আচ্ছা সময় সংক্ষিপ্ত তারাতারি পয়েন্টে আসি এখানে ইউরোপ এ থাকেন এমন অনেক ব্লগার আছেন তারা হয়ত আরো ভালো ভাবে জানবেন সমশক্তির দেশ হলেও ইংলেন্ড ,ফ্রান্স ,জার্মানি,স্পেন এরা একে অপরের দেশের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের ব্যাপারে কতটা উদ্দিগ্ন থাকেন । কোনো সরকার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তাদের নজোরদারি কেমন রাখতে হয় কেননা এর উপর নির্ভর করে তাদের নিজেদের সার্থ ।আর এখানে তো আমরা পাওনাদার আমরা অনেক কিছুই পাই তাদের কাছে কিন্তু বৃহৎ শক্তির বন্ধুটির কাছ থেকে তা আদায় করতে পারছি না ।
তো এই মুহুর্তে তিস্তার পানি ,টিপাইমুখ বাধ ,সীমান্ত হত্যা আমাদের পণ্য সামগ্রীর প্রবেশ ইত্যাদি নানা বিষয়ে আমাদের ভারতের সাথে নানা পাওনা আছে যা তারা আমাদের বুঝিয়ে দিতে গড়িমসি করছে । এক্ষেত্রে অবশ্যই প্রণব মুখার্জির রাষ্ট্রপতি হওয়া আমাদের জন্য একটি প্লাস ।
এখন হয়ত বলবেন তারা যেই ক্ষমতায় থাকুন না কেন তাদের দেশের সার্থের ব্যাপারে সবাই এক , কোনো ছার দিবে না কিংবা একজন রাষ্ট্রপতির কি বা করার আছে ভারতীয় ওই সিস্টেমে যেখানে প্রধানমন্ত্রী সব ক্ষমতা উপভোগ করেন ?
জি দুর্ভাগ্য আমাদের তাদের দেশপ্রেম সত্যি আমাদের জন্য একটি শিক্ষা । সাথে সাথে এটি ভুলে গেলে চলবে না আর যে কাওর চেয়ে অন্তত বাঙালি হিসেবে এই মানুষটার আমাদের প্রয়োজনের প্রতি কিছুটা হলেও নজোর বেশি থাকবে এবং তার সীমিত ক্ষমতার পরিসরেও তিনি অবশ্যই আমাদের দাবিগুলুর প্রয়োজনীয়তার খেয়াল রাখবেন ।এর ধারাবাহিকতায় তার এবারের সফরেও দেখেছি আমাদের দেশের প্রতি তার কিছুটা দুর্বলতা এখনো রয়ে গেছে ।
আমরা যদি হাতে গুনা কয়েকজন নেতার কাছে বন্ধুত্ব আশা করতে পারি ভারতের তাদের ভিতর প্রণব মুখার্জি একজন । মমতা ব্যানার্জির হয়ত আমাদের প্রতি আবেগ কাজ না করতে কিন্তু প্রণব বাবুর ঠিকই করবে কেননা বাংলাদেশের সাধিনতায় এরাই ছিলেন সেদিন সীমান্তের ওপারে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






