somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

প্রদীপ হালদার
আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম। অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

ভগবান শিব সাধনা

১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি চিতা খোলা স্কুলের ছাত্র বলছি
তোমরা দুইজন এসেছো তোমাদেরকে আহবান করছি।
এত রাতে এসেছো তোমরা এখানে
সাহস আছে তো তোমাদের বুকে।
আমি পলাটু খেলবো তোমাদের সাথে
কেউ আসে না এখানে, তোমরা কেনো এসেছো এখানে?
তোমরা কি পারবে আমাকে মুক্তির পথ দেখাতে
কি পারবে তোমরা আমাকে দেখাতে
বলো বলো তোমরা সকলে।
আমার অস্তিত্ব প্রমাণে কি দেখাতে পারি তোমাদেরকে
তোমরা দুইজনে দেখো আমার অস্তিত্বকে।
তোমরা বহু বই পড়ে তবে এসেছো এই স্কুলে কি ঘটে তা দেখতে
কি ঘটে না বলো তো তোমরা আমাকে।
কোথায় তোমাদের বিজ্ঞান আছে বলো আমাকে
কত কত বই সাজিয়ে রেখেছি টেবিলে
কোনো বই পারবে না আমার মুক্তির পথ দেখাতে।
আমি তো আছি অন্ধকারে অন্ধকারে
তোমরা তো আলো জ্বালিয়ে দেখবে আমাকে।
দেখো দেখো তোমরা সকলে
কেমন ভাবে আমি পলাটু খেলি তোমাদের সাথে।
তোমরা এসেছো দেখতে আমাকে
কি হবে আর আমার পরিচয় নিয়ে।
আমি তো পারি না আর বাড়িতে যেতে
কি অপরাধ করেছি আজ বন্দী আছি স্কুলে।
স্কুল বন্দী করেছে আমাকে
আমার ব্যথা কেউ বুঝবে না এই পৃথিবীতে।
বলতে পারো তোমরা কিসের শিক্ষা নিতে এসেছি এই স্কুলে
যে স্কুল পারে না আমার মুক্তির পথ দেখাতে।
কি হবে পৃথিবীতে এমন স্কুল বানিয়ে
দেখো তোমরা দেখো তোমরা আমি কেমনভাবে
পলাটু খেলি তোমাদের সাথে।
তোমরা কেউ কোনোদিন খুঁজে পাবে না আমাকে
কত কত বই পড়ে এসেছো তোমরা এখানে।
তোমরা দেখো কত বই আমি সাজিয়ে রেখেছি টেবিলে
কোনো বইতে বলা নেই মৃত্যুর পরে মানুষ কি হবে?
আমি ভূত, মানুষ বিশ্বাস করুক আর না করুক
এ সত্য কথা, মৃত্যুর পরে ভূতের অবস্থা সবাই জানুক।
তোমাদের সবাইকে আসতে অনুরোধ করছি
সাহস থাকে তো এসো নইলে চলে যাও আমি বলছি।
আমি চিতা খোলা স্কুলের ভূত বলছি
সাহস থাকে তো এসো আমি ডাকছি।
তোমরা মাত্র দুইজন, তোমরা হতে পারো মানুষ
জেনে রাখো ভূতের সাথে লড়তে লাগে সাহস।
আমি চিতা খোলা স্কুলের ভূত, দেখতে চাই তোমাদের সাহস
শুরু করছি এই রাতে পলাটু খেলা, দেখি কেমন তোমাদের সাহস।
আমার চিতা খোলা স্কুলের সামনে আছে পুকুর
সেই পুকুরে ডুবে মরেছি আমরা দুইজন।
আমরা দুইজন আছি এখানে
খেলাধূলা করি, আনন্দ করি, কত কত মজা করি এখানে।
আমাদেরকে তাড়াবে এমন ক্ষমতা কার আছে
তাড়ালে আমরা কোথায় যাবো বলো তোমরা এইমুহূর্তে।
আমরা এসেছি স্কুলে পড়াশোনা করতে
তাহলে স্কুল কেনো বানালো পুকুর এখানে।
নইলে তো আমরা মরিতাম না জলে ডুবে
হয় মরিতাম খেলার মাঠে খেলা করে
না হয় মরিতাম বইয়ের পোকা হয়ে।
আমরা না পারিলাম বইয়ের পোকা হতে
আর না পারিলাম খেলার মাঠের খেলোয়াড় হতে।
পুকুরে মরেছি ডুবে, সাঁতার না জানাতে
সাঁতার জানলে মরিতাম না জলে ডুবে।
বই পড়ে যদি আমরা মরিতে পারিতাম
তাহলো বলো তো তোমরা, আমরা আবার কি করে বাঁচিতাম।
যে বই মানুষকে বাঁচাতে পারে না
সেই বই কেনো আছে স্কুলে বলো তো তোমরা।
কোন্‌ বই শিক্ষা দেয় মানুষকে
মানুষের মৃত্যুর পরে মানুষ কোথায় যাবে?
কোনো বইতে লেখা নাই
তাহলে কেনো আমরা ভূত হলাম।
যে শিক্ষা বিশ্বাস করে না আমাদের অস্তিত্বকে
সেই শিক্ষা থেকে লাভ কি বলো আমাদেরকে।
যে স্কুল পারে না মানুষের মৃত্যুর অস্তিত্বকে স্বীকৃতি দিতে
বলো তোমরা আমাকে সেই স্কুল থেকে কি লাভ এই মহাবিশ্বে?
