somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্লগের আবহাওয়া একটু শান্ত হইছে মনে লয়, আহেন, আমরাও একটু বান্দরবানের পাহাড় থেইক্যা ঘুইরা আহি... শেষ পর্ব

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বান্দরবানে ভোর হচ্ছে

প্রথমপর্ব এখানে

পাহাড়ে দ্রুত অন্ধকার নামে। তাছাড়া বিবিধ কারণে পাহাড়ের বিভিন্ন দিকে যেতে বিভিন্নরকম সময় মেনে চলতে হয়। আমরা যেহেতু পথে কোথাও না থেমে একেবারে নাফাখুমে গিয়ে রাতযাপন করবো, তাই পরদিন ভোর সাড়ে চারটায় আল্লাহর নাম নিয়ে থানচির পথ ধরলাম। তবে যদি কেউ থানচি বা রেমাক্রিবাজারে রাতযাপন করতে চান, সেক্ষেত্রে তার সময়-পরিকল্পনা অন্যরকম হবে।

নাফাখুমে যেতে মোট তিন যায়গায় রিপোর্ট করতে হয়। দলে যত বেশি সদস্য থাকবে, তত বেশি সময় লাগবে। এ কারণে আপনার দেরি হওয়া মানে অন্য গ্রুপের আগে চলে যাওয়া। তাই বান্দরবান থেকে যত দ্রুত বের হতে পারবেন, ততই এগিয়ে থাকবেন। আমরা এত ভোরে বের হয়েও চিম্বুকের কাছে একটা আর্মি ক্যাম্পে প্রথম রিপোটিংয়ের যায়গাটায় এসে দেখি আমাদেরও আগে তিনটা গ্রুপ উপস্থিত!! এখানে একটা রেস্টুরেন্ট আছে। আমরা ওখানে সকালের নাস্তা সেরেছি।

এরপর নীলগীরি। নীলগীরি একটা পাহাড়ের চুড়ায় আর্মি নিয়ন্ত্রণাধীন একটা রিসোর্ট। চাইলে আপনি ওখানে থাকতেও পারেন। সাধারণ ট্যুরিস্টদের জন্য ওখানে ঢুকতে ৮০ টাকা করে টিকেট লাগে প্লাস গাড়ি পাকিংয়ের জন্য ৩০০ টাকা লাগে। আদতে পার্কিংয়ের কোনো যায়গা নেই, সামনের রাস্তাতেই রাখতে হয়।


থানচির রাস্তায় প্রচুর বাইকার ছিলো

পরবর্তী রিপোর্টিং ছিলো নীলগীরি পার হয়ে এসে একটা বিজিবি ক্যাম্পে। খুবই সুন্দর এবং সাজানো গোছানো একটা ক্যাম্প। এখানে রিপোর্টিংটা বিস্তারিত এবং আগে থেকে আনা ফর্মে চলবে না। সবকিছুই ওদের প্রেসক্রাইবড ফর্মে লিখতে হয়। সময় লাগে। ওই সময়টাতে এখানকার ক্যাফেটেরিয়া থেকে নাস্তা খেতে পারেন বা জুসবার থেকে বিশুদ্ধ ফল বা জুস চেখে দেখতে পারেন, সুভ্যেনির শপ থেকে কিছু কিনতেও পারেন। এখানে ফটোকপির মেশিন আছে। ফটোকপি করা লাগলে এখান থেকে সারতে পারেন। এখানে রিপোর্টিং শেষে একটা ফিরতি ফর্ম দেয় যেটা ফেরার সময় পথের আর্মি ক্যাম্পে জমা দিয়ে যেতে হয়।

