খুলনা
তুমি মহাবিশ্বের খুলনা।
ভৈরব ও রূপসা
দুই নদীর তীরে তুমি খুলনা।
তুমি খুলনা বলো আমায়
প্রকৃত সত্য কোথায়?
রূপসা ও রূপসা
কোথায় বলো সত্যটা?
তোমার কোলে অবস্থিত যারা
তারা কি সত্য, বলো ওহে নদী রূপসা।
খুলনা জেলা প্রশাসনিক কার্যালয়
জেলার যে প্রধান সে কি প্রকৃতপক্ষে সত্য হয়?
যদি খুলনা জেলার প্রশাসনিক কর্তা সত্য হয়
তাহলে বলো জাতিস্মর প্রদীপ কেন প্রকাশিত নয়?
খুলনার জেলাশাসক ডবলিউ এ চৌধুরী
কি করে নিজেকে বলো সত্য তুমি?
হতে পারো তুমি খুলনার জেলাশাসক ডবলিউ এ চৌধুরী
তুমি জেলাশাসক ডবলিউ এ চৌধুরী
খুলনা জেলার প্রথম ঠক প্রতারক ও মিথ্যাবাদী।
তুমি অন্যায় করেছো প্রদীপকে প্রকাশ না করে
তুমি এই মহাবিশ্বের প্রথম ঠক প্রতারক হিসাবে পরিচিতি লাভ করবে।
তুমি খুলনার জেলাশাসক ডবলিউ এ চৌধুরী
আমি প্রদীপ তোমাকে ঠক প্রতারক হিসাবে স্বীকৃতি দিচ্ছি।
তুমি নিমাই, আমার বাবা
আমি ছোট্ট শিশু বলে অবহেলা করো না।
তুমি কোথায় নিয়ে এসেছো আমাকে
এরা কোনদিন প্রকাশ করবে না প্রদীপকে।
যাকে তুমি জেলার সত্য বলছো, সে সত্য নয়
হতে পারে সে জেলাশাসক, কিন্তু সে আদৌ সত্য নয়।
জেলাশাসক ডবলিউ এ চৌধুরী বলে কিনা
মক্কা মদিনা এইসময় প্রদীপকে প্রকাশ করতে পারবে না।
তাহলে কে প্রদীপকে প্রকাশ করবে
বলো জেলাশাসক এইসময়ে।
প্রদীপ যেদিন নিজে জ্বলবে
সেদিন প্রদীপ নিজে প্রকাশিত হবে।
ঠিকই বলেছো জেলাশাসক
তুমি ডবলিউ এ চৌধুরী, খুলনার অপদার্থ জেলাশাসক।
শুধু অপদার্থ নও, তুমি ঠক প্রতারক, মিথ্যাবাদী জেলাশাসক
তোমার গলায় ফাঁসীর দড়ি ঝোলানো দরকার।
একটা চার বছরের প্রদীপকে যে প্রকাশ করতে পারে না
সেই জেলাশাসক অপদার্থ, ঠক প্রতারক ও মিথ্যাবাদী ছাড়া,
অন্য কিছু হতে পারে না।
যে সত্যকে প্রকাশ করতে ভয় পায়
সে নিজে মিথ্যা ছাড়া অন্য কিছু নয়।
কোথায় নিয়ে এসেছো বাবা
এরা তোমার প্রদীপকে প্রকাশ করতে পারবে না।
তুমি মক্কা মদিনা
ঠক প্রতারক ও মিথ্যাবাদী ছাড়া
অন্য কোন পরিচিতি লাভ করতে পারো না।
যারা একটা চার বছরের শিশুকে চাপা দেয়
তারা প্রত্যেকে ঠক প্রতারক ও মিথ্যাবাদী ছাড়া অন্য কিছু নয়।
না প্রকাশ করেছে প্রদীপকে কোন ধর্ম
না প্রকাশ করেছে প্রদীপকে কোন বর্ণ।
তুমি কাঁদছো বাবা
তোমার পুত্র প্রদীপকে কেউ প্রকাশ করলো না।
বাবা, সব ধর্মই মিথ্যা
কোন ধর্মই সত্য না।
না সত্য ইসলাম ধর্ম
না সত্য হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ধর্ম।
মানুষ তো ধর্ম ছাড়া বাঁচতে পারে না
ধর্মের আবরণে লুকিয়ে থাকা মানুষ এরা।
চলো বাবা, বাড়ি চলো বাবা
তোমার প্রদীপকে কেউ প্রকাশ করতে পারবে না।
কার কাছে পাতছো হাত
সবাই ফিরিয়ে দেবে তোমায়।
কোথাও সত্য নাই বাবা
আমি প্রদীপ, আমি জানি বাবা।
দেশের সরকার কখনো সত্য না
তোমার প্রদীপ প্রকাশিত হোক, কেউ চায় না।
তুমি কি করে প্রদীপকে প্রকাশ করবে বাবা
সবাই ঠক প্রতারক, মিথ্যাবাদী ছাড়া অন্য কিছু না।
কোথায় নিয়ে যাচ্ছো বাবা
এতো দেখছি জোড়া শিব মন্দির, বাবা।
একই আকৃতির দুটি শিব মন্দির
জোড়া শিব মন্দির।
সপ্তমুখী জবা ফুল
সাদা জবা ফুল
আছে অশ্বত্থ, ডুমুর।
জোড়া বট তলায়
জোড়া শিব মন্দির।
শিব, আমি ছোট্ট প্রদীপ
তোমার কাছে করলাম পদার্পণ।
বাবার হাত ধরে
ঘুরে ঘুরে দেখছি তোমাকে।
তুমি তো পাথরের মূর্তি
তুমি কি করে প্রদীপকে প্রকাশ করবে বলো তো দেখি?
দূরে দাঁড়িয়ে কালী মূর্তি
কালী তো মাটির মূর্তি।
আজ জীবনের শেষ দশায়
প্রশ্ন করি শিব তোমায়।
তোমার প্রদীপকে কেউ প্রকাশ করলো না
যা কিছু দেখছি সব ঠক প্রতারক ও মিথ্যা।
না দেশের সরকার সত্য
না দেশের ধর্ম সত্য।
কোথাও সত্যকে খুঁজে পেলাম না
একমাত্র সত্য পিতা মাতা।
তুমি কাঁদছো বাবা
তোমার ছোট্ট প্রদীপ প্রকাশ হলো না
তুমি আর প্রদীপকে প্রকাশ করার চেষ্টা করো না
সবার কথা শুনে প্রদীপকে চাপা দাও বাবা।
তোমার প্রদীপ নিজেই জ্বলবে
যেদিন পারবো জ্বলতে এই বিশ্বে,
সেদিন ডাকবো তোমাকে বাবা
তুমি তো করেছো চেষ্টা।
খুলনার কেউ সত্য ছিল না
একমাত্র সত্য ছিল নিজের বাবা মা।
আজ আর কেউ নাই
বাবা মা কেউ নাই।
বলো জোড়া শিব
আমি তোমার প্রদীপ।
শিব, তুমি শিব
তুমি খুলনার জোড়া শিব
আমি প্রদীপ নিজেকে আত্মবলিদান দিলাম।
তোমার প্রদীপ জ্বলুক
সমগ্র বিশ্ব দেখুক।
সত্য কোথাও নাই
ঠক প্রতারক সবাই।
পিতা মাতা ছাড়া
কেউ সত্য না।
সত্য পিতা নিমাই হালদার
সত্য মাতা ঊর্মিলা হালদার।
আমি তোমাদের প্রদীপ
আমি জাতিস্মর প্রদীপ।