আমাদের অস্তিত্ব আছে কিনা তোমরা দেখো তোমাদের দুটি চোখে
আমাদের অস্তিত্ব আছে কিনা তোমরা শোনো তোমাদের দুটি কানে।
চিন্তাভাবনা করো তোমরা, কিন্তু পারবে না বলিতে
আমরা মুক্তি পাবো কিভাবে এই স্কুল থেকে।
যে স্কুল পারে না আমাদেরকে মুক্তি দিতে
সেই স্কুলে অন্যেরা কি করতে আসবে বলো তো তোমরা আমাদেরকে।
বয়সে আমরা অনেক ছোটো, কিন্তু কাজেকর্মে
তোমাদের চেয়ে অনেক বড় এইসময়ে।
আমরা ভূত যা পারি করতে, তোমরা মানুষ তা পারবে না করতে
তোমরা মুখের জোরে সত্যকে পারো অস্বীকার করতে,
তাই আজ আমরা থেকেও আমাদের অস্তিত্ব নাই মানুষের কাছে।
বলো বলো তোমরা, আমরা আসলে কে
কি আমাদের পরিচয় এই পৃথিবীতে?
তোমরা স্কুলে ঢোকার সময়ে এক ছায়া মূর্তি দেখে ভয় পাচ্ছো
তাহলে কি করে পলাটু খেলবো তোমাদের সাথে বলো তো।
সবাই বলে ভূতপ্রেত আছে, কেবল তোমরা গায়ের জোরে বলো নাই
তাই তো এবার আমরা নেমেছি ভূতপ্রেত কাকে কয় সেই খেলায়।
ভূতপ্রেত না থাকলে আজ এত রাতে তোমরা কি আর আসতে
তোমরা মুখে এত কি উচ্চারণ করছো এতে কি তোমাদের ভয় কমবে?
ভয়কে আগে জয় করতে শেখো তারপর এসো ভূতপ্রেত দেখতে
ভূতপ্রেতের ক্ষমতা কত তার বাস্তব জ্ঞান কতটুকু তোমাদের আছে।
আমরা সামান্য শিশু হয়ে যে ভয় দেখাতে পারি তোমাদেরকে
তোমরা ভয়ে ভীত হয়ে পালিয়ে যাবে এখান থেকে।
তাহলে শুরু করা যাক পলাটু খেলা, কত মজা এই খেলায়
আমরা থাকবো লুকিয়ে তোমরা আলো জ্বালিয়ে খুঁজবে কেমন মজা হয়।
বৃষ্টির সময় তোমরা এসেছো স্কুলে, আর দেরী কেনো চলে এসো তাড়াতাড়ি
আমরা তৈরী, স্কুল ঘরে পা দিলেই পলাটু খেলা শুরু করি এই আর কি।
তোমরা দুইজন কত কত বই পড়ে আমাদেরকে এসেছো ধরতে
আমরা দুটো ভূত কেমন করে জব্দ করি দেখো তোমাদেরকে।
তার জন্যে বই পড়ার প্রয়োজন নাই, কেনো না
কোনো পাঠ্যবই ভূতের কথা স্বীকার করে না।
যে বই সত্যকে স্বীকার করে না, সেই বই স্কুলে নাই
তাই তো সবাই ভয় পায়, মৃত্যুর পরে নাকি ভূত হয়।
দেখো আমরা দুইজন এখানে পড়ে আছি, মানুষ হবো কি করে
সারা জীবন কি পড়ে থাকতে হবে এইভাবে আমাদেরকে?
বলো বলো তোমরা ওহে আমার বিদ্বানরা
জানা নাই তোমাদের, কে জানে তাকে ডাকো না।
তোমরা দুইজন মুখে অত কি আবৃত্তি করছো ওটা কি ভূত ধরার যাদু
স্কুল ঘরে ঢোকো তারপর আমরা ভূত দেখাবো কি করে করতে হয় কাবু।
আলোর ওপর ভর করে তোমরা আসছো আমাদের কাছে
আমরা দেখাবো এমন খেলা থাকবে না আলো আর তোমাদের কাছে।
আলোর জোরে কত কি বলা যায়
অন্ধকারে বলো তো সবাই।
আমরা আছি অন্ধকারে, আলোর প্রয়োজন নাই আমাদের
তোমরা মানুষ, আলোর প্রয়োজন শুধু তোমাদের।
এসো এসো তাড়াতাড়ি, কেনো করো দেরী
পলাটু খেলবো তোমাদের সাথে আমরা সবাই তৈরী।
অন্ধকারে খেলা, অনেক বেশি মজা, আলোর মধ্যে খেলা করে,
তত মজা নাইরে, এই পৃথিবীতে, সবাই খেলে আলোর মধ্যে,
আমরা ভূত খেলি অন্ধকারে, আর দেরী নয়, চলে এসো তাড়াতাড়ি স্কুলে।
চতুর্দিক নীরব নিস্তব্ধতা, কোনো সাড়াশব্দ নাই, এবার খেলা শুরু হবে
তোমরা দেখো কত মজা অন্ধকারের এই খেলাতে, খেলা এবার শুরু হবে।
তোমরা কুকুরের আওয়াজ শুনছো, সেইকথা এখানে বলছো
কুকুর কি গো, কত কি আওয়াজ করবো কান পেতে তোমরা দুইজন শোনো।
অত কি পাঠ করছো ভয় পেয়েছো বুঝি তাই অতসব পাঠ করছো
তোমাদের পাঠে কি যায় আসে, আমরা কি পাঠ শিখেছি তোমরা এবার দেখো।
এখনো আমরা শব্দ করি নাই, তার আগে কি করে তোমরা শব্দ শুনছো