এরপরের গন্তব্য সোজা থানচি বাজার। আমাদের নাফাখুম যাওয়ার গাইড এখান থেকে আমাদের সাথে যুক্ত হয়। এখানে আবার প্রতি ১৫ জনে একজন গাইড নিতে হয়। থানচি উপজেলা শহর। তাই এখানে মোটামুটি জনসমাগম আছে। বাজারটা খুবই জমজমাট। এখান থেকে অন্য একটা রাস্তা আলীকদম-লামা হয়ে চকোরিয়ায় এসে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইয়ের সাথে মিশেছে। আমরা ফেরার সময় এই পথে কক্সবাজার গিয়েছিলাম। এই পথেই ডিমপাহাড় আর্মিক্যাম্পের পরের রাস্তাটা সম্ভবত বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু রাস্তা। একজন সেনাসদস্য বললেন এটা ২২০০ ফিট উপরে।


থানচিবাজারে পাহাড়ি পণ্য আনা বোটগুলো

থানচি বাজারে বাঙালিসহ বিভিন্ন আদিবাসীগোষ্ঠীর মানুষের রং, চেহারা, গঠন, চরিত্র আর ভাষা মিলেমিশে নতুন একটা সংস্কৃতির জন্ম দিচ্ছে। পাহাড়ি নারী কি পুরুষ, সবাই অত্যন্ত পরিশ্রমী হওয়ার কারণে তাঁদের শরীর সম্পূর্ণ মেদহীন এবং হাত-পায়ের মাসলগুলো শক্তিশালী, লোহার মত শক্ত। গঠন দেখে খুব সহজেই পাহাড়ি আর সমতলের মানুষদেরকে আলাদা করা যায়। ও ভালো কথা, থানচির পর আর কোনো মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। থানচি পর্যন্ত আমাদের চাঁন্দের গাড়ির ভাড়া ছিলো ৬৫০০ টাকা।

থানচিতে আবারও যথাক্রমে পর্যটন, থানা ও বিজিবি, তিন যায়গায় রিপোর্টিং করতে হবে। এখানে রিপোর্টিংয়ের জন্য জনপ্রতি ১০০ টাকা লাগে। পর্যটনের রিপোর্টিংটা ওদের নিজস্ব ফর্মে সারতে হয়। সব ফর্মালিটিজ সেরে ইঞ্জিন বোটে উঠে বসুন। এই বোটগুলোর আকৃতি অন্যরকম। লম্বায় পনেরো ফিটের উপরে কিন্তু প্রস্থে টেনেটুনে ৪ ফিট হবে না। প্রতিবোটে ৪জন প্যাসেঞ্জার নেয় এরা।


এরকম লম্বা লম্বা ইঞ্জিনচালিত বোট নাফাখুমে যায়

আমরা ট্যুরের আলোচনার সময়ে কেনো বোটে আরও বেশি মানুষ নেবে না, অথবা দুজন মাঝি কেনো লাগবে, এগুলো নিয়ে একটু বিদ্রোহী ছিলাম, কিন্তু বাস্তবতা হলো- নদীতে প্রচুর পাথর থাকায় গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বোটের সামনে এবং পেছনে দুজন মাঝি না থাকলে এই বোট চালানো সম্ভব নয়। আবার ৪ জনের বেশি উঠলেও বোট চলবে না, নিচে পাথরে আটকে যাবে। তবে নদীতে পানি বেশি থাকলে হয়তো আরও দুয়েকজন বেশি ওঠা যায়। আমাদের বোটভাড়া ছিলো যাওয়া এবং আসা প্রতি বোট ৪৫০০ টাকা এবং প্রত্যেকের জন্য বাধ্যতামূলক লাইফজ্যাকেট প্রতি ৫০ টাকা। এছাড়া গাইডের জন্য ২ হাজার টাকা।

