প্রিয় ব্লগার, দয়া করে এড়িয়ে যাবেন না, হয়ত আমার এই লেখাটি আপনার অবকাশ যাপনের কোন রসালো উপাদান হবে না ।কিন্তু কোন চরম সত্যের আহবান হয়ত লুকিয়ে রয়েছে আপনার জন্য এই লেখাটিতে।
লেখাটি মূলত ভারতের একজন লেখকের (আপ কি আমানত;বাংলায় অনুবাদ করেছেনঃমুহাম্মদ যাইনুল আবেদিন)
পুরো বইটির সারাংশ আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই ধারাবাহিক ভাবে।
গত পর্বের লেখা-
Click This Link
পর্ব-২:
জগতের সবচে’ বড় সত্য
এই জগতের,এই বিশ্ব প্রকৃতির সবচে’ বড় সত্য হলো-এই জগত ও নিখিল সৃষ্টির সৃষ্টিকরতা ও মহান নিয়ণ্ত্রক কেবল এক অদিতীয় মালিক।গুণ ও সত্তায় তিনি অদিতীয় ।এই জগতের সৃষ্টি,নিরমান।নিয়ণত্রন,ধবংস,বিনাশে তার কোন অংশীদার নেই।এই নিখিল জগতের একটি পাতাও তার ইংগিত ছাড়া নড়তে পারে না,প্রতিটি মানুষের আত্মাই তাকে সীকার করে।ধরম তার যাই হোক।একজন মুরতিপুজারীও এ কথা মানে যে এই নিখিল জগতের প্রকৃত প্রতিপালক ও প্রভু সেই এক ও অদিতীয় মালিক।
মানুষের বিবেকও একথাই বলে-এই পৃথিবীর মালিক এক ও অদিতীয় ।যদি কোন একটি বিদ্যালয়ে দুইজন হেডমাষ্টার থাকে তাহলে সেটা অচল হয়ে পড়ে।এক গ্রামে দুইজন গ্রামপ্রধান হলে সেখানে কোন শৃংখলা থাকে না।দুইজন রাজা হলে দেশ চলে না।এই জখন বাস্তবতা তখন এতবড় দুনিয়া কিভাবে একাধিক খোদা কিংবা মালিকের দারা চলবে???????এই পৃথিবীর শৃংখলা বিধানে কী করে একাধিক সত্তা সক্রীয় হবেন???????????????????????????????
একটি যুক্তি
কোরান আল্লাহর বাণী।কোরান তার সত্যতা প্রমাণের জন্যে এই পৃথিবীকে এই বলে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে-
“আমি আমার বান্দার প্রতি যে গ্রন্থ অবতীরণ করেছি তাতে তোমাদের কোন সন্দেহ থাকলে তোমরা এর অনুরূপ কোন সুরা আনয়ন করো এবং তোমরা যদি সত্যবাদী হও তাহলে আল্লাহ ছাড়া তোমাদের সকল সাহায্যকারীকে ডেকে নাও।”(বাকারা২৩)
চৌদ্দশ বছর পূরব থেকে বরতমান অবধি এই পৃথিবীর মানুষ বিজ্ঞান ও কম্পিউটার পরযন্ত গবেষণা করে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।বাধ্য হয়ে মাথা নুইয়ে দিয়েছে।প্রমাণ করতে পারেনি – “কোরান আল্লাহর কিতাব নয়”!
পবিত্র এই গ্রন্থে মালিক আমাদের বিবেক-বুদ্ধিকে আকরষণ করার জন্য অনেক প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন।এর একটি উপমা হলো-“যদি আকাশ ও পৃথিবীতে একাধিক উপাস্য ও মালিক থাকত তাহলে অবশ্যই বহু বিপত্তি দেখা যেত”(সুরা আম্বিয়া-২২)
কথা স্পষ্ট।একাধিক মালিক থাকলে বিরোধ হত,লড়াই বাধত।একজন বলত,এখন রাত হবে।অপ্রজন বলত,এখন দিন হবে।একজন বলত-রাত হবে ছয় মাস।অন্যজন বলত-না তিন মাস।একজন বলত-আজ সূরয উঠবে পশ্চিম দিক থেকে,আর অন্যজন বলত-দক্ষিন দিক থেকে।দেব-দেবীর যদি সত্যিই ক্ষমতা থাকত,তারা যদি বাস্তবেই আল্লাহ তায়ালার সাথে শরীক থাকত তাহলে দেখা যেত যে-একজন বান্দা এক দেবীর পূজা করে খুশি করে ফেলেছে।তাই তিনি এখন বৃষ্টি দিতে রাজী।এমন সময় বড় দেবের পক্ষ থেকে হুকুম এলো-আজ বৃষ্টি হবে না।ব্যস,তখন ছোট ছোট ভগবানরা হরতাল ডেকে বসত।আর এদিকে মানুষেরা হয়ত বসে থাকত ভোরের অপেক্ষায় বা বৃষ্টির প্রত্যাশায়।কিন্তু ভোরের বা বৃষ্টির কোন খবর নেই।পরে জানা গেলো-সুরয দেবতা বয়কট করে বসে আছে।
চলবে.................