আসল শব্দ আগে শোনো তারপর বলো কোন্‌ শব্দ নকল ছিলো।
অত আর ডেকো না, ডাকছো তোমরা কাকে, সে কি এসে বাঁচাবে তোমাদের
নাকি তারা এসে মুক্তির পথ দেখাবে আমাদের, কোন্‌টা হবে বলো তো আমাদের।
আমরা ভূত, চিতা খোলা স্কুলের ভূত, আমাদের শিক্ষা কেমন, এবার শুরু করা যাক
তখন শুনবো আমরা তোমাদের মুখে ফুটুক অজস্র কাব্য সাহিত্যের পাঠ।
তোমরা দুইজন দেখো আমাদের অস্তিত্ব, তাকাও জানালার দিকে
গোলাকার আকৃতিতে যে পাইপটি দাঁড় করিয়ে রাখা আছে, ফেলে দিচ্ছি সেটাকে।
ঝড় নাই বাতাস নাই, নাই লোকজন, তোমাদের সামনে কি করে গেলো পড়ে
উত্তর খোঁজো তোমরা দুইজনে, আরও কত কি দেখাবো ধৈর্য্য ধরে থাকো এখানে।
এবার শুনছো ঠকঠক শব্দ, খোঁজো খোঁজো আসছে কোথা থেকে, কি বলছো ওপর থেকে
কি দেখছো তোমরা, দরজা বন্ধ হচ্ছে আবার সেই দরজা আপনা থেকে খুলে যাচ্ছে।
কি বলছো, তোমাকে কেউ ধাক্কা দিয়েছে, তুমি ঠিক বলছো তো
কি দেখছো, জানালা বন্ধ হচ্ছে আবার খুলে যাচ্ছে, ঠিকভাবে দেখছো তো।
এক ঘরে তোমরা দুইজন আর কতক্ষণ থাকবে, অন্য ঘরে কি আছে দেখবে না
নাকি এক ঘরে সময় কাটাবে, আরও ভালো ঘর আছে, চলো যাই সেখানে, কি বলো তোমরা।
কি বলছো, চেয়ার এর কথা, চেয়ার সরানো কাকে বলে, দেখাবো তোমাদেরকে
অত কি আবৃত্তি করে শোনাচ্ছো কাকে, সব আবৃত্তি থেমে যাবে আমাদের কার্যকলাপে।
এবার এসেছো তোমরা অন্য ঘরে, দেখো এবার কি ঘটে, সব কি বলা যায় মুখ ফুটে
আমি ভূত বলবো না তোমাদেরকে মুখ ফুটে, আমার অস্তিত্ব দেখবে তোমরা চোখে
আমার কার্যকলাপে, তবেই তো তোমরা আমাকে ভূত নামে অভিহিত করবে।
মানুষের মতোন করে কথা বললে, কি করে ভূত হবো বলো তোমাদের কাছে
আমার কার্যকলাপ প্রমাণ করবে, আমি অদৃশ্য শক্তি তোমাদের কাছে।
দরজা বন্ধ, দরজা খোলা, আগেও দেখেছো আবার দেখছো, দেখতে থাকো
কি হলো, জানালা বন্ধ হলো, এবার কি দেখছো অনেক বই তাইতো।
এবার কি শুনছো, পাশের রুমে বাচ্চার কান্না, ঠিক কিনা
তোমার সামনে জানালা বন্ধ হলো তুমি অস্বীকার করছো না।
কি দেখছো এবার তোমরা, এক কালো ছায়ামূর্তি শুয়ে পড়ে ঢুকছে অন্য ঘরে
যাবে না তোমরা আমাকে দেখতে, চলে এসো তাড়াতাড়ি কি ঘটে এই ঘরে।
দরজা হঠাৎ করে বন্ধ হলো, তোমরা দরজা ঠেলে ঢুকলে ঘরে, কি দেখলে
তোমাদের সামনে ফুলদানি সমেত ফুলগাছ গেলো পড়ে, কি করে হলো, সন্দেহ হচ্ছে।
বলো তো তোমরা আমাকে, ধাক্কা দিয়ে ফেলে না দিলে কি করে ফুলদানি পড়বে
অবাক হয়েছো তোমরা, আরও অবাক হবে, আমরা কি করতে পারি, দেখো তোমরা সকলে।
কি দেখছো, ছোট্ট বাচ্চাদের বসার একটা গাড়ি, পরে কি দেখলে, গাড়িটা এখানে কেনো
আরও কত কি দেখবে, একটু ধৈর্য্য ধরো, এক মুহূর্তে সব দেখে ফেলবে, তাই কি হয় কখনো।
সবে তো শুরু, ভয় কাকে বলে আমরা দেখাবো তোমাদের সকলকে, থাকো এখানে
তবেই বুঝবে তোমরা ভূতপ্রেত শয়তান কাকে বলে, নয়তো বুঝবে কি করে।
জানালা খুলে তোমরা কি করে আমাকে দেখবে, আমি তো অদৃশ্য শক্তি
তবে দেখো তোমরা, আছে একটা কলাগাছ, তার পাতা কি করে নাড়াচ্ছি।
ভয় পেলে বুঝি, ভয়ের কি আছে, আমরা এসব কাজ অনায়াসে করতে পারি
তোমরা বুঝতে পারছো এটা শিক্ষকদের বসার ঘর, আমি সত্য কথা বলছি।
কি বলছো তুমি, বাচ্চাদের গাড়িটা নড়াচড়া করছে, ঠিকই ধরেছো, দেখাবো তোমাকে
টেবিলের তলায় কি খুঁজছো, লুকিয়ে আছি কিনা আমি সেখানে, কেনো লুকাবো ওখানে?
