দ্যাখেন ভাইসগোল—আমগো ফারুক ওয়াসিফ কী জিগাইছেন।
প্রেম কি দেশপ্রেমের চাইতেও বড়? প্রেম স্বয়ং কি রাজনীতি ও জীবন-মরণের চাইতে বড়?
তারপর তিনিই কইছেন নিশ্চয় বড়। বড়ই তো। নাইলে যে মেয়েটাকে ধর্ষণ করল পাকিস্তানীরা—তাগো কাছে দেহ দ্যায় কিইরা? ইহা প্রেমের কামড় রে ভাই।
এই কামড়টা খুবই তীব্র। দেখেন ভাইসগোল। ধর্ষণ শব্দটার বিরুদ্ধে আমগো চিনাবাদাম ফারুক ওয়াসিফ জাহাঙ্গীর নগরে জান কয়লা করে দিয়েছিলেন। আর আজ সেই খুনী দজ্জাল আর নারী ধর্ষণকারী পাক হানাদার বাহিনীর ধর্ষণ ক্রিয়াকে প্রেমের কীর্তি হিসাবে ঘোষণা করছেন। বলছেন--
''ধর্ষক ও ধর্ষিতা, নিহত ও হত্যাকারী কীভাবে পরস্পরকে ভালবাসতে পারে? প্রথমত, উভয়ের মন থেকে ঘটনাটির স্মৃতি মুছে ফেলে যুদ্ধ ও সংঘাতের বাইরের জমিনে তাদের নিয়ে যেতে পারলে। অর্থাৎ অভিজ্ঞতাটা এবং ইতিহাসটাকে নাই করে দিলে, সেই শূণ্য সময়, সেই ফাঁকা স্পেসে তাদের মিলবার একটা সুযোগ থাকলেও থাকতে পারে। এবং সেই ভালবাসার সাক্ষি হতে হলে দর্শকদেরও সব ভুলে যেতে হয়, চলে যেতে হয় ইতিহাস, ভূমি, মানুষ আর স্মৃতির বাইরের সেই শূণ্যস্থানে।''
হা হা হা। কতটা হারামখোর হলে লোকে ৩০ লক্ষ বাঙালির রক্ত আর ২ মা বোনের ইজ্জতের ইতিহাসকে ভুলিয়ে দিতে চায় এই ফারুক ওয়াসিফ এন্ড কোং।
একটু দম লন ভাইসগোর। আসেন—একটু গল্প করি—
বরিশালে বিবির পুকুর পাড়ে একটি বড় সাইনবোর্ড দেখেছিলাম। লেখা—যা কিছু ভাল—তার সঙ্গে দৈনিক প্রথম আলো। একদিন বেশ ঝড় হল। দেখি সাইনবোর্ডটা উল্টে পড়েছে নিচে। কিছু পোলাপান আলকাতরা দিয়ে একটু মকশো করেছে সাইনোর্ডটাতে। লেখা—যা কিছু কালু—তার লগে পেরথম আলু। সেইদিন থেকেই বাজারে আলুর মধ্যে মারাত্মকভাবে নাবিধ্বসা রোগের সিম্পটন দেখা দিল। পচে গলে একাকার সব রোগাক্রান্ত আলু।
এই প্রথম আলুতে মাঝে মাঝে আলাদিনের চেরাগ বিক্রি হয়। চেরাগ যার—দুনিয়াটা তার। শুধু মাঝে মাঝে ত্যাল ভরনের দরকার আছে। সেই ত্যাল কোথায় পাওয়া যাবে? সেটাই কোটি টাকার প্রশ্ন ভাইরে। সব কিছু অত সোজা না। বলেন, সোবহান আল্লাহ।
বাংলাদেশে মেহেরজান নামে পাকিস্তানের জান ধরনের একটি ছিঃনেমা পয়দা করা হয়েছে। দেখে প্রথম আলোতে ২৬ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কজন শিক্ষক এবং একজন বীরাঙ্গনা একটি প্রতিক্রিয়া পাঠিয়েছিলেন প্রকাশের জন্য। প্রথম আলো তো বোঝেন—সেই কালুগিরী ফলাতে দিয়ে পরিচালিকাকে ডেক বললেন, বাপু—এই দ্যাখো-তোমার তো বার বাজছে। তোমার বেলুন ফুটো করে দিয়েছে এনারা। এখন তুমি কী করবা কাগু?
