somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভ্যালেন্টাই ডে : কৃত্রিম উদযাপন সময় ফুরালেই ফুটো হওয়া বেলুনের ফুসের মতোই শেষ হয়ে যায়

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভ্যালেন্টাইন ডে আমাদের দেশে কোথাও কোথাও বিশেষভাবে পালন করতে দেখা যায়। মাতামাতি দেখা যায় কোথাও কোথাও। কেউ কেউ এতে অতি উৎসাহি থাকে। আনন্দ-স্ফূর্তিতে মেতে ওঠে। নিজেরা জড়িয়ে থাকে। অন্যকেও জড়াতে চায়। প্ত্রপত্রিকা আর টিভি চ্যালেনগুলো বিশেষ আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এই উপলক্ষে তারা নানা ধরনের বিজ্ঞাপন দেয়। বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচারের ঘোষণা দিয়ে বিশেষভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করে। প্রায় মিডিয়াই, তা ইলেকট্রনিক হোক আর প্রিন্ট মিডিয়াই হোক কমবেশি এই দিবসকে সামনে আনার চেষ্টা করে থাকে। তবে মিডিয়ার প্রায় সবাই এই দিনটি জোরেশোরে পালনে ব্যস্ত হলেও গোটা দেশের গুটিকয়েক ব্যক্তি বিশেষ এই ভ্যালেন্টাইন ডেতে সক্রিয় থাকে। এরকমই অতীতে দেখা গেছে। অথচ সাধারণভাবে অনেকেই জানে না দিনটি কেন হলো, কিভাবে হলো।

তবে আমাদের দেশে বিগত শতাব্দীর নব্বই দশকে এর উদ্ভব হয়। শফিক রেহমান যায়যায়দিন পত্রিকার মাধ্যমে ভালোবাসা দিবস নামে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেন। ফলে সমাজে আস্তে আস্তে কিছু কিছু তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এটা ডুকে পড়ে। বিশেষ করে ইউনিভার্সিটিগুলোতে। কিন্তু দেশের ব্যাপক জনগণের এর সাথে কোনো সম্পৃক্ততা না থাকলেও মিডিয়াগুলো দিনটিকে নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ দেখাতে থাকে। এই মাধ্যমগুলো দেখলে মনে হয় দেশের সকল লোকই এর সাথে জড়িত। অথচ বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। বলা যায় মিডিয়াতেই ভ্যালেন্টাইন ডে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। মিডিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমগুলো একে নিজেদের স্বার্থে লুফে নেয়।

কিন্তু কি সেই উপলক্ষ। কেন এটা আমাদের সংস্কৃতিতে ডোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা কি আসলেই সুস্থ সংস্কৃতি না অপসংস্কৃতি? প্রকৃতপক্ষে বিষয়টি হলো, পৌত্তলিকার উপর ভর করেই এসেছে ভ্যালেন্টাই ডে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে কুসংস্কার। যুবক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নাম অনুসারেই এই দিনটি। শোনা যায় তার ভালোবাসার কাহিনীটি জড়িয়ে আছে এই দিনে। দেবতাকে পুজা দেবার কথাও শোনা যায়। কুমারী যুবতীদের কুসংস্কারযুক্ত ও অশ্লীল কাহিনীও এর পিছনে শোনা যায়। চতুর্থ শতাব্দীতেই এর প্রথম ভিত বিবেচনা করা হয়। পরে দীর্ঘ কয়েক শতাব্দী নীরবতার পর ১৭শ শতাব্দীতে এসে ইউরোপে একে পুনর্জীবিত করার চেষ্টা করার হয়। সে সময় সেখানে এর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিরোধীতা ও প্রতিবাদ ওঠে। বিংশ শতাব্দীতে এসে একে আবার নতুন করে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হয়।

এই প্রচেষ্টার পিছনে ছিল বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য। পুঁজিপতিরা তাদের বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিস্বার্থকে চরিতার্থ করার জন্য বর্তমানে এর পিছনে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে। তাতে তাদের মুনাফাও উঠে আসছে ব্যাপকভাবে। আজকে দেশে দেশে ভ্যালেন্টাই ডে পালনের নামে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে দিবস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই দিনকে অনেক দেশে উদ্দেশ্যবাদীরা প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গির বিজয় হয়েছে। অথচ সাধারণের মধ্যে যারা এই দিবসটি পালনের জন্য উৎসাহি তারা শুধু আনন্দ ফূর্তির নামে নিজেদের অর্থকেই খরচ করছে। বিনিময়ে পাচ্ছে একটি অপসংস্কৃতির উপাদান। তা আবার সমাজে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে আমাদের সংস্কৃতিতে অপসংস্কৃতির উপাদানই যুক্ত হচ্ছে। সমাজ ক্রমেই জড়িয়ে পড়ছে অশ্লীলতায়। সুস্থ পরিবেশ ক্রমেই ফিকে হয়ে পড়ছে।


যারা একে ছড়িয়ে দিচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য এর মাধ্যমে শুধু বাণিজ্যিক লাভালাভ। অথচ এর ক্ষতিকর দিক বা সমাজে তা কিভাবে ক্ষতি করছে, নিজেদের কৃষ্টি কালচারে তা কিভাবে আঘাত হানছে বাণিজ্যিক চাহিদার কাছে তা বিবেচ্য নয়। এতে মৌলিক বা গুণগত কোনো লাভ তো হচ্ছেই না বরং সমাজের মৌলিক দিকগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দিবসটির কৃত্রিম উদযাপন সময় ফুরালেই ফুটো হওয়া বেলুনের ফুসের মতোই শেষ হয়ে যায়।