আমি লুকিয়ে আছি তোমাদের মতোন শিক্ষিত মানুষের কাছে, আমি লুকাই নি
লুকিয়ে রেখেছো তোমরাই, নইলে বলতে পারো কেনো লুকাবো আমি?
আমি তো অদৃশ্য শক্তি, সবার কাছে আমার পরিচয় আমি ভূত
তাই আমি অবহেলিত, দূর ছাই তোমাদের কাছে, তোমরা ভীতু কোথাকার।
সাহস নাই তোমাদের, না আছে কথা বলার শক্তি, না আছে দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি
আমি ভূত, চিতা খোলা স্কুলের ভূত, এ স্কুল পারে না শিক্ষা দিতে, আমি ভূত বলছি।
শিক্ষা দেবো আমি, দেখো দেখো তোমরা, কি এসেছো খুঁজতে, ধরবে তাকে
কি ধরবে তোমরা, ধরতে পারো তাকে ছবি করে, শুনতে পারো শব্দটাকে
বলতে পারো মানুষকে, ভূতের উপদ্রব আছে স্কুলে, কি উপদ্রব করেছি বলো তো আমাকে।
আমার অস্তিত্বকে বোঝাতে নানান রকম শব্দ করেছি, তার বাইরে
আর কি দেখতে চাইছো তোমরা সকলে এইমুহূর্তে।
দেখাবো দেখাবো তোমাদেরকে, আমাদের অস্তিত্ব আছে কিনা
কত সাহস আছে, দাঁড়িয়ে থাকো, তবে বুঝবে আমাদের অস্তিত্ব তোমরা।
টেবিলের তলায় কিছু নাই, ভয় দেখানোর হলে অনেক আগেই দেখাতাম ভয়
তোমরা এসেছো আমাদের দেখতে, আমরা কি পারি দেখাতে তোমাদেরকে ভয়।
তোমরা আমার গুরুজন, এসেছো রাতের বেলায় দেখতে আমাকে
আমি কেমন আছি এই স্কুলে, কি করি এখানে, দেখো দেখো তোমরা সকলে।
আমি কত ভালো আছি তোমাদের চিতা খোলা স্কুলে,
আর কোনোদিন পারবো কিনা জানি না তোমাদের মতোন মানুষ হতে।
না পারিলাম মানুষ হতে, না পারিলাম এই স্কুল থেকে মুক্তি পেতে
তোমরা কি পারবে আমাদের মুক্তির পথ দেখাতে।
বন্দী হয়ে আছি স্কুলে, কেউ মুক্তি দিলো না আমাকে
বড় ইচ্ছে করে মায়ের কাছে যেতে।
ইচ্ছে করে মাকে গিয়ে বলি, মা আমি মরেছি পুকুরের জলে ডুবে
যদি বুঝিতাম, তাহলে কখনো নামিতাম না ঐ পুকুরে।
মা, তুমি কেনো পাঠালে আমাকে এই স্কুলে
তাহলে আমি মরিতাম না চিতা খোলা স্কুলের পুকুরে।
আজ দেখো তোমরা, সব কিছু সাজানো গোছানো, পরিষ্কার পরিপাটি
তোমরা এসেছো বলে আমরা সবাই খুশি হয়েছি।
কি করে কথা বলবো তোমাদের সাথে, যদি তোমরা নিয়ে যাও ধরে
ফিরে আসতে যদি না পারি, আমার বন্ধুরা এখানে থাকবে কি করে।
শুনতে পাচ্ছো কি আমাদের চীৎকার, তোমাদের শরীর এখনই ক্লান্তিতে ভরপুর
বাকি ঘর দেখবে না ঘুরে ঘুরে, কত কি দেখার আছে দেখো তোমরা করো একটু সবুর।
কি হলো গাড়ি চলছে, পরে অনেক্ষণ ধরে চালাবো, তাহলে বেশি মজা হবে
একবারে চালালে বেশি ভয় পাবে, অল্প অল্প করে দেখালে বেশি বেশি মজা হবে।
কি বলছো তোমরা, গাড়িতে বাচ্চা বসে আছে, তোমরা কি দেখতে পাচ্ছো
আমি তো এখন গাড়িতে নাই, বসে আছি চেয়ারে, চেয়ার এবার নড়বে, কেমন মজা পাচ্ছো।
কি দেখলে এবার, একটা বড় বল নড়লো তাই তো, বুঝতে পারছো, আমি গাড়িতে বসে নাই
এবার কি শুনছো, জল পড়ার শব্দ, কোথায় খুঁজবে, আবার একটা ফুলদানি-ফুল পড়ে যায়।
তোমরা চমকে উঠছো, চমকে ওঠার কথা, আমরা আছি,
সেইকথা তোমাদেরকে বলছি।
কি দেখলে কেউ টেবিলটাকে ঠেলছে, কি বলছো ছায়া গেলো চলে, বাইরে কি দেখছো
কলাপাতা নড়ছে, ঠিক বলছি তো, আমি চিতা খোলা স্কুলের ভূত তাইতো।
