অনেকদিন ব্লগে কিছু লেখিনা আজকে Click This Link পোষ্টিংটা দেখে একটা ঘটনা মনে পড়ে গেলো । মনে হল কষ্ট হলেও লিখেই ফেলি ।
অনেকদিন আগের কথা,১৯৮৯-৯০ এর দিকের হবে । তখন প্রতিবছর মাদারীপুরে অনেক জাকজমক করে ওয়াজ মাহফিল হতো । প্রধান বক্তা থাকতেন আটরশী পীরের কোনো একজন খাদেম । ওই ওয়াজের শেষে বিরানী খাওয়াতো । আমরা বিরানী খাওয়ার লোভে সবাই ছুটতাম । কখন বিরানী দিবে এই আশায় বসে থাকতাম । ওখানে যাওয়ার আরো বড় কারন ছিলো ওয়াজ শোনার কথা বলে ইচ্ছা করলে সারারাত বাসার বাহিরে থাকা যেতো,আহ কি যে স্বাধীন লাগতো সেদিন নিজেকে । যেতাম ওয়াজ শুনতে ঠিকই কিন্তু ওয়াজ শোনার কোনোরকম ইচ্ছা থাকতোনা কারো মধ্যে. সবাই আশায় বসে থাকতাম কখন ওয়াজ শেষ হবে,কখন বিরানী দিবে । অনেক অপেক্ষার পরে মাইকে ঘোষনা এলো - এখন খাবার পরিবেশন করা হবে,সবাইকে একবার প্লেটে যা দেয়া হবে সেটুকুই সবাই খাবেন,কেউ ২য় বার নেয়ার চেষ্টা করবেন না । কেউ যদি ২য় বার নেন তাহলে তার আখেরী কলেরা হবে,যেটা কোনোদিনো ভালো হবে না এবং খাওয়ার সাথে সাথে পেট ব্যাথা শুরু হবে । আমাদের কী আর একবারের খাবারে হয়!! একবারে যা দিলো তা মুহুর্তেই শেষ, আরো খেতে ইচ্ছা করতেছে, আবার হুজুর যা বলছে.........বাপরে বাপ আখেরী কলেরা । আমাদের মধ্যে একজন বললো ধুর চল আবার বসি আখেরী কলেরা হলে হোক । আমরা খাওয়ার লোভে এতো বড় রিস্ক নিতেও রাজী হয়ে গেলাম ।
পেট ভরে খেয়েদেয়ে আমরা সবাই বাড়ীর দিকে হাটা শুরু করলাম,এর মধ্যেই আমার পেটে কামড় দিছে,আমি কই খাইছেরে আমার তো আখেরী কলেরা মনে হয় শুরু হয়ে গেলোরে............... এর মধ্যে আরো একজনের একই অবস্থা । আমরা দৌড়ে একটা মাঠে গিয়ে বসে পড়লাম এক সাথে আটজন । পুরা জামাতে এর পরে প্রাকৃতিক কর্ম শেষ করে বাড়ির দিকে যেতে যেতে আমরা তো টেনশনে শেষ । আমাদের তো মনে হচ্ছে হুজুরের কথা মতো আখেরী কলেরা হয়ে গেলো । আমাগো আর বাচোন নাই রে..................
পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে ভয়ে ভয়ে টাট্টিখানায় গিয়া দেখি নাহ সবকিছু ঠিক আছে. নো চিন্তা ডু ফুর্তি ।
এরপর কোনো ওয়াজেই ২বারের নীচে খাই নাই । হেহেহেহে.........