somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্প ঃ ড্রাইভারের বউ (শেষ পর্ব)

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


শামচুল হক

প্রথম পর্ব পড়ার জন্য নিচে ক্লিক করুন- - -
গল্প ঃ ড্রাইভারের বউ

রুমানা এতক্ষণ চোখ বন্ধ করেই বসে ছিল। চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে বাসার সামনে এসে স্কুটার থেমেছে। ভাবি আর সাগর আগেই স্কুটার থেকে নেমে নিচে দাঁড়িয়ে আছে। রুমানা স্কুটার থেকে নিচে নেমেই ড্রাইভারের হাতে একশত টাকার নোট দিলে ড্রাইভার বিশটাকা পকেট থেকে বের করে ফেরৎ দিতে গেলে রুমানা হাত ইশারায় নিবে না বলে নিষেধ করে দ্রুত চলে গেল।

এই ঘটনার পর থেকে রুমানা বাসা থেকে খুব একটা বের হয় না। ঘরেই বসে থাকে। দরকার ছাড়া নিচেও নামে না। প্রায় একমাস এভাবেই কেটে গেল। সেদিন জরুরী কিছু জিনিষপত্র কেনাকাটার জন্য মেয়েকে সাথে নিয়ে নিউ মার্কেটে এসেছে। বোরখা পরলেও মুখে হিজাব দেয়নি। মুখ খোলা রেখেই মাথায় ওড়না দিয়েছে। মার্কেটের গেট দিয়ে ঢুকতেই পিছন থেকে কে যেন ডাক দিল, রুমানা।
রুমানার কাছে কণ্ঠটি খুব পরিচিত মনে হলো। পিছন ফিরে তাকিয়েই হতভম্ব। এ আর কেউ নয়, সেই মিন্টু। দ্রুত মুখ ঘুরিয়ে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করল, কিন্তু পারল না। মিন্টু তার সামনে এসে হাজির। ভেজা ভেজা চোখে অস্ফুট স্বরে বলল, কেমন আছো রুমানা?
রুমানা কি জবাব দিবে খুঁজে পায় না। মিন্টুর মুখের দিকে একবার তাকিয়েই নিচের দিকে মুখ করে দাঁড়ালো। মিন্টুর মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। শরীর শুকিয়ে হাড্ডিসার হয়েছে। চোখ, মুখ বসে গেছে। মিন্টুর শরীরের দশা দেখে বড় কষ্ট পেল। রুমানা কোন কিছু বলছে না দেখে মিন্টু আবার বলল, কেমন আছো রুমানা?
মনের অজান্তেই রুমানার চোখ ভিজে গেল। কান্না জড়িত কণ্ঠে বলল, দেখতেই তো পাচ্ছো কেমন আছি।
-- তোমার ছেলে মেয়ে কয়জন?
-- এক ছেলে এক মেয়ে।
-- সেদিন যে দেখলাম ওটা কি তোমার ছেলে?
-- হ্যাঁ।
-- এটা কি তোমার মেয়ে?
-- হ্যাঁ।
-- আমার কথা কি তোমার মনে পড়ে রুমানা?
-- এ প্রশ্নের কি উত্তর দিবে রুমানা বুঝতে পারে না। মিন্টুর কথার উত্তর না দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করল, তুমি কি বাড়ি গিয়েছিলে?
- - না, তোমার হাত ধরে সেই যে বের হয়ে এসেছি আর যাওয়া হয়নি।
-- কেন, যাওনি কেন?
-- যাবো কি করে জেলেই তো বারো বছর কাটালাম।
-- এখন কি করবে?
-- এখন কি করবো বুঝতে পারছি না।
-- জেল থেকে তো একমাস হলো বের হয়েছো, বাড়ি গেলে না কেন?
-- তোমার সাথে দেখা করার জন্য এই একমাস রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি।
-- আমার সাথে দেখা করে আর কি তোমার লাভ আছে?
-- তোমার সাথে দেখা করে লাভ হবে না এটা আমিও জানি, তবু তোমাকে দেখতে খুব মন চাচ্ছিল, তাই।
-- দেখা তো হলো এবার বাড়ি চলে যাও।
-- তোমাকে ছেড়ে একা যাওয়া কি সম্ভব?
-- সম্ভব না হলেও সম্ভব করতে হবে।
-- কেন?
-- কারণ আমার এখন দু’টি বাচ্চা আছে, ওদের মুখের দিকে তাকিয়েই আমাকে এখন অতীত ভুলে যেতে হচ্ছে।
-- তুমি অতীত ভুললেও আমি তো ভুলতে পারছি না।
-- তোমাকেও ভুলতে হবে।
-- তুমি এত সহজে বদলে গেলে রুমানা?
-- আমি বদলে যাইনি, আমার বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকিয়ে বদলাতে হচ্ছে। আমার জীবনের কষ্টের ভাগ ওদের উপর চাপাতে চাচ্ছি না।
-- শুধু বাচ্চাদের জন্যই কি আমাকে ভুলে যাচ্ছো?
-- হ্যা, শুধু বাচ্চাদের কারণেই। রতনকে ভালো না বাসলেও ফেলে দিতে পারছি না, কারণ রতন আমার বাচ্চাদের বাবা। তোমাকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসি, তারপরেও গ্রহণ করতে পারছি না, সেটাও আমার বাচ্চাদের জন্য।
-- তাহলে তুমি আমার সাথে আর কোন দিনই যাবে না?
-- না।
-- বাড়ি গিয়ে লোকজনের কাছে কি বলবো?
-- বলবে আমি মরে গেছি।
-- তুমি মরে গেছো একথা বললে তোমার বাবা মা কি বিশ্বাস করবে? তারা তো জানে তুমি অনেক সুখে আছো।
-- না জানে না। তোমার সাথে চলে আসার পর থেকে আমি বাবা মার সাথে কোন যোগাযোগ করিনি।
-- কেন?
-- যার হাত ধরে ঘর থেকে বের হয়েছি তার কথা জিজ্ঞেস করলে কি জবাব দিব?
-- যা সত্য তাই বলতে।
-- তোমার সত্যটাও আমার এতদিন জানা ছিল না।
-- কোন সত্যটা?
-- জেলে যাওয়ার ঘটনা।
-- এখন জানলে কিভাবে?
-- সেদিন স্কুটারে বসে তোমার মুখ থেকে।
-- আমি তো মনে করেছিলাম তুমি সব জানো?
-- না জানি না।
-- যদি সত্যিই আমার জেলে যাওয়ার ঘটনা তুমি না জানো, তাহলে মনে হয় জানার কখনো চেষ্টাও করোনি?
-- তুমি যেমন জেলে ছিলে আমিও তো সেরকম অবস্থানেই আছি। জানার ইচ্ছা থাকলেও সাহস পাইনি।
-- সত্য না জানলে মিথ্যা একটা কিছু বললেই হতো।
-- তুমি যত সহজে বললে তত সহজে বলা সম্ভব ছিল না।
-- যেটা সম্ভব ছিল সেটাই বলতে।
এর জবাবে রুমানা কি যেন বলতে যাচ্ছিল এমন সময় রতনের এক বন্ধু এসে বলল, ভাবি এখনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি করছেন? কার সাথে কথা বলছেন?