এবার দেখো কি ঘটে, তাহলে তোমরা বুঝবে, কেনো স্বীকৃতি দাও নি ভূতপ্রেতকে
বিজ্ঞান প্রমাণ করতে পারে নি বলে আমরা ভূত অবহেলিত থাকবো তোমাদের কাছে।
সত্যকে যারা স্বীকার করতে পারে না, তাদের এই পৃথিবীতে থেকে কি লাভ
সত্যের স্বীকৃতি যে দিতে পারে, সেই তো মহাবিশ্বের ভগবান।
তাই তোমাদের মতোন শিক্ষিত মানুষ আমাদের ভূতেদের কাম্য নয়
আমাদের অস্তিত্বকে যারা স্বীকার করে তাদের মতোন মানুষ আমাদের প্রিয় হয়।
তোমরা বলছো তোমরা স্পষ্টভাবে দেখেছো কালো ছায়া, একথা সত্য হয়
এ ঘর ছেড়ে যাচ্ছো যাও, আবার আনবো ফিরে এই ঘরে, দেখবে কত মজা হয়।
ওই ঘরের দরজা ঠেলে করবে কি, ওই দরজা খুলবে না, খুলে দিচ্ছি এই দরজা
ঢোকো তোমরা এই ঘরে বুঝবে ভূতেদের সাথে সময় কাটানোর কত মজা।
কি দেখছো তোমরা, ঘরের মাথায় পাখা ঘুরছে, ভয় পেয়ো না তোমরা
এটা ঠিক মজা হলো না, অপেক্ষা করো এর চেয়ে দেখাবো বড় মজা।
কি অতো আবৃত্তি করছো, ভয় পেয়েছো, কি দেখছো, আলো জ্বলছে নিভছে
তার চেয়ে দেখাবো তোমায় সেরা মজার খেলা যা আছে আমাদের ভাণ্ডারে।
বাইরে দেখে করবে কি, দেখো তোমরা ঘরে, তবেই মজা পাবে
নানান রকম আওয়াজ তুলে ভয় দেখাচ্ছি তোমাদেরকে।
ভয় না পেলে, কি করে বুঝবে তোমরা, ভূতপ্রেত কাকে বলে
ক্যামেরার আলো কোথায়, তোমরা দেখবে না আমাদেরকে?
চোখের দেখা কি সত্য হয়, চোখ কি সত্য কথা বলে, কি দেখতে
কি দেখেছো, কে করবে বিশ্বাস তোমাদের দুইজনকে?
দেখো দেখো ভালো করে দেখো, নইলে বলবে কি করে পৃথিবীকে
কি হলো, কি করে পড়ে গেলে, টেনে ধরেছে তোমাকে।
এবার বারান্দাতে দেখছো তোমরা, কোথাও কিছু নাই
মজা করার এই তো সময়, সাহস তোমাদের কম নয়।
কত সাহস দেখবো এবার চক্ষু হবে ছানাবড়া
তবেই তোমরা বলবে চিতা খোলা স্কুলের কথা।
এ স্কুল যে সে স্কুল নয়, এ স্কুল চিতা খোলার স্কুল
মনে রেখো তোমরা সবাই, আমি হলাম চিতা খোলা স্কুল।
কত স্কুল পৃথিবীতে, কয় জনে তার নাম জানে
সবাই চিনবে সেই স্কুলটাকে, যাকে সবাই চিতা খোলা স্কুল বলে।
এ স্কুলের নাম ছড়িয়ে পড়বে এই মহাবিশ্বে
তার জন্যে আমি ভূত জানাচ্ছি আমার অস্তিত্বকে।
যদি কেউ অস্বীকার করে আমার অস্তিত্বকে
তাহলে মনুষ্য জনমে সাজা দেবো তাকে।
কি দেখছো এবার তোমরা, কেউ সরালো চেয়ারটা
সন্দেহ হচ্ছে, এটা সত্য কিনা, সত্য এটা, চোখের দেখা ভুল না।
কি দেখছো এবার তোমরা, উঁচু বেঞ্চ নড়াচড়া করছে নিজ থেকে
কেউ কি পারে নড়তে, না নড়ালে নড়বে কি করে, আমি ভূত এই ঘরে।
কি মনে হচ্ছে তোমার, কেউ বেঞ্চে বসে উঁচু বেঞ্চটাকে নাড়াচ্ছে
তোমার ভালো বুদ্ধি আছে, ভয় পেয়ো না তোমরা দুইজনে।
এবার দেখো কি নড়ে, দেখো তোমরা চোখে, চোখ তো সত্য কথা বলে
আবার কি নড়ে, আবার নড়ে অন্য একটা উঁচু বেঞ্চ, এবার কি বলবে।
কি বলছো ঘরের মাথায় কেউ দৌড়াদৌড়ি করছে, ঠিকই তো
নইলে শব্দ হবে কি করে, ভয় পাচ্ছো, ভয় পেয়ো না অতো।
আমি হলাম চিতা খোলা স্কুলের ভূত, এখন তো নই মানুষ
আমার কথা নাইকো লেখা কোনো বইয়ের পাতায়।
কি দেখছো জানালার বাইরে, কলাগাছটা কাঁপছে
এই বলো তো তোমরা, নিজ থেকে কলাগাছ কাঁপতে পারে?
