আমার মুরগী চুরির ইতিহাসটা মনে হলে এখনো মনটা ঝলোমলো করে । ইশ অমন কইরা যদি আবারো চুরি করতে পারতাম । কি যে মজা হইছিলো সেদিন । আহা....................
শহীদুল্লাহ হলে থাকতাম তখন । সন্ধ্যায় গিয়েছিলাম এক বন্ধুর বাসায় মোহাম্মদপুরে আমি আর আমার বন্ধু রফিক । ওখান থেকে বের হয়েছি রাত ৯টার দিকে । বের হয়ে সলিমুল্লাহ রোড দিয়ে হাটতে হাটতে বাস স্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছি,দুইজনকে ভীষন প্রকৃতি ডাকাডাকি করতেছে সারা না দিয়া উপায় নাই । সলিমুল্লাহ রোডের কোণায় একটা বাস দাড় করানো ছিলো দুইজন দুই সাইড দিয়া ঢুকলাম বাসের চিপায় । ওইখানে দেখি আমাদের দুইজনের মাঝ দিয়া মোরগ একটা দৌড়াদৌড়ি করতেছে,বেচারা পড়ছে আমাদের চিপায় । আর যায় কই দুইজনে মিলে ধরলাম । ধরেই নিয়ে চলে গেলাম টাউন হল মার্কেটে ।
অনেক রিকোয়েস্ট করে ওটাকে কাটালাম । ব্রয়লার হাউজে দেশী মুরগী কাটতেই চাচ্ছিলো না । যাইহোক কাটিয়ে ওটা নিয়ে গেলাম হলে । যাওয়ার সময় মশলা কিনে নিয়ে গেলাম ।ক্যান্টিনে গিয়ে মশলা বাটালাম,হাড়িপাতিল নিলাম । অন্য একরুম থেকে হিটার ম্যানেজ করলাম । তখন পুরা ব্লকে খবর হয়ে গেছে আমাদের রুমে মুরগী রান্না হচ্ছে আজকে । আর যায় কই, ওই ব্লকের সবাই চলে আসছে রুমে । তবলা গিটার নিয়ে একদিকে গান চলতেছে অন্যদিকে চলছে রান্না । আহা কি ঘ্রান রে ......
চাদা তোলা হলো পরোটা আর ড্রিংকস আনার । আমাদের বিখ্যাত সাফা ভাই দিলেন পরোটার টাকা,রাকিব ভাই দিলেন ড্রিংকসের টাকা । পরোটা আনলাম ৪০ টা আর ২ লিটারের ২টা সেভেনআপ ।
খেতে বসার সময় দেখলাম আমরা টোটাল ৩১জন । গোল হয়ে বসলাম সবাই । মুরগী একটা আর খাওয়ার লোক ৩১ জন । বোঝেন ঠ্যালা । তবে ঝোলের কোনো কমতি ছিলোনা । পানি দিছিলো রফিক মোটামুটি এক পাতিল । ওই ঝোল দিয়ে আর ২/৩জন মিলে এক টুকরা করে মাংস নিয়ে ভাগাভাগি করেই খেলাম । রাত ৩টা পর্যন্ত চললো আমাদের খাওয়া দাওয়া । কি মজা যে হয়েছিলো সেদিনকার রান্নাটা, মনে পড়লে এখনো জিভে পানি চলে আসে ।