প্রিয় দেশবাসী,
আজ আমি আপনাদের কোন রুপকথার গল্প শোনাতে আসিনি
দেখাতে আসিনি কোন রঙ্গিন স্বপ্ন
রাজার কুমার, পক্ষীরাজ সে গল্প আজ থাক
ফুল ও লতার পদ্য আজ আর বলবো না।
তবে আমি কী বলবো?
আমি কি বিদ্রোহের কথা বলবো?
প্রতিবাদী রব তুলবো?
অবিচার-অনাচার, অত্যাচারের কথা বলবো?
না না না, আমি এর কিছুই বলবো না।
আমি নিশ্চিত জানি,
আপনাদের ঘার গুজে গেছে বুকে
বুকে ঢুকে পড়েছে ভয়ালহীম
আপনারা আর কোনদিন মাথা
তুলে দাঁড়াতে পারবেন না।
আপনাদের জীহ্বা থেকে খসে গেছে শব্দ
ওষ্ঠ থেকে নির্মল ছন্দ
আপনারা আর কোন দিনই কথাই বলতে পারবেন না।
রেসকোর্স থেকে ফিরে না আসা সন্তানের
হে আমার জননীরা
সোহাগি মুছে ফেলা হে আমার বোনোরা,
আমি আর কোনদিন তোমাদের আদর, ভালোবাসা কেড়ে নেব না।
তোমাদের মাথার উপর বৃদ্ধ পিতার ছায়া থাকবে
বট বৃক্ষের মত অনাদিকাল পর্যন্ত,
তোমরা ফেলতেও পারবে না।
তবে কী করবো?
আমি কী উন্মুক্ত মঞ্চে ভাঁড় হয়ে নাচবো
প্রতিসূতি দেব মিথ্যা আশ্বাসের, বিশ্বাসের?
না, আমি জানি এসব শুনতে শুনতে বিরক্ত আপনাদের কর্ণ
তাই এসবের কিছুই আমি বলবো না।
মাউথ স্পিচ এখন আমার হাতে
আমি যা বলবো আপনারা তাই শুনবেন, শুনতে বাধ্য।
আমি বর্জ্য কন্ঠে আমার প্রেয়সীর কথা বলবো,
বলবো তার আঁচলে কতটা মায়া ছিলো,
ঠোটে ছিলো কতটা বিষ।
বলবো শাড়ির ভাজে কতটুকু পেয়েছি, কতটা ছেড়ে এসেছি।
বলবো আমার বিরহী কাতর চোখ কীভাবে গিলে খেয়েছে তার অনা বৃত শরীর।
আপনারা শুনবেন, শুনবেন কারণ শুনতে বাধ্য
শুনবেন কারণ আমি উম্মাদ হয়ে গেছি
শুনবেন কারণ মাউথ স্পিচ এখন আমার হাতে
শুনবেন কারণ আপনারা রস ভালোবাসেন
শুনবেন কারণ আপনারা পরশ্রীকাতর
শুনবেন কারণ আপনারা বেচে থাকতে ভালোবাসেন পোকা-মাকড়ের মত
শুনবেন কারণ আপনারা পরের চরিত্রে পরজীবি।
প্রিয় দেশবাসী -
আজকের এই সভায়, সম্মানিত সভাপতি
আপনাদের স্বাক্ষী রেখে অমর করে যাব আমার প্রেম কাব্য।
লাইলি- মজনু, শিরি- ফরহাদের মত আমারও প্রেম রটবে আপনাদের মুখে।
আপনারাই কলঙ্কের কালি লেপ্টে রচনা করবেন
কতগুলো রাত আমরা পাশাপাশি কাটিয়েছি গহীন অন্ধকারে।
আধিকার আদায়ের দাবী আপনাদের চাইনে
নায্য অধিকার চাইনে,
আপনারা ভক্তিতে তৃপ্ত থাকতে চান
আপনারা চান যুগে যুগে একটি অমর প্রেম কাব্য
আমি তাই দিয়ে গেলাম।
আমি আমার প্রেম কে কুলশিত করে
আমার কলঙ্কিনী প্রেমিকাকে আপনাদের সামনে ফেলে রেখে গেলাম
আপনারা দাত বসিয়ে দিন হিংস্র বন্ জানোয়ারের মত।
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমি আমার প্রেম কে উৎসর্গ করে গেলাম
আপনাদের ভীরু, কাপুরুষতার নগ্ন জলসায়।
হে দেশবাসী, সংগ্রামি তৌহিদি জনতা
আপনাদের ওষ্ঠ রুষ্ট হয়ে ওঠে কেবল
রসবতী নারী চরিত্রে রাসালো যৌবনে।
উদালা নারীর উত্তলা বক্ষ, উদাম উরুতে
আপনারা রোষে ওঠেন হিংস্র কাম বেগে।
বসিয়ে দেন বলিষ্ঠ পুরুষালি নখ নরম মাংসে
ছিড়ে খান সৌন্দর্য নারীর;
এই আপনাদের মুখে থুতু ছিটিয়ে দেই আমি।
ক্ষুদার্থ পেটে লাথি, বুকে বুট
বায়োনটে থেতলে যাওয়া ঠোট, চাকায় পিষ্ট দেহ
এসবে আপনারা কিছুই দেখেন না
যেন আপনারা জন্মাবন্ধী কিছুই শুনেন না,
যেন আপনারা ভাষাই জানেন না কোন।
শিকলের শৃঙ্খলে বন্দি হে দেশবাসী
ক্ষমতার যৌনাঙ্গ চাটা বুদ্ধিবেশ্যা, নষ্টবীর্য মাখা পতিতা
জারজ দালাল, বেজন্মা নেতা আমি আপনাদের ঘৃণা করি।
আর তাই সমস্ত দায় থেকে আপনাদের মুক্তি দিতে
আমি আমার অমর প্রেম কে
কালিমার কালি মাখিয়ে ছরিয়ে রেখে গেলাম
আপনারা বেরিয়ে পরুন,
নব বর্ষার ধারায় যেমন বেরিয়ে পরে মেরুদণ্ডহীন ঘিনঘিনে কেচো।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:২৮