রুমানা চমকে উঠল। ভয়ে মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেল। আমতা আমতা করে বলল-- আমাদের গাঁয়ের লোক।
-- আপনার গাঁয়ের লোকের সাথে এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন কেন, বাসায় নিয়ে যান?

রতনের বন্ধুর কথায় রুমানা কিছু বলল না, শুধু একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে আস্তে আস্তে মার্কেটের ভিতর চলে গেল। মিন্টুও আর কোন কথা বলল না। রতনের এই বন্ধুকে মিন্টু ভালভাবেই চেনে। বন্ধুটিও তাকে চেনে। যেদিন মিন্টুকে বাসা থেকে মারধোর দিয়ে বের করে দেয়, সেদিন রতনের সাথে এই বন্ধুটিও ছিল। সেই তাকে মাথায় প্রথম আঘাত করেছিল।

রুমানা বাসায় ফিরে চুপচাপ শুয়ে আছে, আজ কোনো কিছুই তার ভালো লাগছে না। মিন্টুর অতীত চেহারা বার বার মনে পড়ছে। কি সুন্দর চেহারাই না ছিল। জেল খেটে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে না খেয়ে দিন কাটিয়ে মরার দশা হয়েছে। তার জন্যেই আজ তার এ দশা। নিজের চোখে তার এ দুর্দশা দেখেও কিছু করতে পারছে না।

অনিচ্ছা সত্বেও রতনকে বিয়ে করতে হয়েছিল। রতনের সাথে বিয়ে হওয়ার বারো বছর কেটে গেছে। দু’টি সন্তানও হয়েছে। তারপরেও মিন্টুকে সে ভুলতে পারে নাই। মিন্টু এতবড় সুখের সংসার ফেলে ঢাকায় এসে স্কুটার ড্রাইভার হয়েছে একমাত্র তার জন্য। এসব অতীত স্মৃতি মনে পড়ার পাশাপাশি অজানা আশঙ্কার কথাও মনে পড়ে গেল। রতনের বন্ধু রুমানাকে মিন্টুর সাথে কথা বলতে দেখেছে। যদি রতনকে বলে দেয়, তাহলে রতন না জানি কি অঘটন ঘটিয়ে বসে।

