বিগত জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের অবরোধ আন্দোলনের বিরুদ্ধে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ এবং ভাঙচুরসহ সরকার এবং আওয়ামী লীগ যত জোরেশোরে প্রচারণাই করুক না কেন, সেইসব প্রচারণায় বিএনপি বিশেষ করে বেগম খালেদা জিয়ার ভাবমর্যাদা এতটুকুও ম্লান হয়নি এবং তার জনপ্রিয়তাও বিন্দুমাত্র কমেনি। বরং হাজার হাজার মামলা দিয়ে, হাজার হাজার কর্মীর বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করে, হাজার হাজার নেতাকর্মীকে মাসের পর মাস ঘরছাড়া করায় বিএনপির প্রতি জনগণের সহানুভূতি বৃদ্ধি পেয়েছে। অবরোধ ও হরতালের সময় বেগম জিয়াকে যেভাবে হেনস্তা করা হয়েছে, তার ফলে বেগম জিয়ার প্রতি সব শ্রেণীর মানুষের সহানুভূতি সৃষ্টি হয়েছে এবং ব্যক্তিগতভাবে বেগম জিয়ার ভাবমর্যাদা এবং জনপ্রিয়তা উভয়ই বৃদ্ধি পেয়েছে। আওয়ামী লীগ এই দিকটা বুঝতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী জনগণের মনের কথা জানতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের কথা বলছেন এবং আরো অনেক কথা বলছেন। কিন্তু তার উপদেষ্টারা তাকে এ কথা বলছেন না যে, জুলুম ও নির্যাতনের ষ্টিমরোলার সব সময় চূড়ান্ত পরিণতিতে সরকারের বিরুদ্ধেই যায়। ভারতের সাথে বন্ধুত্বের যত কথাই সরকার বলুক না কেন, জনগণ মনে করে যে, ভারত বাংলাদেশের ওপর কর্তৃত্ব করছে এবং ভারতের দাদাগিরি এই সরকার মেনে নিয়েছে। ভারতের সব কথাতেই সায় দেওয়া জনগণ ভালো চোখে দেখছে না। বেগম জিয়ার জনসভায় যে লাখো লোকের সমাবেশ ঘটেছে, সেটা সরকারের কর্মকা-ে জনগণের নেতিবাচক সমর্থন। প্রধানমন্ত্রীকে যদি এসব কথা বোঝানো হয় তাহলে হয়তো তিনি সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মুহূর্তে নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী। তিনি চাইলে গণতান্ত্রিক সহিষ্ণুতার মাধ্যমে দেশে মোকাবিলার রাজনীতির অবসান ঘটাতে পারেন।{ দৈনিক ইনকিলাব থেকে}
বি এন পির জনপ্রিয়তা কোথায় পৌছেছে,জনগণ মাত্র একবার সুযোগ পেলেই ..............কে বুঝিয়ে দিত।সাহস থাকলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীন একবার নির্বাচন দিক, ১০% ভোট পেতে দৈনিক একশবার জনগনের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
এখন পর্যন্ত খালেদা জিয়া একবারও ৫ জানুয়ারী নির্বাচন কিংবা ২০০৮ সালের নির্বাচন অবৈধ কিংবা সরকারের পদত্যাগ দাবি কোনটাই করেনি, উনি শুধু দ্রুত একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দাবি করে আসছেন এবং সে বিষয়ে আলোচনা চাচ্ছেন। এর চেয়ে সুস্থ রাজনীতি আর কি হতে পারে ? যারা সরকারের জুলুম আর প্রতিহিংসায় বিধ্বস্থ বিএনপির সমালোচনা করেন তাদের একটু চিন্তা ভাবনা করে কথা বলা উচিত।অসুস্থ প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে ক্ষমতায় আসা একটি সরকারের কাছে সুস্থ রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও প্রক্রিয়া আশা করা যায় না। আওয়ামী লীগ পুরোপুরি পথভ্রান্ত একটি দলে পরিণত হয়েছে। 'সবার ওপরে ক্ষমতা সত্য' নীতি গ্রহণকারী পঞ্চপন্থীরা আওয়ামী লীগ নামক পুরণো বাহনের স্টিয়ারিং এ বসে আছে, এ দলটির যাত্রা ঝূঁকিপূণ, এর পথচলা সবার জন্য বিপদজনক।
বেগম জিয়ার নিকট সব সময় ভাল রাজনীতির সূত্র পাওয়া যায়। কিন্তু সমস্যা হল আমাদের সরকার নিজেদের অপকর্মের সাজা পাওয়ার ভয়ে ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। যে ভাবেই হোক বিরোধীমত দমন করতে হবে এবং নিজেদের ক্ষমতা যতদিন সম্ভব টেনে নিতে হবে।এভাবে দেশের উন্নতি সম্ভব না।সব রাজনৈতিক দলের সাথে আলাপ- আলোচনার মাধ্যমে একটি সুস্থ ইলেকশনের মধ্যে দিয়ে গঠিত সরকারই কাংঙ্খিত উন্নয়ন করতে সামর্থ হবেন।দেশকে প্রকৃত অর্থে এগিয়ে যাবেন। বিএনপি’র আহবানে সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজের মত পরিবর্তন করবেন আশা করছি।
একজন প্রবীণ রাজনিতীক অথচ বলেই রাখলেন ২০১৯ সালে জোর করে ছিনিয়ে নিয়েই তবে ভোটে পাস করতে হবে। "আপনার অবস্থা এবারের মেয়র ইলেকশনের মতো হবে।" ছিঃ এত অধপতন হল কি করে এই পুরনো দলটির। মেয়র ইলেকশন কেমন হয়েছে তা তো আমরা জানি! জোরজবস্তি করে কেন পাস করতে হবে আপনাদের? জনগণের প্রতি কি আস্থা নেই আপনাদের??
বিএনপি থেকেও অনেকে বেরোনোর চিন্তা করছেন: হানিফ
এতই বুঝতে পারছেন তবুও দিনের আলো ফোটার আগে ভোট বাক্স ভরেন কেন? কানা সরকারের বদলে একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটা নির্বাচন দিয়ে বরাই করেন। সেটাই মানাবে, সভ্য মনে হবে। এখন নির্লজ্ব ছাড়া তো কেউ লীগের নাম নেয় না।
হানিফ সাহেব, বিএনপির রাজনীতি মানুষের আশা আর আকাঙ্ক্ষা ধারণ করতে না পারলে কালের বিবর্তনে এমনিতেই হারিয়ে যাবে। আরো অনেক দলই (মুসলীম লিগ, কৃষক প্রজা পার্টি, ন্যাপ ইত্যাদি) এখন হারিয়ে গেছে। আপনাদের (আলীগ নেতাদের) সমস্যা হলো যে আপনাদের দল না হলে বা আপনাদের রাজনীতির সাথে মিল না হলে সে দলের বিলুপ্তি হতে হবে বা বিলুপ্তি হলেই আপনারা খুশী। এটা যে গণতন্ত্রের মূলধারার সাথে যায় না, সেটা বুঝার ক্ষমতা কি আপনার আছে?
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৫