পরিচালিকা অতিশয় টেন্ডার এজড আপনেরা জানেন। তারপরে হ্যার বাপে আওয়ামী লীগের যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেন। দুর্নীতির সঙ্গে তার নাম জোরে শোরে ওঠে। তার লগে চিনের ব্যবসা বানিজ্য আছে। খেয়াল করেন—সেই চিন, একাত্তরে যারা পাকিস্তানের ফরে ছিল। এবং ফরহাদ মজহাররা সেই চিনের পার্টি করে এসে এখন বিন্পি এবং জামাতের ছাতার নিচে আলু পোড়া খাচ্ছে। তো এইসব চিনেদের লগে টেন্ডার এজড মেয়েটির যোগাযোগ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তারা কইলো—মাজান—তুমি কী করতি চাও।
--কিছু একটা করতি চাই।
--হেইডা কি?
--জানলে কি আপনেগো লগে কলকি পুরাণ ধরতাম?
--গুড আম্মাজান। তুমার চিন্তা নাই। তুমার হবে। এই ন্যাও। এই স্টোরি নিয়া ছিঃনেমা বানাও।
--নাম কি?
--মেহের জান।
--পুরাণ পুরাণ লাগে?
--পুরাণ মদ নতুন বোতলে দিছি। ভাইবো না। গানাও পাবা—ড্যান্সোও পাবা। ম্যান্সোও পাবা। শুধু ইস্টোরি, বুঝলা, ইস্টোরিটা পোস্ট মডার্ণ। আমগো দেরিদা আর ফুকো একটু দেরী কইরা কেইছেন। আমগো ব্রাত্য রাইসু লেখছেন।
--ও রাইসু। সেই কু কু করে রে?
--হ্যায়, আর কী করবে। পেয়ারা গাছেইতো হ্যায় কু কু করে। তো সেই পেয়ারা বাগানও তুমি পাইবা মেহেরজানে। ছাড়াছাড়ি নাই।
--ছাইড়া লাভ কি? মোর বাপে একাত্তুরে চিনাপন্থী আছেলে। চুয়াত্তরে ভোগ্যপণ্যের কেরানীগিরী করণের সময় লক্ষ লক্ষ ট্যাকা লুটাপাট করছেলে। এরশাদ এর খালেদার ফার্স্ট টার্মে দেদারসে তিন নম্বরী ব্যবসা বানিজ্য করছে। আরে এহন আমলীগের মন্ত্রী। লুটপাটের ধারায় ফার্স্ট কেলাস ফার্স্ট। তো আদিতে চিনাবাদামই আছেলে আমার বাপে মাদারী পুইরে।
--জে মেরেজান। এইজন্যই তুমি আমগো কু কু করে রে। তুমারে দিয়া পাকিস্তানের লগে দিমু বিয়া।
--মোর বিয়া বসনের খুব সখ।
--না হইয়া যায় কই ডারলিং। কিন্তু নিকা চাও, না—মুতা চাও?
--নিকায় কিছু ঝামেলা আছে। এক ব্যাডার লগে সারাদিন একটানা ধানাই পানাই—পছন্দ না।
--হেইডা জানিই। এই জন্যই মোগো দলে টানি।
--আর মুতা শব্দটায় কেমন মুত মুত লাগে?