সবকিছু সেরে, পরিকল্পনার চেয়ে আধাঘন্টা এগিয়ে থেকে আমরা বোটযাত্রা শুরু করতে পেরেছিলাম ১২টার দিকে এবং রেমাক্রিবাজারে পৌঁছুতে সময় লাগলো ৩ ঘন্টার কাছাকাছি। পানি বেশি থাকলে আরও কম সময় লাগার কথা। মাঝখানে একটা বিজিবি ক্যাম্পে কিছু ফর্মালিটিজ আছে, এগুলো গাইডই করবে। সময় বাঁচানোর জন্য আমরা দুপুরের খাবার প্যাকেট করে বোটে নিয়ে নিয়েছিলাম।


সাঙ্গুনদীর এরকম বিশালাকার পাথরের মাঝ দিয়েই যেতে হয়েছে

সাঙ্গুনদীটা মূলত বিভিন্ন পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝর্ণাধারার সমন্বিত একটা রূপ। এ কারণে শুষ্ক সময়ে এসেও যথেষ্ঠই খরস্রোতা এই নদী। পুরো পথটাই নুড়ি থেকে শুরু করে ২০ ফিট চওড়া পাথরে ভরা। বিভিন্ন যায়গায় বোট এসব বড়বড় পাথরের ভেতরে সংকীর্ণ গলিপথ দিয়ে কোনোক্রমে পার হয়ে এসেছে।

রেমাক্রিবাজার বাংলাদেশের পাহাড়ে আধুনিক সুযোগ সুবিধার শেষ নিদর্শন। এখানে সম্প্রতি একটা রিসোর্টও গড়ে উঠেছে। নাফাখুম থেকে ঝিরির যে ধারাটা রেমাক্রিতে এসে সাঙ্গুর সাথে মিলেছে, এসময় ওটা শুকনো বললেই চলে। এ কারণে বোটযাত্রার এখানেই ইতি। তবে ভরামৌসুমে বোট নাফাখুমের আরও কাছে যায় বলেই শুনেছি। রেমাক্রি পর্যন্ত আসতে কয়েকটা বসতি দেখা গেল।

রেমাক্রি থেকে নাফাখুম মোটামুটি আড়াইঘন্টার হাটাপথ। পথ বলতে কখনও পানির মধ্যে দিয়ে, কখনও পাহাড়ের গা বেয়ে, কখনও ঝিড়ির পাড় ধরে...। দুরত্ব হয়তো ৫-৬ কিলোমিটারের বেশি হবে না। যদি নাফাখুমে থাকতে না চান, তাহলে আপনি রেমাক্রিবাজারে রাত কাটাতে পারেন, পরদিন ভোরে ভোরে নাফাখুম রওনা দিয়ে কিছু সময় কাটিয়ে আবার দিনে দিনেই ফেরত আসতে পারেন।


রেমাক্রিবাজার। একটু দুরে ডানদিকে দেখা যাচ্ছে গড়ে ওঠা রিসোর্ট। এখান থেকে বাঁ দিকের পথে নাফাখুম

এ এলাকার পাহাড়গুলোও সবই পাথুরে। তবে তার মধ্যেও সবুজের সমারোহ। প্রচুর গাছ। বেশিরভাগই কাঠের। এর মধ্যেই বিভিন্ন যায়গায় পাহাড় পুড়িয়ে জুমচাঁষের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। আসন্ন বর্ষায় এসব যায়গায় চাঁষাবাদ শুরু হবে। বান্দরবানের পাহাড়ি এ এলাকাগুলোতে মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গাদের বসবাস রয়েছে। এছাড়া মায়ানমার সংলগ্ন হওয়ায় আরাকানিসহ বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদীগ্রুপগুলোর অস্তিত্ব রয়েছে। তবে ট্যুরিস্টদের আনাগোনা যত বাড়ছে, পাহাড়িসহ এইসব বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আরও গহীনে চলে যাচ্ছে। এখানকার আদিবাসীরা মূলত মাতৃতান্ত্রিক। ছেলেমেয়েতে কোনো ভেদাভেদ নেই। সবাই সমান পরিশ্রমী।


জুমচাঁষের জন্য পাহাড়ের নির্দিষ্ট এলাকা পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে

