আবদুল মান্নান সৈয়দ-এর কবিতা
তেস্রা জুলাই
উত্তাল আবেগে অঝোরে কবিতা লিখে যাচ্ছিলাম।
আর ঐসব খসড়া কবিতাই পড়ে শোনাচ্ছিলাম তোমাকে।
অনেক কবিতাই শুনে স্তব্ধ হয়ে যেতে তুমি।
কথা বলতে পারতে না।
আমি জোর করে দু-একটা মন্তব্য শুনতাম তোমার কাছ থেকে।
আমাদের কথা চলছিল
সকালে দুপুরে বিকেলে রাতে-সব সময়।
মুখোমুখি আর টেলিফোনে আর সেলফোনে।
কোথায়-কোথায়-না আমরা মিলেছি পরস্পর।
একটিই লক্ষ্য ছিল : লোকচক্ষুর অগোচর হয় যাতে
আমাদের কথা কেউ শোনেনি।
দেখেছে-পড়েছে আমার কবিতা।
তুমি-আমিই জেনেছি
কথা আর কবিতা দুটি আলাদা জিনিস।
যে-সব কথা তুমি আমাকে বলেছ,
আমি বলেছি তোমাকে-
তা আমি কাউকে জানাতে পারি না।
লিখতেও পারি না।
চিরকালের মতো সে-সব কথা
তোমার-আমার ভেতরে বন্দি হয়ে থাকবে।
লোকে দেখবে-পড়বে শুধু আমার কবিতা।
কবিতা যে কথার ভেতরের কথা ধরতে পারে না,
সে শুধু জানি তুমি আর আমি।
তারপর এল তোমার-আমার মধ্যে সাগরপাড়ের ব্যাধি।
আমাদের কথা শেষ।
কবিতাও লিখি না আমি আর।
কথার সঙ্গে কবিতার কি তাহলে একটা সাঁকো আছে ভেতরে?
কী জানি।
তোমার সঙ্গে দেখাও হয় না আর।
কথাও হয় না।
আমার সব উত্তালতা এখন স্থির হয়ে গেছে।
যেন কোনো জাদুমন্ত্রবলে।
খাবার সময় খাই।
শোবার সময় শুয়ে পড়ি।
ডাক্তার সাহেব সব নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন।
বারান্দায় বসে থাকি ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
গাছের কাছে গিয়ে বসে থাকি চুপচাপ।
আমার অতিপ্রিয় রঙ-চাও খাই না আর।
তারপর দেখা হলো তোমার সঙ্গে
তেস্রা জুলাইয়ে।
পরস্পরকে আমরা দেখলাম কি না জানি না।
আমরা বসে থাকলাম দুটি আলাদা সোফায়।
যে আমরা দেখা হলে হতাশ কলকণ্ঠ_
ফুটে উঠত তোমার মুখে জ্যোতি_
আমি যেন টগবগ করে ফুটতাম
কেশর-তোলা একটা ঘোড়ার মতো_
সেই আমাদের ভেতরে এখন স্তব্ধতা।
তোমাকে বলব বলে কত কিছু ভেবে এসেছিলাম_
কিছুই মনে পড়ছিল না।
কিছুই বলতে পারলাম না।
তুমিও না।
এক ঘণ্টা শুধু আমরা নিস্তব্ধ বসে থাকলাম মুখোমুখি।
আমার সামনে খাবার পড়ে থাকল।
রঙ-চা নিথর হয়ে গেল।
রাত্রি থেমে থাকল যেন বাইরে।
ঘণ্টা-মিনিটও নিশ্চল।
সময় হলে তুমি দরোজা খুলে দিলে।
আমি হাত তুললাম।
তুমি হাত তুললে।
আজ সকালবেলা একটা কথা জাগছে মনে।
একসময় আমরা শব্দ দিয়ে অনেক বাক্য তৈরি করেছি,
কবিতা লিখেছি আমি সেও শব্দ দিয়ে।
তেস্রা জুলাইয়ে নৈঃশব্দ্য কথা বলেছিল,
কবিতা লিখেছিল
মালার স্মৃতি
'মনে রাখার দিন গিয়েছে, এখন ভোলার পালা!'
প্রশ্ন আমার : ভুলতে কি পেরেছিলেন কাজী কবি স্বয়ং?
বর্ণহীন জীবনে কেউ ভুলতে পারে ভালোবাসার রঙ?
মালার স্মৃতি থেকেই যায়, যত শুকোক মালা!
আলোচিত ব্লগ
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ
গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।
... ...বাকিটুকু পড়ুন
৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…
১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন
মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট
মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'
নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ
আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন