somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি অপ্রাসাংগিক লেখা-----------------কিন্তু জীবনের সত্য গল্প (পর্ব-০২)

২১ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রিয় ব্লগার, দয়া করে এড়িয়ে যাবেন না, হয়ত আমার এই লেখাটি আপনার অবকাশ যাপনের কোন রসালো উপাদান হবে না ।কিন্তু কোন চরম সত্যের আহবান হয়ত লুকিয়ে রয়েছে আপনার জন্য এই লেখাটিতে।
লেখাটি মূলত ভারতের একজন লেখকের (আপ কি আমানত;বাংলায় অনুবাদ করেছেনঃমুহাম্মদ যাইনুল আবেদিন)
পুরো বইটির সারাংশ আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই ধারাবাহিক ভাবে।
গত পর্বের লেখা-
Click This Link
পর্ব-২:

জগতের সবচে’ বড় সত্য
এই জগতের,এই বিশ্ব প্রকৃতির সবচে’ বড় সত্য হলো-এই জগত ও নিখিল সৃষ্টির সৃষ্টিকরতা ও মহান নিয়ণ্ত্রক কেবল এক অদিতীয় মালিক।গুণ ও সত্তায় তিনি অদিতীয় ।এই জগতের সৃষ্টি,নিরমান।নিয়ণত্রন,ধবংস,বিনাশে তার কোন অংশীদার নেই।এই নিখিল জগতের একটি পাতাও তার ইংগিত ছাড়া নড়তে পারে না,প্রতিটি মানুষের আত্মাই তাকে সীকার করে।ধরম তার যাই হোক।একজন মুরতিপুজারীও এ কথা মানে যে এই নিখিল জগতের প্রকৃত প্রতিপালক ও প্রভু সেই এক ও অদিতীয় মালিক।
মানুষের বিবেকও একথাই বলে-এই পৃথিবীর মালিক এক ও অদিতীয় ।যদি কোন একটি বিদ্যালয়ে দুইজন হেডমাষ্টার থাকে তাহলে সেটা অচল হয়ে পড়ে।এক গ্রামে দুইজন গ্রামপ্রধান হলে সেখানে কোন শৃংখলা থাকে না।দুইজন রাজা হলে দেশ চলে না।এই জখন বাস্তবতা তখন এতবড় দুনিয়া কিভাবে একাধিক খোদা কিংবা মালিকের দারা চলবে???????এই পৃথিবীর শৃংখলা বিধানে কী করে একাধিক সত্তা সক্রীয় হবেন???????????????????????????????
একটি যুক্তি
কোরান আল্লাহর বাণী।কোরান তার সত্যতা প্রমাণের জন্যে এই পৃথিবীকে এই বলে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে-
“আমি আমার বান্দার প্রতি যে গ্রন্থ অবতীরণ করেছি তাতে তোমাদের কোন সন্দেহ থাকলে তোমরা এর অনুরূপ কোন সুরা আনয়ন করো এবং তোমরা যদি সত্যবাদী হও তাহলে আল্লাহ ছাড়া তোমাদের সকল সাহায্যকারীকে ডেকে নাও।”(বাকারা২৩)
চৌদ্দশ বছর পূরব থেকে বরতমান অবধি এই পৃথিবীর মানুষ বিজ্ঞান ও কম্পিউটার পরযন্ত গবেষণা করে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।বাধ্য হয়ে মাথা নুইয়ে দিয়েছে।প্রমাণ করতে পারেনি – “কোরান আল্লাহর কিতাব নয়”!
পবিত্র এই গ্রন্থে মালিক আমাদের বিবেক-বুদ্ধিকে আকরষণ করার জন্য অনেক প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন।এর একটি উপমা হলো-“যদি আকাশ ও পৃথিবীতে একাধিক উপাস্য ও মালিক থাকত তাহলে অবশ্যই বহু বিপত্তি দেখা যেত”(সুরা আম্বিয়া-২২)
কথা স্পষ্ট।একাধিক মালিক থাকলে বিরোধ হত,লড়াই বাধত।একজন বলত,এখন রাত হবে।অপ্রজন বলত,এখন দিন হবে।একজন বলত-রাত হবে ছয় মাস।অন্যজন বলত-না তিন মাস।একজন বলত-আজ সূরয উঠবে পশ্চিম দিক থেকে,আর অন্যজন বলত-দক্ষিন দিক থেকে।দেব-দেবীর যদি সত্যিই ক্ষমতা থাকত,তারা যদি বাস্তবেই আল্লাহ তায়ালার সাথে শরীক থাকত তাহলে দেখা যেত যে-একজন বান্দা এক দেবীর পূজা করে খুশি করে ফেলেছে।তাই তিনি এখন বৃষ্টি দিতে রাজী।এমন সময় বড় দেবের পক্ষ থেকে হুকুম এলো-আজ বৃষ্টি হবে না।ব্যস,তখন ছোট ছোট ভগবানরা হরতাল ডেকে বসত।আর এদিকে মানুষেরা হয়ত বসে থাকত ভোরের অপেক্ষায় বা বৃষ্টির প্রত্যাশায়।কিন্তু ভোরের বা বৃষ্টির কোন খবর নেই।পরে জানা গেলো-সুরয দেবতা বয়কট করে বসে আছে।
চলবে.................
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×