটার
ফুট-ক্যান্ডেলঃ ১ ফুট ক্যান্ডেল = ১ লুমেন/ স্কয়ার ফুট
ফুট-ক্যান্ডেল = ১০.৭৬ লাক্স (১ কয়ার মিটার = ১০.৭৬ স্কয়ার ফুট)
অর্থাৎ ১ ফুট-ক্যান্ডেল = ১০ লাক্স
ফটোগ্রাফিতে এই পতিত আলোর পরিমাণ বা ইনটেনসিটি দুটো বিষয় দ্বারা নিয়ন্ত্রন করা হইয়া থাকে। আলোর উৎস এবং সাবজেক্টের মধ্যেকার দূরত্ব সমন্বয়ের মাধ্যমে এবং প্রক্ষেপিত আলোর কৌণিক দূরত্ব সমন্বয়ের মাধ্যমে। চলো বিভিন্ন অবস্থায় আলোর ইনটেনসিটি এর যে তারতম্য ঘটে তাহার একখান তালিকা দেখি।
প্রক্ষেপিত আলোর উৎস ----------- ইল্যুমিনেশন (লাক্স)
ডাইরেক্ট সানলাইট ----------------- ১০০,০০০
ফুল ডে-লাইট --------------------- ১০,০০০
ওভারকাস্ট ডে ---------------------- ১,০০০
ভেরী ডার্ক ডে ---------------------- ১০০
ট্যুইলাইট - ----------------------- ১০
ফুল মুন -------------------------- ০.১
কোয়ার্টার মুন-------------- ------- ০.০১
স্টারলাইট ------------------------ ০.০০১
ওভারকাস্ট স্টারলাইট ---------------- ০.০০০১
অন্যান্য পর্ব
সেন্টার অব ইন্টারেষ্ট Center of Interest
সিমিট্রি Symmetry
রঙ Color
স্পেস Space
Texture বা বুনট
প্যাটার্ণ বা নকশা Pettern
আবয়ব বা Form
আকৃতি বা shape
গোল্ডেন রেশিও Golden Ratio
রেখাকৃতি বিষয় বা Line
রুল অব থার্ড Rule of Third
Balance
Angle of view
Get Closer
Fill the frame
ক্যামেরা কেমনে ধরা হয়
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৯