--যন্ত্রতো একই জানেমন। ইসমার্টলি চিন্তা করো। তুমার লাইগা মুতা বিয়াই সই। এবং মাল--আসল মাল। পাকি মর্দানা--।
--আফ্রিদি! আফ্রিদিরে আমি ভাল পাই। খুব সেক্সী।
--আফ্র্রিতি তো আফ্রিদিই। হ্যার বাপে। ইয়াহিয়া খানের জান। শুধু তুমারে বানাইতে হইবে মেহেরজান। একাত্তরে ছিল ভায়ে ভায়ে লড়াই। যুদ্ধ না। আর মুক্তি আসে কোত্থেকে? এইসব হিন্দুআনি মুক্তি, সুক্তি, যুক্তি—নো। কিছু ঝামেলা হইছেলে সম্পত্তি লৈয়া—শ্যাষে বিছানায় মিলন ঝিলনে শ্যাষ। আমগো অরূপ রাহি গাইছে—
হাটু জলে নাইমা মাইয়া হাটু মাজন করে।
মাজতে মাজতে যাইয়া মাইয়া পাকি প্রেমে পড়ে।
পাকিস্তানী হোগা বড় মাও সেতুংও জানে।
হের লাইগা ফরহাদ মজহার আইয়ুব খানরে আনে।
একাত্তরে দ্যাশে হইছে যুদ্ধ একখান।
বাঙালি লড়ছে জাইনো শত্রু ইন্ডিয়ান।
আমগো কইছে ভুট্টো সাবে আসো মুজাহিদিন।
আমরা আছি তোমগো লগে—করো শত্রুহীন।
এইনা জাইনো ভাইসগোলে গোলাম আযম মাল।
জাতির চাচা হইছে পাছা ।
এই কবিতা শুনতে শুনতে ববি বলে, হালো ডার্লিং শুনছো।
--শুনছি। কও। আর কাথাটা গায়ে দ্যাও।
--ক্যানু সোনা। এই ডেরেসই তো মেহেরজানের ডেরেস।
--হেতো অন্য মাইয়া। অখন খালি গায়ে শীত লাগছে।
--ওকে জানেমন। চিন্তা নাই। বলে লাইট একট ডিম করে দিল ববি। আর ফারুক নামের ছেলেটা তলিয়ে যেতে যেতে শুনল—ববি, তার বউ বলছে, থ্যাংকু ফারুক। আমার তরে মেহেরজানরে নিয়া লুঙ্গি খুইলা লেখছো। না লেখলে—তুমারে সামনে পাকিস্তানী রহিমের লগে শুইয়া পড়তাম। তারে দিয়া তুমার বিবিরে ধর্ষণ খাওয়াইতাম।
শুনে আর্তনাদ করে উঠল ফারুক, না না মেরেজান বিবি ববি। জাইনা রাইখো--মানুষ ভালবাসার দাবি ছাড়তে পারে না। পারে না। পারে না।
---হি হি হি।
ছেলেটা দেখতে শুনতে ভালই ছিল। মেহেরজান এসে গোল বাঁধালো। সে এখন ত্রাহি ত্রাহিকরে চিৎকার পাড়ছে--মানুষ ভালবাসার দাবি ছাড়তে পারে না। খুব খাঁটি কথা। আমাদের অনেক কিছুর বড় অভাব। তেলে অভাব, গ্যাসের অভাব, বিদ্যুতের অভাব। দখল করা বাড়ির অভাব। নকল পরা কবিতার অভাব। এর মধ্যে সত্যিকারের অভাব হল ভালবাসা। আমরা সব কিছু ছাড়তে পারি। কিন্তু ভালবাসার দাবি? উহু—কভি নেভি ছোড়েঙ্গা। ওরে ও শাম্বা, আওরাতকে লাচতে বল।না লাচলে গুনা হবে। এইটা সমঝা করা উয়াকে। বল, গব্বর সিং ভিলেন হইতে পারে। মাগার প্রেম—নেহি। নেহি। নেহি। উহাকে ছাড়িতে চাহি না এ ছুন্দর জীবনে।উহা ফ্রি। মাগনা পাইলে কে দাবী ছাড়ে।
দ্যাখেন ভাইসগোল—আমগো ফারুক ওয়াসিফ কী জিগাইছেন।
প্রেম কি দেশপ্রেমের চাইতেও বড়? প্রেম স্বয়ং কি রাজনীতি ও জীবন-মরণের চাইতে বড়?
তারপর তিনিই কইছেন নিশ্চয় বড়। বড়ই তো। নাইলে যে মেয়েটাকে ধর্ষণ করল পাকিস্তানীরা—তাগো কাছে দেহ দ্যায় কিইরা? ইহা প্রেমের কামড় রে ভাই।
এই কামড়টা খুবই তীব্র। দেখেন ভাইসগোল। ধর্ষণ শব্দটার বিরুদ্ধে আমগো চিনাবাদাম ফারুক ওয়াসিফ জাহাঙ্গীর নগরে জান কয়লা করে দিয়েছিলেন। আর আজ সেই খুনী দজ্জাল আর নারী ধর্ষণকারী পাক হানাদার বাহিনীর ধর্ষণ ক্রিয়াকে প্রেমের কীর্তি হিসাবে ঘোষণা করছেন। বলছেন--