ভয় পেয়ো না, ভয় পেয়ো না, ভয় দেখাবো এবার
এমন ভয় দেখাবো তোমায়, পালাবে তখন বাছাধন।
ভয় দেখাবো সবার শেষে ভয়টা কাকে বলে
ভয়ের মতোন ভয় দেখাবো বুঝবে মানুষ ভূতের অস্তিত্বটাকে।
আর এসো না, আর এসো না, ভুল করেও এসো না, চিতা খোলা স্কুলে
ভয় দেখাবো এমন করে, ভয়ের চোটে মুখ ফিরাবে না আমার দিকে।
আমি হলাম চিতা খোলা স্কুলের ভূত, তোমরা দেবে কি শিক্ষা, শিক্ষা দেবো আমি
আমি হলাম চিতা খোলা স্কুলের ভূত, আমার কথা মনে রেখো, আমার কত শক্তি।
ডাকছো তোমরা কাকে, আসবে নারে ওরা, ভয় পেয়েছো তাই ডাকছো
ভয় না পেলে কেউ ডাকে না, তোমরা কেনো ডাকো, একবার আমায় বলো তো।
ভয় না যদি তোমরা পাবে, কেনো ডাকো তাকে, ডাকলে যদি আসতো সে
তাহলে আমরা কি আর থাকতাম হেথায় পড়ে, সবার আগে তাকে ডেকে
আমরা ভূত সবাই যেতাম চিতা খোলা স্কুল ছেড়ে অন্য কোনো জায়গাতে।
আর ডেকো না, আর ডেকো না, আসবে না আর ওরে, তার চেয়ে ডাকো আমায়
কি করতে পারি তোমার জন্যে দেখো একবার সবাই।
থাকছো তুমি আমার কাছে, সবাই বলে চিতা খোলা স্কুল, তুমি হেথায় থেকে
আমাকে না ডেকে, ডাকছো তুমি কাকে, ডাকছো যাকে সে নেই এখানে।
তোমার ডাকে সে কি তোমায় সাড়া দেবে, নাকি তোমার ডাকে
সে তোমাকে বাঁচাবে, বাঁচালে বাঁচাবো আমি ভূত তোমাকে।
তোমার ওসব ডাকে আমরা ভূত ভয় করি না, ডাকছো তুমি ভয় পেয়েছো বলে
নইলে তুমি ডাকতে আমায়, সেই সাহস নেই তোমার এইসময়ে।
তুমি ভূতের কাছে এসে, ডাকছো তুমি বাঁচার জন্যে কাকে, আসবে না সে এখানে
বরং আমরা ভূত বুঝতে পারি, তোমরা দুইজন কাঁপছো ভয়ে, ভূতের ভয় কাকে বলে?
আর ডেকো না, আর ডেকো না, দেখো আমার কার্যকলাপ, আমার কাজে মুগ্ধ হয়ে
কাঁপবে ভয়ে তোমরা সকলে এই রাতের বেলাতে।
ভয় পেয়ো না, ভয় পেয়ো না, ভয় দেখাবো এবার, ভয় না পেলে বুঝবে কি করে
চিতা খোলা স্কুলের ভূতেরা কি কাজ করে, দেখো এবার চোখটা মেলে।
চোখ কান খোলা রাখো, ভূতের ভয় কাকে বলে দেখো
এমন ভয় দেখাবো আমরা, যাকে তোমরা ভয় বলো।
এ ভয়, যে সে ভয় নয়, এ ভয় ভূতের ভয়
সবাই থাকো ধৈর্য্য ধরে দেখো এবার ভূতের ভয়।
চক্ষু হবে ছানাবড়া, বুকটা যাবে চমকে
তোমরা তখন ভূতের ভয়ে, স্কুল ছেড়ে যাবে।
এসো তবে মজা করি, একটুখানি মজা
চলে গেলে কি আর হবে এমনভাবে মজা।
থাকো থাকো তোমরা থাকো, একটু করি মজা
রাতের বেলায় তোমরা আছো আজকে ভারী মজা।
কি হলো তোমার, বেঞ্চে শুয়ে পড়ে গেলে মেঝেতে
কোনো শক্তি নাই তোমার দেহে, কি করে ভূত ধরবে?