সন্ধ্যার সময় রতন বাসায় এলো কিন্তু রুমানাকে কিছু বলল না। রাতে ভাত খাওয়ার সময় বলল, তোমার মেয়ে বলল, নিউ মার্কেটে নাকি কার সাথে দেখা হয়েছিল?
কথা শুনে রুমানা চমকে উঠল, হৃৎপি›েডর রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম। তারপরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক ভাবে সামাল দেয়ার জন্য বলল, আমাদের গাঁয়ের লোক।
-- তোমাদের গাঁয়ের লোক বাসায় নিয়ে আসলে না কেন?
-- গরীব মানুষ, স্কুটার চালায়।
-- তাতে কি হয়েছে, বাসায় নিয়ে আসতে। আমরাও দেখতাম। বারো বছরে তো তোমার আত্মীয় স্বজন কাউকেই দেখতে পেলাম না।
রুমানা কি জবাব দিবে খুঁজে পায় না। প্রশ্নবিদ্ধ পরিবেশ সহজ করার জন্য বলল, বাদ দাও তো, নিজের আত্মীয় স্বজন হলে নিয়ে আসতাম, আত্মীয় স্বজন কেউ না, গাঁয়ের লোক তাই বাসায় আনা উচিৎ মনে হলো না।
-- হোক না অনাত্মীয়, গাঁয়ের লোক তো? এরপরে যদি দেখা পাও সাথে করে বাসায় নিয়ে আসবে?
-- ঠিক আছে?
রাতে এটা নিয়ে আর কোন কথা হলো না। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেই রতন কোথায় যেন চলে গেল। রুমানাকে কিছুই বলে গেল না।
দুপুরের দিকে রুমানার ছেলেটা স্কুল থেকে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসে রুমানাকে বলল, মা মা, সেই দিন যে স্কুটারওয়ালা গান গাইলো-- সেই স্কুটারওলাকে কারা যেন মেরে রাস্তায় ফেলে রেখেছে।
-- তুই কি করে চিনলি?
-- আমি দেখেই লোকটাকে চিনেছি।
-- তুই নিজের চোখেই দেখেছিস?
-- হ্যাঁ মা, আমি নিজের চোখেই দেখেছি।
-- কি ভাবে মেরেছে?
-- লাঠি দিয়ে পিটিয়ে নাক মুখ থ্যাতা করে দিয়েছে।
-- ছেলের কথা শুনে রুমানা আর কোন কথা বলল না, শুধু একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়ল।
-- ছেলেটি মায়ের দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়তে দেখে বলল, আচ্ছা মা, লোকটা বলল সে বারো বছর জেল খেটে বের হয়েছে। জেল খাটার পরও তাকে মারলো কে মা?
রুমানা চোখের জল মুছতে মুছতে বলল, কে মেরেছে আমি কি করে বলবো বাবা?
রুমানা বারবার শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখ মুছলেও চোখের জল বাঁধ মানছে না। জল গড়িয়ে গাল বেয়ে পড়ছে। মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে ছেলে বলল, তুমি কি লোকটিকে চেন মা?
-- না।
-- তবে কাঁদছো কেন মা?
-- সেইদিন সে যে গানগুলি গেয়েছে সেই গানের কথাগুলি মনে পড়ে গেল বাবা, সেই জন্য কাঁদছি।
-- লোকটি গান সুখে না দুখে গাইছিল মা?
-- মানুষটির জীবনে সুখ ছিল না বাবা।
-- তুমি কি করে বুঝলে মা?
-- তার গান শুনে বুঝেছিলাম।
বলেই আঁচলে মুখ চেপে কাঁদতে কাঁদতে অন্যরুমে চলে গেল। এখানে থাকলে ছেলে হয়তো আরো নানা প্রশ্ন করতে পারে। সে যে তার শুধু পরিচিতই নয়, একসময়ের আত্মার আত্মা খুবই ঘনিষ্ঠ ছিল, একথা ছেলেকে বলতে পারছে না। চরম সত্যটাও আজ পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে ছেলের কাছে গোপন করতে হচ্ছে।
রুমানা পাশের রুমে গিয়ে শুয়ে শুয়ে ভাবছে, তার অজানা আশঙ্কাই শেষ পর্যন্ত সত্যে পরিণত হলো। রুমানা রতনের বন্ধুকে দেখেই ভেবেছিল না জানি কোন অঘটন ঘটে! সে ভেবেছিল রতন হয়তো তার উপরেই অত্যাচার করবে, কিন্তু মিন্টুকে যে মেরে ফেলবে এটা তার কল্পনায় ছিল না।

০০০ সমাপ্ত ০০০
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮
২১টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×