''ধর্ষক ও ধর্ষিতা, নিহত ও হত্যাকারী কীভাবে পরস্পরকে ভালবাসতে পারে? প্রথমত, উভয়ের মন থেকে ঘটনাটির স্মৃতি মুছে ফেলে যুদ্ধ ও সংঘাতের বাইরের জমিনে তাদের নিয়ে যেতে পারলে। অর্থাৎ অভিজ্ঞতাটা এবং ইতিহাসটাকে নাই করে দিলে, সেই শূণ্য সময়, সেই ফাঁকা স্পেসে তাদের মিলবার একটা সুযোগ থাকলেও থাকতে পারে। এবং সেই ভালবাসার সাক্ষি হতে হলে দর্শকদেরও সব ভুলে যেতে হয়, চলে যেতে হয় ইতিহাস, ভূমি, মানুষ আর স্মৃতির বাইরের সেই শূণ্যস্থানে।''
হা হা হা। কতটা হারামখোর হলে লোকে ৩০ লক্ষ বাঙালির রক্ত আর ২ মা বোনের ইজ্জতের ইতিহাসকে ভুলিয়ে দিতে চায় এই ফারুক ওয়াসিফ এন্ড কোং।
একটু দম লন ভাইসগোর। আসেন—একটু গল্প করি—
বরিশালে বিবির পুকুর পাড়ে একটি বড় সাইনবোর্ড দেখেছিলাম। লেখা—যা কিছু ভাল—তার সঙ্গে দৈনিক প্রথম আলো। একদিন বেশ ঝড় হল। দেখি সাইনবোর্ডটা উল্টে পড়েছে নিচে। কিছু পোলাপান আলকাতরা দিয়ে একটু মকশো করেছে সাইনোর্ডটাতে। লেখা—যা কিছু কালু—তার লগে পেরথম আলু। সেইদিন থেকেই বাজারে আলুর মধ্যে মারাত্মকভাবে নাবিধ্বসা রোগের সিম্পটন দেখা দিল। পচে গলে একাকার সব রোগাক্রান্ত আলু।
এই প্রথম আলুতে মাঝে মাঝে আলাদিনের চেরাগ বিক্রি হয়। চেরাগ যার—দুনিয়াটা তার। শুধু মাঝে মাঝে ত্যাল ভরনের দরকার আছে। সেই ত্যাল কোথায় পাওয়া যাবে? সেটাই কোটি টাকার প্রশ্ন ভাইরে। সব কিছু অত সোজা না। বলেন, সোবহান আল্লাহ।
বাংলাদেশে মেহেরজান নামে পাকিস্তানের জান ধরনের একটি ছিঃনেমা পয়দা করা হয়েছে। দেখে প্রথম আলোতে ২৬ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কজন শিক্ষক এবং একজন বীরাঙ্গনা একটি প্রতিক্রিয়া পাঠিয়েছিলেন প্রকাশের জন্য। প্রথম আলো তো বোঝেন—সেই কালুগিরী ফলাতে দিয়ে পরিচালিকাকে ডেক বললেন, বাপু—এই দ্যাখো-তোমার তো বার বাজছে। তোমার বেলুন ফুটো করে দিয়েছে এনারা। এখন তুমি কী করবা কাগু?
পরিচালিকা অতিশয় টেন্ডার এজড আপনেরা জানেন। তারপরে হ্যার বাপে আওয়ামী লীগের যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেন। দুর্নীতির সঙ্গে তার নাম জোরে শোরে ওঠে। তার লগে চিনের ব্যবসা বানিজ্য আছে। খেয়াল করেন—সেই চিন, একাত্তরে যারা পাকিস্তানের ফরে ছিল। এবং ফরহাদ মজহাররা সেই চিনের পার্টি করে এসে এখন বিন্পি এবং জামাতের ছাতার নিচে আলু পোড়া খাচ্ছে। তো এইসব চিনেদের লগে টেন্ডার এজড মেয়েটির যোগাযোগ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তারা কইলো—মাজান—তুমি কী করতি চাও।
--কিছু একটা করতি চাই।
--হেইডা কি?
--জানলে কি আপনেগো লগে কলকি পুরাণ ধরতাম?
--গুড আম্মাজান। তুমার চিন্তা নাই। তুমার হবে। এই ন্যাও। এই স্টোরি নিয়া ছিঃনেমা বানাও।
--নাম কি?
--মেহের জান।
--পুরাণ পুরাণ লাগে?
--পুরাণ মদ নতুন বোতলে দিছি। ভাইবো না। গানাও পাবা—ড্যান্সোও পাবা। ম্যান্সোও পাবা। শুধু ইস্টোরি, বুঝলা, ইস্টোরিটা পোস্ট মডার্ণ। আমগো দেরিদা আর ফুকো একটু দেরী কইরা কেইছেন। আমগো ব্রাত্য রাইসু লেখছেন।
--ও রাইসু। সেই কু কু করে রে?
