স্বৈরাচার হতে পরিত্রান দরকার ...গনতান্ত্রিক দলগুলোর মানসে জাগ্রত বোধ , ....আন্দোলন, বুঝল জনগনও। অনেক রক্ত আর ক্ষয়ক্ষতি আর মানুষের অসহনীয় কষ্টের মাধ্যমে গন অভ্যুত্থান.....যার পরিণিতিতে এরশাদ এর পতন।
গনতন্ত্রের উদ্ভব দেশে তখন 1991 এ অনেকদিন পরে। অবশ্য আমার বোধের কালে সেই প্রথম দেশে গনতন্ত্র দেখলাম। ভোট হলো ... কিন্তু সাম্য আসল না। জেতাদল হাসল মানল , বিজীত দল কাঁদল , মানলনা। কারও মাঝে যেন স্বৈরাচারী মনোভাব নতুন করে গনতন্ত্রের ছদ্মাবরণে উঠল জেগে আর কারও আন্দোলন শুরু হলো নতুন করে।
জনগণের মাঝে শুরু হলো নতুন করে কষ্ট , যাতনা, দ্বিধা, বিভক্তি মতে মতে.....
1994, 1995 ..অশান্তি , হরতাল ...এসব চলছিলই।
1996 তে ,নটরডেমে পড়ি; রাজপথে নিয়মিত পদার্পন তখন। হরতাল তীব্র মাত্রা...পথ দখল করে জনতার মঞ্চ...গণতান্ত্রিক স্বৈরাচারের পতন ঘটলই।
নতুন করে ভোট ...সেই 1991 এর দোলচাল ..একটু উল্টো করে.....
আবার ...অশান্তি ...আগে যারা হাসত , তারা কাঁদতে লাগল, আর আগে যারা কাঁদত তারা হাসতে লাগল। ...আবার হরতাল , জনগণের কষ্ট।
আবার ....2001 সাল পট পরিবর্তন.....
সব কিছু উল্টো উল্টো.........
জনগণ কিন্তু সর্বদাই সেই একই। সর্বদাই জনগনকে তাহারা দেখায় মুক্তির লোভ.....স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ গ্রহণের লোভ...দেখায় গনতন্ত্রের স্বার্থকতা।
আমার শৈশব (এরশাদের আমল) থেকে আজ 2006 পর্যন্ত প্রায় 20 বছরের যে স্পষ্ট স্মৃতি, দর্শন ভান্ডার তা তে তো দেখছিউ অপরিবর্তীয় ঘটনাই মূলত। হয়তো কেবল রঙ, রূপ সময় আর অভিনেতা আলাদা। ..
জনগণ কেবল আশার লোভে আশা বাধঁছেই।........আর কত.............
জনগনের কি আদৌ কোন লাভ আছে ................আগামী 100 বছরেও যদি এই রীতিই চলতে থাকে!
জনগণের কষ্ট আর কষ্ট..................................................
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ১১:১৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



