চরাচরে যমুনায়
অতিক্রমণের বিড়াল মৎস্য লোভে চরে এই নীলিমায়
যেহেতু আহার কাম্য, শান্তি বড়ো শান্তি লোমে ও নখরে।
অলৌকিক মাছ নয়, মাছের অধিক এক আশা জাগে মনে
পূর্বজন্মে রাত্রিচারি, তাই নক্ষত্র প্রতিভা
তার মৌন রক্তে ফোটে
এই বিড়াল আজ মনুষ্যপ্রবণ হয়ে চরাচরে ঘুরে।
আমি জলাশয়ে ঘুমাই
পরিত্যাক্ত দেয়ালে শুনি কচ্ছপের ডাক।
সাধু তুমি কেন ছুটে এলে ঋষিবেশে
কেন এভাবে তাকাও কেন এভাবে...
আমার ভয় হয় শাদা কাপড়ে আর চুলোয়।
পুড়ে পুড়ে যতোটুকু অস্থি ও সার- তাতে লোক বিনাশের স্মৃতি
তাই জন্ম নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছি পত্র ও পল্লবে।
আজ পথ বিড়াল-আলোতে ডুবে যাক।
বিড়াল শহরের কাছাকাছি
তার চোখে সর্বনাশা মাছ!
'বাল্মীকির মৌনকথন' থেকে
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:৪৬