নাফাখুম যেতে যেতে আমরা কদাচিৎ মানুষ দেখেছি। আমরা একটু দেরিতে যাওয়ায় এবং শবে বরাতের ছুটির একটা ফ্যাকড়া বেঁধে যাওয়ায় ট্যুরিস্ট সংখ্যাও কিছুটা কম ছিলো। এই দীর্ঘসময়ে যে প্রাকৃতিক নির্জনতা, তা শুধুই উপলব্ধীর বিষয়, বর্ণনা নয়। রেমাক্রিবাজার থেকে মিনিট চল্লিশ হাটার পর এক মারমা তরুণীর অস্থায়ী দোকান পাওয়া গেলো। এ পথে যারাই যাচ্ছে, এখানে বসে চা, বিস্কিট, কলা ড্রিংকস সেরে নিচ্ছে, বেচাকেনা খারাপ না। এদের সাথে কথা বললে এদের সরলতাটুকু বোঝা যায়, একইসাথে পাহাড়ের মানুষেরা একরোখা এবং প্রতিবাদী। কোনো অপ্রিয় কথা বা আচরণের কঠিন জবাব দিতেও দ্বিধা করে না।


নাফাখুম যেতে এরকম পাহাড়ি পথে উঠতে হবে

এভাবে পাহাড়ি বেয়ে হেঁটে হেঁটে আমরা বিকেলের দিকে নাফাখুম পৌঁছুলাম। এমনিতেই পাহাড়ে অন্ধকার নামে আগে আগে। তাই মোটামুটি পুরো রাস্তাটাই আরামদায়ক শীতলতা ছিলো। আমাদের গরমে কোনো কষ্ট হয়নি।

নাফাখুমের পাশেই একটা ত্রিপুরা পাড়া তৈরী হয়েছে, বছরদুয়েক আগেও যেটা ছিলো না। ইদানিং ট্যুরিস্ট আগমন বেশি হওয়াতেই সম্ভবত এই পাড়াটা তৈরী হয়েছে। এখানে ট্যুরিস্টদের থাকার জন্য বাঁশ ও কাঠ মিলিয়ে রুম তৈরী করা আছে, সাথে তোষক বেডশীট, বালিশ ইত্যাদি। ব্যবস্থাটা একেবারে খারাপ না। একেকটা রুমে বিশজনও থাকা যাবে বলে মনে হলো। মাথাপিছু ২০০ টাকা। আলূভর্তা, ডাল, মুরগী, সবজির মত সাধারণ খাবারদাবার পাওয়া যায়, আগে থেকে বলে রাখতে হবে। ১৫০ টাকা করে লাগে।


নাফাখুম ঝর্ণার সাথেই সম্প্রতি গড়ে ওঠা ত্রিপুরা পাড়া। এখানে অবশ্য লেখা নাফাকুং...

নাফাখুমে অনেককেই পেলাম যারা বেশ রাত করে পাড়ায় আসছে। এরা আরও দুরের অমিয়খুম গিয়ে সেখান থেকে ফিরছে। আমাদের গন্তব্য এ পর্যন্তই ছিলো। পরদিন সকালে আলো ফোটার সাথে সাথেই ফিরতি পথে রওনা হয়ে রেমাক্রিবাজারে এসে নাস্তা করেছি।


