একবিংশ শতাব্দির কৌশলি লড়াইটা হচ্ছে বুদ্ধিভিত্তক। যুগের চ্যলেন্জের মোকাবেলায় আজকের তারণ্য কে নতুন করে ভাবতে হবে। এ লড়াইয়ে আজকে সবচেয়ে ববড়ো ভূমিকা পালন ককরতে হবে আর্দশিক তরুন্যকে। তাই নিজেদের ভেতর ঐক্য আর উদারতার প্রসার ঘটানোর কোন বিকল্প নেই। রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও সংস্কৃতি অঙ্গনে আর্দশিক তরুনদের শক্তিশালী অবস্থান ছাড়া কখনো নিজেদেরকে এদেশের মূলধারায় পূর্ণপ্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। রাজনৈতিক ক্ষেত্র ইসলামী রাজনীতির সৌর্ন্দয্যকে আমরা ফুটিয়ে তুলতে ব্যর্থ হচ্ছি ফলে এদেশের উচ্চ শিক্ষিত ও আধুনিক তরুনদের এব্যপারে আগ্রহ বাড়ছেন । পরকল্পিত কাজের চেয়ে কথা ও আওয়াজ হচ্ছে বেশি।
.
কিন্তু দাওয়াত ও তাবলীগের কার্যক্রমকে মুবাল্লিগরা পরিকল্পিতভাবে তরুন ও সর্বসাধারণের সামনে পজিটিভ করে তুলে ধরতে পুরোপুরি সফল হয়েছেন । ফলে এদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গু লোতে হাজার হাজার তরুণ ইসলামের এই সৌর্ন্দয্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে নিজেদেরকে এই ককল্যানের কাজে বদলে দিচ্ছে । এর পেছনে তাবলীগ যে কাজটি করছে তা হলে তর্ক বির্তক ও ডামাডোল এর বিপরীত তারা বুদ্ধিভিত্তিক পরিকল্পিত কর্মসূচী বাস্তবায়নের পাশাপাশি তাকওয়া ও এখলাছের সর্বোচ্চ দৃষ্টিভঙ্গির লালন করেছেন। স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়ে তমুদ্দুনে মজলিস সহ এদেশের শিল্প সাহিত্য ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ইসলামিকদের একটা পরিকল্পিত কার্যক্রম ছিল। ছিল বুদ্ধিভিত্তিক ও গনমুখি কর্মসূচি ছিল চোঁখে পড়ার মতো। একাত্তরের পরবর্তি সময়ে এই ধারাটিতে নিজির্বতা চলে আসে । বিশেষ করে ৮০দশকে এসে একেবারে জিমিয়ে যায় ।
আর রাজনৈতিক , সংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কথিত স্যকুলারিষ্টরা নিজেদেরকে লাইম
লাইটে নিয়ে আসে ।
.
একবিংশ শতাব্দিতে এসে আজকের তরুণরা আবার বুদ্ধিভিত্তিক লড়াইয় ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াইয়ের জন্য নিজেদেরকে তৈরি করা ও সমকালিন চ্যলেন্জের মোকাবিলায় প্রস্তুত করা সময়ের অপরিহার্য দাবী। বিশ্বব্যাপি ইসলামিকদের দাওয়াহ, ও বুদ্ধিভিত্তিক লড়াইয়ের জয় যাত্রাকে বাধাগ্রস্থ ও পরাজিত করেতই আজ ধর্মের নাম ব্যবহার করে একটি গোষ্টি নাশকতা ও নানান মানবতা বিরোধী অপর্কম চালিয়ে যাচ্ছ। যেন গোটা দুনিয়ার কাছে ইস আমাদের সর্বোত্তম পন্থা ও কৌশলের সাথে জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করার লড়াইয়ে কাজ করা উচিত।এই দানব আমাদের হৃদয়সম প্রিয় দেশেও সর্বনাশ ডেকে আনবে। তরুনদের এক্ষেত্রে বলিষ্ট ভূমিকা বিশেষ গুরুত্ববহন করবে। নতুবা এর প্রভাবে আগামি দিনের মেধা ও চিন্তার যে সংস্কৃতিক সংর্ঘষ শুরু হচ্ছে এই সংর্ঘষেও ইসলামিকদের পতন অপরিহার্য হয়ে পরবে। যেমন গতকাল ফান্সে ভয়বহ নৃসংষ সন্ত্রসী হামলার প্রতিবাদে প্রতীকি আন্দোলন যেন একতরফা ইসলাম বিরোধীতায় পরিণত না হয় সে জন্য গোটা দুনিয়ার মুসলিম তরুনরা এর প্রতি তাদের অকুন্ঠ সমর্থন জানায়। আশার কথা হলে একটি অসম্ভব চিন্তার পরিবর্তন শুরু হয়েছে আজকের তারুণ্যের ভিতর। জাগ্রত হচ্ছে চিন্তার প্রখরতা। বিবেকের বোধ। কিন্তু এই পরিবর্তনকে বার বার বাধাগ্রস্থ করছে কিছু একঘোয়েমি চিন্তাধারা ও সংকীণ মানসিকতা ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