--হ্যায়, আর কী করবে। পেয়ারা গাছেইতো হ্যায় কু কু করে। তো সেই পেয়ারা বাগানও তুমি পাইবা মেহেরজানে। ছাড়াছাড়ি নাই।
--ছাইড়া লাভ কি? মোর বাপে একাত্তুরে চিনাপন্থী আছেলে। চুয়াত্তরে ভোগ্যপণ্যের কেরানীগিরী করণের সময় লক্ষ লক্ষ ট্যাকা লুটাপাট করছেলে। এরশাদ এর খালেদার ফার্স্ট টার্মে দেদারসে তিন নম্বরী ব্যবসা বানিজ্য করছে। আরে এহন আমলীগের মন্ত্রী। লুটপাটের ধারায় ফার্স্ট কেলাস ফার্স্ট। তো আদিতে চিনাবাদামই আছেলে আমার বাপে মাদারী পুইরে।
--জে মেরেজান। এইজন্যই তুমি আমগো কু কু করে রে। তুমারে দিয়া পাকিস্তানের লগে দিমু বিয়া।
--মোর বিয়া বসনের খুব সখ।
--না হইয়া যায় কই ডারলিং। কিন্তু নিকা চাও, না—মুতা চাও?
--নিকায় কিছু ঝামেলা আছে। এক ব্যাডার লগে সারাদিন একটানা ধানাই পানাই—পছন্দ না।
--হেইডা জানিই। এই জন্যই মোগো দলে টানি।
--আর মুতা শব্দটায় কেমন মুত মুত লাগে?
--যন্ত্রতো একই জানেমন। ইসমার্টলি চিন্তা করো। তুমার লাইগা মুতা বিয়াই সই। এবং মাল--আসল মাল। পাকি মর্দানা--।
--আফ্রিদি! আফ্রিদিরে আমি ভাল পাই। খুব সেক্সী।
--আফ্র্রিতি তো আফ্রিদিই। হ্যার বাপে। ইয়াহিয়া খানের জান। শুধু তুমারে বানাইতে হইবে মেহেরজান। একাত্তরে ছিল ভায়ে ভায়ে লড়াই। যুদ্ধ না। আর মুক্তি আসে কোত্থেকে? এইসব হিন্দুআনি মুক্তি, সুক্তি, যুক্তি—নো। কিছু ঝামেলা হইছেলে সম্পত্তি লৈয়া—শ্যাষে বিছানায় মিলন ঝিলনে শ্যাষ। আমগো অরূপ রাহি গাইছে—
হাটু জলে নাইমা মাইয়া হাটু মাজন করে।
মাজতে মাজতে যাইয়া মাইয়া পাকি প্রেমে পড়ে।
পাকিস্তানী হোগা বড় মাও সেতুংও জানে।
হের লাইগা ফরহাদ মজহার আইয়ুব খানরে আনে।
একাত্তরে দ্যাশে হইছে যুদ্ধ একখান।
বাঙালি লড়ছে জাইনো শত্রু ইন্ডিয়ান।
আমগো কইছে ভুট্টো সাবে আসো মুজাহিদিন।
আমরা আছি তোমগো লগে—করো শত্রুহীন।
এইনা জাইনো ভাইসগোলে গোলাম আযম মাল।
জাতির চাচা হইছে পাছা ।
এই কবিতা শুনতে শুনতে ববি বলে, হালো ডার্লিং শুনছো।
--শুনছি। কও। আর কাথাটা গায়ে দ্যাও।
--ক্যানু সোনা। এই ডেরেসই তো মেহেরজানের ডেরেস।
--হেতো অন্য মাইয়া। অখন খালি গায়ে শীত লাগছে।
--ওকে জানেমন। চিন্তা নাই। বলে লাইট একট ডিম করে দিল ববি। আর ফারুক নামের ছেলেটা তলিয়ে যেতে যেতে শুনল—ববি, তার বউ বলছে, থ্যাংকু ফারুক। আমার তরে মেহেরজানরে নিয়া লুঙ্গি খুইলা লেখছো। না লেখলে—তুমারে সামনে পাকিস্তানী রহিমের লগে শুইয়া পড়তাম। তারে দিয়া তুমার বিবিরে ধর্ষণ খাওয়াইতাম।
শুনে আর্তনাদ করে উঠল ফারুক, না না মেরেজান বিবি ববি। জাইনা রাইখো--মানুষ ভালবাসার দাবি ছাড়তে পারে না। পারে না। পারে না।
---হি হি হি।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:২৪