এখন জৌলুসহীন হলেও বর্ষায় নাফাখুম থাকে প্রমত্ত

ফিরতি যাত্রার বর্ণনা দেয়ার কিছু নেই। তবে কিছু বিষয় জানা থাকা ভালো।
১. পাহাড় ভ্রমণে লাগেজ ভারি না করাই ভালো। স্রেফ একটা ব্যাকপ্যাকই যথেষ্ঠ, যেহেতু এখানে নিজের ব্যাগ নিজেকেই কাঁধে করে টানতে হবে। তাছাড়া এখানে ফটোশেসনের সুযোগ নেই সেরকম।
২. কেডস এর চেয়ে স্ট্রাইপ দেয়া স্যান্ডাল উত্তম। সবচে ভালো হয়- থানচি থেকে একটা প্লাস্টিকের জুতা কিনে নিলে, এখানে ১৫০-২০০ টাকার মধ্যে পানিতে হাটার জন্য কাস্টমাইজ এক ধরনের জুতা পাওয়া যায়, ওইটাই সবচে ভালো।
৩. যারা আসবেন, আগের পর্বে দেয়া ফরম্যাট অনুযায়ী তথ্য প্রিন্ট করে ন্যাশনাল আইডির ফটোকপিসহ ৭/৮ সেট নিয়ে আসবেন, কাজে লাগবে।
৪. বান্দরবান এলাকায় ফোনের নেটওয়ার্ক নিয়ে সমস্যা আছে। শহরের বাইরে টেলিটক এবং এয়ারটেল এর নেটওয়ার্ক বেশিদুর পর্যন্ত রয়েছে। তাই টিমে কয়েকটা এ রকম সিম থাকা ভালো। থানচির পর কোনো ফোনেরই নেটওয়ার্ক নেই।
৫. নাফাখুমপাড়ায় ওদের বেডশিট ব্যবহার করতে না চাইলে সাথে করে নিয়ে যাওয়াটাই সমাধান।
৬. প্রাথমিক চিকিৎসাসামগ্রী, অডোমস এবং সানস্কিন ক্রিম সাথে রাখতে পারেন। মশার কামড় খেলে ম্যালেরিয়া হওয়ার চান্স আছে।
৭. কিছু প্রোটিন জাতীয় খাবার, যেমন খেজুর, বাদাম এগুলো সাথে রাখা ভালো।
৮. হাটার সময় পর্যাপ্ত পানি সাথে নেয়া দরকার। পথে পানি পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
৯. সন্ধ্যার পর পাহাড়ে অন্ধকারে চলাফেরা করাটা নিরাপদ। আগের পোস্টে ব্লগার চাঁদগাজীর প্রতিমন্তেব্যে একবার বলেছি, তবুও তবুও এখানে বলে রাখি। এখানে ট্যুরিস্টরা সম্পূর্ণ নিরাপদ। ট্যুরিস্টদের আগমনের ফলে স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ঘটছে, নিজেদের স্বাতন্ত্র্যবোধে অটুঁট থেকেও তাই এই ইন্টারফেয়ারকে তারা মেনে নিচ্ছে। সাধারণত গাইডের মাধ্যমে স্থানীয় গোষ্ঠীগুলোর প্রধানদের সাথে একটা যোগাযোগ স্থাপিত হয়, তাই তারা সব পর্যটকের আগমন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকে। ঝামেলা হয় মূুলত রাজনৈতিক কারণে।
১০. পাহাড়ে দলবদ্ধভাবে যাওয়াটাই উত্তম। কষ্ট কম লাগে।
১১. ২০২০ সালে ঢাকা ট্রিবিউনের একটা নিউজ দেখলাম, গত ৬ বছরে নাফাখুমে ১১জন ট্যুরিস্ট পানিতে ডুবে মারা গেছেন এবং কমপক্ষে ২০০ জন আহত হয়েছেন। সুতরাং, সাধু সাবধান।



নিজেগো বদন দেখানোর একটা ইচ্ছে ছিলো, সামু বলছে- আমার নাকি ছবি দেয়ার কোটা শেষ, কি আর কইতাম.... X((



ফটোগ্রাফার ফনিক্স হাসান ও ফটোগ্রাফার সালমান রহমান অনিক এর তোলা প্রথম দুটি ছবি উইকি থেকে নেয়া। বাকি ছবিগুলোর জন্য কৃতজ্ঞতা মারগুবুল্লাহ, রুপন, আবুসাইদ
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৫৬
৩২টি মন্তব্য ৩০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×