ভ্যালেন্টাইন ডে আমাদের দেশে কোথাও কোথাও বিশেষভাবে পালন করতে দেখা যায়। মাতামাতি দেখা যায় কোথাও কোথাও। কেউ কেউ এতে অতি উৎসাহি থাকে। আনন্দ-স্ফূর্তিতে মেতে ওঠে। নিজেরা জড়িয়ে থাকে। অন্যকেও জড়াতে চায়। প্ত্রপত্রিকা আর টিভি চ্যালেনগুলো বিশেষ আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এই উপলক্ষে তারা নানা ধরনের বিজ্ঞাপন দেয়। বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচারের ঘোষণা দিয়ে বিশেষভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করে। প্রায় মিডিয়াই, তা ইলেকট্রনিক হোক আর প্রিন্ট মিডিয়াই হোক কমবেশি এই দিবসকে সামনে আনার চেষ্টা করে থাকে। তবে মিডিয়ার প্রায় সবাই এই দিনটি জোরেশোরে পালনে ব্যস্ত হলেও গোটা দেশের গুটিকয়েক ব্যক্তি বিশেষ এই ভ্যালেন্টাইন ডেতে সক্রিয় থাকে। এরকমই অতীতে দেখা গেছে। অথচ সাধারণভাবে অনেকেই জানে না দিনটি কেন হলো, কিভাবে হলো।

তবে আমাদের দেশে বিগত শতাব্দীর নব্বই দশকে এর উদ্ভব হয়। শফিক রেহমান যায়যায়দিন পত্রিকার মাধ্যমে ভালোবাসা দিবস নামে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেন। ফলে সমাজে আস্তে আস্তে কিছু কিছু তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এটা ডুকে পড়ে। বিশেষ করে ইউনিভার্সিটিগুলোতে। কিন্তু দেশের ব্যাপক জনগণের এর সাথে কোনো সম্পৃক্ততা না থাকলেও মিডিয়াগুলো দিনটিকে নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ দেখাতে থাকে। এই মাধ্যমগুলো দেখলে মনে হয় দেশের সকল লোকই এর সাথে জড়িত। অথচ বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। বলা যায় মিডিয়াতেই ভ্যালেন্টাইন ডে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। মিডিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমগুলো একে নিজেদের স্বার্থে লুফে নেয়।

কিন্তু কি সেই উপলক্ষ। কেন এটা আমাদের সংস্কৃতিতে ডোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা কি আসলেই সুস্থ সংস্কৃতি না অপসংস্কৃতি? প্রকৃতপক্ষে বিষয়টি হলো, পৌত্তলিকার উপর ভর করেই এসেছে ভ্যালেন্টাই ডে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে কুসংস্কার। যুবক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নাম অনুসারেই এই দিনটি। শোনা যায় তার ভালোবাসার কাহিনীটি জড়িয়ে আছে এই দিনে। দেবতাকে পুজা দেবার কথাও শোনা যায়। কুমারী যুবতীদের কুসংস্কারযুক্ত ও অশ্লীল কাহিনীও এর পিছনে শোনা যায়। চতুর্থ শতাব্দীতেই এর প্রথম ভিত বিবেচনা করা হয়। পরে দীর্ঘ কয়েক শতাব্দী নীরবতার পর ১৭শ শতাব্দীতে এসে ইউরোপে একে পুনর্জীবিত করার চেষ্টা করার হয়। সে সময় সেখানে এর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিরোধীতা ও প্রতিবাদ ওঠে। বিংশ শতাব্দীতে এসে একে আবার নতুন করে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হয়।

এই প্রচেষ্টার পিছনে ছিল বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য। পুঁজিপতিরা তাদের বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিস্বার্থকে চরিতার্থ করার জন্য বর্তমানে এর পিছনে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে। তাতে তাদের মুনাফাও উঠে আসছে ব্যাপকভাবে। আজকে দেশে দেশে ভ্যালেন্টাই ডে পালনের নামে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে দিবস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই দিনকে অনেক দেশে উদ্দেশ্যবাদীরা প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গির বিজয় হয়েছে। অথচ সাধারণের মধ্যে যারা এই দিবসটি পালনের জন্য উৎসাহি তারা শুধু আনন্দ ফূর্তির নামে নিজেদের অর্থকেই খরচ করছে। বিনিময়ে পাচ্ছে একটি অপসংস্কৃতির উপাদান। তা আবার সমাজে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে আমাদের সংস্কৃতিতে অপসংস্কৃতির উপাদানই যুক্ত হচ্ছে। সমাজ ক্রমেই জড়িয়ে পড়ছে অশ্লীলতায়। সুস্থ পরিবেশ ক্রমেই ফিকে হয়ে পড়ছে।


যারা একে ছড়িয়ে দিচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য এর মাধ্যমে শুধু বাণিজ্যিক লাভালাভ। অথচ এর ক্ষতিকর দিক বা সমাজে তা কিভাবে ক্ষতি করছে, নিজেদের কৃষ্টি কালচারে তা কিভাবে আঘাত হানছে বাণিজ্যিক চাহিদার কাছে তা বিবেচ্য নয়। এতে মৌলিক বা গুণগত কোনো লাভ তো হচ্ছেই না বরং সমাজের মৌলিক দিকগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দিবসটির কৃত্রিম উদযাপন সময় ফুরালেই ফুটো হওয়া বেলুনের ফুসের মতোই শেষ হয়ে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:১৮
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×