বর্তমান যুগে মানুষ যতটা সময় না ফোন কলে ব্যয় করে তার চেয়ে বেশি ব্যয় করে ইন্টারনেট ব্যবহারে। শুধু সময় নয় বিলের ক্ষাত্রেও একই বিষয়। শিক্ষার্থীরা যত টাকা ব্যয় না করে কথা বলতে তার চেয়ে বেশি ব্যয় করে ইন্টারনেট ব্যবহারে। ফোন কোম্পানিগুলো প্রতি কিলোবাইট ডাটা ব্যবহারের জন্য নিচ্ছে ২ পয়সা। অর্থাৎ ১ মেগাবাইট ডাটা ব্যবহারের জন্য .০২ X ১০২৪ = ২০.৪৮ টাকা ১ গিগাবাইটের জন্য নিচ্ছে ২০.৪৮ X ১০২৪ = ২০৯৭১.৫২ টাকা। বর্তমানে প্যাকেজ ক্রয় ছাড়া যদি ১০ লক্ষ গ্রাহক ৫০০ কিলোবাইট ডাটা ব্যবহার করে প্রতিদিন তাহলে হিসাব দাঁড়ায় .০২ X ৫০০ X ১০০০০০০= ১,০০,০০,০০০/- (১ কোটি) টাকা। এভাবে প্যাকেজ না কেনার কারণে প্রতিদিন কমপক্ষে ১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মোবাইল অপারেটররা। আবার ছোট প্যাকেজ (১ গিগা বাইটের নিচে) ইন্টারনেট প্যাকেজের বিল বড় প্যাকেজের সাথে অসমজস্বপূর্ণ। কিলোবাইট (পে পার ইউজ) হিসাবে ব্যবহার করলে কি অপারেটরদের অতিরিক্ত কোন যন্ত্রপাতি বসাতে হয়? হয়না। তাছাড়া বড় প্যাকেজের কথা বলি ১ গিগাবাইট-৩০ গিগাবাইট ডাটা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাধারণত ওয়াইম্যাক্স, থ্রীজি বা আইএসপির সংযোগ ব্যবহার করে থাকেন। কোনো আইএসপি লাইসেন্স (ওয়াইম্যাক্স বা ক্যাবল) নিতে গেলে তাদের বিল নেয়ার ক্ষাত্রে কোন সীমাবদ্ধতা নেই। এই রকম কোন সর্তও বেধে হয়না। প্রতি বছর ইন্টারনেট বিল কমাচ্ছে, ৩০,০০০ টাকা থেকে বর্তমানে ৮,০০০ টাকা করা হয়েছে ১ মেগাবিট ব্যান্ডউইথ এর দাম। অথচ গ্রাহক পর্যায়ে ১ টাকাও কমেনি ইন্টারনেট বিল।
বিটিআরসির এ উদারতা কার স্বার্থে? সরকারের এ নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই। শুধু কল রেটের উপর সর্বনিম্ন-সর্বচ্চ বিল নির্ধারণ করেই তারা ক্ষান্ত।
অবিলম্বে ব্যবহার হিসাবে বিল (পে পার ইউজ) এর বিল নির্ধারণ করতে হবে। প্রতি ২০ কিলোবাইটের বিল ১ পয়সা বা তার কম নির্ধারণ করতে হবে। এছাড়া বড় প্যাকেজের ক্ষেত্রেও গিগাবাইট হিসাবে সর্বচ্চ বিল নির্ধারণ করে দিতে হবে।