ধরার আগে পড়ে গেলে, সবাই তখন হাসবে
আমরা আছি মজা করতে, তোমরা থাকো সাথে।
ভারী মজা, ভারী মজা, কিল চড় নাই
তোমরা আছো আমার সাথে ভারী মজা পাই।
তোমরা নাকি ভূত ধরবে, চোখে মুখে ভয়
কথায় কথায় কাকে ডাকে সে তো হেথায় নাই।
আমার কথায় চলবে তুমি আমি হলাম ভূত
চিতা খোলায় নাইরে চিতা আছে চিতায় ভূত।
আমি চিতা খোলার ভূত, থাকার মধ্যে স্কুল আছে
আছে একটা পুকুর, তার সাথে মাঠ আছে, ছাত্রছাত্রী নাইরে।
স্কুলখানা বন্ধ আছে, শিক্ষক-শিক্ষিকা নাই
থাকার মধ্যে আমরা আছি, আমরা হলাম ভূত।
বারান্দায় নাইরে কিছু, খুঁজছো তোমরা কোথায়
আমরা আছি চারিপাশে, কোথাও আবার নাই।
আমরা হলাম ভূত, তোমরা হলে মানুষ
লড়ো এবার আমার সাথে কেমন মজা পাই।
তোমার আছে অনেক কিছু সাথে আছে টর্চ
আমার সাথে নাইরে কিছু তোমরা করছো সার্চ।
আমরা হলাম ভূত, তোমরা হলে মানুষ
বুদ্ধি তোমার অনেক আছে, আমার বেলায় নাই।
থাকতো যদি বুদ্ধি আমার, কি দরকার প্রকাশ করার
বুদ্ধি আমার নাই তো বলে প্রকাশ হলো আমার।
নইলে আমি ঘাবটি মেরে ফেলতাম মেরে তোমায়
প্রকাশ করে ভুল করেছি তাই তো ছাত্রছাত্রী নাই।
তোমরা এলে আমার কাছে, প্রশ্ন করি তোমায়
আমার কথা দিকে দিকে প্রকাশ যেনো হয়।
তোমরা আমায় চাপা দিয়ে কিসের বড়াই করো
শিক্ষা যদি থেকে থাকে তবে শিক্ষার বড়াই করো।
বিপরীত শব্দ আছে তোমরা মনে রেখো
টাকার আছে এপিঠ ওপিঠ তোমরা এবার বলো।
সাহস আছে ভয় আছে, আছে ভালো-মন্দ
জন্ম-মৃত্যু পাশাপাশি নয়তো গালমন্দ।
তোমরা মানুষ জন্ম নিয়ে আছো এখন হেথায়
আমরা মানুষ মৃত্যু নিয়ে আছি তেমন সেথায়।
তোমরা আছো আমরা আছি তোমরা জেনে রেখো
তোমরা যেদিন মরবে সেদিন আমার মতোন হয়ো।
এবার দেখো মজা, কেমন মজা হবে, যার নাই তুলনা
তেমন মজা হবে, তোমরা মানুষ কখনো ভুলো না।
যত পারো আমার নামে বলতে পারো মিথ্যা কথা
তাই বলে আমরা ভূত তোমাকে কখনো মারবো না।
দেখে যাও দেখে যাও, ভূতের অস্তিত্ব কাকে কয়
এমন মজা করবো আমি যা কখনো ভুলে যাবার নয়।
এসো এসো মজা করি, মজাই হলো জীবন
তালের মজাই কত মজা, মজা নারীর জীবন।
মজা ছাড়া নাইরে কিছু, করো করো মজা
নারীর মজা বড় মজা, নারী ছাড়া কেউ চলে না।
এসো এবার মজা করি, মজায় কত মজা
সবার চেয়ে বড় মজা আমরা ভূতের রাজা।
কি দেখলে এবার তোমরা, চোখটা ছানাবড়া
শুয়ে পড়ে ঘরে ঢোকে একটা কালো ছায়া।
চলো তুমি সেই ঘরেতে ঢুকলো ওটা কি
ভূতপ্রেত ওটাই নাকি, বুঝতে এখনো বাকি।
ওহে মানুষ শোনো তবে, এসো আমার ঘরে
ভূতপ্রেত কাকে বলে দেখো ভালো করে।
খুঁজছো কোথায় ঘরের মধ্যে, কোথায় কালো ছায়া
সামনে যদি এসে দাঁড়ায় ভয়ে মরবে তোমরা।
তাই তো আমরা অদৃশ্য হয়ে খেলা করতে চাই
এমন খেলায় কত মজা যা ভুলিবার নয়।
অদৃশ্য হবার এমন ক্ষমতা তোমার কিন্তু নাই
মরার পরে পেলাম আমি কি করে তোমাকে বোঝাই?
তুমি মানুষ, আমি ভূত, তুমি জন্ম, আমি মৃত্যু, এই তো হলো কথা
একটা টাকার এপিঠ-ওপিঠ, বিপরীতে ভরা।
কি দেখছো এবার বলো এই ঘরেতে তোমরা
দরজা খুলে উড়ে গেলো একটা কালো ছায়া।
তাহলে বোঝো এবার তুমি, আমি কি করতে পারি
আমি উড়তে পারি, নাড়াতে পারি, আমি অদৃশ্য শক্তি।
মানুষ বুঝেও পারে না বুঝতে, তাই তো মারি মানুষকে
এমন নিরেট বোকা মানুষ চাই না আমি পৃথিবীতে।
কোথায় যাবে দেখতে এবার তোমরা বলো আমায়
এমনভাবে দেখাবো তোমায় যা ভুলিবার নয়।
একটা চেয়ার দিলাম ছুড়ে আমি হলাম ভূত
দেখতে পেলে স্বীকার করো ওহে তোমরা মানুষ।
ভয় পেয়ো না, ভয় পেয়ো না, ভয় দেখাবো এবার
কত সাহস আছে তোমার বুঝবে বাছাধন।
ভূতকে দেখতে আসা, নাকি তার সাথে মজা করা
এমন মজা দেখাবো তোমায় ভুলে যাবে ভূতের কথা।
কেমনভাবে ঢুকছে ছায়া দেখতে তোমরা পেলে
ঘরে গিয়ে দেখতে পেলে নাই তো ছায়া ঘরে।
কেমন মজা বলো তোমরা মানুষ সবাই
তাই তো বলি ভূতের সাথে মজা করতে নাই।
মজা করো, মজা করো ভূতের সাথে নয়
