বাহাদুরাবাদ ঘাটে রাত
নদী উৎসবে রাত। গন্ধে ভরে গেছে পা- পায়ের নিদ্রা
অথবা নদীই উপনীত প্রার্থনায়
মাতৃ তৃষ্ণায় বোনেরা কোনোকালে।
পথে পথে যে রূপ ঝুলন্ত- আজ সেই কুলপ্লাবী
মাঝখানে দেহ ভাসে।
কালো জল থেকে লভ্য- স্রোতে করি ঋণ
আমাদের যেদিন বয়স হলো
তাতে রকমারি আহার, দোকান।
আর ফল হয় ভাগ
মা শেখালো কৃৎকৌশল ভরা জ্যোৎস্নার মাঠে
তার সদা ভেজা হাত -মাতৃপাঠ
তাই গাভী দৌড়ে যায় দুধ আয়োজনে
আর মাছেদের বংশঘর -ইঞ্জিনের নৌকায়।
না আমি না তুমি কেউ হয়নি প্রকাশ এই জলবাসে
শুধু কেন্দ্রস্থিত মূলাভার জলপাইবনে
তাকে প্রশ্ন করো যে থাকে পিতার ইমেজে
নৌকা থেকে দূরাগত সকল মানবে।
বাহাদুরাবাদ কুঁজো হলো রাত্রি অবসানে
নিমজ্জিত নিদ্রাভার উর্দ্ধমুখী
এখন ঘরের টানে দরজা প্রশস্ত
গিঁট খুলে যায় রাস্তা অবনত
শুধু প্রান্তিকজন কেন্দ্রসেবী- সে চায় অধীক রূপ
তাই ফেরি ঘাটে ঘন্টা- স্থির
হাত কাটতে কাটতে সে নামলো তীরে।
'বাল্মীকির মৌনকথন' থেকে