নইলে তোমায় করবে মজা যাকে তালের মজা কয়।
আমার হাতে চেয়ার ছোড়া দেখো মানুষ তোমরা
তোমার পাশে থেকেও আমি, তুমি দেখতে পেলে না।
খুঁজছো তুমি কাকে, হাসছি তোমায় দেখে
সাহস আছে, বুদ্ধি আছে, সবই তোমার আছে।
তুমি কি আর সাহস করে আসবে আমায় দেখতে
মরেও আমি মরি নি, কি করে বোঝাই বলো তো তোমাকে।
আমাদের ফিসফিস কথা যাচ্ছে তোমার কানে
তাই তো সবাই বলে দেওয়ালেরও কান আছে।
চোখ মুখ তোমার গিয়েছে বসে, আর কতক্ষণ থাকবে
আসল খেলা দেখাবো তোমায় আর কিছুক্ষণ থাকলে।
কালো ছায়া ঢুকলো ঘরে, দেখতে তুমি পেলে
যাচ্ছি আমি ডেকে নিয়ে এসো তুমি এই ঘরেতে।
এমন মজা করবো আমি, আমি চিতা খোলার ভূত
থাকবে তোমার মনে, নইকো আমি মানুষ।
সেই ঘরেতে তোমরা এলে, দেখো ঘরের চেহারা
ফুলদানিতে ফুলগাছ আছে দাঁড়িয়ে আছে খাড়া।
ফুলদানি সব দাঁড়িয়ে আছে গাছগুলি সব খাড়া
চলবে এবার সেই গাড়িটা দেখো এবার তোমরা।
আরে মানুষ ডাকছো তোমরা কাকে, ডাকছো যাকে
সে তো নেই এই ঘরে, ডাকলেও আসবে না সে এখানে।
আমি ভূত আছি এখানে, দেখো কেমন করে গাড়ি চলে
এই ভারী মজা, ভারী মজা, তোমরা এসো বারে বারে।
অনেক খেলা করা যাবে, তোমরা যদি থাকো
রাতের পরে রাত গড়াবে, তোমরা ভয় পেয়ো নাকো।
কি দেখছো চোখে, সবই বুঝি সত্য হলো
তুমি মানুষ, আমি ভূত, আজ থেকে বন্ধুত্ব হলো।
তোমরা মানুষ কোথায় যাবে যেয়ো নাকো চলে
আমি আছি এই চেয়ারে, থাকো ধৈর্য্য ধরে।
অনেক অনেক মজা হবে সারা রাতটা ধরে
থাকো থাকো আমার ঘরে অনেক সাহস আছে।
চেয়ার দিলাম ফেলে, কোন্‌টা আশ্চর্য্য তোমাদের কাছে
আমার খেলা ভালো লাগে নি তোমাদের বলো তো সকলে।
বলো তো মানুষ, কি দরকার ছিলো তোমাদের সাথে খেলা করা
তোমরা এসেছো দেখতে আমি ভূত আদৌ স্কুলে আছি কিনা।
আমি ভূত আছি, কতদিন থাকবো জানি না
এই স্কুল ছেড়ে আমার মুক্তি হবে না।
কোনো বই বলে নি মৃত্যুর পরে কি হয়
সেই বই আমি নিজে, সবাই আমাকে ভূত কয়।
পৃথিবীর মানুষ, তোমরা শোনো, মৃত্যুর পরে সবাইকে ভূত হতে হয়
কিন্তু ভূতের অস্তিত্ব থেকে মুক্তি কবে পাবো বলতে পারো আমায়।
তোমরা কেমন মানুষ, সত্যকে অস্বীকার করে মিথ্যা কথা বলো
তোমাদেরকে উচিত শিক্ষা দিতে আমি ভূত বলছি সত্যের আলো জ্বালো।
কি হলো আমার মানুষ বন্ধুরা, তোমরা আর থাকবে না এখানে
আমরা যে এতক্ষণ ধরে খেলা করলাম তোমাদের সাথে।
তোমরা চলে যাবে আমাদেরকে ফেলে রেখে, আবার কবে আসবে
অনেক অনেক খেলা দেখাবো তোমাদেরকে,
তোমরা এসেছিলে বলে, কিছু খেলা দেখিয়েছি তোমাদেরকে
বলো বলো পৃথিবীর মানুষকে, আমরা আছি স্কুলে।
আবার এসো তোমরা, অনেক ভালোবাসা রইলো তোমাদের জন্যে
তোমরা বিডি ঘোষ্ট হান্টার এসেছো আমাদের দেখতে।
কেউ তো কোনোদিন আসে নি, কেউ তো থাকে নি এখানে
কেনো আসে না ছাত্রছাত্রীরা এখানে, কথা দিচ্ছি ভয় দেখাবো না কাউকে।
সবাই এলে আমরা কত মজা করতে পারতাম তাদের সাথে
বলে দিও তোমরা সবাইকে এখানে আসতে, অনেক অনেক মজা হবে।
আর বসবে না তোমরা, এখনই চলে যাবে
অনেক খেলা বাকি আছে, দেখানো হয় নি তোমাদেরকে।
তোমরা আবার কবে আসবে, খেলা করবো তোমাদের সাথে অন্যভাবে
তখন দেখা যাবে তোমাদের বুকের পাঁটাতে কত সাহস আছে, এখনই চলে যাবে।
আর বসবে না তোমরা এখানে
আমার কথা বলো সকলকে।
আমি চিতা খোলা স্কুলের ভূত
আমার কথা বলো তোমরা সবাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৫৮
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমিও যাবো একটু দূরে !!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২২

আমিও যাবো একটু দূরে
যদিও নই ভবঘুরে
তবুও যাবো
একটু খানি অবসরে।
ব্যস্ততা মোর থাকবে ঠিকই
বদলাবে শুধু কর্ম প্রকৃতি
প্রয়োজনে করতে হয়
স্রষ্টা প্রেমে মগ্ন থেকে
তবেই যদি মুক্তি মেলে
সফলতা তো সবাই চায়
সফল হবার একই উপায়।
রসুলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×